ঢাকা: মিশরে সিসি সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে চলতি সপ্তাহে ২৬ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং দু’জন ছিলেন নিষিদ্ধঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা। এই প্রথমবারের মত মিশরের সামরিক আদালত সিসি সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে ঘোষণা দিল।
২০১৩ সালে মিশরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ সিসি নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটির মুসলিম ব্রাদারহুড ও সিসি বিরোধীদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে দেশটির সরকার।
দৈনিক ‘আলআরাবি আজজাদিদ নামে একটি দৈনিক ও মেসর আলআন টেলিভিশন জানিয়েছে, অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করা হয়েছে কোনো শুনানি ছাড়াই এবং বিচারকদের অনুপস্থিতিতে।
আদালতের রায়ে অভিযুক্তরা ‘সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছিল’ এবং তারা গোপন সামরিক তথ্য ফাঁস করে ও মুসলিম ব্রাদারহুডে যোগ দিয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হয়নি এবং এখনও এই রায় চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে একজন হলেন মিশরের সামরিক পরিষদের সদস্য ও সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান বিষয়ক কমিটির প্রধান তাওহিদ তাওফিকের ভাই। তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখার অন্যতম নেতা হিলমি আলজাজায়ির ও দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সদস্য মুহাম্মাদ আবদুর রহমানকে তাদের অনুপস্থিতিতেই ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সিসি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের খবর দেরিতে প্রচারিত হওয়ায় দেশটিতে সংবাদ প্রচারের ওপর কঠোর সেন্সরশিপ বজায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।