চাটমোহর প্রতিনিধি : চাটমোহর উপজেলার চরমথুরাপুর ও ভাঙ্গুড়ার দহপাড়া গ্রামের মধ্যবর্তী বড়াল নদীর ওপর সেতু না থাকায় ভোগান্তির পড়েছেন আশেপাশের অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ। এলাকাবাসী চাঁদা হাড়ি দিয়ে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। প্রতিদিন নদী পারাপার হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ। ভুক্তভোগীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরে সেতু নির্মাণের জন্য ধরনা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। বড়াল নদীতে ওই বাঁশের সাঁকো এখন ১৫ গ্রামের মানুষের ভরসা
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নব্বইয়ের দশকে সরকারিভাবে চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে বড়াল নদীতে ওয়াপদা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে নদীটি খালে পরিণত হয়েছে। আশেপাশের দু’টি উপজেলার প্রায় ১৫ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ন বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে। ভ্যান মোটরসাইকেল আরোহী ও কৃষি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ভোগান্তি বেড়েছে। পন্য নিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে শহরে প্রবেশ করতে হয়। স্থানীয় জনসাধারন তাদের যোগাযোগের অসুবিধার কথা ভেবে বাঁধ অপসারণে বাধা দেয়। সে সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতৃপক্ষ সেখানে দ্রুত সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাঁধ কেটে নদী অবমুক্ত করেন। আড়াই বছরেও নদীতে সেতু নির্মাণ হয়নি। জনগনের ভোগান্তি কমাতে এলাকাবাসী চাঁদা হাড়ি দিয়ে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন।