সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ঈগলের আতঙ্কে নৌকার প্রার্থী

Spread the love
মো: আনোয়ার হোসেন সাগর, চলনবিল প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জ-৩(রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ মূহুর্তে প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে।আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভাজন হয়ে অনেক নেতাকর্মী নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছে। অনেকে বলছেন স্থায়ীভাবে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন। আওয়ামী লীগের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগলের মধ্য হবে নির্বাচনের মূল লড়াই এই আসনটিতে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারে বাধা ও হামলা করায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতি সহানুভূতি ও জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, হ্যাভিওয়েট সংসদ সদস্য নৌকার প্রার্থীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটের লড়াই ক্রমেই মারাত্মক হয়ে উঠছে। যাদের আমরা জনপ্রিয় নেতা হিসেবে দেখছি তারা কিন্তু দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ অতিক্রম করে এই অবস্থানে এসেছেন।এ কারণে জনগণের সাথে তাদের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।এই আসন পেতে নৌকার প্রার্থী অধ্যাপক ডাক্তার আব্দুল আজিজ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় হন তার নির্বাচনী এলাকার রাস্তাঘাট ব্রিজ, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সহ নানামুখী উন্নয়ন কাজ করেছেন। নৌকার সমর্থকরা অনেকেই বলছেন নৌকার প্রার্থী আব্দুল আজিজ একজন শান্ত, ভদ্র ও একজন শিশু বিশেষজ্ঞ সুনামধন্য ডাক্তার।
তিনি নির্বাচনী এলাকায় আসলে অনেক রোগীর ভিড় জমে তার গ্রামের বাড়িতে। আগত রোগীদের দেখভাল করে তিনি বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। নৌকার সমর্থনরা আরও জানান, ডাক্তার আব্দুল আজিজ দীর্ঘ ৫ বছর যাবত এমপি দায়িত্ব পালন করছেন, কারো উপকার করতে না পারলেও তিনি কারো ক্ষতি করেননি। এই সুনাম তার নির্বাচনী এলাকা জুড়ে রয়েছে। এছাড়াও তিনি ক্ষমতাসীন দলের নৌকার প্রার্থী কাজেই জয়ের মালা তো তিনি পাবেন।
অন্যদিকে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকগণ জানান, সাখাওয়াত হোসেন সুইট একজন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং একজন তুখোড় রাজনীতিবিদ। ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে তার হাতে খড়ি। বর্তমানে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এই আসনটিতে ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে লড়ছেন। তিনি বরেন্দ্র বহুমুখীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পরিচালনা বোর্ডের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। আর এই দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি তার নির্বাচনী এলাকা (রায়গঞ্জ- তাড়াশ) আসনটিতে নানামুখী দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন। এতে উপকৃত হয়েছেন সমস্যায় জর্জরিত ক্ষতিগ্রস্ত নানা পেশার সাধারণ মানুষ। ঈগলের সমর্থকরা আরো জানান, চলমান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে প্রায় ১ ডজন নৌকার মনোনয়ন পেতে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অনুযায়ী আবারো ডাক্তার আব্দুল আজিজকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়। একই আসনে বারবার একই ব্যক্তিকে নৌকার মনোনয়ন প্রদান করায় মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত অনেক নেতারা ভিতরে ভিতরে ঈগলের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে আসছেন। অনেক নেতা প্রকাশ্যে নির্বাচনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঈগল প্রতীকের ভোট দেওয়ার কথা বলছেন। এছাড়া ঈগল সমর্থকগণ আরো জানান, ভোটের সমীকরণে রায়গঞ্জের চেয়ে তাড়াশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। রায়গঞ্জে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০১ জন অথচ তাড়াশে ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৬ জন। তাড়াশের চেয়ে রায়গঞ্জে ভোটার সংখ্যা অনেক বেশি, কাজেই আঞ্চলিক ভোটের সমীকরণে রায়গঞ্জ অনেক এগিয়ে রয়েছে। এই আসনটিতে স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের মোট ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এদের মধ্যে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হক উজ্জ্বল তিনি ট্রাক প্রতিক নিয়ে এলাকায় ট্রাক নিয়ে মিছিল করে চলেছেন। এছাড়াও রয়েছেন জাতীয় পার্টির জাকির হোসেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছেন।এছাড়াও জাতীয়তাবাদী (বি এন এম) এর প্রার্থী আইনজীবী গোলাম মোস্তফা মন্টু নোঙ্গর মার্কা নিয়ে এলাকায় প্রচার প্রচারণা করছেন।

নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী উত্তাপ ততই বেড়ে চলছে। এছাড়া ভোট আসলে গ্রামাঞ্চলে একটি প্রবাদ ছড়িয়ে পড়ে। সেই প্রবাদটি হচ্ছে শিলের গইড়, কিলের গইড় আর ভোটের গইড়। নির্বাচনের গইড় যেদিকে গড়াবে তিনি হবেন এই আসনের এমপি। শেষ হাসি তিনি হাসবেন তিনি পড়বেন বিজয়ের মালা।’

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD