তাপদাহ : বোরোর আবাদ নিয়ে চিন্তিত উল্লাপাড়ার কৃষক 

Spread the love
ডাঃ আমজাদ হোসেন : দেশের অন্যান্য এলাকার মতো সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়াতে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। প্রচণ্ড গরমে অনেক এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। ফলে বোরো ধান আবাদে অগভীর সেচ মেশিনগুলোয় পানি উঠছে কম। এতে সেচে সময় লাগছে বেশি। এতে বাড়ছে সেচ খরচ। কৃষক রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার মোট ৩০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। প্রায় সব মাঠেই ধানের ছড়া বেরিয়েছে। 
কিন্তু চলমান তাপদাহে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কারণ হিসেবে তারা জানান, একে সেচ মেশিন দিয়ে পানি উঠছে কম। এতে দীর্ঘ সময় মেশিন চালাতে হয় বলে সেচের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে কড়া রোদের কারণে জমিতে পানি দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে। নাগরৌহা গ্রামের কৃষক আ. করিম, শফিউদ্দিন সরকার, জাফর মিয়া, আ. কাদের মিয়া এমন তথ্য জানান। 
অন্যদিকে আঙ্গারুর কৃষক আবু সাঈদ, আলম হোসেন, ছোট বাখুয়ার জয়নাল মিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার আরো কয়েকজন কৃষক বলেন, বোরো আবাদে জমিতে ধানগাছের গোড়ায় পানি থাকতে হয়। তবেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা নিশ্চিত করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। জমিতে ঠিকমতো সেচ দিতে না পারলে ফলন কম হতে পারে। এছাড়া তাপদাহ অব্যাহত থাকলে ছড়ার ফুল শুকিয়ে যেতে কিংবা ধানে চিটা হতে পারে।
এসব বিষয়ে উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন জানান, সব মাঠেই বোরো ধান ভালো আছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৫ হেক্টর বেশি জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, বোরো ধানের পুরোপুরি থোড় ও ফুল বের হওয়া জমিতে পানি জমিয়ে রাখাটাই নিয়ম। বর্তমানে সব মাঠেই বোরোর ক্ষেতের মাটিতে রস আছে। এরপরও চাহিদা অনুসারে সেচ মেশিনগুলো চালিয়ে জমিতে পানি সরবরাহ ঠিক রাখাটা জরুরি
Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD