আবুল কালাম আজাদ
নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে অবশেষ প্রত্যাহার করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে বিধি বহির্ভুতভাবে ২০০ বস্তা সরকারি গম খাদ্য গুদামে না রেখে গোডাউনের পাশে একটি খালি বাড়িতে রাখায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়। রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
নাটোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রবীন্দ্রলাল চাকমা বলেন, বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে গোপালপুর খাদ্য গুদামের দায়িত্ব নিয়েছেন সিরাজগঞ্জ সদরের ছানোয়ার হোসেন।গত ২৫ জুন এই গুদাম কর্মকর্তারফিকুল ইসলাম নিজ জিম্মায় সরিয়ে রাখা ২০০ বস্তা সরকারি গম উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা প্রশাসন। গুদামে জায়গা না হওয়ায় তিনি সেগুলো গোডাউন সংলগ্ন একটি ফাঁকা বাড়িতে সরিয়ে রেখেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। কিন্ত এ সংক্রান্ত কোনো অনুমতি পত্র তিনি জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নেননি বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা রবীন্দ্র লাল চাকমা। রবীন্দ্র লাল চাকমা বলেন, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
তিনজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারা ২৭জুন সরজমিনে তদন্ত করেন। সে তদন্ত রিপোর্ট ও মোকজের জবাব পাওয়ার পরে রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়। অপরদিকে রফিকুল ইসলাম বলেন, এই গমগুলো তিনি পাবনার মূলাডলি গোডাউনে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এলসির গম বলে তারা ফেরৎ পাঠিয়ে দেন। ফলে বাধ্য হয়ে চাকরির ভয়ে তিনি গমগুলি গোডাউন সংলগ্ন পৃথক জায়গায় রেখেছিলেন। এ বিষয়ে সিএনএন ওয়ার্ল্ড ২৪ ডটকম পোর্টাল সহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন পত্রিকা ও ফেসবুকে সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল।