সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা সংখ্যা ১২, ২০২৩

Spread the love

নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের দেহ এবং তোমাদের আকৃতি দেখেন না বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন। (সহীহ মুসলিম)

গাজায় শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি 

ডেস্ক রিপোর্ট : ইসরায়েল-হামাস উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওইদিন বিকেল ৪টায় বন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। খবর আল-জাজিরার
কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি জানান, প্রথম দিনে জিম্মিদের মধ্যে ১৩ জন নারী ও শিশুকে ছাড়া হবে। প্রতিদিন আলাদা আলাদা করে রেড ক্রসের মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্ত করা হবে। কোথায় এবং কতজন বন্দি মুক্ত করা হবে- তা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর।তিনি আরও বলেন, ‘৪ দিনের মধ্যে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার যে চুক্তি হয়েছে সেটি অনুযায়ী প্রতিদিন নতুন করে আরও বেসামরিক জিম্মিকে যুক্ত করা হবে।’আল আনসারি বলেছেন, ‘গতকাল দিনব্যাপী যে আলোচনা হয়েছে সেটি আজ সকাল পর্যন্ত চলমান ছিল। এতে যুক্ত ছিল মিসর এবং যুদ্ধের অন্যান্য পক্ষগুলো। আলোচনা ভালোভাবে হয়েছে এবং আলোচনার পরিবেশ ইতিবাচক ছিল।’কাতারের মুখপাত্র বলেন, ‘আলোচনার ফলাফল অবশ্যই ছিল যুদ্ধবিরতির চুক্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। আমরা সবসময় বলেছি এমন কিছু প্রয়োজনীয় যেটি বাস্তবসম্মত এবং জিম্মিদের মুক্তির ক্ষেত্রে একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবে।’জিম্মিরা কীভাবে গাজা থেকে বের হবে জিজ্ঞাসা করা হলে মাজেদ আল-আনসারি বলেন, নিরাপত্তার কারণে এ বিষয়টি তারা খোলাসা করতে পারবেন না। সূত্র: সমকাল।

ভিআইপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৯ দলের নেতাদের সাক্ষাৎ 

ডেস্ক রিপোর্ট :গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তারা এ সাক্ষাৎ করেন।সাক্ষাতে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো হল- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, আশেকানে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য তারা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তারা। পরে প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি ক্যালিওগ্রাফি উপহার দেন।সূত্র: ইত্তেফাক।

আ.লীগের রাজশাহী-রংপুর আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত

ডেস্ক রিপোর্ট : রংপুরের ৩৩টি ও রাজশাহীর ৩৯টি আসনের মনোনয়ন এরই মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃতে মনোনয়ন বোর্ডের প্রথমদিনের সভা শেষে আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন কাদের।তিনি বলেন, আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় ফের মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
কাদের বলেন, এবার রাজনীতির বাইরে আজকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। জনগণের কাছে যাদের জনপ্রিয়তা আছে, গুরুত্ব আছে তাঁদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান কাদের। সূত্র : জনকণ্ঠ।

আবারো অবরোধের ঘোষণা বিএনপির 

ডেস্ক রিপোর্ট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে একতরফা ঘোষণা ও একদফা দাবিতে আবারো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এটি বিএনপির সপ্তম দফার অবরোধ কর্মসূচি। এবারো দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) বিরতি দেয়া হয়েছে।গত সোমবার বিকেলে ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সপ্তম দফার অবরোধের কর্মসূচি রোববার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে বলে জানান তিনি।গত ১৫ নভেম্বর রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি ঘোষণা করেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির ৭ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ এই তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী সমমনা জোটগুলো।গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা হওয়ার পর থেকেই বিএনপি ইতোমধ্যে দুই দফায় তিন দিনের হরতাল এবং ষষ্ঠ দফায় ১৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। একইসাথে জামায়াতে ইসলামীও এই কর্মসূচি পালন করে আসছে। সূত্র: নয়াদিগন্ত

হুদা কমিশনের পথেই হাঁটছে আউয়াল কমিশন 

ডেস্ক রিপোর্ট :বিতর্কিত নূরুল হুদা কমিশনের পথেই হাঁটছে আউয়াল কমিশন। হুদা কমিশনের ডিজাইনে কিছু সংযোজন, বিয়োজন করে এগুচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে তার কিছু আলামতও প্রদর্শন করা হয়েছে। সরকার গত ছয় মাস ধরে মাঠপর্যায়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে যেভাবে সাজিয়েছিল তা বহাল রাখা হবে বলে ইতিমধ্যে একজন কমিশনার ঘোষণা দিয়েছেন। অর্থাৎ পুনরায় ক্ষমতায় আসতে মরিয়া যে রাজনৈতিক দল তার সরকারের সাজানো প্রশাসন দিয়েই নির্বাচন আয়োজন করবে ইসি। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে যে কোনো ধরনের কারচুপি যেন জনসম্মুখে প্রকাশিত না হয় সেজন্য ফেসবুকসহ ইন্টারনেট বন্ধের ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার মোবাইল ফোনও নিয়ে যেতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভিতর থেকে সবুজ সিগন্যাল না আসা পর্যন্ত গণমাধ্যম এবং পর্যবেক্ষকদের কাউকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হবে না।
এক সপ্তাহ আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার আগে খোদ নির্বাচন কমিশনই জানিয়েছিল, নির্বাচনের কাঙ্খিত যে পরিবেশ তা এখনো সৃষ্টি হয়নি। তফসিল ঘোষণার পরও নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ইসিকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং জনগণের মধ্যে যে হতাশা এবং অনিশ্চয়তা রয়েছে তা দূর করতে ইসি কোনো ভূমিকা নেয়নি। খোদ সরকারের সহযাত্রী সংসদের একমাত্র বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এখনো বলছে, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসেনি। ১৪ দলের শরিক দলগুলো ছাড়া নিবন্ধিত প্রায় সকল দলই একই ধরনের অভিমত ব্যক্ত করেছে। সূত্র: মানবজমিন।

নির্বাচনের ফলাফল আগে
থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে’- মঈন খান 

ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশের মানুষ এখন এই উপলব্ধিতে রয়েছে যে, বাংলাদেশে বর্তমানে ‘ইলেকশন ইলেকশন খেলা’র ফলাফল আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। কাজেই খামোখা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ‘টাইম আর এনারজি’ নষ্ট করে কি লাভ?
তিনি আরও বলেন, এমতাবস্থায় সরকার নির্বাচনের যে তামাশা মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করছে তার আড়ালে তাদের বাংলাদেশে গণতন্ত্র অনুশীলনের ভন্ডামি এখন দেশে বিদেশে সবার কাছেই উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে। জনগণের এই আন্দোলন অব্যাহত রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আদর্শকে আবার আমরা সমুচ্চ করে বিশ্বে এদেশের আত্মসম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।বিএনপির চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতা নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, চলমান আন্দোলন হচ্ছে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মানুষের প্রাণের আন্দোলন। অন্যদিকে রয়েছে সকল প্রকার রাইফেল, বুলেট, টিয়ার গ্যাস, গ্রেনেড নিয়ে সরকারের মারমুখী প্রশাসন, যাকে আবার সহায়তা দিচ্ছে সরকারী দলের সন্ত্রাসী বাহিনী। এই সত্যের আলোকেই আজকের বিরোধী দলের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলনকে বিশ্লষণ করতে হবে। এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আজকের আন্দোলনের প্রকৃত স্বরূপ উদ্ভাসিত হবে। কাজেই আমরা পূর্ণ ধৈর্য বজায় রেখে আমাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে ক্রমান্বয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, যে নৈতিক শক্তির কাছে এই একদলীয় সরকার যথাসময়ে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হবে। এটা ইতিহাসের প্রমাণিত সত্য।সূত্র: যুগান্তর।
সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়নপত্র কিনলেন ১৩ নেতা
স্টার্ফ রির্পোটার : সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গা আংশিক) আসনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। তারা হলেন- বর্তমান এমপি ডা. মো. আব্দুল আজিজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও পওযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম মানিক, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শিল্পপতি লুৎফর রহমান দিলু, প্রয়াত সাবেক এমপি ইসহাক হোসেন তালুকদারের ছেলে রায়গঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন, রায়গঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আব্দুল হাদি আলমাজি জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হৃদয়, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হালিম খান দুলাল, তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার, রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম খন্দকার ও তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হোসনে আরা পারভীন লাভলী।

পিআইবি প্রশিক্ষণ পেলেন তাড়াশের সাংবাদিকগণ 
লুৎফর রহমান ও আরিফুল ইসলাম : সিরাজগঞ্জ জেলার ২৬ জন সাংবাদিকের অংশগ্রহণে ঢাকায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) কর্তৃক ৩ দিন ব্যাপী মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে তাড়াশের চারজন সাংবাদিক যথাক্রমে : হাদিউল হৃদয় (দৈনিক কাল বেলা), লুৎফর রহমান(দৈনিক নয়াদিগন্ত), সোহেল রারা সোহাগ(দৈনিক মানবকণ্ঠ/আনন্দ টিভি) এবং আরিফুল ইসলাম (দৈনিক জবাবদিহি)।
গত ২১-২৩ নভেম্বর ঢাকায় পিআইবির সেমিনার কক্ষে শুধু সিরাজগঞ্জ জেলার সাংবাদিকদের জন্য অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সে পিআইবির কর্মরত প্রশিক্ষকগণ মোবাইল সাংবাদিকতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। ২৩ নভেম্বর শেষ দিন সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণের সাংবাদিকদের সনদ প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক মো: শফিকুল করিম সাবু এবং সাংবাদিক ও সাহিত্যিক ইসহাক খান।
বক্তব্যে মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, যোগাযোগের দক্ষতা প্রতিবেদকের অন্যতম যোগ্যতা। যেটা অর্জন করা কষ্টসাধ্য বিষয়। কারণ নিয়মিত তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমেই যোগাযোগ অক্ষুন্ন থাকে। তাই একজন প্রতিবেদকের অন্যতম কাজ হলো তার নিজের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করা। তিনি আরো বলেন, আগের দিনে সংবাদের জন্য টেলিফোন ও ফ্যাক্সের উপর নির্ভর করতে হতো। বর্তমানে সেটা নেই। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে মোবাইলসহ অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে সহজে কাজ করতে পারছে সংবাদকর্মী। জাফর ওয়াজেদ সামনের নির্বাচনকালীন সময়ে মোবাইল সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সংবিধান ও নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে পিআইবি’র পরিচালক (অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ ,চলতি দায়িত্ব) শেখ মজলিশ ফুয়াদ উপস্থিত ছিলেন। পিআইবি’র সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুনের পরিচালনায় প্রশিক্ষণে সিরাজগঞ্জের মোট ২৬ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

 

রাস্তার উপর কাঁচা বাজার
তাড়াশ পৌর বাজারে ভোগান্তি 

জাকির আকন :দীর্ঘদিন যাবৎ তাড়াশ পৌরসভার রাস্তার উপর কাঁচা বাজার বসানোর ফলে স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রী সহ শহরের এই রাস্তায় চলাচলকারী শতশত জনসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়রের কাছে সচেতন নাগরিক সমাজ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডিগ্রি কলেজ এর গেট থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড় পর্যন্ত রাস্তায় পলিথিন টানিয়ে কাঁচা বাজার বসানো হয়েছে। ফলে ডিগ্রি কলেজ, মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতশত ছাত্রছাত্রীদের এ রাস্তায় যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু রাস্তায় কাঁচা বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা. ভ্যান গাড়ি ও পথচারীদের ভীড়ে ছাত্র ছাত্রীদের নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। সরকারি আটচালা শেডগুলো অবৈধ দখলমুক্ত না করায় এভাবেই বছরের পর বছর রাস্তায় কাঁচা বাজার বসানো হয়। সকালে অস্থায়ী ঈদগাহ মাঠে বসানো কাঁচা বাজারে ব্যবসায়ী, ক্রেতাদের রোদ বৃষ্টিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে । সচেতন নাগরিক জোট এর পক্ষে তাড়াশের প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজু জানান, পৌর শহরের কাঁচা বাজার দেখে বোঝা যায় পৌর শহরের নাগরিকদের সুবিধা কেমন। একটি পৌর বাজারের ক্ষেত্রে এটা বেমানান। তাছাড়া পরিকল্পিত নাগরিক সুবিধা দিতে হলে সেই ধরনের সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক জানান, নতুন দায়িত্ব নিয়ে পৌরসভার নিজস্ব আয়ের উৎস হতে রাস্তার ও মাটি ভরাটের কাজ চলছে। সামনে বরাদ্দ পাওয়ার পরে পৌর মার্কেটসহ পৌর শেড তৈরি করা হবে।

তাড়াশের প্রবীণ সাংবাদিক
আকছেদ আলী আর নেই 

মোঃ আনোয়ার হোসেন সাগর, চলনবিল প্রতিনিধিঃসিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক আকছেদ আলী মাস্টার আর নেই। গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ২ ঘটিকার দিকে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের চাকরৌহালী গ্রামে তার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি ভোরের কাগজ, দৈনিক সানসাইন, দৈনিক প্রথম সূর্যোদয, সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা সহ বিভিন্ন পত্রিকায় পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি ভাঙ্গুড়ার অষ্টমনিশা বাজারে সপরিবার বসবাস করে আসছিলেন।তিনি একই সাথে শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা করেছেন। এলাকাবাসী জানান, বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ সাংবাদিক আকছেদ আলী মাস্টার দীর্ঘদিন বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।মৃত্যুকালে তিনি দুই স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকার বাড়িতে ছুটে যান দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা। স্বজনদের সান্তনা দিতে যান শহরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। একই দিবাগত রাত ৮ ঘটিকার সময় নওগাঁ ইউনিয়নের দেবীপুর ঈদগাহ মাঠে তার জানাজার নামাজ শেষে তাকে দেবীপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে চলনবিল বার্তার সম্পাদক সহ তাড়াশের সাংবাদিকগণ শোক প্রকাশ করে মরহুমের বিদেহী আত্মর শান্তি কামনা করেন।

উল্লাপাড়ায় ট্রে তে চারা উৎপাদন
ডাঃ আমজাদ হোসেন, উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃসিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে গ্রোথ মিডিয়া ব্যবহার করে ট্রে তে ভুট্রা ফসলের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক ট্রে তে চারা উৎপাদন করা হয়েছে। ভুট্রা ফসলের এ চারায় প্রদর্শনী প্লট করা হবে। কম সময়ে ভুট্রা ফসল সংগ্রহে (হার্ভেষ্ট) ট্রে তে বীজ উৎপাদনে ও আবাদের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয় জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় মাঠে ভুট্রা ফসলের আবাদ করা হয়ে থাকে। এর আবাদকারী কৃষক সংখা ও জমির পরিমাণ ফি বছর বাড়ছে। ভুট্রা ফসলের আবাদ শুরুর সময় হয়ে এসেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্রা ফসলের ৫০ শতকের প্রদর্শনী প্লট এর মধ্যে ১০ শতক জমিতে ট্রে তে উৎপাদিত চারা লাগানো আর বাকী ৪০ শতকে প্রচলিত পদ্ধতিতে বীজ বোনা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সূমী জানান, তার বিভাগ থেকে বেশ কিছু সংখ্যক ট্রে তে উৎপাদিত বীজ ভুট্রার গাছগুলো সঠিক পুষ্ঠভাবে বেড়ে উঠেছে। এসব ট্রে তে বীজ উৎপাদনে জাত হিসেবে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ভুট্রা ব্যবহার করা হয়েছে। এ চারা জমিতে লাগানো ও সঠিক পরিচর্যায় বেশী হারে ভুট্রা ফসলের ফলন মিলবে।

রায়গঞ্জে সেলাইমেশিন পেলেন আদিবাসী নারীরা

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ দরিদ্র, অসহায় ও দুস্থ আদিবাসী অসহায় নারী ও কিশোরীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের উদযোগে শতভাগ জন্ম নিবন্ধন পরিবারে মাঝে সামাজিক বেষ্টনী হিসাবে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, দেশ সেরা ও জেলা সেরা ইউপি চেয়ারম্যান রাইসুল হাসান সুমন, ইউপি সচিব রোজিন পলাশ, সকল ইউপচি সদস্য, গ্রাম পুলিশের সদস্যরা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন শতভাগ পরিবারের মাঝে জন্ম সনদ তৈরি করে প্রায় ৩শতাধিক পরিবার। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে লটারির মাধ্যমে ৭ জন দরিদ্র, অসহায় ও দুস্থ, আদিবাসি নারী ও কিশোরীর মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের বিনামূল্যে সেলাই মেশিন পেয়ে সন্তোষ খুশি দরিদ্র অসহায়,আদিবাসী নারীরা। এ বিষয়ে উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাইসুল হাসান সুমন বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কারযক্রম সফলভাবে শতভাগ বাস্তাবায়নের মাধ্যমে সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের দারিদ্র্যতা ঘুচিয়ে সাবলম্বী করতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

রায়গঞ্জ-তাড়াশ সংসদীয় এলাকা
মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগে প্রতিযোগিতা
তৃণমূল শক্তিশালী করতে ব্যস্ত বিএনপি 
দীপক কুমার কর ও গোলাম মোস্তফা
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের রাজনৈতিক মাঠ। দিন যত ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ততই জোরালো করছে তাদের তৎপরতা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় বেশ সক্রীয় হয়ে উঠেছেন। তারা সভা-সমাবেশ করে সরকারের টানা তিনবারের উন্নয়নের চিত্রসহ আওয়ামী লীগের সাফল্যের কথা তুলে ধরছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি, গত প্রায় ১৫ বছরে এই নির্বাচনী এলাকার সার্বিক চিত্র পাল্টে গেছে। উন্নয়নের ছোঁয়ায় এলাকার রাস্তা-ঘাট ও মানুষের জীবনমান বদলে গেছে। তাই আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত।
অন্যদিকে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবিতে জনমত তৈরিতে কাজ করছে বিএনপি। পাশাপাশি কর্মীদের সক্রীয় করতে নেতৃবৃন্দ রাতদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন। জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্যে কোনো সভা-সমাবেশ করতে না পারলেও নীরবে কাজ করে যাচ্ছে। বড় দুইদলে একাধিক নতুন মুখের উপস্থিতিও পরিলক্ষিত হচ্ছে।এই আসন রায়গঞ্জ উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং তাড়াশ উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এআসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৭১ জন। স্থানীয় নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ আসনে ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের নির্বাচনে পর পর তিনবারই বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে পর পর আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে রয়েছে মনোনয়ন নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে বিজয় ধারা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। বিএনপি আসনটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া। বিএনপি নির্বাচনে এলে আগামী নির্বাচনে আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে হতে পারে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই।
এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের অধ্যাপক ডা: আবদুল আজিজ। তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত ইসহাক হোসেন তালুকদারের ছেলে রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক স¤পাদক এ টি এম লুৎফর রহমান দিলু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আইটি বিষয়ক আহবায়ক ড. হোসেন মনসুর, রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাদী আলমাজি জিন্নাহ, সাবেক সাধারণ স¤পাদক শরিফুল আলম শরিফ, সাধারণ স¤পাদক আবুল কালাম আজাদ হৃদয়, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক সঞ্জিত কর্মকার, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) নজরুল হাসান মানিক, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন মিলনের মেয়ে তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হোসনে আরা লাভলী ও তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন চারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ আব্দুল মান্নান তালুকদার। ওরিয়েন্টাল গ্রæপ অব কো¤পানির পরিচালক ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রকিবুল করিম খান পাপ্পু, রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি আয়নুল হক, তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর, জার্মানি বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক ও ইউরোপীয় জিয়া সাইবার ফোর্স এর সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাব্বির আহমেদ।
সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা আলহাজ¦ আবদুল মান্নান তালুকদার বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। চারবার নির্বাচিত হয়ে জনকল্যাণে যে উন্নয়ন কাজ করেছি, তার সাক্ষী এ আসনের জনগণ। আমি মনোনয়ন পেলে এলাকাবাসী আমাকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করবে।বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ডা: আব্দুল আজিজ দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দলকে সুসংগঠিত করেছি। নির্বাচনে এলাকার উন্নয়নে যে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলাম, তার সবগুলোই বাস্তবায়ন করেছি। আগামীতে চলনবিলকে একটি পর্যটন এলাকা হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও হাতে রয়েছে। আমি আবারও মনোনয়ন পেলে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেটা আছে সেটা হলো নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা। তবে সেটা দলীয় স্বার্থে কোনো আঘাত হানবে না। দলের সভাপতি যাকে মনোনয়ন দেবেন তাকে বিজয়ী করতে আমরা সবাই তার জন্য এক যোগে কাজ করবো।উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অধ্যাপক মোঃ জাকির হেসেন তালুকদার বলেন, জাতীয় পার্টির সার্বিক অবস্থা বেশ সুসংগঠিত। জাতীয়পার্টি নির্বাচনে গেলে তিনি দল থেকে মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।অন্যদিকে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না আপাতত: এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। দিন যত ঘনিয়ে আসছে আন্দোলনের মাত্রাও তত বাড়ছে।

ভিআইঅতিথি পাখির আগমনে মুখরিত চলনবিলের করতোয়া নদী 
মোঃ আনোয়ার হোসেন সাগর
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের শাহ শরীফ জিন্দানি (রহ.) পুণ্যভূমি নওগাঁর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীটি পরিযায়ী বা অতিথি পাখির কলতানে এখন মুখর হয়ে উঠেছে। শীত প্রধান দেশ থেকে নিরাপদ মনে করে পাখিরা প্রতিবছর এ নদীতে এসে আশ্রয় নেয়। শীতের মৌসুমে করতোয়া নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আর ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে নদী অঞ্চল। প্রতিদিন সকাল-বিকেলে পাখির জলকেলির দৃশ্য দেখার জন্য নদীপাড়ে ভিড় কওে বহু মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, করতোয়া নদীতে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ভেসে বেড়াচ্ছে। নীলশির, লালশির, কালোহাঁস, বালিহাঁস, লেঞ্জাহাঁস, খুদে গাঙচিল, বক ও পানকৌড়ি পাখিগুলো দলে দলে পানিতে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে। আহারের বিরতি দিয়ে পানকৌড়ি বসছে গাছের ডালে। দিনভর নদীতে খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে সাদা বক, ধূসর বক ও মাছরাঙা। মাঝে মধ্যে গাঙচিল নদীতে মাছ ধরার জন্য ছোঁ দিলে ঝাঁক বেঁধে উড়ে উঠছে পরিযায়ী পাখির দল। সব মিলিয়ে করতোয়া নদী এখন পাখিদের কলতানে মুখর।
জানা গেছে, করতোয়া নদীর বিস্তৃতি একসময় অনেক বড় ছিল। কালের বিবর্তনে এর দুই পারে বসতি গড়ে ওঠায় নদীটি সরু হয়ে গেছে। অপর দিকে পাশ দিয়ে মহাসড়ক, সড়ক ও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে নদীটি আরও সংকুচিত হয়েও পড়েছে দিন দিন। এ প্রেক্ষাপটে জীববৈচিত্র ইতিমধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে। পাখি হারাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়। কমছে অতিথি পাখির আনাগোনা। তারপরও প্রতিবছর শীত মৌসুমে এ নদীতে আসছে অতিথি পাখিসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখি।
তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মর্জিনা ইসলাম বলেন, পৃথিবীতে ১০ হাজারের বেশি প্রজাতির পাখি আছে। এদের মধ্যে প্রায় দুই হাজার প্রজাতি পরিযায়ী বা অতিথি পাখি। এরা নিজ দেশের তীব্র শীত থেকে বাঁচতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আসা-যাওয়া করে। সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়া, হিমালয় থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি নভেম্বর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে আমাদের দেশে আসে। শীত মৌসুম শেষ হলে আবার তারা পাড়ি জমায় নিজ নিজ দেশে। অতিথি পাখি শুধু প্রকৃতির শোভা বর্ধনশীল পাখিই নয় এটি পাখি প্রেমীদের মনের তৃষ্ণা মেটানোর এক অপরাপর মাধ্যম। এগুলো আমাদের দেশের সৌন্দর্য আর জীব বৈচিত্রের শোভাবর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফুল ও শস্যেও ক্ষেতে পোকা মাকড় এবং ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনে এরা। পোকামাকড় খেয়ে খেয়ে যেমন তাদের ক্ষুধা নিবারণ হয় ঠিক তেমনই আমাদের ক্ষেত খামারের জন্যও তা বেশ উপকার। অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে এসে যেমন জলজ উদ্ভিদ খেয়ে ফেলে ঠিক তেমনি এতে আমাদের জলজ পরিবেশেরও ভারসাম্য রক্ষা হয়।
তিনি আরো বলেন, অতিথি পাখির মল জলাশয়ে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে শীতে এই দেশের জলাশয়গুলো অতিথি পাখিদের আবাসস্থল হিসেবে বিবেচিত হলেও দিন দিন অতিথি পাখিদের আত্মীয়তা গ্রহণের চাহিদা কমে যাচ্ছে যার ফলে পর্যায়ক্রমে প্রতি শীতে অতিথি পাখিদের আগমনও কমে যাচ্ছে। এর মুখ্য কারণ পাখি শিকার। জলাশয় অঞ্চলের কিছু অসাধু মানুষ শীতে একটা পরিকল্পনা নিয়ে থাকে যে এবার শীতে তাকে গত বছরের চেয়ে বেশি পাখি শিকার করতে হবে। এই অসাধু মানুষগুলো নির্বিচারে অতিথি পাখি শিকার করে বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে। এরা জাল কিংবা সুতার ফাঁদ পেতে কিংবা ছররা গুলি দিয়ে পাখিদের নির্মমভাবে শিকার এবং হত্যা করে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুসারে অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি করার প্রতি এক নীতিমালায় দন্ডনীয় অপরাধ বলে উল্লেখ রয়েছে। তারপরও দেশের এই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অতিথি পাখি শিকারের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে মানব নামের হিংসুটে পাখি শিকারী প্রাণীরা। শুধু শিকারীর অত্যাচার হলে কিছুটা নিস্তার পেত তাদের হ্রাস পাওয়া থেকে।
আরো বেশ কিছু কারণে অতিথি পাখিরা সংখ্যায় কমে যাচ্ছে। অতিথি পাখিদের আহারের বিচরণ ভূমি (নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়-বাঁওড়, বন-জঙ্গল) কমে যাচ্ছে। বন জঙ্গল উজাড় করে ফসলি জমি কিংবা বসত বাড়ি করায় পাখিরা অতিষ্ঠ হচ্ছে তাদের নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেতে। অপর দিকে কৃষক ফসলের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত পাওয়ার লক্ষ্যে ফসলী জমিতে কৃত্রিম সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করছে। যার কারণে অতিথি পাখিরা বিষে আক্রান্ত কীট পতঙ্গ খেয়ে মারা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আবহাওয়ার ভিত্তিতে শীতকালে ইট ভাটা চালু করায় এর মাত্রাতিরিক্ত শব্দ এবং বায়ু দূষণের ফলে অসংখ্য অতিথি পাখি এ দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে, এই সবুজের সমারহে ঘেরা সোনালী বাংলাদেশের জলবায়ুর ন্যায় অন্য এক দেশে। অথচ আমরা আজ বুঝি না এই অতিথি পাখির প্রতি কৃতজ্ঞতা। আসলে আমাদের দেশে সোনালী আভাস মাখা ফসল যখন ঘরে উঠে ঠিক তখনই দেশের রূপ ঐশ্বর্য পূর্ণ রাখতে অতিথি পাখি এসে হাজির হয়। কারণ শীতের সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক অতিথি পাখি।
লেখক : তরুণ সাংবাদিক ও চলনবিল প্রতিনিধি, সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা। মোবাইল: ০১৩০৪-৯৪৭১৮৭

মুসলিমরা ঘুরে দাঁড়াও স্বধর্মীয় সংস্কৃতির দিকে
বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শুকুর মাহমুদ
হে মুসলিম সন্তানেরা স্বধর্মীয় সংস্কৃতি ছেড়ে অন্যের রূপে রূপান্তর হতে চেষ্টা করিও না, ঘুরে দাঁড়াও স্বধর্মীয় সংস্কৃতির দিকে। যুগে যুগে পৃথিবীতে যত ধর্ম নাজিল হয়েছে, প্রত্যেক ধর্মেরই আপন সত্তা (চবৎংড়হধষরঃু) আছে। যারা মুসলিম ধর্মের আদব ও আদর্শ মেনে চলতে পেরেছে তারা সফল হয়েছে। আর যারা ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মের অনুকরণ-অনুসরণ করেছে তারা বিপথগামী হয়েছে। পূর্বে যে সকল ধর্ম এসেছে মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে অবতরণকৃত ধর্মগুলো নিয়ে এসেছেন নবী ও রাসূলগণ। তখনকার সময়ে কেউ কেউ নবীর বাণী ও আদর্শ মেনে নিয়েছে, তারা পথের সন্ধান পেয়েছেন। আর যারা মেনে নেয়নি বা মানতে পারেনি তারা হয়েছে বিপথগামী। পরবর্তীকালে ওই সকল নবীদের অবর্তমানে বিশ্বাসীদের মাঝে অবিশ্বাসীরা ঢুকে পরে ধর্মের মধ্যে এনেছে অধর্ম, তখনই ধর্ম হয়েছে কলুষিত, পবিত্র ধর্ম হয়েছে অপবিত্র।
অতপর আল্লাহ আরেকজন নবীর মাধ্যমে দিয়েছেন সংশোধিত আরেকটি ধর্ম। এভাবে পর্যায়ক্রমে সর্বশেষ পয়গম্বর হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর মাধ্যমে নাজিল করলেন অপরিবর্তনশীল ধর্ম পবিত্র ইসলাম। আল্লাহ তাঁর কালামুল্লাহ শরিফে ঘোষণা করলেন, তোমরা পূর্বের নাজিলকৃত ধর্ম বাদ দিয়ে শেষ নবীর ধর্মে একত্ত¡ ঘোষণা কর।
তৌহিদের বাণী শুনে যারা ঈমান এনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তারা কামিয়াব হয়েছেন। আজ তাদেরই সন্তানদের কাছে ইসলামের আইন আকিদা ভালো লাগছে না, ইসলামের কাজ, ইসলামী আদব, স্বধর্মীয় পোষাক পরিবেশ তাদের ভালো লাগে না। মুসলিম পরিবেশের ছেলে-মেয়েরা পরিবর্তন হচ্ছে বিপথগামীদের অনুগামী হয়ে। তারা পশ্চিমা বিশ্বের ইহুদি খ্রিষ্টানদের কৃষ্টি কালচার লুফে নিচ্ছে। অবিশ্বাসীদের পোষাক নকল করছে, মুসলিম ছেলেরা দাড়ি কামিয়ে নিজের শরীর থেকে মুসলিম পরিচয় মুছে দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
অবিশ্বাসীদের পোষাক প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জি পরতে পছন্দ করছে, শর্ট গেঞ্জি আর জিন্স প্যান্ট পরছে, যে প্যান্ট নাভী ও কোমর পর্যন্ত উঠে না। ওই প্যান্ট পরে নামায তো দুরের কথা একটু হামু দিলে গেঞ্জি উঠে আসে পিঠের দিকে প্যান্ট মেনে যায় নিতম্বের নি¤œভাগে, পিছনের নিষিদ্ধ অঙ্গ আর নাভীর নিচের লোম প্রদর্শিত হয়, পুরুষদের পায়ের গোড়ালির নিচে কাপড় পরা হারাম অথচ পায়ের গোড়ালি তো দুরের কথা পায়ের তালু ঢেকে কাপড় পরছে মুসলিম ছেলেরা। অনেক ছেলেরা গলায় স্বর্ণেও চেন ও হাতে সোনার বালা পড়ে মজা করছে।
অন্যদিকে মুসলিম নারীরাও প্রতিযোগীতা করছে পশ্চিমা বিশ্বের সংস্কৃতি আকড়ে ধরতে। এলোক্যাশি পথ চলা অলংকার পড়ার অঙ্গ সমূহ বাহিরে প্রদর্শন না করলে পরিবেশে বেমানান। ঢোলা আর খাটো পাজামা এবং পুরুষের শার্ট-প্যান্ট ও কমপ্লিট ড্রেস পড়তে আজকে নারীদেরও দেখা যায়। একটু হিসেব মিলাও কবর কারও জন্য বেশি দুরে নেই, হুশিয়ার হও। এখনো সময় আছে, ঘুরে দাড়াও স্বধর্মীয় সংস্কৃতির দিকে।

নাটোর-৪ আসন আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটি
আবুল আকালাম আজাদ : নাটোর-৪ আসন বরাবরই আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত। নাটোর-৪ সংসদীয় আসনটি গুরুদাসপুর এবং বড়াইগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত। নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে প্রথম,পঞ্চম, সপ্তম, নবম দশম , একাদশ এবং আকাদশ উপ নির্বাচনে ( বিনা প্রতিদ্বিন্দতিায়) আওয়ামী লীগ এবং ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীরা বিজয়ী হন। ১১ বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬ বার আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হন। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে দাবী করা হয় , ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভোটে আওয়ামী লীগের আব্দুল কুদ্দুস বিজয়ী হলেও জেনারেল এরশাদের সামরিক সরকার ভটের ফলাফল পালটে দিয়ে জাতীয় পার্টির আবুল কাশেম সরকারকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এশারত শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় নৌকার মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস পরাজিত হন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রফিক উদ্দিন সরকার নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৭৯ সালে বিএনপির এড; দলঅমোহাম্মদ বিজয়ী হন। তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির আবুল কাশেম সরকার বিজয়ী হন। চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির আবুল কাশেম সরকার বিজয়ী হন।
পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বিজয়ী হন ; ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১০ হাজার ৪ শত ৬৯ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩ শত ৫১ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৪ হাজার ৮ শত ৬০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন বিএনপির মোজাম্মেল হক। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৪৭ হাজার ৬ শত ৫০ ভোট।
ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন: বিএনপির অধ্যক্ষ একরামুল আলম বিজয়ী হন; ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির শাসনামলে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ¦দ্বীতা করেন। এতে বিএনপির অধ্যক্ষ একরামুল আলম বিজয়ী হন। তিনি পান ৩৯ হাজার ২ শত ৭০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিন্দদ্বী ছিলেন পঞ্চম জাতীয় সংসদ বিএনপি প্রার্থী মোজাম্মেল হক। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বদ্বীতা করে পান মাত্র ৫ হাজার ১ শত ৩৫ ভোট। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন বর্জন করে। এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত¡াবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
সপ্তম সংসদ নির্বাচন:আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বিজয়ী হন; ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১১ হাজার ৮ শত ১৯ জন। ভোট পওদান করেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ২ শত ৮৫ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬৭ হাজার ১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী ছিলেন বিএনপির মোজাম্মেল হক । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬১ হাজার ৩ শত ৭৮ ভোট।
অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির মোজাম্মেল হক বিজয়ী হন; ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪ শত ২৮ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৩২ হাজার ৪ শত ১৫ জন। নির্বাচনে বিএনপির মোজাম্মেল হক বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১১ হাজার ৬ শত ২৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৭৯ হাজার ৪ শত ৫০ ভোট।
নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস নির্বাচিত বিজয়ী হন ; ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৫ শত ৮৬ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৮২ হাজার ২ শত ৮০ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৬০ হাজার ৫ শত ৪৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী ছিলেন বিএনপির মোজাম্মেল হক হক। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১৫ হাজার ৪ শত ৯ ভোট। দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বিজয়ী হন; ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

হেলথ প্রমোশন বিষয়ক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের 
বাংলাদেশে হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিসের মত অসংক্রামক রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী এসব অসংক্রামক রোগ। হেলথ প্রমোশন কার্যক্রমের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা গেলে একদিকে যেমন জনগণের মধ্যে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা এবং চিকিৎসা নির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে চিকিৎসায় সরকার ও ব্যক্তির ব্যয় কমে আসবে। হেলথ প্রমোশন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং করণীয় সম্পর্কে তুলে ধরতে গত ২১ নভেম্বও ২০২৩ প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান), বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব হেলথ সায়েন্স, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাবিø¬উবিবি) ট্রাস্টসহ সতেরটি সংগঠন সম্মিলিতভাবে ‘হেলথ প্রমোশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল কনফারেন্সের আয়োজন করে। কনফারেন্সে নীতিনির্ধারক, জনস্বাস্থ্যবিদ, ডাক্তার, আইনজীবি, শিক্ষকসহ বিভিন্ন জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।
কনফারেন্সে আলোচকবৃন্দ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে জানান, হেলথ প্রমোশন বা স্বাস্থ্য উন্নয়ন বলতে এমন একটি প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয় যার দ্বারা মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যের নির্ধারকসমূহের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এবং নিজ স্বাস্থ্যের উন্নতি লাভের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। সাধারণভাবে, তামাকপণ্যের ব্যবহার, কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের অভাব, অ্যালকোহল গ্রহণ, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের অভাব এবং বায়ু দূষণ প্রভৃতিকে অসংক্রামক রোগের মূল ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে এসব স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রায় সম্পূর্ণভাবে এড়ানো বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলেই অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুকে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি সমন্বিত কর্মপন্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়নই হেলথ প্রমোশন। ইতোমধ্যে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশ হেলথ প্রমোশন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তবে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন’ এবং ‘রোগ প্রতিরোধ’ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে কোন সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বাংলাদেশে এখনও শুরু হয়নি। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগ সংক্রান্ত মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। হেলথ প্রমোশন বিষয়ে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ এসডিজিসহ সরকারের অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করবে। কনফারেন্সে হেলথ প্রমোশন সহ দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে পাঁচ দফার একটি সম্মিলিত ঘোষণা প্রদান করা হয়। সূত্র: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

আজ্ঞাবহ
আবদুর রাজ্জাক রাজু
আজ্ঞাবহ এ প্রশাসন
সবকিছু দলীয়করণ
দল-সরকার পৃথক নয়
মিলেমিশেই করে নয়ছয়।
আজ্ঞাবহ এই পুলিশ
ঘুষ খাওয়া শুধু ভুলিস
এরা হলো দলের দাস
রাজনীতিরই চামচা খাস।
আজ্ঞাবহ যত আদালত
অনুগত সব বিচারক
ন্যায় বিচার কোথায় পাই
নিরপেক্ষ বিচার নাই।
গণতন্ত্র ঝিমায় কতো
কর্তৃত্ববাদ চলছে যতো
এত বিবাদ বিভাজন
কী হবে আর নির্বাচন।
ইসিটাও আজ্ঞাবহ
তার নিদর্শন অহরহ
বলছে সবাই শুনে কে
সরকারেরই ইচ্ছাতে।
উন্নয়নের বেশি স্বাদ
গণতন্ত্র-সুশাসন বাদ
দেশ যদি এগিয়ে যায়
তাতেই বড় মজা পায়।
হরতাল আর অবরোধে
তৃপ্তি মেটায় প্রতিশোধে
জনগণের কী যে দশা
রাজনীতির ওই ডেঙ্গু মশা।
ছাড়বে না কেউ ক্ষমতা
কী নেশা আর মমতা
দেশ-জনতা ধ্বংসে যাক
তবু সিংহাসনটা অটুট থাক।

তাড়াশের কবিগণে

আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার

তাড়াশের কবিগনে মাঝে মধ্যেই হুজুগ তুলে
কবিতা পাঠের আসর বসায় কোথাও বা কজন মিলে।
পাবলিক লাইব্রেরী হলরুমে অনেক সময় ভেনু হয়
যেহেতু কবি আসেন সংখ্যায় খুব বেশী নয়।
নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর লোক কম
জগতে চোখে পড়ে আজকাল হরদম।
কখনও বা আসর বসে প্রেসক্লাব চত্বরে
মাইক বেঁধে আবৃত্তি করে ওরা বেশ জোরেসোরে।
সাধারণ জনতা কবিতা তেমন শোনে না
নাছোড় বান্দা কবিদের মন তা মানে না।
জনগনকে ছড়া পদ্য শুনিয়েই ছাড়বে
এতে নাকি ইমেজ তাদের খানিকটা বাড়বে।
সেই জন্য মাইক লাগায় বাজারের প্রবেশ মুখে
উচ্চরবে চেঁচায় সবে গলা ফাটিয়ে মনের সুখে।
কবিদের মাঝে আছে নানান রকম দলাদলি
একারণে ঘটে যায় কিঞ্চিৎ ঠেলাঠেলি।
কেউ কেউ সংগঠন গড়ে নেতা হতে চায়
আগ্রহে ভাটা পড়লে তা মুখ থুবড়ে যায়।
যদিও অন্য গ্রæপ আরেকটা ক্লাব গড়ে
পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আনে কোনো এক নেতা ধরে।
পিকনিক করেন তিনি চলনবিলে গিয়ে
কবি – সাহিত্যিকসহ বউ, পোলা নিয়ে।
লাভ হয়না তেমন কোনো কবিতার আসর করে
কয়দিন পরে নেতাজী মানে মানে কেটে পড়ে।
ভগ্নহৃদয় কবি সায়েবরা এর পরেও আসর বসায়
পেটের তাগিদে নয় নিতান্তই সখের নেশায়।
আসর চালাতে গেলে লাগে কিছু টাকা
আত্ম ভোলা কবিদের পকেট থাকে ফাঁকা।
দশ – বিশ টাকা তাই নিজেরাই চাঁদা দেয়
সেই ফান্ডে কবিগনে মিটিং শেষে চা খায়।

 নির্বাচনে আসেন- কার কত দৌড় দেখি: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দলটি নির্বাচনে আসুক, কার কত দৌড়, তা দেখা যাক। জনগণ কাকে চায়, তা যাচাই করা যাক। গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা নির্বাচনে আসবে না। নির্বাচনে আসার মতো তাদের আস্থা-বিশ্বাস নেই। একটা দলের মাথা কোথায়? বিএনপি কি বাংলাদেশে একজন নেতাও পেল না, যাকে তারা দলের চেয়ারম্যান করতে পারে? বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দল যখন আছে, আর কিছু না হোক, নির্বাচনের নমিনেশন বিক্রি করা, এটাও তো একটা ব্যবসা তাদের (বিএনপি)। এর আগে সে ব্যবসাই তারা করেছে। হয়তো সে ব্যবসা করতে পারে। সে জন্য দলটি নির্বাচনে আসুক, তিনি সেই আহ্বান জানান।বিএনপিকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনে আসেন, কার কত দৌড় আমরা সেটা দেখি। জনগণ কাকে চায়, সেটা আমরা যাচাই করে দেখি।’সূত্র ঃ প্রথম আলো

 নির্বাচন কমিশন এখন দাঁত ছাড়া বাঘ: মুজিবুল হক 

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘দাঁত ছাড়া বাঘ’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক (চুন্নু)। তিনি বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের কথা না শুনলে কী হবে, তা আইনে বলা নেই। কথা না শুনলে তড়িৎ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান না থাকায় নির্বাচন কমিশন এখন দাঁত ছাড়া বাঘ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুজিবুল হক এসব কথা বলেন।
গত বুধবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসনে বড় রদবদল করতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। নির্বাচনের আগে যৌক্তিক কারণ ছাড়া নির্বাচন কমিশন (ইসি) মাঠ প্রশাসনে রদবদলের উদ্যোগ নেবে না। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুজিবুল হক বলেন, ‘আইন অনুযায়ী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের কথা শুনতে বাধ্য৷ কিন্তু কথা না শুনলে কী হবে? সেটা আইনে উল্লেখ নাই। বলা আছে, নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পাঠাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’

ভিআই গুরুদাসপুরের বিউটি পেল মাথা গোঁজার ঠাঁই 
গুরুদাসপুর প্রতিনিধি : স্বপ্ন পূরণ হলো বিউটি খাতুনের (২৮)। অভাবের সংসার তার। স্বামী আজিজুল হক দিন মজুরের কাম করেন। উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে যেখানে সংসার চালানো দায়, সেখানে ভাঙ্গা চালা ভাঙ্গা বেড়া মেরামত করা দুরহ।
বিউটিকে নতুন একটি ঘর উপহার দিয়েছেন চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম সাগর। বিউটি নাজিরপুর ইউনিয়নের জুমাইনগর মোল্লাবাজার এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুরে বিউটির হাতে নতুন ঘরে চাবি তুলে দেন গুরুদাসপুর পৌর সদরের হাজেরা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ইসলাম। নতুন ঘর পেয়ে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেছে বিউটির পরিবার। এসময় ইচ্ছে পূরণ টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিউটি বলেন, বাঁশের বেড়ার ভাঙ্গা ছাপড়া ঘরে স্বামী নিয়ে বসবাস করতেন। বৃষ্টি এলে টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়তো। স্বামী দিনমজুরী করে যা আয় করেন, তা দিয়ে তিন ছেলে মেয়র লেখাপড়ার খচর এবং সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়তো। একারণে ভাঙ্গা ঘরটি ঠিক করাতে পারেননি তারা। তবে চিকিৎসক আমিরুল ইসলামের দেওয়া দুইকক্ষের উপহারের নতুন ঘর পেয়ে তারা মাথাগোঁজার নিরাপদ ঠাঁই পেলেন।
চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম সাগর বলেন, ‘ইচ্ছে পূরণ টিমে’র মাধ্যমে বিউটিকে তিনি নতুন একটি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। এটি তাদের ‘ইচ্ছে পূরণ টিমে’র চতুর্থতম উপহার। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই ইচ্ছে পূরণ টিমের কাজ। এভাবেই তারা আমৃত্যু অসহায়-দুস্থ্যদের পাশে থাকতে চান।

খুদ-কুঁড়ার লোভে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে: রিজভী 

ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যখন দেশের মানুষ মাফিয়া চক্রের শৃঙ্খলে বন্দী, তখন আত্মা বিক্রি করছে কিছু লোক। তাঁরা সামান্য খুদ-কুঁড়ার লোভে বিবেক–বিবেচনাহীনভাবে তামাশার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। গত বুধবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি বিএনপির বেশ কিছু নেতা নতুন নতুন গড়ে ওঠা দলে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনে থাকা কল্যাণ পার্টিও যুক্তফ্রন্ট নামে জোট গঠন করে আজ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী সরাসরি কোনো দল বা ব্যক্তি নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, ‘এসব রদ্দি মার্কা বেইমান দলছুটরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। কিন্তু এসব রং বদলানো পরজীবী রাজনীতিবিদেরা জনগণের সংকেত বার্তা টের পাচ্ছেন না।’ এদেরকে তিনি নব্য রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করেন।
রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার তথাকথিত কিংস পার্টি, ভুঁইফোড় পার্টি, ড্রিংস পার্টি, ছিন্নমূল পার্টি তৈরি করে তামাশার নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরকার তার এজেন্সিগুলোকে মাঠে নামিয়েছে তথাকথিত কিংস পার্টি গঠনের জন্য। বিভিন্ন দল থেকে নেতা কিনতে গরুর হাটের মতো দরদাম চলছে। আওয়ামী সরকারের কিংস পার্টিতে যোগ দিতে বহু নেতাকে চাপ-প্রলোভন-ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি আরও বলেন, টোপ দিয়ে কাউকে কাউকে ভাগানো হচ্ছে। আবার কেউ কেউ জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে না গিয়ে বিরোধী দলের লেবাসে ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে তথাকথিত এসব কিংস পার্টি, ভুঁইফোড়, ছিন্নমূল পার্টি হালুয়া-রুটির ভাগপ্রাপ্তির আশায় গণভবন-বঙ্গভবনে ছোটাছুটি করছেন।সূত্র ঃ:প্রথম আলো

 ইসির প্রয়োজন ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা 

ডেস্ক রিপোর্ট : আসন্ন জাতীয় নির্বাচন করতে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে, যা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাব অনুযায়ী, নির্বাচন পরিচালনায় ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ব্যয় হবে ৬০০ কোটি টাকা।ব্যাপকভাবে জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের দামের বেড়ে যাওয়ায় ব্যয়ের এই ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সম্প্রতি বলেন, ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্ভাব্য বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছে। তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছে এবং কতজন সদস্য মোতায়েন করা হবে তা উল্লেখ করেছে।এর আগে পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও কোস্টগার্ড নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রায় ১ হাজার ৭০ কোটি টাকা দাবি করেছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হার অনুযায়ী বেতন দেওয়া হবে।

চাটমোহর থেকে এমপি প্রার্থী মনোনয়নে ভোটারদের দাবি

চাটমোহর প্রতিনিধি : আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন ও জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহৎ উপজেলা চাটমোহর থেকে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের দাবি জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষ। তাদের অভিমত, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা মিলে যে ভোটার তার চেয়ে চাটমোহর উপজেলায় ভোটার ও জনসংখ্যা বেশি। বারবার চাটমোহর উপজেলা থেকে প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ায় বৃহৎ এ উপজেলায় কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকারের যে উন্নয়ন গতি,তা থেকে পিছিয়ে আছে এ উপজেলা।
উপজেলার বিলচলন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যন আবুল কালাম আজাদ চাটমোহর উপজেলা থেকে প্রার্থী মনোনয়নের দাবি জানিয়ে বলেন, বৃহৎ এ উপজেলা থেকে অনেকেই মনোনয়ন চেয়েছেন। আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার চাটমোহরবাসীকে নিরাশ করবেন না।
একই দাবি করেছেন চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মোজাম্মের হক, শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, সাংবাদিক আঃ লতিফ রঞ্জু, কৃষক মামুনুর রশিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। চাটমোহর উপজেলা থেকে এবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নজরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ও চাটমোহর পৌরসভার মেয়র এ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন সাখো, চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ হামিদ মাস্টার, মেজর জেনারেল (অব.) ড.ফসিউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, ইউ জাবিন সমাজী, নুরজাহান বেগম মুক্তি, শাহিদুর রহমান শাহেদ ও রবিউল করিম।

ভাঙ্গুড়ায় মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন 
ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান রানার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে পৌরসভার বকুল তলা মোড়ে তার পরিবারের উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহেদী হাসান রানা দৈনিক আলোকিত সকালের ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রতিনিধি বলে জানা যায়। গত ১০ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে সাব্বির হোসেন নামের ফরিদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বর্তমানে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন।
মানববন্ধনে মেহেদী হাসান রানার ছোট ভাই রাফিন সরকার অভিযোগ করে বলেন,স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাব্বির হোসেন মূলত একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার ভাই মেহেদী হাসান রানা একজন ক্রাইম রিপোর্টার। তার ভাইয়ের নামে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। মানববন্ধনে মেহেদী হাসান রানার মাসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

নাটোর-৪ আসনে ১৭ জন দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন
আবুল কালাম আজাদ : নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রয়াত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি ও ছেলে আশিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। শোভন জেলা আওয়মী লীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক এবং কোহেলী কুদ্দুস জেলা আওয়মী লীগের সদস্য ও যুব-মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি।
গত রোববার (১৯ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নাটোর-৪ আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তারা। এখন পর্যন্ত এ আসনে গুরুদাসপুর এবং বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে ১৭ প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করার খবর পাওয়া গেছে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি:পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সোহেল রানাকে (৩০) জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গত বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে পাবনা আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।এর আগে গত মঙ্গলবার(২১ নভেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় ভাঙ্গুড়া থানা-পুলিশ।ছাত্রদল নেতা সোহেল রানার বাড়ি উপজেলার পাটুলীপাড়া গ্রামে।তিনি ওই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। এদিকে ছাত্রদল নেতা সোহেল রানাকে সাজানো ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভাঙ্গুড়া পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ রাসেল রানা পিন্টু।তিনি অবিলম্বে সোহেল রানার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম জানান,নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত বুধবার সকালে তাকে পাবনা আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 গুরুদাসপুরে জামায়াতÑবিএনপি’র ৪ জন গ্রেপ্তার 

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: কাভার্ডভ্যানে আগুন দেওয়ার মামলায় জামায়াত-বিএনপি’র চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মহাসড়কে একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই মামলাতেই গুরুদাসপুর উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল আলীম, বিয়াঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মো. জুলহাস, চাপিলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সানজেদুর রহমান শুভ ও মশিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাশকতার দুটি মামলায় উপজেলায় এপর্যন্ত অন্তত ১৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, নাশকতা মামলায় আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নাশকতা রোধে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

 সিংড়ার মাদ্রাসার পরিক্ষা অনুষ্ঠিত 
সিংড়া প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়ায় চকসিংড়া দারুল উলুম মাদ্রাসার পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ২য় সাময়িক পরিক্ষা শেষ হয়ে ১০ দিনের ছুটি হয়।জানা যায়, সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও অত্র মাদ্রাসার সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম শফিকের প্রচেষ্টায় মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১ম ব্যাচে ৩৫জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। ১ম ও ২য় শ্রেণীতে বিভক্ত হয়ে তারা পড়াশোনা করছে।
মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মো. জহুরুল ইসলাম ও শিক্ষক মাওলানা মামুনুর রশিদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠানটি পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছে। একইসাথে পড়াশোনার মানোন্নয়নে কাজ করছেন তারা।

 নন্দীগ্রামে গাড়িতে আগুন : আটজন আটক 

আরাফাত হোসেন,নন্দীগ্রাম : বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিএনপি-জামায়াতের ৪৮ ঘন্টার হরতাল চলাকালে চলন্ত ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা (ককটেল) বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতভর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৮জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। গত সোমবার দুপুরে তাদেরকে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়।
আটককৃতরা- নন্দীগ্রাম দক্ষিণপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে পৌর বিএনপির সহ সভাপতি আজিজুল হক রুবেল (৪৫), কচুগাড়ি এলাকার মৃত ময়েজ মিয়ার ছেলে পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক মজনু মিয়া (৫৫), ওমরপুরের মোশাররফ হোসেনের ছেলে হাবিবুল্লাহ (৩৬), রণবাঘার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জাকির হোসেন (৩১), একই এলাকার এনামুল হকের ছেলে সেলিম (৩৭), আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুল আউয়াল (২৪), রণবাঘা কৈগাড়ীর মৃত ছবির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৭) এবং হাটলাল গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে একরামুল হক আপেল (৩০)। এর আগে রোববার রাতে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের উপজেলার ইউসুবপুর-তেঘরী এলাকায় ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে অজ্ঞাত ৭০-৮০জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন ট্রাকচালক দিনাজপুর সদরের কাশিমপুর শিয়ালডাঙ্গার আফছার আলীর ছেলে ফয়সাল আলম।

 মৃত ব্যক্তিদেরও সাজা দেওয়া হচ্ছে: রিজভী 

ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেয়ার পর এখন গায়েবি সাজা দেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে মৃত ব্যক্তি, গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও সাজা দেওয়া হচ্ছে। এতে আবারও প্রমাণিত হলো বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা চক্রান্তমূলক এবং অবৈধ সরকারের নির্দেশেই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গায়েবি মামলা ও গায়েবি সাজা দিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। অবৈধ ক্ষমতাকে আর এক্সটেনশন করা যাবে না। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন দমানো যাবে না। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না। সূত্র: সমকাল।

সিংড়ায় সুস্বাদু খেজুরের রস 
সিংড়া প্রতিনিধিঃ ক্যালেন্ডারের পাতায় অগ্রহায়ন মাসের আগমন। এরই মধ্যে নাটোরের সিংড়ায় গ্রামাঞ্চলে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। রাতে ঠান্ডা-হিমেল বায়ু আর সকালের শিশির ভেজা ঘাস-পাতা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে গাছিদের খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি। পাশাপাশি চলছে খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরির কর্মযজ্ঞ। বাংলার গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতীক মধু বৃক্ষ খেজুর গাছ পরিচর্যা-পরিষ্কারসহ রস সংগ্রহের উপযোগী করতে প্রতিদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পাওয়া যাবে মিষ্টি মধু সেই কাঙ্খিত খেজুরের রস। যার ঘ্রাণে মৌ মৌ হয়ে উঠবে পুরো এলাকার বাতাস। গ্রামীণ জীবনের প্রাত্যহিক উৎসব শুরু হবে খেজুরের মিষ্টি রসকে ঘিরে। পুরো শীত মৌসুম জুড়ে চলবে সু-স্বাদে ভরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা উৎসব।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা অঞ্চলে সড়ক, জমির আইল, বাড়ির আঙিনায় ছড়িয়ে আছে প্রায় ৬০ হাজার খেজুরের গাছ। এসব গাছ থেকে গুড় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬৫ মেট্রিক টন। খেজুর গাছের রস সংগ্রহের ওপর প্রায় ২ হাজার পরিবার নির্ভরশীল। শীত মৌসুমে ৭৫ দিনে প্রতিটি গাছ থেকে ১৭৪ কেজি রস পাওয়া যায়। আর প্রতিটি গাছের রসে গুড় উৎপাদন হয় ১৭ দশমিক ৪০ কেজি।

ভাঙ্গুড়ায় ডাকাত দলের ছয় সদস্য আটক 
ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সড়কে গাড়ি আটকে ডাকাতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের ৬ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে কয়েকটি ধারালো অস্ত্র ও বড় একটি দড়ি জব্দ করা হয়েছে। সোমবার ভোররাতে টেবুনিয়া-বাঘাবাড়ি সড়কের ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভেড়ামারা এলাকায় ডাকাতিকালে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার বাঘাবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের হাশেম আলী, রাশেদুল ইসলাম, লিটন আহমেদ, আলম হোসেন ও বাবু সরকার এবং পাবনার সাথিয়া উপজেলার সিলন্দা গ্রামের মনিরুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার আইগবাড়ি শক্তিপুর গ্রামের কলা ব্যবসায়ী চন্দন কুমার দাস একটি পিকআপ গাড়ি নিয়ে মেহেরপুর যাচ্ছিলেন। ডাকাতদলের সদস্যরা দু’টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে তাকে অনুসরণ করে। উপজেলার ভেড়ামারা বাজারে পৌঁছালে দু’টি সিএনজি পিকআপের সামনে গিয়ে পথরোধ করে।

 চাটমোহরে অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে
চাটমোহর প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে অসাজিক কার্যকলাপ বেড়ে চলেছে। দেহ ব্যবসাসহ মাদকে জড়িয়ে পড়েছেন কিশোররা। মোবাইল ফোনে জুড়াসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন তরুনরা। অপরদিকে অর্থের বিনিময়ে পতিতা পল্লীতে পরিণত হয়েছে। ইতিপূর্বে চাটমোহর সচেতন মহলের ব্যানারে নিজ বাসা বাড়িতে, ভাড়া বাড়িতে কথিত রমনীদের দেহ ব্যবসার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন। সেখানে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 ড. রফিকুল ইসলাম
সিংড়ায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত
সিংড়া প্রতিনিধি :নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা পর্যায়ে টানা তিনবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন ড. রফিকুল ইসলাম। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৩ উপলক্ষে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কলেজ) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এর আগেও দুইবার উপজেলায় শ্রেষ্ঠ ও ২০২২ সালে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কলেজ) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
ড. মো. রফিকুল ইসলাম সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি ২৯তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের সদস্য হিসেবে ১ আগস্ট ২০১১ সালে বগুড়ার সান্তাহার সরকারি কলেজে যোগদান করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তরুণ বয়সেই এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি নটিংহামে পড়াশোনা করেন ড. রফিকুল ইসলাম। তার জন্ম বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব ইউনিয়নের জানগ্রামে।

 

 

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD