নাটোর প্রতিনিধি: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪(বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে এখন পর্যন্ত মাঠ জরিপে এগিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেএম জাকির হোসেন। দলীয় সকল কোন্দল ও গ্রুপিং নিরসনসহ আওয়ামীলীগ দলের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে চান তিনি। ২০০২ সালের ২৯ মার্চ তার পিতা ডা. আইনুল হককে বিএনপি,জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দিবালোকে বনপাড়া বাজারে কুপিয়ে হত্যার পর নিজ পিতার জানাযায়ও অংশ নিতে পারেননি তিনি। এলাকায় তাদের বাড়িসহ আত্মীয়- স্বজনদের প্রায় ২০০ বাড়ি- ঘর সেদিন আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল বিএনপি জামায়াতের সন্তাসীরা। দলের জন্য মাসের পর মাস জেলও খাটতে হয়েছে তাকে।
এখন আশার দিন গুনছেন, ত্যাগীদের মুল্যাযন হলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা পাবেন এবং সাংসদীয় এলাকার সকল মানুষের সেবা করার সুযোগও পাবেন তিনি।
ইতিমধ্যে তিনি নিয়মিত আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের লিফলেট বিতরণ, শোভাযাত্রা ও মোটর সাইকেল শোডাউন দিয়ে এলাকার সর্বসাধারনের মাঝে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন।
কেএম জাকির হোসেন ছিলেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক(১৯৮৭), নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক(১৯৯০) একই বছর তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য(১৯৯০),হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক(১৯৯৭), বনপাড়া পৌর আওয়ামীলীগের পর পর তিনবারের সভাপতি ও তিনবারের নির্বাচিত মেয়র এবং বর্তমানে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
কেএম জাকির হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং পারিবারিকভাবেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার বাবা শহীদ আইনুল হক ছিলেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও তিন বারের ইউপি চেয়ারম্যান।
কেএম জাকির হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মূল্যায়ণ করে দলীয় মনোনয়ন দিলে গুরুদাসপুর বড়াইগ্রামে সরকারের উন্নয়নের ধারা আরও বেগবান করতে সক্ষম হবেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপন, কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, নদীর স্বাভাবিক গতিপথ সচল ও পর্যটন কেন্দ্রসহ চলনবিলের উন্নয়নে কাজ করবেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী এই প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব উন্নয়নের নানা তথ্যচিত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরতেও দেখা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মাসেতু, যমুনা রেল সেতু, কর্নফুলী ট্যানেল নির্মাণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ, রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দেওয়াসহ অসংখ্য উন্নয়ন করে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে বিশ্ব দরবারে উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
এ আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে নৌকার মনোনয়ন দিলে শতভাগ পাশের নিশ্চয়তা দেন এবং এ সাংসদীয় এলাকায় সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রাখবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।