এম. রহমত উল্লাহ্
বৃটিশ পেরিয়ডে চলনবিলে কেউ সাংবাদিকতা করেছে কিনা জানা যায় নাই। পাকিস্তান হওয়ার আগে দু’এক কলম লিখতেন এম.সেরাজুল হক। তার লেখনি কলিকাতার আজাদ পত্রিকায় ছিটে ফোটা পরিলক্ষিত হয়। এরপর পাকিস্তান কায়েম হওয়ার পর ১৯৬৩ সনে এম.সেরাজুল হকের মৃত্যুর পর বিরান চলনবিলে সাংবাদিকতায় যিনি প্রথম কলম ধরেন তিনি মাওলানা রুহুল আমীন। ছাত্র জীবন থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে লিখতে শুরু করেন। পরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার চলনবিল প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। চলনবিলের সুখ দুঃখের নানা খবর জাতির সামনে তুলে ধরে অনেক সুনাম অর্জন করেন। ১৯৮৮ সনে চলনবিলের বানভাসী মানুষের দুঃখ দুর্দশার খবর প্রচারে তার লিখনি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। সরকার তথা বিভিন্ন এনজিও সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে আসে। দীর্ঘদিন তিনি চলনবিলের নানা দৃশ্য ও ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ জাতির সামনে তুলে ধরে উন্নয়নে সহায়তা করতে সক্ষম হন। এছাড়া তাড়াশে প্রেসক্লাব তারই হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান। তিনি গল্প, কবিতা, ছড়া লিখতেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন। তাড়াশের সাহিত্য অঙ্গনেও তাঁর দৃশ্যমান পদচারণা লক্ষ্যনীয়। চলনবিল জেলা গঠনের আহবায়ক কমিটিতেও তার অবদান ছিল। সহসা তাঁর অকাল মৃত্যু চলনবিলের সাংবাদিকতায় ও সাহিত্য অঙ্গনের অপুরণীয় ক্ষতি পূরণ হবার নয়। তিনি প্রায় ৭০ বছর বৎসর বয়সে স্ত্রী ছেলে মেয়ে ও অনেক গুনগ্রাহী রেখে চলে গেছেন। তাঁর বিদায়ী আত্মার মাগফেরাৎ কামনা করে শেষ করছি।