ফারুক আহমেদঃ খালখননে সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার হাজার হাজার বিঘা জমি খালখননে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেয়ে তিন ফসলি জমিতে পরিণতি হওয়ায় জমির মালিকেরা খুশি হলেও। অসন্তুষ্টি খালখনন শেষ না হতেই আবারাও আমশড়া মৌজায় খাল দখল করে মাছ চাষের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অপর দিকে তাড়াশ উপজেলায় এখনও খালখনন না হওয়ায় অপরিকল্পিত পুকুর খনন,ব্রিজ- কালভাট ও খালের মৃখ বন্ধ করে মাছ চাষাবাদ করায় পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে হাজার হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে
এতে কৃষকেরা জমিতে বোরো চাষাবাদ নিয়ে সংস্কায় রয়েছে। এবারে আমন মৌসুমে উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়ন,মাধবপুর,মধুরাপুর, চকগোপিনাথপুর,সাস্থান, বিদুমাগুড়া, সোলাপাড়া শ্রীকৃঞ্চপুর,বোয়ালিয়া ও উল্লাপাড়া উপজেলার আগরপুর, এলাকার বিস্তীর্না মাঠ মাঠে কয়েক বছর আগেও তিন ফসলের চাষাবাদ করত কৃষকরা। উর্বর মাটিতে সোনা ফলাতো তারা। এতে সুখেই কাটছিল কৃষকদের সংসার। প্রায় ৫ বছর আগে এসব এলাকার মাঠে উজানে অপরিকল্পিত পুকুর খনন নালার মুখ বন্ধ করোছ চাষাবাদ শুরু করে কতিপয় মৎস্যচাষিরা। এতে এসব এলাকার মাঠের পানি সিস্কাশন পথ বন্ধ হয়ে যায়। বন্যার পর এসব ফসলের মাঠের পানি আর বের হচ্ছে না। যার কারণে এসব এলাকার ফসিল জমিতে এখনও পানি। দেখা দিয়েছে স্থীয় জলাবদ্ধতা। এমন অবস্থায় এলাকার কৃষকরা ফসল চাষাবাদ করতে পারছে না। কোথাও কোথাও সামান্য জমিতে এক সিজনে ধান লাগানো গেলেও সেই জমিতে হাটু পানি। সেই ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান,কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে এর আগেও আমি সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও কে নিয়ে আমি সরেজমিন ওই এলাকা পরিদর্শন করেছিলাম। আমি আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ব্যবস্থা নিব ইনসাল্লাহ। ওই এলাকার মাঠের পানি নিস্কাশন করা গেলে কৃষকরা আবারও ফসল ফলাতে পারবেন।অন্য দিকে কৃষকেরা ফসল ফালাতে না পারলে সরকারের খাদ্য উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ভেস্তে যেতে পারে। মাধবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম,ইব্রাহিম হোসেন এই প্রতিনিথি কে বলেন, রায়গঞ্জ, তাড়াশ / সলঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার আব্দুল আজিজ, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ – সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট, উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও ও কৃষিকর্মকর্তা বার বার তাড়াশের অংশ খালপুনঃখননের আশ্বাস দিলেও তা আজও বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা ব্যতীত।তাই অবশেষে আমরা আমাদের জমিগুলি থেকে নিজেরাই সেচযন্ত্র দিয়ে পানি সেচে এবারের বোরো ধান আবাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।