স্টাফ রিপোর্টার : আজ ১৪ জুলাই সকাল ১১টার দিকে করোনার ভ্যাকসিন নিতে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ এর কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমি একা নই। আমার মত আরো ৪০-৫০ জন ওই সংকীর্ণ করিডোরে গাদাগাদি করে কে কার আগে ভ্যাকসিন নিবে তাই নিয়ে ঠেলাঠেলি, প্রতিযোগিতা করে চলেছে। পরিবেশটা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং করোনার কারণে বিপৎজ্জনক মনে করে আপাতত ঢুকে পড়লাম পাশের উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. জামাল মিয়া শোভন এর রুমে। সেখানে আগে থেকেই কিছু লোক বসেছিল। তিনি আমাকে দেখে চিনলেন। তাকে বললাম, আমি টিকা নিতে এসেছি। তবে টিকা দানের আগ্রগতি ও সমস্যা থাকলে কিছু বলুন। জবাবে উক্ত কর্মকর্তা জানালেন, আমি এসব কিছুই জানি না , এসবের খবরও রাখি না। দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যানবিদের কাছে যান , জানতে পারবেন।তিনি আমাকে মাস্ক নাকের উপর তুলতে বললেন। অথচ খেয়াল করলাম, তার নিজের মুখে কোন মাস্ক নেই, ধারে কাছে কোথাও না। এরপর তিনি আমাকে শুনিয়ে তাড়াশের জনৈক সাংবাদিকের সমালোচনা দিয়ে শুরু করে স্থানীয় সাংবাদিকদের নানা নেতিবাচক গীতগান করে যাচ্ছিলেন কোন প্রসঙ্গ ছাড়াই। আমাকে ইংগিত করে বললেন, তিনি তো কখনো আসেন না, এই প্রথম। এ সময়ে তিনি তার সামনে বসা কিছু লোকের সাথে গোপন আলাপ করবেন বলে অন্যদের রুম থেকে চলে যেতে বলেন। এরপর সেখানেই আগত জনতার সাথে ওই ডাক্তারের দু’দফা ঝগড়াঝাটি হয় বলে জানা যায়।
পরে হাসপাতাল থেকে চলে আসার পূর্বে ক্ষেভে-দু:খে আমি আবারো তার অফিসে গিয়ে বললাম, আপনাদের টিকাদানের পরিবেশটা আপনি দেখেছেন কি? এটা করোনার ঝুঁকি আরো বাড়াবে। ওখানে জনতার ভীড়, শৃঙ্খলা নেই। আর আপনি এখানে গল্পের দরবার বসিয়েছেন। তাছাড়া আপনার নিজের মুখে মাস্ক নেই, অথচ অন্যদের সেজন্য তালিম দিচ্ছেন – এটা কেমন। শুনে তিনি আমার উপর তেলে বেগুনে জ¦লে উঠেন। তার অশোভনীয় আচরণ দেখে আমি নীরবে তার কক্ষ থেকে বের হয়ে চলে আসি। বাইরে লোকেরা তখনো তার খিস্তি করে যাচ্ছিল। এই কর্মকর্তার বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড এর আগেও আমরা শুনেছি ও পত্রপত্রিকায় পড়েছি। এবারে চাক্ষুস সব দেখেশুনে মনে হল – এটাই হল তাড়াশের ‘শোভন’ ডাক্তারের ‘অশোভন আচরণ’। প্রশ্ন ওঠে, এমনি ব্যবহার-বৈশিষ্ট্যের চিকিৎসক কীভাবে সাধারণ মানুষের সেবা-সহযোগিতা দিয়ে তাদের মন জয় করতে পারবেন!