ইসলামী দলিলে বর্ণনা এসেছে, বেশির ভাগ পুরুষ-ই জাহান্নামী হবে নারীর কারনে। ভিন্ন কোন নারীকে পর্দাহীন অবস্থায় দেখলে গুনাহে কবিরা হয়, এটি শুধু পুরুষ নয় নারীও একই অপরাধে অপরাধী। পবিত্র কোরআন মাজিদে ঘোষণা এসেছে নারী-পুরুষ সবার জন্য সমান ভাবে পর্দার হুকুম, পর্দা করা ফরজ। এই ফরজ অমান্যকারী জাহান্নামী হবে। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় কারও নিকট থেকে একটি ফরজ ছুটে যায় অথবা ইচ্ছে করে কেউ একটি ফরজ ছেড়ে দেয় তার ইমান থাকবে না। এর মধ্যে পর্দার হুকুমও অন্তর্ভূক্ত
যদি কোন নারী পর্দাহীন অবস্থায় বাইরে বের হয় অথবা ধর্মীয় নিময়-নীতির পরিপন্থিভাবে চলে, তার জন্য অপরাধী শুধু ঐ নারী-ই নয়, পিতা/বড় ভাই, স্বামীর কপালে দাউস লেখা হবে। দাউসের জন্য জান্নাত হারাম। শুধু তাই নয় বেপর্দায় ভিন্ন নারীকে দেখে যত পুরুষ আকৃষ্ট হবে সকল পুরুষ-ই জাহান্নামী হবে।
বাংলাদেশে প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ-ই মুসলিম অথচ হাট-বাজার, অফিস-আদালত ও শপিংমলে যে পরিবেশে নারীদের দেখা যায়, তাতে ধারণা করা যায় না যে এখানে কোন মুসলিম নারী থাকতে পারে। এই সকল নারীদের কারনে বেশিরভাগ পুরুষ জাহান্নামী হবে।
মানব সভ্যতার বিশেষ অংশ পোষাকের আদব, পৃথিবীতে বিভিন্ন জাত-গোষ্ঠীর, জাতগত ও ধর্মীয় আদব আছে। সে সুত্রে বাঙালি জাতিরও নিজস্ব আদব আছে। বাঙালি জাতির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ। বাঙালিদের আদব কৃষ্টিকালচার রক্ষা করে নিজ নিজ ধর্মের আদব রক্ষা করাই প্রকৃত মানবতা। ধর্মীয় আইন অমান্য করে পরপারে মুক্তির কোন সম্ভবনা নেই।
নারীর স্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর অধিকার নিয়ে সারা বিশ্ব এখন ব্যস্ত, সে সুত্রে বাংলাদেশও অনেক অংশেই এগিয়ে। নারীরা সমাজের উন্নয়নে অংশিদার হবে এটি সকলেরই কামনা, তবে মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য চলাফেরা পোষাক পরিবেশে ধর্মীয় আইনে নির্দেশ রয়েছে তা থেকে অতিক্রম করলেই ধর্মীয় আদব থাকে না। বাংলাদেশের নারী সমাজের বড় একটি অংশ যে ভাবে হাট-বাজার অফিস-আদালত ও শপিংমলে চলছে তাতে ধর্মীয় আদব তো দূরের কথা জাতীয় সামাজিক আদবের কোন পরিচয়ই পাওয়া যায় না।
দেশে নারীদের মধ্যে একটি অংশ অলংকার পরে বিশেষ-বিশেষ অঙ্গ লোকালয়ে প্রদর্শন করতে আবরন মুক্ত করে ঘুরে বেড়ায় তাদের ধারণা আমি দামী অলংকার পরে অলংকৃত হয়েছি তোমরা দেখে তৃপ্তি মেটাও। ওরা আরও
ধারণা করে মাথায় কাপড় দিলে আধুনিকতা থাকে না। যারা মাথায় কাপড় দেয় ওরা সেকেলে ব্যাকডেটেট, গেও ভুত। আমরা আধুনিক যুগের নারী তাই মাথায় কাপড় দেই না। মাথার সুন্দর কেশ বাতাসে উড়ে লোকেরা দেখে, আধুনিক সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলছি।
কিছু নারী শ্রমজীবি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি অফিসে কর্মস্থলে যায়, এদের মধ্যে ধর্মীয় অনুভুতি দেখা যায় না। একই অবস্থায় চলছে অন্যন্য নারীরাও কোন কাজ নেই, অথচ বাইরে ঘোরাফেরা করে সারাদিন রাস্তা-ঘাট, দোকান-পাট, শপিংমলে ঘুরছে। তাদের ধর্মীয় নিয়মে পোষাকের পরিবেশ নেই।
বাংলাদেশ সরকার নারীর অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। তবে নারী পর্দাহীন অবস্থায় চলবে সমাজে আপত্তিকর অবস্থায় চলবে এমন আদেশ সংবিধানে নেই। সমাজের বেশিরভাগ নারীই যে ভাবে চলে তাতে মনে হয় তারা কোন সামাজিক পরিবেশে জন্মগ্রহণ করেনি। এবং কোন মুসলিম পরিবেশও তাদের স্পর্শ করতে পারেনি।
সামাজিক মানুষদের উদ্দ্যেশে বলা হচ্ছে, যে যার ধর্ম পালন করছেন, সেখান থেকেই ধর্মীয় আইনে বিচার করুন আধুনিক সংস্কৃতি- আধুনিক কৃষ্টিকালচারে নিজেকে বদলে নিলে শেষ বিচারের দিনে মুক্তির আশা করতে পারবেন কি? কেউ বিশ্বস করুক বা নাই করুক সকলকেই শেষ বিচারের আদালতে হাজির করা হবে, অবশ্যই জবাব দিহিতা করতে হবে। আসুন আমাদের অসুস্থ্য সমাজকে সুস্থ্যতায় ফিরিয়ে আনতে স্বচেষ্ট হই। তবুও জবাব দিতে পারব আমাদের প্রচেষ্টায় যদি সমাজ ও ধর্মীয় আদব রক্ষা পায় তবুও আমরা মুক্তির আশা করতে পারি।
পরপারে মুক্তির কিছু উপায়: নারী ৪ কাজ করলে সহজেই জান্নাতে যেতে পারবে আর তাদের কারনে কোন পুরুষ জাহান্নামী হবে না। তা হচ্ছে নিজের ইজ্জতের হেফাজতকারী, যথাযথ সালাত আদায়কারী, নিয়মানুযী সিয়াম পালনকারী এবং স্বামীর সেবাকারী এই ৪ কাজ করে নারীরা সহজেই জান্নাত বাসী হতে পারবেন। হে নারীরা দুনিয়ার জগৎ খুব বেশি নয় মরনের পর শুরু হবে অনন্তকালের জীবন। সে জগতের শুরু আছে শেষ নেই, তার জন্য প্রস্তুত হও।