করণা আতঙ্কে করণীয়

Spread the love

বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শুকুর মাহমুদ, কথা সাহিত্যিক ও কলামিষ্ট।
শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ। মোবাইল-০১৭৮২-৪৫৭৭৮৩।

বিশ্ব জুড়ে চলছে মহামারি আতঙ্ক করোনা ভাইরাস। ভয়ংকর কিন্তু এটি মুসলমানদের জন্য আতঙ্ক নয়। প্রকৃত ইমানদার বা মোমেনের বিশ্বাস যা কিছু হয় আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়। করোনা ভাইরাস ভয়ংকর বটে তবে বেইমান, মুশরিক, কাফেরদের জন্য, আর দূর্বল ইমানদারদের জন্য। এ মহামারি হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে সতর্ক সংকেত। আল্লাহর সৃষ্টি যত মাখলুক আছে তার মধ্যে মানব জাতি তাঁর অতিপ্রিয় মাখলুক আশরাফুল মাখলুকাত। মানুষ দুনিয়ার জগত শেষ করে তার কৃতকর্মের ফলে পরকালে জাহান্নামের অফুরন্ত আযাব, সীমাহীন শাস্তি ভোগ করুক তা আল্লাহ চান না। তিনি চান আমার প্রিয় মাখলুক জান্নাতবাসি হোক। অথচ মানুষ যখন আল্লাহকে ভুলে যায়, নাফারমানি করে নিজেকেই বড় ভাবে তখন আল্লাহ সতর্ক করার জন্য মাঝে মধ্যে আযাব- গজব, মহামারি, দূর্ভিক্ষ দিয়ে থাকেন। আল্লাহর বাণী তাঁর প্রেরিত নবী ও রাসুলগণের দেখানো পথ অনুস্মরণ না করে মানুষ যখন বিরোধিতা করে তখনই আল্লাহর পক্ষ থেকে আসমানি বালা, আযাব-গজব, অদৃশ্য রোগ-বালাই, মহামারি, দূর্ভিক্ষ, অনাবৃষ্টি, অতি বৃষ্টি, প্লাবন, ঝড়-জলচ্ছ্বাস দিয়ে তাঁর পথে ফিরে নিয়ে আসতে স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁর কথা। এ সকল অনাকাংখিত বিপদ-আপদ দিয়েই তাঁর কাছে নিয়ে আসে বান্দাকে, যাতে কোন মানুষ জাহান্নামে না যায়। এর পরও যারা সতর্ক না হয় আল্লাহর পথে ফিরে না আসে তারাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

পৃথিবীতে এর নজির রয়েছে বহু। আল্লাহর নবী নূহ (আ.) এর সময়ে যখন মানুষেরা আল্লাহর আইন ও নবীর হুকুমের বিরোধিতা শুরু করল সে জাতিকে মহাপ্লাবন দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন। ফেরাউন বাদশার শাসনামলে আল্লাহর নাফরমানি করায় আসমানি বালা পঙ্গপাল দিয়ে সে জাতির উপর দূর্ভিক্ষ দিয়ে ধ্বংস করেছিলেন। পয়গম্বার লুৎ (আ.) এর সময়ে অবাধ্য জাতিকে এমনভাবে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন যাতে আজও সে এলাকা ধ্বংসের গভীরতা নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। পয়গম্বার সোয়াইব (আ.) এর উম্মতেরা নবীর হুকুম ও আল্লাহর আইনের বিরোধীতা শুরু করলে আকাশ থেকে আগুন বর্ষন হয়ে সে জাতিও ধ্বংস হয়েছে। আল্লাহর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে একেবারেই ক্ষুদ্র প্রাণী মশার আক্রমনে নমরুদ বাদশা সদলবলে ধ্বংস হয়ে গেছে। সিরিয়ার শাসক আবরাহা বাদশা আল্লাহর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে আবাবিল পাখির আক্রমনে ধ্বংস হয়েছে। এগুলো সবই আল্লাহ তাঁর বান্দাকে ভাল রাখার নজির। দুনিয়াতে মানুষ আল্লাহর হুকুম মেনে তাঁর গোলামী করে পরকালে জান্নাতবাসি হোক এটাই আল্লাহ চান।

পৃথিবী সৃষ্টিলগ্ন হতেই আযাব-গজব মহামারি অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, ঝড় জলচ্ছ্বাস, প্লাবন হয়েছে বহুবার। বহুদিন যাবত আফ্রিকা মহাদেশে আসমানী বালা পঙ্গপালের আক্রমণে দূর্ভিক্ষ অব্যাহত রয়েছে। সূত্রমতে জানা যায় যে, প্রতি একশত বছর পর পর একই সময়ে আল্লাহর এ সকল গজব আবর্তিত হয়েছে। জানা মতে ১৮২০ খ্রিস্টাব্দ ভারত উপ-মহাদেশে ম্যালেরিয়া-কালাজ্বরে মহামারি হয়েছিল। আসমানি সে বালা চলছিল দীর্ঘদিন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে ভারত উপ-মহাদেশে আসমানী আর এক বালা-কলেরা ও বসন্ত রোগে মহামারি সৃষ্টি হয়েছিল। সেটিও টিকে ছিল বহুদিন ধরে। ২০২০ খ্রিস্টাব্দের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে নভেল করোনা ভাইরাস এ বিশ্ব জুড়ে মহামারী এটি ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বরে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে চীনে। এটি এখন বিশ্ব জুড়ে মহামারী আতঙ্ক। এগুলো সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্ক সংকেত (হুশিয়ারি)। আল্লাহ বলেন, “হে মানুষেরা তোমরা যখন আমার নাফরমানি করবে আমি তোমাদের উপর মহামারি দিয়ে শায়েস্তা করব। মুসলমানদের বলা হয়েছে হে ইমানদারগণ তোমরা যখন ইমানি পথ থেকে বিপথগামী হবে তোমাদেরকে অমুসলিম দ্বারা শায়েস্তা করব।

বর্তমান বিশ্বব্যাপি শুরু হয়েছে মুসলিম নিধন অভিযান। সারা বিশ্বের সব জাতি গোষ্ঠি মিলে এক হয়ে চলছে মুসলিম বিরোধী সংগ্রাম। সেই সাথে মুসলিম দেশগুলোর শাসকেরা হয়েছে ইহুদী পন্থী, ইহুদী খ্রিস্টানদের হাতের নাচের পুতুল। তারা যেভাবে নাচাচ্ছে সেভাবেই নাচতে শুরু করেছে মুসলিম দেশের শাসকগণ। যে আরবের দিকে তাকিয়ে থাকে পুরো মুসলিম জাহান, সেই আরবেই এখন চলছে বেহায়াপনা। সেখানে চলছে সিনেমা হল, বিদেশী নগ্ন ছবি, হালাল পতিতালয়, নারীরা হয়েছে খেলোয়ার, নারীরা গাড়ী চালক। এগুলো ইসলাম পরিপন্থি, কুরআনের আইনের বিরোধী, নবীর আদর্শের পরিপন্থি।

পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ইতালির কাফেররা মুসলিম নারীদের হিজাব নিষিদ্ধ করেছে। পর্যায়ক্রমে সকল ইহুদী খ্রিস্টান দেশগুলোই এ কাজটি করেছে। কোন মুসলিম দেশের শাসকেরা তার জোড়ালো প্রতিবাদ করেনি, করলে বুঝি ক্ষমতা চলে যাবে। ক্ষমতা দেয়ার মালিক কে? চীনে রোজাদার মুসলিমদের জোর করে মদ মুখে ঢেলে দিয়েছে, মসজিদে তালা লাগিয়েছে, নামায পড়তে দেয়া হয়নি। চীন, জাপান, ইতালী, স্পেন আর আমেরিকার উস্কানিতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের উৎখাত করা হলো, নির্যাতন করে হত্যা করা হলো। নারী-শিশুসহ লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিল বাংলাদেশ। বিশ্ববাসী নিরব, মুসলিম দেশগুলো নিরব। বিচার নেই জাতিসংঘের দরবারে। এখন বিচার শুরু হয়েছে আকাশ থেকে। ইতালির রাষ্ট্রপ্রধান বলছে এ মহামারি ঠেকানোর ক্ষমতা মানুষের হাতে নেই, আকাশের মালিকের হাতে। আরও একটু নমনীয় হও, আকাশের মালিকের কাছে ক্ষমা চাও যদি বাঁচতে চাও।

হে মুসলিমগণ, তোমরা ঈমানি শক্তিতে আরো শক্তিশালী হও। তাঁর কাছেই প্রার্থনা করো, আকাশের গজব আকাশেই উঠিয়ে নেবেন। বিজাতি ইহুদী খ্রিস্টান কাফেরদেরকে দাওয়াত করো, আহবান জানাও আল্লাহর বাণী, রাসুলের আদর্শে ফিরে না এলে পরিণতি আরো ভয়াবহ হবে। যারা মুসলিম নারীদের হিজাব খুলেছে তারা নিজেরাই নারী পুরুষ মিলেই হিজাব পড়তে শুরু করেছে। মুসলমান দিনে ৫/৭ বার ওজুর সময়ে হাত মুখ ধোয়। এখন কাফেরেরাও হাত-মুখ ধুতে শুরু করেছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নাতা ঈমানের অঙ্গ। তাই ফিরে এসো নবীর তরিকায়, হাত-মুখ ধোও তাঁর নির্দেশ মোতাবেক। পর্দা করো ইসলামের আদর্শে তবেই এ মহামারী গজব থেকে মুক্তি পেতে পারো।

হে দুনিয়ার মানুষÑ মুসলিম, মুশরিক, জালিম, মুনাফিক, বে-ইমান, কাফের, ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ হুশিয়ার সাবধান! তোমরা ভেবো না আমরা নিজেই নিজেদের ভাগ্য বদলাই। আমরা বিশ্বের পরাশক্তি, আমাদের ইশারায় অন্যদের পরিচালনা করছি। আজ কোথায় তোমাদের আনবিক শক্তি? কোথায় তোমাদের রাসায়নিক বোমা? ভেটো পাওয়ার প্রয়োগ করো আল্লাহর গজবের বিরুদ্ধে।
হে ক্ষনস্থায়ী জিবনের জগৎ বাসী, তুমি যতবড় ক্ষমতাশালী হয়ে থাকো না কেন রাজা উজির মন্ত্রী সিপাহ সালার, নিশ্চয়’ই তোমাদের মউত অতি নিকটে। মউতের মালিকের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করো এবং তার বিচারের জন্য প্রস্তুত হও। আল্লাহ’র গজব করোনার সাথে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত হয়েছো, করোনাকে প্রতিহত করতে যুদ্ধ ঘোষণা করেছো। অদৃশ্য করোনা যার হুকুমে এসেছে তাঁর সাথে আপোষ করো এবং তার কাছেই আত্মসমর্পন করো। তাঁর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে ধ্বংস হয়েছে নমরুদ, ফেরাউন ও বাদশা আবরাহা। চেয়ে দেখ, জার্মানের অর্থমন্ত্রী আত্মহত্যা করেছে, ইতালির প্রেসিডেন্ট নতি স্বীকার করেছে আকাশের মালিকের কাছে। তবুও মুক্তি পাচ্ছেনা নাফরমানির দায়ভার থেকে। ফিরে এসো তওবা করো ঐ সত্বার কাছে যার হাতে রয়েছে সর্বোচ্চ ক্ষমতা যিনি ইচ্ছে করলেই মূহুর্তে বাদশাহকে ভিখারী এবং ভিখারীকে বাদশাহ করতে পারেন।

আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কিছুদিন পূর্বে ঘোষণা দিয়েছিল এটি হিন্দুস্থান। এদেশে শুধু হিন্দুরাই বসবাস করবে, কোন মুসলিমকে বসবাস করতে দেয়া হবে না। সে কারণেই দেশের মুসলিমদের উপর চালানো হয়েছিলো নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের এ ধরণের বক্তব্যে মসজিদ ও ঘর থেকে টেনে বের করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে মুসলমানদের। মোটেই ভুলে যাওয়া উচিৎ নয় আল্লাহ’র সৃষ্টি জগতের কোন দেশ, কোন অঞ্চল’ই কারও পৈত্রিক বা নিজস্ব সম্পদ নয়। তাঁর সৃষ্টি জগতে তিনি কাকে প্রতিষ্ঠা করবেন আর কাকে উচ্ছেদ করবেন তিনি’ই ভালো জানেন। বর্তমানে ভারতে যে ভয়াবহ দূর্যোগ চলছে এটিও নাফরমানির ফলস্বরুপ।

পবিত্র কালামুল্লাহ শরিফে প্রমাণÑ আল্লাহর এক পয়গম্বর হযরত আইয়ুব (আ.) ছিলেন নবী ও বাদশাহ। ছিল বাদশাহী, ছিল রাজ প্রাসাদ, অনেক স্ত্রী, ১৮জন পুত্র সন্তান, ১৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ, হাজার হাজার উট-দুম্বা মেষ। তিনি মনে মনে একটু অহংকার করেছিলেন, আমার এত সম্পদ এগুলো ধ্বংস হতে লাগলেও আমার জীবনে শেষ হবে না। তার এ অহংকারের ফলে আল্লাহর কুদরতে এক মূহুর্তের মধ্যে সব শেষ হয়ে তিনি রাস্তার ভিখারী। কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে আঠারো বছর ভুগেছেন। কারো দ্বারে ভিক্ষা করতে যাওয়ারও সুযোগ ছিল না। ফেরাউন, নমরুদ, হামান, কারুনের মত আত্ম অহংকার না করে আসুন তওবা করে, আত্মসমর্পণ করি সেই সত্বার কাছে, যার হাতে সকল ক্ষমতা যিনি চির অমর, চির সত্য। সেই আল্লাহর উপর ঈমান এনে মানুষ হই।হে ঈমানদারগণ একটু পিছিয়ে খেয়াল কর আল্লাহর নাফরমানি করায় ইমানদার বা মুসলিম যেভাবে শাস্তি পেয়েছে তা হলো আটশত বছর মুসলিম শাসকেরা স্পেন শাসন করেছিল। শেষ ভাগে এসে মুসলমানেরা যখন আনন্দ স্ফূর্তি ভোগ বিলাসে লিপ্ত হলো, নাফরমানি আর ফাসিকিতে জড়িয়ে গেল, আল্লাহর হুকুম আর রাসুল (স.) এর আদর্শের পরিপন্থি কাজে লিপ্ত হলো তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে নেমে এলো লা’নত।

বিধর্মী ইহুদী খ্রিস্টান দ্বারা ধ্বংস হলো সে জাতি। স্পেনের খ্রিস্টানদের সাথে যুদ্ধে মুসলমানগণ যখন পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন খ্রিস্টানদের রাণী ইছাবেলা ঘোষণা দিল মুসলিম নারী ও শিশু জাহাজে উঠলে নিরাপদ আর মুসলিম পুরুষগণ মসজিদে নিরাপদ। এই ঘোষণায় স্পেনের নারী ও শিশুরা জাহাজে আশ্রয় নিয়েছিল। সে জাহাজ সাগরে ডুবিয়ে দিয়ে হত্যা করা হলো সকলকে। অন্যদিকে কর্ডোবা মসজিদে আশ্রয় গ্রহণ করা মুসলিম পুরুষদের মসজিদের চারপাশ থেকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। সেদিন ছিল এপ্রিল মাসের প্রথম দিন। সেই থেকে আজ অবধি বিশ্বের ইহুদী খ্রিস্টানরা এপ্রিল মাসের প্রথম দিন এপ্রিল ফুল উৎসব পালন করে আসছে।মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য তিনশত পঁচিশ বছর শাসন করেছে মুসলিম শাসকেরা। তারাও যখন ভোগ বিলাসে মাতিয়ে উঠল ফাসিকি আর নাফরমানিতে জড়িয়ে পড়ল তারাও পরাধীন হলো মিয়ানমারের বৌদ্ধদের কাছে। পরিশেষে পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বোরোচিত নির্যাতন করে ধ্বংস করা হলো আরাকানী মুসলিম রোহিঙ্গাদের। হে মুসলিমগণ, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আরও শক্তিশালী করো, রাসুল (স.) এর আদর্শ মজবুত করে ধরো, অবিশ্বাসীদের আহবান করো সত্যের পথে।

কোন মুসলমান ইমানদার মোমেন, করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত না হয়ে করণীয় কাজ করুন। আমাদের বিপদ আপদ বালা মুসিবত তাঁরই হাতে বান্দার মুক্তিও তিনিই দেন। তিনিই মাফ করনেওয়ালা। তাই তাঁর কাছেই আমরা প্রার্থনা জানাই।ইমান থাকলেই মুসলমান বলা হয়, তবে প্রকৃত ইমান্দার ও মোমেন ঐ ব্যক্তি যিনি ইমানি শক্তির উপর ভর করে চলেন। ইমানি শক্তি হচ্ছে ভাগ্যের ভালমন্দ আল্লাহর হাতে এটি বিশ্বাস করা। মনে প্রাণে তার কাছে দোয়া করলে তিনিই ভাগ্য পরিবর্তন করে দেন। মহামারি কোন মোমেনের জন্য আতঙ্কের বিষয় নয়। আল্লাহ পাক যার ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন তিনিই আক্রান্ত হবেন। তবে দোয়া করলে আল্লাহর দেয়া বালা মছিবত মাফ করতে পারেন। বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে যে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

বাংলাদেশে করোনা আতঙ্কে মানুষকে যেভাবে সতর্ক করা হচ্ছে তা যথার্থ ঠিক। তবে হাট-বাজার, যানবাহনে মানুষ যেভাবে চলছে তাতে সতর্কতার কোন নজির দেখা যায় না। অথচ দোয়ার দরজাই শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মসজিদ হচ্ছে আমাদের দোয়ার দরজা। মানুষ যখন মসজিদে যায় তখন ওযু করে পাক পবিত্র হয়েই যায়। তার তুলনায় হাট-বাজার, যানবাহনে অপরিচ্ছন্নতারও যেনে তেনো পরিবেশে চলছে। অথচ সেই পরিত্রতার উপরই বেশি নজরদারি চলছে। পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে যে, সতর্কতার অন্যান্য বিষয় সমূহ আরও নজরদারি দেখাতে মসজিদ গুলোতে কিছু নিয়ম কানুন সংযোজন করা যেতে পারে। যেমন- মুসুল্লি মসজিদে ঢোকার পূর্বে সদ্য ওযু করে মাস্ক পড়ে ঢুকবে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দাড়াবে, অহেতুক বসে না থেকে প্রয়োজন শেষে ঘরে ফিরবে, কোন অসুস্থ বা বহিরাগতরা যেন জামাতে শরিক না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবে। তাতে আমাদের দোয়ার দরজা চালু থাকবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ অব্যাহত থাকবে।

করোনা আতঙ্কে দীর্ঘদিন লকডাউন চলতে থাকলে দেশের মানুষ কর্মহীন হয়ে পরবে। শিল্প কারখানাগুলো বন্ধ থাকলে উন্নয়ন ব্যাহত হবে, দেশের অর্থনীতি দূর্বল হবে এবং দেশ দারিদ্রের নি¤œ সীমায় নামতে থাকবে। আয়হীন দিনমজুর শ্রমিকেরা ক্ষুধার তারণায় হিং¯্র হয়ে লুটতরাজ, ছিনতাই, রাহাজানি, চুরি-ডাকাতি, খুন করতেও সংকোচ করবে না। যার পরিণতি হবে করোনায় মৃত্যুর চেয়েও ভয়াবহ। সে জন্য দিনমজুর, রিক্সা শ্রমিক বা স্বল্প আয়ের মানুষদের সাহায্যের পরিমান বাড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়া প্রশাসনকে জনগণের মাঝে মোতায়েন রেখেই মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ পরিবেশ সম্মতভাবে চলার নির্দেশ দিয়ে দেশের কৃষিকর্ম, তাঁতশিল্প, গার্মেন্টস শিল্পসহ ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প কারখানা সচল করে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD