মোঃ আবুল কালাম আজাদঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যমুনা নদীতে ‘বঙ্গবন্ধু রেল েেসতুর’ নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন করে বলেছেন, উত্তরবঙ্গসহ প্রাচ্যের দক্ষিন এশিয়ার সব দেশের সাথে রেল যোগাযোগের যুগান্তকারী সেতুবন্ধনের সৃষ্টি হবে। সেই আশায় উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার নাটোর থেকে গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম বনপাড়া – হাটিকুমরুল বিশ^রোড ঘেষে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের দাবী জানাচ্ছে গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম ও তাড়াশ উপজেলাবাসী।এতেকরে সিরাজগঞ্জ থেকে নাটোর রাজশাহী এবং নাটোর নীলফমাররি রেলপথের দুরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার কমে আসবে এবং সময় বাঁচবে। রেলের জ¦ালানী সাশ্রয় হবে। রেল কোম্পানি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। সব্জী ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অভ্যন্তরে বিভগীয় ও জেলাশহরে সহজেই সরবরাহ করে প্রচুর লাভবান হবে।
বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু নির্মাণের ফলে কৃষি প্রধান উত্তর জনপদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর মূল পরিকল্পনায় সিরাজগঞ্জ থেকে বনপাড়া পর্যন্ত মহাসড়ক বাস্তবায়নের সাথে সাথে রেলপথ সম্প্রসারণের কথা থাকলেও তৎকালীন সময় রেললাইন সম্প্রসারনের কাজ মূল পরিকল্পনা থেকে বাদ দেওয়ায় চলনবিল অধ্যুষিত কৃষি প্রধান এই অঞ্চলের মানুষ রেলপথে পণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল পরিবহনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপরন্ত হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে যানজটের প্রেক্ষিতে উত্তরবঙ্গ থেকে ফলমূল শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিজাত পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সাধারণ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।
সিরাজগঞ্জ থেকে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম হয়ে নাটোর নতুন রেলপথ নির্মাণ করলে অত্র এলাকার কৃষিজাত পণ্য পরিবহন সহজ ও খরচ অনেকাংশে কমবে যা গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম তথা নার্টো ও উত্তরবঙ্গের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে ঢাকা পর্যন্ত মহাসড়কে সবসময় যানজট লেগেই থাকে। উক্ত রেলপথ সম্প্রসারনের কাজ করলে এই যানজট অনেকাংশে কমে আসবে এটা নিশ্চিত। চলনবিল শুধু মৎস্য ও শস্যভান্ডারই নয় অন্যতম খাদ্যভান্ডারও বটে। কাজেই ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ প্রধান মন্ত্রীর রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য সারা বাংলাদেশের সাথে চলনবিল এলাকার উন্নয়নও প্রয়োজন। কাজেই সিরাজগঞ্জ থেকে নাটোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ অত্র এলাকার জনগনের প্রাণের দাবী। গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম ও তাড়াশ উপজেলার মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে নাটোর থেকে গুরুদাসপুর , বড়াইগ্রাম এবং তাড়াশ হয়ে সিরাজগঞ্জ পর্য়ন্ত রেলপথ সম্প্রসারনের জন্য এলাকাবাসী মাননীয় প্রধান্ মন্ত্রীর কার্যকারী পদক্ষেপ দাবী জানিয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।