তাড়াশে মাদ্রাসার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রোকনপুর দালিখ মাদ্রাসায় নিরাপত্তাপ্রহরী, আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কোথায় রয়েছেন আপনি তা জানেন কিনা জবাবে তিনি বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমার সাথে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে রয়েছেন।

অথচ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনি কোথায় ছিলেন? জবাবে তিনি বলেন, আমি নিয়োগ বোর্ডে ছিলাম। গত (৩ মে) শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে রোকনপুর দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।

এদিকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পরীক্ষা ফেলে পরিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা দ্রুত সটকে পড়েন ও তাৎক্ষণিক মাদ্রাসা বন্ধ করে ফেলেন।

জানা গেছে, রোকনপুর দালিখ মাদ্রাসার নিরাপত্তাপ্রহরী, আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগের জন্য একটি পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে তা গোপন রাখা হয়। পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়টিও চাকরির বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় নাই।

তাছাড়া এই নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালাতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যার মামলা নং ৪০/২৪। বিশেষ করে মাদ্রাসার সভাপতি আলামিন কাওছারের সহোদর ছোট ভাই আল মাহমুদ নিয়োগ পরীক্ষার পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে চাকরির পরীক্ষায় অংশ নেন। যা নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগের আগেই নির্দিষ্ট তিনজন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে বেশ কয়েক লাখ টাকা নিয়েছে নিয়োগ কমিটি।

তালম ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার আবুল কালাম নামের একজন ভ্যানচালক বাবা তার ছেলে রাব্বির নিরাপত্তাপ্রহরী পদে চাকরির জন্য রোকনপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আলামিন কাওছার ও ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট বিএম আব্দুল মান্নানকে ৫টি গরু বিক্রি করে চার লাখ টাকা দিয়েছেন।

আবুল কালামের স্ত্রী ও রাব্বির মা সাজেদা খাতুনের কথায় বেড়িয়ে আসে চাকরি দেওয়ার আগেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সব তথ্য। তিনি আরও বলেন, ১০ লাখের বেশি টাকা চেয়েছেন আমার ছেলের চাকরির জন্য। একটু জমি আছে, বিক্রি করে দেবো।

অপরদিকে রোকনপুর দালিখ মাদ্রাসার সভাপতি আলামিন কাওছার বলেন, নিয়োগ পরিক্ষা হয়ে গেছে। কেউ আটকাতে পারবেনা।

রোকনপুর দালিখ মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট বিএম আব্দুল মান্নান বলেন, সকল বিধিমালা মেনেই নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, আমি নিয়োগ বোর্ডে ছিলাম।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমার সাথে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে অংশ নেয়। তিনি নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন না।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD