চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অধ্যুষিত আশপাশের উপজেলায় মোটরসাইকেলের একমাত্র জ্বালানী পেট্টোল ও অকটেন মিলছে না। ভোজ্যতেল সয়াবিনের বাজার যখন চরম অস্থির, ঠিক তখনই পেট্টোল ও অকটেনের সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মোটরসাইকেল মালিকরা। ঈদের পর থেকেই এ দু’টি জ্বালানির সংকট শুরু হয়েছে।
শনিবার (৭ মে) থেকে পেট্টোল ও অকটেন শুন্য হয়ে পড়েছে চাটমোহরসহ আশপাশের উপজেলা। যে দু’একটি দোকানে ছিল, তা বিক্রি হয়েছে চড়াদামে। চাটমোহরের মেসার্স সালসাবিল ফিলিং স্টেশনে পেট্টোল ও অকটেন শেষ হয়ে গেছে। কিছু মহাজন পেট্টোল ও অকটেন মজুত করে বিক্রি করলেও, তা ফুরিয়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সালসাবিল ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, পেট্টোল ও অকটেন না থাকায়, সেটি বন্ধ রয়েছে। উপজেলার হাট-বাজার ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে, যে সব স্থানে এই দুইটি জ্বালানি বিক্রি হতো, সে সব স্থানে আর পেট্টোল ও অকটেন মিলছে না।
সালসাবিল ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী কে এম সাঈদুউল-ইসলাম কাফি বলেন, মজুত শেষে নতুন করে সরবরাহ না পাওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে। আজ-কালের মধ্যেই সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চাটমোহরে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারিদের দখলে
চাটমোহরে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি ও অতিরিক্ত দামে সেই টিকেট বিক্রি চলছে অনেকটা প্রকাশ্যেই। সংশ্লিষ্টরা জেনেই এ বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ঈদ পরবর্তী সময়ে চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারী মহামারী আকার ধারণ করেছে। তিনগুন, চার গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে এই টিকেট।
চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিকেট ছাড়ার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যেই সব টিকেট শেষ হয়ে যাচ্ছে। কালোবাজারী সিন্ডিকেট শুধু চাটমোহরের টিকেটই নয়। তারা রাজশাহী-ঢাকা, ঈশ^রদী-ঢাকাসহ সকল স্টেশনের টিকেট কেটে নিচ্ছে। পরে সেই টিকেট বিক্রি করছে চড়া দামে। চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনের একাধিক চাস্টলে কালোবাজারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা টিকেট বিক্রি করছে। টিকেট না পেয়ে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই কালোবাজারীদের কাছ থেকে টিকেট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে রেলওয়ের কোন কর্মকর্তা এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। ট্রেনের টিকেট কালোবাজারী অব্যাহতভাবে চললেও, প্রশাসন তা বন্ধ করতে পারছেন না।