সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা, সংখ্যা ৬, ২০২৩

Spread the love

বিশ্বে খাদ্যের দাম সর্বনিম্ন: এফএও
ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের প্রধান খাদ্যপণ্যগুলোর দাম গত দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। ভারত রপ্তানি বন্ধের পর সম্প্রতি বিশ্ববাজারে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু তা সত্তে¡ও জাতিসংঘের খাদ্য মূল্যসূচক নেমে এসেছে বিগত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে।সংস্থাটির খাদ্য মূল্যসূচক গত আগস্টে ১২১ দশমিক ৪-এ নেমে এসেছে, যা তার আগের মাসে ছিল ১২৪ পয়েন্ট। ২০২১ সালে মার্চের পর এই সূচক এতটা আর কখনোই কমেনি। এর আগে ২০২২ সালের মার্চে খাদ্য মূল্যসূচক সর্বকালের রেকর্ড ছুঁয়েছিল। সেই তুলনায় আগস্টে সার্বিক সূচক ২৪ শতাংশ কমেছে।
জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বে দুগ্ধজাত পণ্য, তেলবীজ, মাংস, দানাজাতীয় খাদ্যপণ্যসহ প্রায় সব ধরনের খাবারের দামই কমেছে। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার শস্যচুক্তি বাতিল হওয়ার পরও গম বা ভুট্টার বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। ব্রাজিলের উদ্বৃত্ত উৎপাদন আর যুক্তরাষ্ট্রে ফসল তোলার সময় ঘনিয়ে আসায় এই দুই খাদ্যের দামই বরং কমেছে। এফএও’র হিসাবমতে, আগস্টে বিশ্বব্যাপী ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। দুগ্ধজাত পণ্যের দামও কমেছে প্রায় চার শতাংশ।
তবে ব্যতিক্রম চাল-চিনির বাজার। ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বিশ্ববাজারে এর দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে চালের দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে। ১ দশমিক ৩ শতাংশ দাম বেড়েছে চিনির। আগের বছরের তুলনায় চিনির মূল্যবৃদ্ধির হার আগস্টে ৩৪ শতাংশে ঠেকেছে। সূত্র : মানবকণ্ঠ।
ইউক্রেনে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে জি-২০
ডেস্ক রিপোর্ট: এই বছরের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে এক ‘আনুষঙ্গিক অনুচ্ছেদে’ ‘রাশিয়া’ শব্দটি উল্লেখযোগ্যভাবে বাদ দেয়া সত্তে¡ও সম্মেলনকে একটি সাফল্য হিসেবে অভিহিত করেছে হোয়াইট হাউজ। তবে অনুচ্ছেদে ‘রাশিয়া’ শব্দটি বিশেষভাবে বাদ দেয়ায় এর তীব্র সমালোচনা করেছে ইউক্রেন সরকার।
বৈঠকের প্রথম দিনে নয়াদিল্লিতে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান বলেন, ‘ভারতের সভাপতিত্বের জন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সম্পর্কে আস্থা ভোটে জি-২০ একত্রিত হতে পারায় এবারের সম্মেলনটি বিশেষ মাইল ফলক অর্জনে সক্ষম হয়েছে।’ বিশ্বের দুই প্রধান নেতা- রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুপস্থিতির কারণেও এবারের শীর্ষ সম্মেলনটি বিশেভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। উভয় দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সালিভান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জি-২০ বিবৃতিতে ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলাফলমূলক অনুচ্ছেদগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আর আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি এই নীতির পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য একটি খুব ভালো কাজ হয়েছে যে- দেশগুলি আঞ্চলিক ভূখন্ড অধিগ্রহণের জন্য তাদের পেশিশক্তি ব্যবহার করতে পারে না।’২৯ পৃষ্ঠার এই বিবৃতিটি বাণিজ্য, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, প্রযুক্তি, কর ব্যবস্থা এবং লিঙ্গ সমতা অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলিকে বিস্তৃত করেছে। এতে ২০টি প্রধান এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির গোষ্ঠীর নেতারা ‘ইউক্রেনে ব্যাপক, ন্যায্য এবং টেকসই শান্তির’ আহ্বান জানিয়েছেন- তবে রাশিয়াকে ‘আগ্রাসী’ হিসেবে অভিহিত করা থেকে বিরত ছিলেন। এছাড়া গ্রুপটি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার সম্পূর্ণ ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেও সম্মত হয়েছে। অন্যদিকে এক ফেইসবুক পোস্টে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেনকো বলেছেন, ইউক্রেন অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে, যারা পাঠ্যটিতে বেশ কিছু শক্তিশালী শব্দাবলী অন্তর্ভুক্ত
সূত্র: নয়া দিগন্ত

সবার জন্য সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করন : প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট: সবার জন্য মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব পরিবারের সমান সদস্য হিসেবে আমাদের অবশ্যই মর্যাদাপূর্ণ জীবন এবং সবার জন্য সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার সংকল্প করতে হবে। গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ভারতের নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মন্ডপম কনভেনশন সেন্টারে জি-২০ লিডারস সামিট ২০২৩-এ এক অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।এই প্রসঙ্গে তিনি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আগামী দিনে একটি উন্নত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে জি-২০ নেতাদের কাছে পাঁচটি সুপারিশ করেছেন।
সুপারিশগুলো হলো : প্রথম- টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়ন জি-২০ সহ সকল বহুপক্ষীয় উদ্যোগের আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকা উচিৎ। দ্বিতীয়- স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য জি-২০ এর উচিৎ শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখা এবং একতরফা ট্যারিফ অগ্রাধিকার এবং ট্রিপস ছাড়ের সম্প্রসারণকে সমর্থন ও সহজতর করা, যাতে নির্বিঘœ ও টেকসই রূপান্তর নিশ্চিত করা যায়। তৃতীয়- কৃষিপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মসৃণ, সময়োপযোগী ও প্রত্যাশিত সরবরাহ নিশ্চিত করতে জি-২০ ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতির বাজার উন্মুক্ত রেখে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারে। চতুর্থ- শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে নারীকে (বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক) সমান মনোযোগ দিতে হবে। পঞ্চম- বিশ্বব্যাপী মানব উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত ও অন্যান্য অংশীজনদের সহায়তায় দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রিদেশীয় সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। সূত্র: নয়া দিগন্ত
মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্প বাতাসে লাশের গন্ধ

ডেস্ক রিপোর্টঃ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মরক্কোয় প্রাণহানি দুই হাজার ছাড়িয়েছে। গুরুতর আহত আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষ। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী। বিগত একশ বছরেও এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেননি দেশটির বাসিন্দারা। মাত্র ২০ সেকেন্ডেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় কয়েকটি শহর। অনেকে ঘুমের মধ্যেই প্রাণ হারান। খবর রয়টার্সের।
এই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে দেশটির আল হাউজ প্রদেশে। বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন হাজার-হাজার মানুষ। এখনো বহু প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি জরুরি বিভাগের সদস্যরা। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলোয়।স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রথম ভূমিকম্পটির ১৯ মিনিট পর আরেকটি ভূকম্পন হয়। রিখটার স্কেলে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। রাতে প্রাণরক্ষায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। শনিবারও শত শত মানুষকে সড়কের পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, মরক্কোর চতুর্থ বৃহত্তম শহর মারাকেচ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আটলাস পর্বতমালায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার।মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মারাকেচ, আল হাউজ, ওয়ারজাজেট, আজিলাল, চিচাউয়া, তারউদান্ত এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ প্রাণহানি ঘটেছে পাহাড়ি এলাকায়, যেখানে দ্রুত পৌঁছানো কঠিন। তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। আশ্রয়ের ব্যবস্থা, খাবারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তার নির্দেশ দেন তিনি। সূত্রঃ যুগান্তর।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন বার্তা

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নতুন বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে তিন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দেশ তাদের আগ্রহ ও মতামত প্রকাশ করছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। দেশটি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নিয়ে বার্তা দিচ্ছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করছে। এবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নতুন করে বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নির্বাচন নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করে নতুন বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুকে দেওয়া সেই বার্তায় বলা হয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রæতিবদ্ধ! ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, সফররত রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যানের প্রতিনিধিরা দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় প্রতিনিধিরা সব রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য সব দলকে সমান অধিকারের ওপর জোর দিয়েছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সফররত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানের প্রতিনিধি রিচ ম্যাককরমিক এবং ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান এড কেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সমগ্র বাংলাদেশের স্বার্থে সুস্থ, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সহযোগিতা এবং প্রতিযোগিতার মনোভাবকে উৎসাহিত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সূত্র : জনকণ্ঠ।

অবশেষে ইউপি সদস্য খোদেজার ভাগ্যে ‘ঘর’

সাব্বির আহম্মেদ ও লুৎফর রহমান, তাড়াশ ঃ সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইউপি সদস্য খোদেজা বেগমের নিজেরই ছিল না বসবাস যোগ্য ঘর। পরিবার পরিজন নিয়ে বাস করতেন ছোট্র একটি কুঁড়ে ঘরে। ইউপি সদস্যের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ১৫০ টাকা মজুরীতে থালা বাসন পরিস্কারের কাজ করতেন তাড়াশ পৌর শহরের শাহ হোটেলে। শনিবার সকালে তাঁকে একটি বসবাস যোগ্য ঘর উপহার দেন দরিদ্রদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারী সংস্থা হাউস অফ মান্নান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট।
বারুহাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, অত্র ইউনিয়নের ৭,৮, ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে দ্বিতীয় বারের মত বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন বিনসাড়া গ্রামের খোদেজা বেগম। সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। হাঁসি মুখে জনগনের সেবা করেন। আর নিজে হোটেলে থালা বাস পরিস্কারের কাজ করে পরিবারের খরচ চালান। তাঁর এমন কর্মের জন্য তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় একাধিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এমন এক জন মানুষকে একটি বসবাস যোগ্য ঘর উপহার দিয়ে পূর্ণের কাজ করেছে বেসরকারী সংস্থা হাউস অফ মান্নান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট।এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক শাহবাজ খান সানি, ভিলেজ ভিশনের পরিচালক শরীফ খন্দকার, তাড়াশ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান, তাড়াশ স্বেচ্ছায় রক্ত দান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাসুম বিল্লাহ, ভিলেজ ভিশনের ভলান্টিয়ার সিয়াম,সাগর, শামীম প্রমুখ।

তাড়াশে পুকুরে বিলীন হচ্ছে গ্রামীণ পাকা সড়ক

সাব্বির আহম্মেদ, তাড়াশ ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়শে আঞ্চলিক পাকা সড়ককে পুকুরের পাড় বানিয়ে মাছ চাষ করায় শতাধিক পাকা সড়ক ভেঙে পুকুরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে সরকারের লাখ লাখ টাকা ক্ষতির পাশাপাশি জনসাধারনের চলাচলে জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন সড়কে প্রায় ৮০ থেকে ৯০টি স্থান ইতিমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছেন। এর পরও উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ নির্বিকার রয়েছে বলে এরাকাবাসী অভিযোগ করছেন। তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আটটি ইউনিয়নে চলাচলের জন্য সড়ক রয়েছে ৩০২টি। এর মধ্যে পাকা সড়ক রয়েছে ২১২ কিলোমিটার, আর বিট এইচবিবি সলিং সড়ক রয়েছে ৩৩ কিলোমিটার, সিসি সড়ক রয়েছে ১৪ কিলোমিটার এবং কাঁচা সড়ক রয়েছে প্রায় ৩৮৭ কিলোমিটার। এ সব সড়কের সাথে রয়েছে ব্যক্তি মালিকাধীন শত শত পুকুর। সড়ক গুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে পুকুর পাড় হিসেবে।। সরেজমিনে এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, মাধাইনগর ইউনিয়নের ধাপ ওয়াশীন-কাস্তা আঞ্চলিক সড়কের জামাল জামাল সরকারের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তা, তাড়াশ-বারুহাস আঞ্চলিক সড়কের মিলনের বাড়ির পাশে পাকা রাস্তা, তাড়াশ-শশ্মান এলাকার পাকা রাস্তা ভেঙে পুকুরের মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া তাড়াশ-কাউরাইল আঞ্চলিক সড়কের একাধিক স্থান পুকুরের কারনে ধ্বসে গেছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী।
আর সড়কের এ সকল ভাঙন রোধে প্রতি বছর বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্যালাসাইড তৈরি করতে হচ্ছে। ফলে প্রতি বছর সরকারের লাখ লাখ টাকা শুধু রাস্তা রক্ষায় ব্যয় হচ্ছে।তাড়াশ উপজেলা কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও নজরদারি না থাকায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে একের পর এক পুকুর খনন অব্যাহত থাকলেও এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিলুর রহমান বলেন, সড়ককে পুকুরের পাড় বানানোর কারণে এ ইউনিয়নে অধিকাংশ পাকা রাস্তা পুকুরের মধ্যে চলে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সড়ক। বাড়ছে দুর্ঘটনা। হচ্ছে সরকারী অর্থের অপচয়। যা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। এখনও তেমন কিছুই জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গুল্টায় নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কলেজের রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে উপজেলার গুল্টাবাজার শহীদ এম মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক পাকা রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গুল্টাবাজার শহীদ এম মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের অভ্যন্তরে ৫৮ মিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর। দরপত্রে সাড়ে ৪ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে কাজ পায় মেসার্স অনামিকা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু এ কাজে বাঁধ সেধেছে ওই কলেজ অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান। তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পাশ কাটিয়ে নিজ উদ্দ্যেগে কলেজের একটি ভাঙ্গা গেটের পুরাতন ইট দিয়ে খোয়া বানিয়ে জোরপূর্বক কাজ করাচ্ছেন। বিনিময়ে তিনি ঠিকাদারের কাছ থেকে নতুর ইটের দাম আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেন ওই কাজে নিয়োজিত মেসার্স শিমুল এন্টারপ্রাইজ নামের সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সোহেল রানা।
এ দিকে বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা হয় রাস্তা নির্মাণের শ্রমিক জহুরুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, আমরা নতুন ইট দিয়ে কাজ করবো। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ বলছেন, তাঁর সরবরাহ করা পুরাতন ইট ব্যবহার করেই কাজটি শেষ করতে। সেই সাথে রাস্তার গাইড ওয়ালেও পুরাতন ইট ব্যবহারের জন্য চাপ দিচ্ছেন এবং করতে বাধ্য করছেন। এতে করে রাস্তাটি নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ করছেন একাধিক এলাকাবাসী।
অবশ্য এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে গুল্টাবাজার শহীদ এম মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কি ভাবে কাজ করছেন তাঁরাই ভালো বলতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষ সাহেব কাজ করেছেন এমন খবর জেনেছি। আমরা দ্রæত সেখানে গিয়ে সিডিউল অনুযায়ী রাস্তাটি হচ্ছে কিনা দেখব।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের অনুমতি ছাড়া কাজটি করায় আপাতত কাজটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

তাড়াশে প্রধান শিক্ষকের তিন বছরের কারাদন্ড

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ ফৌজদারী মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় রফিকুল ইসলাম নামক এক প্রধান শিক্ষকে তিন বছরের কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সিরাজগঞ্জ চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বিষযটি আদালতের একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
দন্ডিত রফিকুল ইসলাম তাড়াশ উপজেলার প্রতিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে জানা গেছে। গত ২৯ আগস্ট দুপুরে সিরাজগঞ্জ আদালত চত্বর থেকে সিরাজগঞ্জ কোর্ট পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সান্দুরিয়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন কে রফিকুল ইসলাম ও আব্দু সালামসহ কযেক জন মিলে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। মিলনের পিতা শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে তাড়াশ থানায় রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক মাস্টার ও সালাম সহ ১৫ জনের নামে ২০১৮ সালে ৯৮-১৮ নং মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা ১জনকে বাদ দিয়ে ১৪ জনের নামে আদালতে চার্জসিট দাখিল করে। মামলটি দীর্ঘ ৫ বছর পর, গত ১৭-০৭-২৩ ইং তারিখে আদালত ১২ জনকে অব্যাহতি দিয়ে প্রধান আসামি রফিক মাস্টার ও সহযোগী সালামকে অভিযুক্ত করে এই রায় ঘোষণা করেন।

তাড়াশে অসহনীয় যানজট

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ের যানজটে আটকে নাকাল অবস্থা লোকজনের। সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের চৌরাস্তা মোড়ের এ স্থানটি তুলনামূলক বেশ সরু। এদিকে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম তরফদার জানিয়েছেন, সরকারের পরিচালন বাজেট থেকে ভ‚মি অধিগ্রহনের টাকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। পরিপত্র জারি করা হয়েছে। তাড়াশ উপজেলা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ের চারপাশের জায়গা ব্যক্তিমালিকনা। উপায়ন্তর না পেয়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা করেছি। প্রকল্পটির অনুমোদন পাওয়া গেলে ভ‚মি অধিগ্রহন করা সম্ভব হবে।
সওজের এই কর্তা ব্যক্তি আরো বলেন, তিনি নিজেও দীর্ঘ ৬১ মিনিটি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ের যানজটে আটকে ছিলেন একদিন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ের মাঝে একটা মাইক্রো বাস ঢুকে পড়েছে। আর তাতেই ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। থমকে আছে জনজীবন।
তাড়াশ সদর গ্রামের বাসিন্দা তপন কুমার গোস্যামী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড় গণপরিবহন ও লোকজনের চলাচলের মিলনস্থল। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এ মোড় হয়ে তাড়াশ উপজেলা শহরে প্রবেশ করেন। এখানে সিএনজি, ইজিবাইক, অটোভ্যান ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল বিশৃঙ্খলভাবে গ্যারেজ করায় সারাক্ষণ যানজট লেগে থাকে।
তাড়াশ বাজার কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তাড়াশে যানবাহন স্ট্যান্ড করে রাখার কোন নির্দিষ্ট জায়গা নেই। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ে যানবাহন স্ট্যান্ড বন্ধ করা গেলে যানজটের অসহনীয় দুর্ভোগ থেকে লোকজন কিছুটা মুক্তি পেত। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ের যানজট নিরসনে সওজ বিভাগের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। পৌরসভার নির্বাচন হয়ে গেছে। এখন যানবাহন রাখার স্ট্যান্ড হয়ে যাবে।

তাড়াশে সাইকেল ও শিক্ষা বৃত্তি প্রদান

সাব্বির আহম্মেদ, তাড়াশঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নৃ-তাত্তি¡ক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বাই সাইকেল, শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তাড়াশ উপজেলা পরিষদ মিলায়নতনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ বরাদ্দ থেকে প্রাপ্ত অর্থে এবং উপজেলা প্রসাশনের উদ্দ্যোগে ওই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিমের সভাপতিত্বে এতে অনান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাব্বির হোসেন খান, দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক, তাড়াশ আদিবাসি বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি বিরেন্দ্রনাথ প্রমুখ। উল্লেখ্য এ সময় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৃ-তাত্তি¡ক শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩০ টি বাই সাইকেল এবং ১৭০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।

তাড়াশের “রসিক রায়” মন্দির ঃ জরুরী সংরক্ষণ প্রয়োজন
মুত্তালিব শিশির
পাবনা ,সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলাধীন নয়টি উপজেলা অধ্যুষিত চলনবিল প্রতœ-সম্পদে ভরপুর একটি অনন্য সাধারণ প্রাচীন জনপদ। দেশের বৃহত্তম জলাধার চলনবিল নানান প্রতিকুলতার মধ্যে অস্তিত্ব সংকটে থাকলেও এখনও তা সহ¯্রাধিক বছরের ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে দেয়। এই বিলের পানি সব সময় চলমান ছিল বলে এর নামকরণ হয় চলনবিল। ইম্পিয়ার গেজেটিয়ার এর মতে, এখানকার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ্ঐতিহাসিক নিদর্শন ও মহা মুল্যবান প্রতœ স্থাপনা। ষোঢ়শ শতাব্দির প্রজাবৎসল জমিদার বাসুদেব রায় এর পৌত্র বলরাম রায় প্রতিষ্ঠা করেন “রসিক রায়” মন্দির যা বর্তমান তাড়াশ সদর এলাকার তাড়াশ ডিগ্রী কলেজের প্রধান ফটক সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এলাকাবাসী এটিকে “দোলমঞ্চ” এবং “নবরতœ মন্দির” বলে উল্লেখ করে থাকে। জানা যায়, রাজা বলরাম রায় এর মাতৃবিয়োগ কালে তিনি ঢাকায় নবাব আজিমুস্মান স্টেটে কর্মরত ছিলেন। মাতৃভক্ত রাজা পিত্রালয়ে ফিরে মর্মাহত মনে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত করেন এবং মায়ের সম্মান ও স্মৃতির স্মরণে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন।
ক্রমহ্রাসমান ত্রিতল বিশিষ্ঠ মন্দির অভ্যন্তরে তিনি রাধাকৃষ্ণ প্রস্তরময় যুগলমুর্তি স্থাপন করেন। আট শতক জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত মন্দিরটির দৈর্ঘ্য ৩র্৬ এবং প্রস্থে ৩র্৪ ও উচ্চতায় ৪র্০ বিশিষ্ট। নীচ তলায় দুটি বারান্দা বেষ্ঠিত একটি গর্ভগৃহ আছে যেখানে রাধাকৃষ্ণ মুর্তিটি রাখা হতো। বারান্দার বাইরের দিকে পাঁচটি ও ভিতরের দিকে তিনটি খিলান প্রবেশ পথ রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় কোন বারান্দা নেই, তবে ২র্০ চতুর্কোনাকৃতির কারুকার্য খচিত ১২টি খোলা দরজা বিশিষ্ট গৃহ রয়েছে। তৃতীয় তলাটি অষ্টভূজ আকৃতির এবং আট দরজা বিশিষ্ট এবং তার চুড়াটি বেশ বড় আকৃতির। ছাদের কার্নিশের পাশ দিয়ে চিত্তাকর্ষক টেরাকোটা বসানো। “রসিক রায়” মন্দির, “দোলমঞ্চ” বা “নবরতœ মন্দির” যে নামেই ডাকা হোক না কেন এক সময় এখানেই বার্ষিক ঝুলন উৎসব উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী মেলা বসতো।
ভারতের কালীতলা, নাগপুর, রাঁচি এমনকি বৃন্দাবন ধাম এর ব্রাক্ষসমাজ এই মেলায় অংশগ্রহণ করতো। এলাকার নামকরা শিল্পী কলা কুশলীদের নৃত্য সংগীতে মুখরিত হয়ে উঠতো মন্দির প্রাঙ্গন। খই, নাড়–, খাগড়াই বাতাশা, মন্ডা মিঠাই, সন্দেশ, আমিরতি, রাঘবসাই,দই-দধি দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হতো। জমিদারী রাজত্ব বিলুপ্তির পরও বেশ কিছুকাল এখানটায় পুজা পার্বণ হতো এবং ধর্মীয় বিশেষ বিশেষ দিবসে লোকজন আনন্দ উদ্দিপনার সাথে মিলিত হতো। তাড়াশ চৌধুরাই জমিদার বংশের শেষ জমিদার বনমালী রায় “রসিক রায়” মন্দির এর অনেকখানি সংস্কার করলেও উনিশ শতকের মাঝামাঝি এটি সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে পরে। দীর্ঘদিন অযতœ অবহেলার শিকার প্রায় তিনশত বছরের এই প্রাচীন মন্দিরটি এখন পরিত্যাক্ত স্থাপনায় পরিণত হয়েছে। ভুমি থেকে চুড়া পর্যন্ত পুরো মন্দির গাত্রে পরগাছা, লতা আগাছায় আচ্ছাদিত।
মন্দিরের মুল কাঠামো ভেঙ্গে বসতবাড়ি, দোকানঘর করায় মুল্যবান এই স্থাপনাটি এখন লোকচক্ষুর আড়ালে পরে আছে। অথচ চলনবিলের গৌরবোজ্জল ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রাচীন স্বাক্ষর এই “রসিক রায়” মন্দির তা অনেকেরই জানা নাই। অবশ্য এখনও অনেক পর্যটক তাড়াশের প্রাচীণ মন্রিসমূহ পরিদর্শনে আসেন। সম্প্রতি তাড়াশ কলেজ এর সীমানা প্রাচীর সম্প্রসারণে খনন কাজ করা হলে মাটির নীচে ইট পাথরের দেয়াল আবিস্কৃত হয় যার গঠন প্রকৃতি দেখে ধারণা করা যায়, এটি জমিদারী আমলের অনেক আগে নির্মিত।
তাড়াশ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মনিরুজ্জামান মনি জানান, “রসিক রায়” মন্দির উপজেলার একটি প্রাচীন স্থাপনা যার সাথে অনেক অজানা ইতিহাস জড়িয়ে আছে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক মনে করেন, “রসিক রায়” মন্দির সংলগ্ন স্থান সমুহে মাটির নীচে অনেক প্রতœ নিদর্শন ঢাকা পরে আছে যেগুলো গুপ্ত বা পাল শাসনামলের হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এর ভিতরে অনুসন্ধান, প্রতœতত্ব আবিস্কারসহ সরকারী উদ্যোগে তাড়াশের এই মন্দিরটি আসন্ন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা কওে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে যথাযথ সংরক্ষণের জন্য জরুরী পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ বলে তাড়াশবাসী মনে করে।

লেখক ঃ সহকারী অধ্যাপক, তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ, সিরাজগঞ্জ। কবি ও সাহিত্যিক।

ভোটাধিকারের দাবিতে শিল্পী সাহিত্যিকদের সমাবেশ
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হলো মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু বর্তমান শাসকগোষ্ঠী মানুষের এসব অধিকার সহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। তারা দিনের ভোট রাতে করে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করে। এর মাধ্যমে তারা তাদের স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে। যে স্বৈরতন্ত্রকে কিছু কিছু শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিল্পী বৈধতা দিয়ে সরকারকে ফ্যাসিজমের দিকে এগিয়ে দিচ্ছেন। তাই এর বিরুদ্ধে দেশের সকল মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দাবিতে লেখক-শিল্পী-শিক্ষক-সাংবাদিকদের সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, নিউ এইজ সম্পাদক নূরুল কবীর, অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান, সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, আলেকচিত্রী শহীদুল আলম, ড. সামিনা লুৎফা, মাহবুব হোসেন, রাখাল রাহা, কবি সাখাওয়াত শিমু প্রমুখ।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, উন্নয়নের নামে বর্তমান সরকার নিজের স্বৈরতন্ত্র কায়েম করছে। যেটি শুরু করেছেন আইয়ুব খান। এ উন্নয়নের জন্য সে মৌলিক গণতন্ত্র ধারণা চালু করে।এরপর এরশাদ। সর্বশেষ গত ১৪ বছরের সরকারের উন্নয়ন সবগুলো একই। কারণ সবগুলোই স্বৈরতন্ত্রের উন্নয়ন। এ স্বৈরতন্ত্র তখনই ফ্যাসিবাদের দিকে যায় যখন শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক যখন এ স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেয়। তার বিরুদ্ধে লড়াই ছাড়া বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মুক্তি নেই। তিনি বলেন, মতপ্রকাশ ও ভোটাধিকার হচ্ছে আমাদের প্রাথমিক ভিত্তি। তার ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের অন্যান্য অধিকার আদায় করতে হবে। জনগণের মধ্যে দেশের মালিকানার বোধ আনতে হবে। আজকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের নামে ক্রিমিনাল সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমাদের বলতে হবে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনা না হলে কার বিরুদ্ধে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব, অধিকার। এ সময় বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভাগ্য কেন দিল্লি ওয়াশিংটন, বেইজিংয়ে নির্ধারণ হবে। এটা তো বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল। নিউ এইজ সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন- তিনি ভয় পাচ্ছেন। আমি মনে করি তারা যেভাবে এতদিন মানুষের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছেন তার জন্য তার ভয় পাওয়ার পরিমাণ আরও বাড়বে। বাক্ স্বাধীনতা ছাড়া কোনো মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে না। এটা শুধু আমাদের না সবার জন্যই মতপ্রকাশ ও ভোটাধিকারের স্বাধীনতা প্রয়োজন।
সমাবেশে থেকে একটি ঘোষণা পাঠ করা হয়। এতে বলা হয়, আমরা মূলত ২টা দাবিতে একত্রিত হয়েছি- ভোটাধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। কারণ ভোট হলো নাগরিকের মতপ্রকাশেরই সর্বোচ্চ রূপ। ভোটাধিকার ছাড়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে পারে না। তাই যে দল বা মতাদর্শই রাষ্ট্র পরিচালনা করুক, লেখক-শিল্পী-শিক্ষক-সাংবাদিক কখনো ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিপক্ষে যেতে পারেন না। বাংলাদেশ আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে তা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সঙ্গে চরম বৈপরীত্যপূর্ণ ও সাংঘর্ষিক। একটা স্বাধীন, সার্বভৌম ও মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে টিকে থাকতে পারবে কিনা সে বিষয়ে আমাদের মনে চরম আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ, আর রাষ্ট্র পরিচালনা করে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি বা সরকার- এটাই শাসনের একমাত্র বৈধতা। কোনো অনির্বাচিত বা বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কখনো রাষ্ট্র শাসনের বৈধতা পেতে পারে না। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে তার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের প্রতি ন্যূনতম অঙ্গীকারবদ্ধ রাখতে সকল পর্যায়ের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার দাবি করছি। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের তার প্রতিনিধি বেছে নেয়ার স্বাধীনতা, পেশাগ্রহণের স্বাধীনতা, চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে। আর দল বা ব্যক্তি, তত্ত¡ বা আদর্শ যেকোনো নামেই মানুষের চিন্তাকে দমন, মতপ্রকাশকে বাধাগ্রস্থ, সৃজন-মননকে সঙ্কুচিত, জীবিকার অধিকারকে নাকচ এবং ভোটাধিকারকে হরণ করা হয় তার বিরুদ্ধে সকল সময় সোচ্চার থাকার অঙ্গীকার করছি। সূত্রঃ মানবজমিন।

নারী অধিকার ও স্বাধীনতা
বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শুকুর মাহমুদ
নারীর ক্ষমতায়ন-নারী অধিকারের বিরোধীতা করছি না, তবে উপার্জনশীল-স্বনিয়োজিত নারীদের ভূমিকা নিয়ে কিছু আলোচনা করছি। সারা বিশ্ব এখন নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর নেতৃত্ব এবং নারীর অধিকার তথা নারীর স্বাধীনতা নিয়ে মহা ব্যস্ত। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। উপস্থাপিত বিষয়টি পশ্চিমা বিশ্ব-ইউরোপ আমেরিকা অনেক আগেই নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছে। কিন্তু সে দেশের নারীরা মানবতা, আদব মেনে চলে এটাই ধারণা। কিন্তু বাংলাদেশের নারী সমাজ ননস্টপ, একধাপ অগ্রগামী হয়েছে। আমাদের সন্তানেরা প্রবাসে গিয়ে দিবা রাত্র কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করছে, ওরা পিতা-মাতা, ভাই-বোন বা কোন স্বজনকেই বিশ্বাস না করে নারীর অধিকার সর্বোচ্চ দিয়ে স্ত্রীর নামে টাকা পাঠায়। এ দিকে স্ত্রী তার স্বামীর উপার্জনের অর্থ হাতে পেয়ে চুটিয়ে পরকীয়া করতে থাকে। স্বামী দেশে ফেরার আগেই সন্তান-সংসার ফেলে পাড়ি জমায় পরকীয়ার হাত ধরে। কেউ আবার স্বামী দেশে আসার পর স্বামীকে হত্যা করেও অর্থ সম্পদ নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়।
এক দম্পতির কথা বলছি, দু’জনেই সরকারি চাকরি করে। পুরুষটি পিতার ওয়ারিশ সূত্রে প্রায় ৩শত বিঘা কৃষি জমির মালিক হয়েছে। উল্লাপাড়া শহরে ১০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে বহুতল ভবন নির্মান করেছে। তাদের ঘরে দু’টি সন্তান হয়েছে, যেহেতু দু’জনেই চাকরি করে প্রতিদিন সকালে সবারই কর্মস্থলে যাওয়ার ব্যস্ততা। কেউ কারও সেবা করার সুযোগ নেই, অন্যদিকে সন্তানদের দেখা-শোনা করারও সুযোগ নেই। তাছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকারও সুযোগ নেই। অতপর গৃহ পরিচালিকার কাছে সন্তানদের রেখে কর্মস্থলে যায়। পুরুষটি সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা, নারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সংসারে অশান্তি। যে কোন একজন চাকরি না ছাড়লে সংসারের অশান্তি দূর হবে না। স্বামী প্রস্তাব করলো তুমি চাকরি ছেড়ে সংসার-সন্তান দেখো, আমি চাকরি করি।
স্ত্রী বলল দরকার হলে তুমি চাকরি ছাড়, আমি চাকরি ছাড়তে পারবো না। স্বামী বলল, আমি প্রথম শ্রেণীর গেজেটড কর্মকর্তা আর তুমি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাছাড়া সংসার-সন্তান দেখা তোমার কাজ। স্ত্রী বলল সংসার-সন্তান আমার
একার নয়, চাকরি ছেড়ে তোমার সংসারে ঝিয়ের কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এমন প্রস্তাব নিয়ে দু’জনের তুমুল ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী বলল তুমি যদি চাকরি না ছাড় তবে আমি তোমাকে ছাড়বো। স্বামীর কথা শুনে স্ত্রী বলল ঠিক আছে, আমিও রাজি আছি, তবে চাকরি ছাড়তে আমি রাজি না।
প্রিয় পাঠক ভেবে দেখুন উপার্জনশীল নারীর ভূমিকা কেমন? স্বামী প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা ৩শত বিঘা কৃষি জমিসহ শহরে বিশাল বহুতল ভবন আর স্ত্রী মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এতদসত্তে¡ও সংসার-সন্তান ত্যাগ করতে রাজি অথচ চাকরি ছাড়তে রাজি নয়।প্রিয় পাঠক, ভেবে দেখুন উপার্জনশীল নারীর ভূমিকা কেমন? স্বামী প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা ৩শত বিঘা কৃষি জমিসহ শহরে বিশাল বহুতল ভবন আর স্ত্রী মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এতদসত্তে¡ও সংসার-সন্তান ত্যাগ করতে রাজি অথচ চাকরি ছাড়তে রাজি নয়।
সম্প্রতি ৪-সেপ্টেম্বর-২০২৩, সোমবার দৈনিক কলম সৈনিক পত্রিকার প্রকাশ ‘গৃহকত্রীর সন্তানের খাবার খাওয়ায় শিশু গৃহ পরিচারিকাকে হত্যা’ খবরের সূত্র মতে জানা যায়, রাজধানীর কলাবাগানে বসবাস করত এলজিইডি’র কার্য্যসহকারী সাথী। উক্ত সাথীর প্রথম স্বামী একজন ড্রাইভার, অতপর সাথী এলজিইডি’র কার্য্যসহকারী পদে চাকরি পেয়ে ড্রাইভার স্বামীকে তালাক দেয়। পরে পছন্দমত আরেকজনের সাথে বিয়ে হয়, সে সংসারে জমজ দু’টি সন্তানের জন্ম হয়। যেহেতু সাথী সরকারি চাকরি করে তাই স্বামীকে গোনার সময় নেই। স্বামী অনেক চেষ্টা করেও স্ত্রীকে সংশোধন করতে না পেরে স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে চলে গেছে। জমজ দু’টি সন্তানের একটি সন্তান মারা গেছে, সাথী এখন একটি সন্তান নিয়ে একা। সন্তানের দেখা-শোনার জন্য একটি শিশু গৃহপরিচারিকা রেখেছিলো। গত ২৬ আগস্ট ২০২৩, ঐ শিশু গৃহপরিচারিকাটিকে তার সন্তানের খাবার খাওয়ার অপরাধে হত্যা করে ফ্রিজে রেখেছিল। সাথী উপার্জনশীল নারী হওয়ার কারণে এমন বেপরোয়া হয়েছে।
ইন্টারনেট, ইউটিউবের খবরে প্রকাশ ,এক আহাম্মক জনতা ব্যাংকের পরিচালক, স্ত্রীকে ভালবেসে চট্টগ্রাম শহরে ৫ কাঠা জায়গা ক্রয় করে তার উপর ৬তলা ভবন নির্মাণ করেছে। লোকটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে একটি অঙ্গহানি হয়। স্ত্রী আর শাশুরি মিলে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। স্ত্রীর ভালোবাসা পেতে জীবনের উপার্জিত সকল সম্পদ তাকে লিখে দিয়ে এখন অসুস্থ হয়ে রাস্তায় নেমেছে। এই হচ্ছে উপার্জনশীল নারী ও সম্পদ পেয়ে নারীর ভূমিকা। এ ধরনের অধিকার ও স্বাধীনতা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে নারীদের এটাই সচেতন মহলের প্রশ্ন।
সরকার পতনে শুরু হচ্ছে বিএনপির ভিন্ন মাত্রার আন্দোলন
ডেস্ক রিপোর্টঃ সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে শুরু হচ্ছে বিএনপির ভিন্নমাত্রার আন্দোলন। লক্ষ্য দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানো। এর অংশ হিসাবে কাল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি পৃথকভাবে গণমিছিল করবে। দুই স্থান থেকে এ গণমিছিল শুরু করলেও নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একই সময়ে মিলিত হবে। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে তা শেষ করবে। যুগপৎ এ কর্মসূচি সমমনা দল ও জোটও পৃথকভাবে পালন করবে। এদিকে গণমিছিলকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। সফল করতে কয়েক দফা প্রস্তুতি সভা করেছে। উত্তর ও দক্ষিণের কেন্দ্রীয়সহ সব থানা-ওয়ার্ডের নেতাকর্মী-সমর্থকদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অংশ নিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
দলটির নেতারা জানান, এখন থেকে সব কর্মসূচিতেই ভিন্নতা থাকবে। ধীরে ধীরে আন্দোলনের গতি বাড়বে। মধ্য সেপ্টেম্বরের পর থেকে ধারাবাহিক কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আন্দোলনের রূপরেখা সাজানো হচ্ছে। আগে মহানগর উত্তর-দক্ষিণ গণমিছিল, পদযাত্রার মতো কর্মসূচি শেষে একসঙ্গে মিলিত হয়নি। এবার গণমিছিলও হবে, একই সঙ্গে সমাবেশও হবে। এতে করে নেতাকর্মীরা আরও উজ্জীবিত হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের দুটি গণমিছিলই বেলা ৩টায় শুরু হবে। উত্তরের গণমিছিলটি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে আবুল হোটেল-মালিবাগ রেলগেট-মৌচাক-মালিবাগ মোড়-শান্তিনগর-কাকরাইল মোড়-নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবে।
অন্যদিকে দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল কমলাপুর থেকে শুরু হয়ে পীরজঙ্গি মাজার-আরামবাগ-ফকিরাপুল মোড় হয়ে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবে। পরে সেখানে সমাবেশ করবে দলটি। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেবেন। সমাবেশ থেকে আবারও কর্মসূচি দেওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যুগান্তরকে বলেন, ‘সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিরোধী সব রাজনৈতিক দলসহ দেশের জনগণ রাস্তায় নেমেছে। সবাই নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। দাবি আদায়ে বিএনপি অতীতের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবে। গণমিছিলে জনতার ঢল নামবে। প্রধানমন্ত্রীর বুকে কম্পন ধরানোর মতো কর্মসূচি আসবে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক যুগান্তরকে বলেন, ‘কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে। অতীতের যে কোনো কর্মসূচিতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ প্রমাণ করে আমরা সফল হবই। গণমিছিল কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উন্মুখ হয়ে আছে। আশা করছি, বিপুল লোকসমাগম হবে। উত্তর ও দক্ষিণের দুটি গণমিছিল নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে দলের মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেবেন।’
বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, এরপর আদালতকেন্দ্রিক যুগপৎ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। বিচার বিভাগ বা আদালতকেন্দ্রিক কিছু কর্মসূচি দেওয়া হবে, যাতে দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ সব মহলের নজরে আসে। নেতাদের অভিযোগ, বিশেষ করে তড়িঘড়ি করে বিএনপির নেতাদের সাজা, গায়েবি মামলা, আদালতে ঘনঘন হাজিরার তারিখ নির্ধারণ-এসব নির্বাচনকে সামনে রেখেই করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনজীবীদের সক্রিয় করে তাদের মাধ্যমেই কর্মসূচি গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর লক্ষ্য, আদালত অঙ্গনে আইনজীবীদের সক্রিয় করা, সেই সঙ্গে কর্মসূচি দিয়ে ‘আদালত-পরিস্থিতি’ সব মহলের নজরে আনা।বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকার গায়ের জোরে ১৫ বছর ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছে। প্রশাসনসহ সব রাষ্ট্রযন্ত্রকে আজ দলীয় কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। জনগণ এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারকে সরে যেতে হবে। গত শনিবার থেকে সরকার পতনের যে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হচ্ছে, তাতে আর বিরতি থাকবে না। সরকার পতনের মাধ্যমেই এই আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটবে।’
যুগপৎ আন্দোলনের এ কর্মসূচি একইদিন পালন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), গণফোরামসহ (মন্টু) সমমনা দল ও জোট। গত ১২ জুলাই একদফা আন্দোলনের ঘোষণার পর বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো ঢাকায় পদযাত্রা, মহাসমাবেশ, ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান, গণমিছিল ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি পালন করে। সর্বশেষ ২৪ ও ২৫ আগস্ট ঢাকাসহ সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি ছিল। সূত্র : যুগান্তর।

মিথ্যা মামলা মহামারি আকার ধারণ করেছে
ডেস্ক রিপোর্টঃ আইন কমিশন বলছে, দেশের অধিকাংশ আদালতে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের ‘মহামারি’ আকার ধারণ করেছে। এ কারণে কারাভোগ, হয়রানি ও ক্ষতির শিকার হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষ, বিশেষ করে ফৌজদারি মামলায়। গত ২৯ আগস্ট আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দাখিল করা প্রতিবেদনে এ কথা বলে আইন কমিশন। তবে এর সঙ্গে একমত নন অনেক আইনজীবী। কোন আদালতে কী ধরনের কতটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত নেই আইন কমিশনের ৪৬ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে। অধন্থন নাকি উচ্চ আদালতে এসব মামলা হয়েছে, তারও তথ্য নেই।
আইন কমিশনের এই প্রতিবেদন নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন অনেক আইনজীবী। তারা বলছেন, ফ্যাক্টস-ফাইন্ডিংস ছাড়া এ ধরনের তথ্য কমিশন দিতে পারে না। তাছাড়া কমিশনের এটি কাজ নয়। তাদের কাজ হলো, আইন ও মামলাসংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা এবং সুপারিশ করা।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সমকালকে বলেন, “এ ধরনের তথ্য ফ্যাক্টস-ফাইন্ডিংসের ওপর নির্ভর করে। সবসময়ই মিথ্যা মামলা কমবেশি ছিল। তবে ‘মহামারি আকার ধারণ’ করেছে বলা কতটা সমীচীন তা ভেবে দেখতে হবে।” তিনি বলেন, ‘আইন কমিশন যদি পরিসংখ্যান বা কেস স্টাডি দিতে পারত তাহলে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তাই এমন তথ্য তুলে ধরা উচিত, যাতে আদালতের প্রতি জনগণের ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি না হয়।’
ঢাকা মহানগর আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু সমকালকে বলেন, ‘মহামারি শব্দটির অর্থ ব্যাপক। কমিশন যা বলেছে, প্রসিকিউটর হিসেবে আমার কাছে সে রকম মনে হয় না।’ তিনি বলেন, ‘বিচারে অভিযোগ প্রমাণ না হলে আসামি খালাস পান। সে ক্ষেত্রে কমিশনের কথা কতটা সঠিক তা ভেবে দেখতে হবে।’ আইন কমিশনের ওই প্রতিবেদনে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা কমাতে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে– হয়রানিমূলক মামলা নিরুৎসাহিত করা, নালিশি মামলার ক্ষেত্রে ২০০ ধারায় মামলার আবেদনকারীর (ফরিয়াদি) অভিযোগ যাচাই নিশ্চিত করা, ফৌজদারির ক্ষেত্রে মিথ্যা মামলা হলে বাদীর বিরুদ্ধে দুবিধির ২১১ ধারার বাধ্যবাধকতা আনা এবং মামলা নিষ্পত্তি দ্রæত করা।
আইন কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা রোধে প্রচলিত আইন, বিশেষ করে পেনাল কোড ও কোড অব সিভিল প্রসিডিউরে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত ধারায় সংস্কার জরুরি।
পেনাল কোডের ২৫০ ধারায় ক্ষতিপূরণের বিধান থাকলেও তার সর্বোচ্চ মাত্রা ১ হাজার টাকা এবং এর অতিরিক্ত ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে, যা বর্তমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে খুবই কম। তা ছাড়া মিথ্যা মামলার কারণে যেসব নিরপরাধ মানুষকে কারাগারে থাকতে হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে আইনি কাঠামো করা আবশ্যক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান সমকালকে বলেন, ‘আইন কমিশনের বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা ফ্যাক্টস-ফাইন্ডিংস ছাড়া এমন কথা বলা যায় না। তারা সুপারিশ করতে পারে। এটা বলার এখতিয়ার তাদের নেই।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের সব আদালতে গত ১৫ বছরে প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এরপরও ঝুলছে ৪০ লাখের বেশি মামলা। ১৫ বছরের ব্যবধানে দেশে মামলাজট তিন গুণ হয়েছে। এই জটের ২২টি কারণ চিহ্নিত করেছে আইন কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে– বিচারকস্বল্পতা, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা, মামলার সুষম বণ্টন না হওয়া, প্রশাসনিক শৈথিল্য, অর্থ বরাদ্দ না হওয়া, কর্মকর্তা-কার্মচারীর জবাবদিহির অভাব ইত্যাদি। প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলা সদরগুলোতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে এজলাস সংকট রয়েছে। ফলে বিচারককে একই এজলাস ভাগাভাগি করে বিচারকাজ করতে হয়। সূত্র : সমকাল।

আখের গোছায় কারা ?

আবদুর রাজ্জাক রাজু
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
দলবাজি আর রাজনীতি করে যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
ব্যবসা-বাণিজ্যের সিন্ডিকেট করে যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
ডিজিটাল-সাইবার আইন বানায় যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
মন্ত্রী-যন্ত্রী-উপরতলার কেউকেটারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
যত বড়-ছোট-চেলা-পাতি নেতারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
শিক্ষার নামে কোচিং খুলেছে যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
মেয়র-কমিশনার-মেম্বর-চেয়ারম্যানেরা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
পুলিশ-প্রশাসন সচিব আর আমলারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
ক্ষমতায় গিয়ে নয়ছয় করে যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
জনগনের হক মারতে দ্বিধা করে না যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
আইন ও বিচারের কলকাঠি নাড়ে যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
সুদ-ঘুষ খায় এবং দুর্নীতি করে যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
বিনা ভোটে দিব্যি দেশ চালাচ্ছে যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
যে যেখানে পারে দাওটা মারছে তারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
ভূয়া -প্রতারনায় মুক্তিযোদ্ধা যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
পরিবহনের নেতা-মালিক-শ্রমিকেরা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
ধর্মীয়-কবরস্থানের যত খেদমতগারেরা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
সরকারের যত তোষামেদ-তল্পীবাহকেরা
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
জঙ্গী-সন্ত্রাসী-লুটেরা-মৌলবাদীরা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
চোর-বাটপার বড় বড় শিক্ষিতরা।
এই সমাজে আজ ফায়দা লোটে কারা
বিদেশে অর্থ পাচার করে যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
ব্যাংকের টাকা লুটপাট করছে যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতার নামে দালালী করে যারা।
এই সমাজে আজ আখের গোছায় কারা
যত্রতত্র নির্বিচারে পরিবেশ ধ্বংস করে যারা।

সিংড়ায় চলনবিল বার্তা সম্পাদককে সম্মাননা প্রদান

মো. শহিদুল ইসলাম সুইট,সিংড়া প্রতিনিধি ঃ নাটোরের সিংড়া প্রেস ক্লাবের আয়োজনে মাসিক সাহিত্য আসর ও সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় সিংড়া প্রেস ক্লাব কমপ্লেক্স ভবনে প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমরান আলী রানা’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সোহরাবের সঞ্চালনায় এই সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয়।
সাহিত্য আসরে সাহিত্য বিষয়ক আলোচনাসহ স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি মাহবুব মান্নান, প্রভাষক মোঃ আইয়ুব আলী ও আবদুর রাজ্জাক রাজু । স্বরচিত কবিতা পাঠে আরো অংশগ্রহণ করেন প্রবীণ কবি মোঃ আবুল হোসেন, সরদার মোহাম্মদ আলী, মোঃ আমজাদ হোসেন, কবি আজাহার আলী, এনামুল হক মিন্নতি, সনজু কাদের, নবীন কবি কাওছার আহমেদ, কবির হোসেন, জুয়েল, প্রত্যয় সাহা, বাদশা শাকিল, সামাউন আলী, আম্বিয়া খাতুন, সাথী খাতুন, আল আমিন, মাওলানা মোঃ ওমর ফারুক ও কিশোর কবি আরাফ ফেরদৌস রাফি।
কবিতা পাঠ শেষে তাড়াশ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার সম্পাদক কবি ও লেখক আব্দুর রাজ্জাক রাজুকে সাহিত্য সম্মাননা-২০২৩ পদক প্রদান করা হয়। সাহিত্য পদক তুলে দেন সিংড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমরান আলী রানা, সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সোহরাব, অর্থ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সুইট, নির্বাহী সদস্য মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, কবি রিক্তা বানু, মুফতি জাকারিয়া মাসুদ, চঞ্চল মাহমুদ সংগ্রাম, লিটনসহ নবীণ-প্রবীণ কবি-সাহিত্যিকগণ।

উল্লাপাড়ায় বস্তায় আদা চাষ

ডাঃ আমজাদ হোসেন, উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বসতবাড়ীর উঠোন আঙ্গিনায় বস্তায় আদা আবাদে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদেরকে পরামর্শ ও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। অনেক এলাকার আগ্রহী কৃষক বাড়ীর উঠোন আঙ্গিনার কোনায় বস্তায় আদা আবাদ করছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের চক চৌবিলা গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন নিজ বসতবাড়ী ভিটেয় ১ শত ৭০টি বস্তায় আদা আবাদ করেছেন। গত পহেলা এপ্রিল তিনি বস্তায় বীজ আদা লাগান। বীজ আদা, রাসায়নিক ও জৈব সার , বস্তা মিলে তার আদা চাষে বস্তা প্রতি ১২ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানানো হয়। এরই মধ্যে প্রতি বস্তায় গড় হিসেবে ১২টি কুশি বের হয়েছে। কৃষক আলাউদ্দিন জানান, মাঝে মধ্যে পরিচর্যা ছাড়া এই আবাদে আর কোনো টাকা খরচ করতে হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, তার বিভাগ থেকে কৃষক আলাউদ্দিনকে বস্তায় আদা আবাদে পরামর্শ ও উৎসাহ দেওয়া হয়। তিনি সরেজমিনে গিয়ে কৃষক আলাউদ্দিনের বস্তায় আদা আবাদ দেখেছেন।উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেক কৃষক অনাবাদী ও পতিত ভিটেয় আদা আবাদ করছেন যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

ভাঙ্গুড়ায় চায়না জালে অবাধে মৎস্য নিধন
ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুরাসহ চলনবিল অধ্যুষিত উপজেলার নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালের ছড়াছড়ি। ভাঙ্গুরার পুইবিল, নিমাইচড়া, হান্ডিয়াল, পার্শ্বডাঙ্গা, ফৈলজানা ও ডিবিগ্রামের বিভিন্ন নদ-নদী, বিল ও জলাশয়ে অসাধূ মাছ ব্যবসায়ী ও মৌসুমী মাছ শিকারীরা চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল ব্যবহার করে বোয়ালসহ দেশী প্রজাতির বিভিন্ন মাছের পোনা ও মা মাছ নিধনে মেতে উঠেছে। এতে দেশী প্রজাতির মাছ বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে জীব বৈচিত্র্য।
বিভিন্ন বিল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বিলেই অসংখ্য চায়না দুয়ারি পেতে মাছ নিধন করা হচ্ছে। প্রকাশে বাদাই জাল দিয়ে বোয়াল মাছের পোনা ধরা হচ্ছে। আর এসকল মাছ প্রকাশ্যে হাট-বাজারে বিক্রিও করা হচ্ছে। ডিকশি বিলের ইজারাদার হায়াত আলী উপজেলা মৎস্য দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে বিলের অংশ সাব ইজারা দিয়ে অবাধে চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মৎস্য নিধন করাচ্ছেন বলে অভিযোগ। একাধিক সূত্র জানায় পাবনার ফরিদপুর ও বেড়া উপজেলায় চায়না দুয়ারি জাল তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে।চাটমোহর উপজেলা মৎস্য বিভাগ বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলেছে। কিন্তু অধিকাংশ বিলে অসংখ্য জাল পেতে মাছ ধরা হচ্ছে।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা জানান,ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়েছে। চায়না দুয়ারি জালের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গুরুদাসপুরে চতুর্থ শ্রেণির শিশু জন্ম দিল এক নবজাতক
গুরুদাসপুর প্রতিনিধি ঃধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির সেই শিশুটি ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নবজাতকটির জন্ম দিয়েছে ১১ বছরের শিশুটি। মা এবং নবজাতক দুজনেই সুস্থ্য আছে। জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নার্গিস তানিমা ফেরদৌস ও এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ফেরদৌস রহমানসহ ছয় সদস্যের চিকিৎসক টিম শিশুটির সিজারিয়ান অপারেশন করেন।
গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নার্গিস তানিমা ফেরদৌস বলেন, প্রসূতি শিশুটির বয়স একেবারেই কম। একারণে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে জরায়ু ছিড়ে যাওয়াসহ নানান ধরণের ঝুঁকি ছিল। একারণে সিজারিয়ান অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে শিশুটির শরীরে রক্তের মাত্রা কম থাকায় দুই ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। অপারেশনের মাধ্যমে ৩ কেজি ওজনের ফুটফুটে সন্তান জন্ম দিয়েছে ওই শিশু। অপারেশন পরবর্তী সময়ে দুজনেই সুস্থ্য রয়েছে।
নবজাতককে কোলে নিয়ে শিশুটির চাচি অভিযোগ করেন, নবজাতক জন্ম নিয়েছে ঠিকই, তবে পরিচয় নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। পিতা-মাতা হারা শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছিল প্রতিবেশি দাদা জাহিদুল খাঁ (৫৫)। জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হলেও বিচার পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবারে। কারণ জাহিদুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে হুমকি দিচ্ছে তার স্বজনেরা।

উল্লাপাড়ায় ইউটিউবার মানিকের সাফল্য

ডাঃ আমজাদ হোসেন, উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একজন সফল ইউটিউবার চিত্রপুরী কৃষিচিত্র এর রফিকুল ইসলাম মানিক (মানিকের ) মানবিক কাজগুলো প্রশংসা পাচ্ছে। তার মানবিক কাজে গরীব অসহায় ঘরহীন কিংবা ভাঙ্গাচোরা ঘরে বসবাস করা বহু পরিবারকে নতুন বসতঘর করে দেওয়া হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থায় টিউবওয়েল বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে । মসজিদ কিংবা মাদরাসায় পানির সুব্যবস্থায় সাবমারজিবল টিউবওয়েল বসিয়ে দেওয়া , প্রতিবন্ধীদেরকে হুইল চেয়ার ও বহুজনকে চিকিৎসায় নগদ টাকা সহায়তা করা হয়। এছাড়া সপ্তাহের একদিন শুক্রবার দুপুরে তার বসতবাড়ী উল্লাপাড়ার পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়া গ্রামে মেহমানখানায় গরীব অসহায়দের মেহমানদেরকে এক বেলা খাবার খাওয়ানো হয়।
জন্মদিনের উপহার ৩০ হাজার গাছের চারা ২০ হাজার কলম

সিংড়া প্রতিনিধিঃ নাটোরের সিংড়ায় মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কলম উপহার দিয়েছেন ওহিদুর রহমান কবির নামে এক বাবা। গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সিংড়া দমদমা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩২ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে কলম উপহার দেন তিনি। সিংড়া পৌর শহরের চকসিংড়া মহল্লার বাসিন্দা ওহিদুর রহমান কবির একজন সাহিত্যানুরাগী ব্যক্তি। ছোট মেয়ে সঙ্গীতা কবির শাম্মী’র ১২তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে তিনি মেয়ের শ্রেণীর ৩২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে কলম উপহার দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া দমদমা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক, সিংড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. এমরান আলী রানা, সাংবাদিক মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বাবুল হাসান বকুল প্রমুখ। মুক্তধারা সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিচালক ওহিদুর রহমান কবির দুই মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবছর গাছের চারা ও কলম বিতরণ করে থাকেন। এ যাবৎ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩০ হাজার গাছের চারা ও ২০ হাজার কলম বিতরণ করেছেন। এছাড়া ২০০২ সাল থেকে প্রতিবছর মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের আপ্যায়ন করান। ওহিদুর রহমান কবির বলেন, সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি বাড়ানোর লক্ষে ও মানবতার জন্য এসব কাজ করেন তিনি। যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এসব কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।

ভাঙ্গুড়ায় হলুদ সাংবাদিকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুরার কথিত দুই হলুদ সাংবাদিকের অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ বিচার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও স্থানীয় প্রশাসনকে স্মরকলিপি প্রদান করেছেন। গত (২৯ আগষ্ট) মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিণ পাড়া সড়কে সর্বস্তরের জনগণ ও ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ ব্যানার প্রদর্শন করে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগে জানান, কখনও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে ও ছত্রছায়ায়, আবার কখনও ভাঙ্গুরা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, কখনও সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দিয়ে অত্র উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। দুগ্ধশীতলিকরণ কেন্দ্র, ঘি—ছানা তৈরীর কারখানা, বেকারী, ভেকু দিয়ে পুকুর খননে, হতদরিদ্র জেলেদের মাছ শিকারে, কসাই খানা সহ ইত্যাদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে মোবাইল কোর্টের ভয়ভীতি দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদাদাবী করে টাকা নিয়ে থাকেন। এই নিরীহ ব্যবসীয়গণ ও ব্যক্তিবর্গ কথিত রায়হানগংদের হয়রানি ও চাঁদাবাজির হাত থেকে বাঁচার জন্য বাধ্য হয়ে তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের এহেন অনৈতিক চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিরুদ্ধে কারোরই টু শব্দই করার উপায় নেই।
ফলে ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের এ দূর্ভোগ, হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়া একান্ত আবশ্যক বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন। সমাজে বিত্তশালিদের বø্যাক মেইল করে অর্থ উপার্জন করাই তাদের মূল টার্গেট। মিথ্যা ও ভিত্তীহিন সংবাদ পরিবেশনের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। অতীত ও বর্তমানে তদন্ত করলেই এ সত্যতা মিলবে। তাদের এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এলাবাসী ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ তাই আজ গর্জে উঠেছে। বক্তারা কথিত দুই হলুদ সাংবাদিককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

রায়গঞ্জে জায়গা বেদখলেরপ্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

প্রদীপ কুমার ভৌমিক, রায়গঞ্জ ঃ রায়গঞ্জে চান্দাইকোনা ইউনিয়ন রিকসা শ্রমিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের জায়গা, দোকান ও অফিস ঘর বেদখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়ন শ্রমিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের আয়োজনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শেষে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রিকসা শ্রমিক সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছাইদুল ইসলাম চাঁন। বক্তব্য রাখেন, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলামিন সরকার, রিকসা শ্রমিক সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ ছাবেদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেজা প্রমুখ। বক্তাগণ অনতিবিলম্বে শ্রমিকদের জায়গা, দোকান ও অফিস ঘর বেদখলকারী চান্দাইকোনা গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে শাহাদৎ শেখের কবল থেকে বেদখলকৃত জায়গা মুক্ত করার দাবি জানান। এর অন্যথা হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের আল্টিমেটাম দেন। কর্মসূচি শেষে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে স¥ারকলিপি প্রদান করেন।

চাটমোহরে জানালার গ্রিল কেটে স্বর্ণালঙ্কার চুরি
চাটমোহর প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহরে একটি বাড়ি থেকে গভীর রাতে চুরি সংঘঠিত হয়েছে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের অলোক মজুনদার মাস্টারের বাড়িতে সংঘবদ্ধ চোরেরা জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে থাকায় রক্ষিত নগদ টাকা আড়াই ভরি স্বর্ণের গহনাসহ মুল্যেবান মালামাল নিয়ে চোরেরা পালিয়ে যায়।
পরে সকালে জেগে দেখে ঘরের জিনিসপত্র এলেমেলে এবং সবকিছু চোর চুরি করে নিয়ে গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গুনাইগাছা গ্রামের বাসিন্দা অ¤øান। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, চুরির ঘটনায় প্রায় তিন লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এব্যাপারে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা জানান, চুরির ঘটনাটি শুনেছি, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রায়গঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষক ইস্যুতে মানববন্ধন

রাশিদুল হাসান, রায়গঞ্জ ঃ রায়গঞ্জে মাদ্রাসার টাকা আত্মস্যাতকারী, নানা অনৈতিক কাজে জড়িত ও বহিস্কৃত মোহতামিম মাহমুদুল আলম ও তার দোসরদের বেতুয়া মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকাল ৪টায় রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে এলাকাবাসী এই বিশাল মানব বন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বেতুয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন দুলাল, স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুব আলম, খোন্দকার মোহাম্মাদ শফি, হাজী সাইদুল ইসলাম, এলাকার প্রধান ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ। বক্তরা বলেন, বহিস্কৃত মোহতামিম মাহমুদুল আলম মাদ্রাসার অর্থ আত্মস্যাৎ করাসহ নানা প্রকার অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে বহিস্কৃত হওয়ার পরও তার বিভিন্ন দোসরদের সাথে নিয়ে মাদ্রাসা দখল করে তার সপদে আসীন হওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা ঐ দুর্নীতিপরায়ন মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার চার্জশীট প্রদানের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

ভাঙ্গুড়ায় নারী ছাগল চোর

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ছাগল চুরির অভিযোগে নারীসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে ভাঙ্গুড়া থানা-পুলিশ। এরা হলেন,রুবেল(৩৪), জুয়েল (৩০) ও রোকেয়া খাতুন (৪৫)। তাঁদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরের বিভিন্ন এলাকায়। গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার অষ্টমনিষা হাইস্কুল মাঠ থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাঁদেরকে আটক করে।রাতে তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়।

পুলিশ বলছে,আটক সবাই আন্তজেলা চোর চক্রের সদস্য। এসময় তাঁদের কাছ থেকে চুরি হওয়া একটি ছাগল ও তাঁদের ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান, অষ্টমনিষা হাইস্কুল মাঠ থেকে ছাগল চুরির সময় এলাকার লোকজনের সহায়তায় হাতেনাতে তাঁদেরকে আটক করা হয়। এঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

সিংড়ায় ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সিংড়া িপ্রতিনিধিঃ নাটোরের সিংড়ায় ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার ( ৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন। বিএসটিআইয়ের অনুমোদনবিহীন, মাপে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি তৈরি ও বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সিংড়া বাজারের শিপ্রা দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ৭ হাজার টাকা, জননী দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ হাজার টাকা, জয় দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে দেড় হাজার টাকা, মাদ্রাসা মোড়ে খাদিজা কসমেটিকসকে ৫ হাজার টাকা ও রংধনু কসমেটিকসকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিএসটিআই কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার শরিফ হোসেন প্রমুখ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন বলেন, বিভিন্ন অপরাধে ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তারা যেন না ঠকে সেজন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

গুরুদাসপুরে পালিত হলো শ্রীকৃষ্ণের মহা জন্মাষ্টমী
আবুল কালাম আজাদ ঃ নাটোরের গুরুদাসপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা,আলোচনা সভা, প্রার্থনা,পদাবলি কীর্তন, কৃষ্ণ পুজাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপিত হলো। সকালে উপজেলার গুরুদাসপুর বাজার ও চাঁচকৈড় এ পৃথক দুটি স্থানে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবনী রায় ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে সকাল ৮ টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি চাঁচকেড় হরিসভা চত্তর থেকে বের হয়ে পৌরসভার চাঁচকৈড় ও গুরুদাসপুর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে চাঁচকৈড় হরিসভায় এসে শেষ হয়। এর আগে গুরুদাসপুর বাজার থেকে অনুরুপ একটি শোভাযাত্রা বের হয়। সেখানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ।উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শ্রাবনী রায় বলেন,বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমঅধিকার নিয়ে বসবাস করছেন। উৎসব পালনে ধর্মের দেয়াল বাধা হয়ে দাড়ায় না, বরং প্রতিটি উৎসব সার্বজনীনভাবে পালিত হয়। চাঁচকৈড় ও গুরুদাসপুরে পৃথক বর্নাঢ্য র‌্যালীতে সনাতন ধর্মীয় পূজা উদযাপন কমিটির নেতা নেতা অসিম কুমার পাল, প্রশান্ত কুমার মানি,জগো বর্মন,মদন কুমার কুন্ডু,অশোক গোস্মামী,উত্তম কুন্ডু,মাধব সাহা,সুজীত সরকার নেতৃত্ব দেন। এতে কয়েক শত শ্রীকৃষ্ণ ভক্তানুসারী অংশ গ্রহণ করেন।

রায়গঞ্জে মেধাবী ছাত্র আব্দুল্লাহকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
স.ম আব্দুস সাত্তার ও রাশিদুল হাসান, রায়গঞ্জ : জটিল কিডনী রোগে আক্রান্ত রায়গঞ্জের অনার্স পড়–য়া মেধাবী ছাত্র আব্দুল্লাহ (১৯) বাঁচতে চান। তার প্রাণ বাঁচাতে কিডনী প্রতিস্থাপন করা জরুরী। কিন্তু অর্থাভাবে তা করা যাচ্ছে না। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের নলছিয়া দড়িপাড়া গ্রামের রিকশা চালক মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ। তিনি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের কলেজের বাণিজ্য শাখার অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি জটিল কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এর মধ্যে রিকশা চালক বাবা মোহাম্মদ আলী ছেলেকে বাঁচাতে ব্যয়বহুল চিকিৎসায় স্ত্রীর গহনাসহ বাড়ির অস্থাবর সব সম্বল শেষ করেছেন।
আব্দুল্লাহ জানান, এখন প্রতি সপ্তাহে দুইবার ডায়লেসিস করতে হচ্ছে। তার চিকিৎসক তাকে জরুরী ভিত্তিতে কিডনী প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। মা নুরজাহান বেগম ছেলেকে বাঁচাতে তার নিজের একটি কিডনী দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিডনী প্রতিস্থাপনে দরকার বিপুল পরিমাণ টাকা। সে টাকার কোন সংস্থান এখনও হয়নি। আব্দুল্লাহর বাবা তার ছেলেকে বাঁচাতে দেশের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যক্তিদের নিকট আর্থিক সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD