গুরুদাসপুর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরের খাবার হোটেলগুলোতে ছোট হয়ে আসছে পরোটার আকার। পরিমাণে সবজিও কমেছে। চা স্টলগুলোতে চার সঙ্গে মিলছে না প্রয়োজনমতো চিনি। বিলাসবহুল হোটেলগুলোতেও খাবারের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ালে কাস্টমার হারানোর আশংকায় ছোট হোটেলগুলো অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। কাস্টমারকে দেওয়া খাবারের পরিমাণ কমিয়ে চলছে টিকে থাকার চেষ্টা।
গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারের আব্দুল্লাহ রেস্তোরাঁর মালিক হাজী মো. জয়নাল বলেন, পরোটা আকারে ছোট করতে বাধ্য হয়েছি। ৫ টাকার পরোটা এখন ১০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। একবাটি সবজি ৫ টাকা ছিল, এখন ১০ টাকা করেছি। শুধু হোটেল রেস্তোরাঁয় নয় মধ্য ও নি¤œবৃত্তের ঘরেও বাঁচার জন্য শুরু হয়েছে এ কৃচ্ছতার সাধন। স্বল্প আয়ের মানুষ সাধারণত ১০ টাকার দুই পরোটা ও ১০ টাকার ডাল কিংবা সবজি দিয়ে সেরে ফেলতো সকালের নাস্তা। তেল, ডাল, সবজির মূল্য বৃদ্ধির কারণে ২০ টাকার নাস্তা এখন ৪০ টাকায় সারতে হচ্ছে। চাল স্টলের মালিক সাইফুল ফকির বলেন, ক্রেতার চাহিদামতো চা-য়ে চিনি, আদা, লবঙ্গ দিতে পারছি না। তা ছাড়া জ্বালানী খড়ি ও এলপি গ্যাসের দাম বেড়েছে। ৪৮ টাকার চিনি এখন ৮০ টাকা। গুরুদাসপুরের মুদি দোকানদার মিলন ও মিল্টন দুই ভাই বলেন, চা, মসলা, চাল, আটা ও আটা সামগ্রিসহ মাছ মাংস ডিম সবকিছুর দাম বাড়ছে হু হু করে।