মোঃ আনোয়ার হোসেন সাগর: বৈশাখের শুরুতেই মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে চলায় যমুনাপাড়ের শহর সিরাজগঞ্জের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই ভ্যাপসা গরম পড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের প্রখরতা। এতে পুরো জেলায় তীব্র উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।
ফলে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, মাটিকাটা শ্রমিক, তাঁত শ্রমিক, রিকশা শ্রমিকদের গরমে হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে। একটু কাজ করার পরই হাঁপিয়ে পড়ছেন তারা।
কথা হয় সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার ফুটপাতের ক্ষুদ্র ফল, সবজি ও কাপড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তারা বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। দোকানে আসছে না ক্রেতারা। ঠিকমতো বেচাকেনাও হচ্ছে না। তার ওপর প্রচণ্ড সূর্যের উত্তাপে ফুটপাতে বসে থাকাও যাচ্ছে না। বৈশাখের শুরু থেকেই যে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করাই দায়। একদিন বেচাকেনা না করতে পারলে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।
রিকশাচালক আলামিন , আকব্বর ও সোলেমান বলেন, গরমে শহরে মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। তাই ভাড়াও ঠিকমতো হচ্ছে না। নির্মাণ শ্রমিক নজরুল ও দুলাল বলেন, এই গরমে বালু বা ইটের বোঝা মাথায় নিয়ে কাজ করা অনেক কষ্টকর। তাই শ্রমিকরা বিশ্রাম নিয়ে কাজ করছে। এর ফলে কাজের অগ্রগতিও হচ্ছে না
তাড়াশ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলনবিল অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। এ অবস্থা আরও সপ্তাহখানেক চলতে পারে।