সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের সিংড়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একই ইউনিয়ন পরিষদের দুইজন মহিলা সদস্য। এর মধ্যে রয়েছে প্রকল্পের বরাদ্দের অর্থ বন্টনে স্বজনপ্রীতি, ট্যাক্সের টাকা আত্মসাৎ, ২০২০ সালে মার্চ মাসে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কাবিটা ফান্ড থেকে দেয়া ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ, ২০২০ ও ২০২১ অর্থবছরে টিআর, কাবিটার বরাদ্দ ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন ৪.৫.৬ ও ৭.৮.৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আছমা খাতুন ও মনোয়ারা বেগম। নাটোর জেলা প্রশাসক বরাবর এ অভিযোগপত্র দায়ের করেন। এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আছমা খাতুন ও মনোয়ারা বেগম জানান, চেয়ারম্যান এখন পর্যন্ত পরিষদের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ইউপি সদস্যদের কোনো সম্মানী ভাতা দেয়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ এলজিএসপির ২০২০ সালের জুন মাসে ২৫ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার মধ্যে ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা এবং সাম্প্রতিক ৩০ লক্ষ টাকার কাজ নিজ পছন্দের (পুরুষ) সদস্যদের মাঝে বন্টন করে দিয়ে একটি মোটা অংকের কমিশন হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ডে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করার সময় সভা না করে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই ব্যক্তি স্বার্থে স্বজনপ্রীতিমূলক আচরণ ও অর্থ আত্মসাতের লক্ষে আব্দুল মজিদ এককভাবে প্রকল্প দাখিল করেন। আরো জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কাবিখা প্রথম পর্যায়ে আগমুরশন কমিউনিটি ক্লিনিকের চারপাশে মাটি ভরাট করার বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার মধ্যে থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকার মাটি ভরাট করে উপরোক্ত টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। শুধু তাই নয় ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এলজিএসপি, টিআর, কাবিখা, কাবিটার নামমাত্র কাজ দেখিয়ে প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযুক্ত সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, পরিষদের সকল সদস্যদের ভাতা পরিশোধ করেছি। আমি কোনো দূর্নীতি বা অনিয়ম করিনি। এটা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, এ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।