আশরাফুল ইসলাম রনি: “রক্ষক যখন ভক্ষক” আর তাজা গাছকে মরা বা পচা বানানোই যার কাজ- তিনি হলেন চলনবিলস্থ তাড়াশ উপজেলার বন বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ফরেষ্টার (বন পাহারাদার) মোসলেম উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে লাগানো সামাজিক বনায়নের গাছ কাটানো ও বিক্রী করে দিয়ে নিজের আখের গোছানোর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে লাগানো গাছগুলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা ও বনখেকোরা তাকে ম্যানেজ করে রাতের আধারে আবার কখনো প্রকাশ্য গাছ কেটে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাকে জানানোর পরেও কোন প্রতিকার নেই। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নওগাঁ ইউনিয়নের শাকুয়া দিঘি গ্রামে নওগাঁ- মহিষলূটি আঞ্চলিক সড়কে প্রায় ২০ বছর পুর্বে লাগানো বিশাল আকৃতির একটি ইউক্যালিপটাস গাছ কাটে ওই গ্রামের জাফর প্রামানিকের ছেলে কামরুজ্জামান।
কামরুজ্জামান জানান, আমার ঘরের সামনে বিশাল আকৃতির ইউক্যালিপটাস গাছটি কাটার জন্য উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর আবেদন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা নিবার্হী অফিসার বন বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ফরেষ্টার (বন পাহারাদার) মোসলেম উদ্দিনকে তদন্তপুর্বক সমস্যাটা কি জানানোর জন্য বলেন। কিন্তু তিনি জলজ্যান্ত তাজা গাছকে মরা, পচা ও বিপদজনক বলে ইউএনওকে প্রতিবেদন দেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ. মোসলেম উদ্দিনকে ম্যানেজ করে পুরো উপজেলা জুরে এমনভাবে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিচ্ছে বনদস্যুরা । তাড়াশ উপজেলা বন বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ফরেষ্টার (বন পাহারাদার) মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, ছোট-খাটো এরকম দুএকটা কাজ না করলে চলবো কি করে ? লেখালেখি করে কি হবে। উপরের সবাই জানেন।