ইটালী দরগা

Spread the love

আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার – ইটা বা ঢিল যেখানে ফেলে ভক্তিভরে ভক্তগন তার নাম ইটালী দরগা। জায়গাটি রায়গঞ্জ উপজেলাধীন সোনাখাড়া ইউপির শ্রীরামপুর গ্রামের দক্ষিনে দাদপুর মোড়ের কয়েক গজ পশ্চিমে গোপালপুর – কলিয়া – গোপীনাথপুরগামী রাস্তার ধারে। ছোট একটা পাকুড় গাছের গোড়ায় ভক্ত তথা ঐ পথে যাতায়াতকারী পথিকেরা ক্ষেতের ঢিল বা ইটা ফেলে। সারা বছর ঢিল ফেলার ফলে ঢিবি বেশী উঁচু হয়ে গেলে মাটি গুলো আশে পাশের লোকজন নিয়ে যায়, আবার উঁচু হয় কিছুদিন পর। ঢিল ছাড়াও কেউবা দেয় ধূপকাঠি, মোম। গলে যায় মোমবাতি, পুড়ে ছাই হয় ধূপকাঠি ; পড়ে থাকে কভার। আগে পাকুড় গাছ ছিল না, রাস্তায় লোকজন চলতো কম। ঝোড় – জংগল ছিল ওখানে। এখন মানুষ বেড়েছে, রাস্তায় মাটি ফেলেছে লোকাল বোর্ড ; তাই জংগল পরিস্কার বলা চলে। প্রবাদে আছে – ঝড়ে বক পড়ে, ফকিরের কেরামতি বাড়ে। এসব মাজার বা দর্গাও তেমন। কোন কারনে কেউ মান্নত করলো ইটালী দরগায় তিনটা ঢিল দেবে। প্রাকৃতিক নিয়মে মান্নতকারীর হয়তো মুসকিল আসান হলো, কিন্ত তার বিশ্বাস ইটালী দরগার কৃপায় সে উপকৃত। দিল দরগায় তিনটা ইটা। এভাবে যুগ যুগ ধরে চলছে। কবে থেকে শুরু, কোন পীরের দরগা কেউ জানে না। দেখাদেখি চলছে এই ইটাপর্ব। কোন কমিটি নেই, কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। এই দরগায় কোন আয় নেই, কোনো খরচও নেই । লা ওয়ারীস এই দরগা। পথের পথিকেরাই এটার মা – বাপ। কেউ দিল ইটা কেউবা দিল না ; তা নিয়ে কেউই মাথা ঘামায় না। করোনা পর্বের আগে গ্রামের যুবকেরা (যার বেশীর ভাগ রিক্সাচালক) কয়েক বছর বৈশাখী মেলার মত আয়োজন করতো। কিন্ত মেলার নামে জুয়ার আসর বসানোর ফলে পুলিশের ঝামেলায় বন্ধ হয় তা। এখন ফ্রি সারাবছর একই রকম একই ভাবে চিরচেনা রূপে …

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD