গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরের প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই তুলে দেওয়া হলেও চাহিদার অর্ধেকই ছিলো ঘাটতি। প্রতিটি বিষয়ের বই সরবরাহ না থাকায় কোনো কোনো শ্রেণীতে কেবল দু-তিনটি বিষয়ে বই দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এদিকে প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে নতুন বইয়ের ঘ্রান নিতে এসে বই না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে শিক্ষার্থীরা।
প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর মোট ৯ হাজার ১৩৭ শিক্ষার্থীদের বিপরীতে কেউই নতুন বই পায়নি। উপজেলা প্রাক প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৭২১ জন, প্রথম শ্রেণীতে ৪ হাজার ৬৯৩ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৪ হাজার ৪৪৪ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ৪ হাজার ৫৭৮ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ৪ হাজার ৫২৭ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ৯৫ জন।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাযায়, উপজেলায় ১২৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯০টি সরকারি, ৩৫টি কিন্ডারগার্ডেন, ২টি ব্রাক, ১টি পিডিএস ও ১টি নৌকা স্কুলের বিপরীতে ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুযায়ী ১লাখ ৮৮ হাজার ৫১৮ কপি বই প্রয়োজন। এরমধ্যে সোমবার পর্যন্ত পাওয়া গেছে মাত্র ৪৯ হাজার ৮২৫ কপি বই। এ হিসেবের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বই পাওয়া গেছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তৃতীয় শ্রেণীর ইংরেজি, বিজ্ঞান, ধর্ম, চতুর্থ শ্রেণীর ইংরেজি, ধর্ম, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি এবং পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিস্থিতি বই সম্পূর্ণভাবে পাওয়া গেলেও বাকি বইগুলো এখনো সরবরাহ পাইনি। পাওয়া মাত্রই শিশুদের হাতে বই তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা কর্মকর্তা মো. গোলাম নবী বলেন, জেলায় চাহিদার ৮ লাখের মধ্যে ২লাখ ৫০ হাজার বই ইতোমধ্যে সরবরাহ পেয়েছি। অবশিষ্ট বইগুলো পাওয়া মাত্রই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ওয়াহেদুজ্জামান জানান, উপজেলার মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, কারিগরি, এবতেদায়ী ও সংযুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসায় ৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৩ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর বিপরিতে বইয়ের চাহিদা ২ লাখ ৭৮ হাজার ৭০০টি। সোমবার পর্যন্ত পাওয়া গেছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬০০টি বই। এ হিসেব মতে চাহিদার তুলনায় ৫৮.৭০ শতাংশ বই পাওয়া সাপেক্ষে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ৭ম শ্রেণীর ১২টির মধ্যে পাওয়া গেছে ৮টি করে বই। ৮ম শ্রেণীতে ১৪টির মধ্যে পাওয়া গেছে ৮টি করে বই এবং ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর কোনো বই পাওয়া যায়নি। হিসেব মতে উপজেলায় কোনো পর্যায়েই পুরো ছিলেবাসের বই পাওয়া যায়নি। অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক হতাশ হয়েছেন।