আবুল কালাম আজাদ: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় ভারি বৃষ্টিপাতে কৃষি অধিদপ্তর থেকে বর্ষাকালীন পেঁয়াজের আবাদ ও উতপাদ্ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনামূল্যে দেওয়া প্রনোদনার ৪৩ বিঘা জমির লাগানো ও বীজতলা জলাবদ্ধতার করণে সম্পুর্ন ক্ষতি হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হারুনর রশিদ জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হারুনর রশিদ জানান, ২০২৩- ২০২৪ অর্থ বছরে অসময়ে বর্ষাকালিন পেঁয়াজের আবাদ ও উতপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধীদপ্তরের প্রনোদনা কর্মসুচির আওতায় ১০০ বিঘা জমিতে চাষ করার জন্য ৪ হাজার মন উতপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরে ১০০ জন কৃষককে বিঘাপ্রতি ১ কেজি করে ১০০ কেজি উন্নত জাতের পেঁয়াজের বীজ, সার, পলিথিন,সুতলি , নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় উপকরন বিনামুল্যে দেওয়া হয়। কৃষকরা বিশেষ পদ্ধতিতে বীজতলায় চারা উতপাদন করেছেন। বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে চারা রোপন শুরু করেছেন। । কিন্তু হঠাত করে আশ্বিনের অতিভারি বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতার কারণে ৩৫+ বিঘা জমির লাগানো পেঁয়াজ ও ৮+ বিঘা জমিতে লাগানোর উপযোগী চারার বীজতলা সম্পুর্ন ক্ষতিগ্রস্থ হয়ছে বলে মাঠ জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি জানান, আকস্মিক ভারি বৃষ্ঠিতে ক্ষতি না হলে চলতি মাসেই বর্ষাকালিন পেঁয়াজ বাজারে চলে আসতো। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে পেঁয়াজের দামেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতো।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, কৃষি বিভাগ থেকে প্রনোদনার বর্ষাকালীন পেঁয়াজের বীজ, সার ও উপকরন পেয়ে কৃষি অফিসারদের পরামর্শে বীজতলায় চারা তৈরী করে জমিতে লাগানো শুরু করেছিলাম। বির্তমানে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় আনেক লাভের স্বপ্ন দেখেছিলাম।কিন্তু আশ্বিনের হঠাত ভারি বৃষ্টিতে সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। কৃষকরা আরও জানান, সুষ্ঠুভাবে পেঁয়াজ উতপাদন হলে বিঘাপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ মন করে ফলন পাওয়া যেত। বাজার মুল্য হিসেবে বিঘায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পাওয়া যেত। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন পুনরায় গ্রীস্মকালীন বা শিতকালীন পেয়াজের বীজ ও সার প্রনোদনার আওতায় দিলে আগের উপকরনেই চারা তৈরী করে আবাদ করার সুযোগ দেওয়ার দাবী করছেন ।এ ব্যপারে কৃষী অফিসার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন।