গুরুদাসপুর পৌরসভায় ২৫ বছরে হোল্ডিং বেড়েছে ১৫ শতাংশ

Spread the love

আবুল কালাম আজাদ।। ১৯৯১ সালে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভা স্থাপিত হয়েছে।১১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের  ‘গ’ শ্রেনির মর্যাদায় গুরুদাসপুর পৌরসভার   যাত্রা শুরু হলেও প্রথম অবস্থায় হোল্ডিং সংখ্যার সঠিক হিসাব ছিলনা। বর্তমানে  ‘ ক’ শ্রেনির মর্যাদার পৌরসভায় ২০০১ সালের শুমারির পরিসংখ্যানে জনসংখ্যা ২৯ হাজার ১১০জন। ওয়ার্ড সংখ্যা ৯ টি। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ২ হাজার ৬ শ, জন।

১৯৯১ সালে গুরুদাসপুর পৌরসভার যাত্রা শুরু হলেও রাজস্ব আদায়ের জন্য ডোর টু ডোর গিয় হোল্ডিং এসেসমেন্ট  জরিপ করা ১৯৯৪-৯৫ অর্থ বছরে। এবছরে প্রথম এসেসমেন্ট জরিপে মোট হোল্ডিং  সংখ্যা ৭ হাজার ৫২১ টি ট্যাক্সের আওতায় আসে। নিয়ম মোতাবেক প্রতি ৫ বছর পরপর হোল্ডিং এসেসমে ন্ট করার নিয়ম থাকলেও  তা করা হয়নাই। দীর্ঘ ২৫ বছর পর ২০২০-২১ অর্থ বছরে হোল্ডিং এসেস করা হয়। জরিপে মোট হল্ডিং সংখ্যা হয়েছে ৮ হাজার ৬৬৩ টি।  সর্বশেষ এসেস রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে  ২৫ বছরে হোল্ডিং সংখ্যা বেড়েছে  ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১ হাজার ১৪২ টি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার কর নির্ধারক মো; মোতালেব হোসেন জানান PWD Plinth Area Rates ( PLAR) ২৯৪ মোতাবেক ২০০৯ সালের আইনে এবং ২০১৩ সালের বিধিমালা মেনে ডোর-টু-ডোর প্রতিটা ঘরের এসেস করা হয়েছে।পৌর মেয়র মোঃ শানেওয়াজ আলী বলেন,  প্রতি ৫ বছর পর পর পৌরসভার এসেসমেন্ট করার নিয়ম থাকলেও দীর্ঘ ২৫ বছরের ব্যবধানে এসেস করতে গিয়ে সরকারি নিয়মে ২৭%  হোল্ডিং কর নির্ধারনে নগরবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। নগরবাসির অর্থনৈতিক অবস্থা ভেবে ৯% কমিয়ে ১৮% করা হলেও জনগন না মানায় জনগনের মতামতের ভিত্তিতে চুড়ান্ত কর নির্ধারনের জন্য প্রতিটা ওয়ার্ডের জনগনের  সাথে মতবিনময় করা হচ্ছে।আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই এর সমাধান হবে।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD