একুশে ফেব্রুয়ারী মানুষ হতাশায় কেন

Spread the love

ডাঃ আমজাদ হোসেন মিলন

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।
ফিরে পেলাম অমর একুশে ফেব্রুয়ারী
হতাশায় জর্জরিত পুরুষ কিংবা নারী।
শত শহিদের রক্তে রঞ্জিত, অর্জিত স্বদেশ।
যুদ্ধ বিগ্রহ আর হানাহানিতে লিপ্ত আজ পরাধীনতার গ্লানী হতে মুক্ত এ দেশ।
কোন এক পরা শক্তি এসে দানা বেঁধে
চেপে বসেছে মোদের ঘারে।
সেদিন ছিল শোকাহত অশ্রু ঝরা দিন
মনে পরে কি তাই বারে বারে। কিন্তু সেই
বাঙালী জাতী আজ পরাধীনতায় আবদ্ধ।
যুদ্ধ করে কি লাভ, কি পেয়েছে জাতী
যতই দিন গড়িয়ে যাচ্ছে বাড়ছে ভয়াবহ,
অগ্নিশিখার মত দাঁউ দাঁউ করে জ¦লে উঠে দ্রব্যমুল্য হচ্ছে উর্ধগতি।
দেখার নেই কেহ প্রতিবাদ করবে কে –
যেই করবে প্রতিবাদ, সেইতো যাবে জেলে,
জনগণ আজ বাকরুদ্ধ নাহি নিস্তার।
যে গরবে সমর করবে যুদ্ধ ন্যায়ের পক্ষে
চেপে ধরবে ললাট তোমার ঢুকাবে কারাকক্ষে।
বুঝবে তখন পাবে মজা এ কেমন দেশে জন্ম তোমার
উচিত কথা বললেই পাবে সাজা, মদ গাজা ভাঙ হিরোইন সেবীদের দৌরাত্ম যেন বেড়েই চলেছে।
বেড়েছে দিগুন সয়াবিন তেলের দাম, গ্যাস,চিনি,কাপড় সহ যত সরঞ্জাম।
চাউল ,ডাউল,শরিষা তৈল,নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য
ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে মুল্য যেন লাগামছাড়া
সামর্থ নেই কেনা জিরা মশলা সাবান।
বেড়েছে সুদের প্রকোপ ঘুষে ভরা অফিস
কালো হাতের ছোবল রুখবে কে,নাহি কারো সাহস।
জনগণ আজ মুক্তি পেয়েও যেন পরাশক্তির চার দেয়ালে বন্দি।
কোন কাজই হয় না সহজে,তারা বলে
সরকারী নিয়ম যাবে কোথায় তবে।
জন্মনিবন্ধন তথা মৃত্যু সনদ
কিংবা অরিশিয়ান (শরীকানা) সনদপত্র
তুলতে গেলেই বাড়ে যত ঝামেলা
ও দিকে ড্রাগলাইসেন্স নবায়ন করতে
ড্রাগপ্রশাসন করে ঘুষ বানিজ্য।
সরকার নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা দেওয়ার পরেও ওরা বলে আমরা কিছু পেয়ে থাকি।
সরকার নির্ধারিত ফি ছারাও গড়ছে তারা ঘুষের রাজ্য। কে করবে তার প্রতিবাদ
জনগনকে জিম্মি করে স্বার্থ হাসিলে ব্যাস্ত
কে সেই ক্ষমতাবান তুমি বলবে কারে
যাকে বলবে সেই তোমার প্রতি ক্ষিপ্ত হবে
বয়ষ্ক কিংবা বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন করতে গেলে
ক্ষমতাবান কর্মি আশ্বাস দেয় পাঁচ হাজার টাকা দিলেই
আপনাকে বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।
প্রতিবাদ করবে কে সাহস নিয়ে দাঁড়িয়ে
জনগণের ভোটাধিকার কে নিল কেড়ে।
কে দিবে জবাব সেটি গ্রাম কিংবা সংসদে
তুমি থাকবে বোবা হয়ে, বলবে না কথা।
গড়ছে প্রাসাদ, করছে গাড়ি, ধরছে নারী,
ভরছে সিন্ধুক, তবুও থেমে নেই তাদের অবৈধ সম্পদ গড়ার মানষিকতা।
চেপে ধরে ললাট, রুদ্ধ করে স্বাধীনতা।
জানি উচিৎ লেখা বড়ই অপরাধ
হয়ে যাবে সাজা, তবুও থামবে না মসি
চলবে সোজা কলম ধরেছি কষি।
সাংবাদিকতা শব্দটি সহজ হলেও
সত্য লেখা বড় দায়, যদি লিখি তবে ,
জবাব দিহিতা নয়তো মিথ্যা ডিজিটাল মামলায় জরিয়ে কারাগারে ভরে দেবে।
তখন নিস্চুপ নিঃশব্দে শত যন্ত্রণা আর আঘাত নিয়ে সহ্য করতে হবে
বন্দীসালার সকল অবৈধ শাস্তি। তখন কিছু কলম সৈনিক আবেগ আপ্লুত হয়ে
ফেস্টুন ব্যানার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাবে
কিন্তু কে শুনবে তাদের কথা, কে দেবে সারা। এটাই আমার প্রিয় জন্মভূমি প্রিয় বাংলাদেশ।

 

 

 

 

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD