ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর প্রবন্ধের কলি ‘মন মাঝি তোর বৈঠা নিরে আমি আর বাইতে পারলামনা, হারিয়ে গেলেও নতুন প্রজন্মের মুখের গান‘ আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, গানের কলি ও সুের ভেসে উঠার স্বাক্ষী বহন করে গ্রাম বাংলায় আগেকার বা সেকালে বাংলার মানুষের জীবন বৈচিত্র । চৈত্র বৈশাখ মাসের খর রৌদ্র তাপে তেপান্তরের বট বৃক্ষ ছায়ায় রাখালের গরুর পাল আর নদীর বুকে গুন টেনে টেনে বা পাল উড়িয়ে নৌকা সারি আর নেই। নেই উঠানে সমবেত হয়ে কালুগাজী বা সোনাভানের পুথি পড়ার হিড়িক। বর্ষার উৎসবে আর হেমন্তের অবকাশ সময়ে পাড়ায় পাড়ায় বা মহল্লায় মহল্লায় নেই আর জারি,সাঁরি বা মুর্শিদী গানের আসর। এ সময় গ্রাম বাংলার ফকির সাঁই,আর বাউলদের যে কদর ছিল এখন আর তা নেই। তথ্য প্রযুক্তির অবদানেই বলুন আর করাল গ্রাসেই বলুন না কেন বদলে গেছে সমাজ বা মানুষের দৃষ্টি-মনন ও কৃষ্টিকালচার। ডিস এন্টিনার ব্যবসায় বিদেশী চ্যানেল এর কাল থাবায় শুধু বাউল,মুর্শীদি আর পল্লীগিতিই নয় পরাজিত হতে বসেছে আমাদের দেশী চ্যানেলের ভাবমুর্তি ও অস্তিত্ব। আসুন আমারা আমাদের বাংলা ও বংগালী জাতির মুল ধারায় ফিরে এসে আমাদের আপন ঐতিহ্যকে রক্ষা করি প্রয়োজনে আমাদের আপন ঐতিহ্যকেই ডিজিটাল রুপে রুপ দান করে সমভোগ করি মা-মাটি ও সাদা সিধে গ্রাম বাংলার মানুষের জীবন বৈচিত্র। (বাংলার বিভিন্ন ভাষা ও আঞ্চলিক গান সম্পর্কিত তথ্য ধারাবাহিক ভাবে চলবে—)।