স্টাফ রিপোর্টার: সুবিধা বঞ্চিতদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্মাণ করা তাড়াশ উত্তর ওয়াপদা বাঁধের ব্রিজে সংযোগ সড়কের অপেক্ষায় দিন গুনছেন উত্তরের জনপদের লাখো মানুষ। অনেক ঘুরে প্রতিদিন উপজেলা সদরে পৌঁছাতে হয় তাদের। মৌসুমে হাজার বিঘা জমির ফসল নিয়ে পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনায়।
জানা যায়, ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অংশগ্রহনমূলক ক্ষুদ্রাকা পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ সদরের উত্তর ওয়াপদা বাঁধের মাঝামাঝি পাকা সড়কের সাথে উলুশী খালের ওপর নির্মিত হয় ব্রিজটি। কিন্তু সংযোগ সড়ক না হওয়ায় কোনো কাজেই আসছে না সরকারের এক কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ব্রিজ। ওয়াপদা ব্রিজের সংযোগ সড়কটি হয়ে গেলে প্রত্যন্ত মালশিন, কাজিপুর, বলভা, শিবপুর, সেলুনদহ, গুড়মাসহ আশপাশের আরো ১০ গ্রামের মানুষ বিকল্প সড়ক ব্যবহার না করে দৈনন্দিন কাজে সোজা পথেই উপজেলা সদরে পৌঁছাতে পারবে। এসব গ্রামের তুলনামূলক আধা-কিলো থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সড়কের দুই পাশের হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল এলাকার কৃষকরা অল্প সময় আর কম খরচে ঘরে তুলতে ও বিক্রি করতে পারবেন।
এছাড়া সংযোগ সড়ক করার সময় উলুশী খালটিও পূর্ণাঙ্গ খনন হয়ে যাবে। ফলে উত্তর এলাকার বন্যা ও বৃষ্টির পানি এ জলাধার দিয়ে দ্রুত নিষ্কাশন হবে। বর্ষায় উলুশী খাল দিয়ে যাতায়াত করবে নৌকা। এ খালে শুষ্ক মৌসুমে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ করে স্থানীয়ভাবে মাছের চাহিদাও অনেকটা পূরণ করা সম্ভব হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ আলী জানান, বরাদ্দ না পাওয়ায় ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সংযোগ সড়ক নির্মাণে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল আজিজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।