নারীদের অধীকার আদায়ে অগ্রনী হতে হবে, সাহসী হতে হবে
– অধ্যাপক আব্দুক কুদ্দুস এম পি
আবুল কালাম আজাদ:অনেক বড় বড় পদে নারীরা অধিষ্ঠিত হলেও সমতা আসেনি। এখনো তারা বৈষম্যের শিকার । ২০১০ সালে সাংবিধানিকভাবে নারী পুরুষের সমান অধিকার দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। অগ্রনী হতে হবে,সাহসী ও প্রতিবাদী হতে হবে। তাহলে তারা প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ সর্বোচ্চ পদে আসীন হতে পারবেন। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ হলে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মোঃ আব্দুল কুদ্দুসএসব কথা বলেন। তিনি কাজীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আপনারা সরকারের আইন অমান্য করে বয়স গোপন করে শত শত বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। রাষ্ট্রে র বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকতে পারবেননা।
উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে ইউ এন ও মো. তমাল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন,কন্যা শিশুকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি।আমার নিজেরও প্রথম সন্তান কন্যা। সবারই গর্ব্বোধ করা উচিত। দেশের ১৮ কোটি জনসংখ্যার ৯ কোটি নারীর ১৮ কোটি হাতকে কাজে লাগাতে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা কর্মসুচি গ্রহন করেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও একদিন কন্যা শিশু ছিলেন, আজ তিনি প্রধানমন্ত্রী। আজকে যে কন্যা শিশু আগামি দিনে সে প্রধানমন্ত্রী হতে পারে।আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন , উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো.আলাল শেখ,অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আব্দুল মতিন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, ইউপি চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও আলাউদ্দিন ভুট্টু,সরকারি মডেল পাইলত হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম মিঠু , সাংবাদিক আলী আক্কাস প্রমুখ ।জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “আমরা কন্যা শিশু,প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হবো,ডিজিটাল বাঙ্গলাদেশ গড়বো”।এসময় সরকারি কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, শিক্ষক, সাংবাদিক, কাজী , স্কুল-কলেজের নারী শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।