চাটমোহর প্রতিনিধি: জীবন বিপন্ন করেও চাটমোহরে নিজের কিডনি দিয়ে ছেলের প্রাণ বাঁচালেন পিতা মোশারফ হোসেন।মোশারফ হোসেন চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের খৈরাশ গ্রামের একজন স্কুল শিক্ষক। তার ছেলে আল ইমরান পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র।
২০১৫ সালে দশম ব্যাচে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়। কলেজে ভর্তির সাত মাস পর দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে যায় ইমরানের। মোশারফ হোসেন ছেলেকে চিকিৎসা করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। ছেলের প্রতি বাবার ভালোবাসায় জীবনের মায়া ত্যাগ করে নিজের একটি কিডনি ছেলেকে দান করলেন। পরে চিকিৎসকরা ঢাকার মিরপুর কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতালে বাবার শরীর থেকে ছেলের শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন করেন।এখন বাবা ও ছেলে উভয়েই সুস্থ আছেন। আল ইমরানের ভাই আল কায়েস বলেন, এমন বাবা পেয়ে তার সন্তান হতে পেরে আমরা গর্বিত।