চলনবিল বার্তসংা,খ্যা ২৫ মঙ্গলবার ৯ এপ্রিল ২০২৪ ২৬ চৈত্র ১৪৩০ ২৯ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

Spread the love

ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মাদরাসা বন্ধের রায় স্থগিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের উত্তর প্রদেশের মাদরাসা শিক্ষা আইন-সংক্রান্ত এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করে দিয়েছেন। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অভিমত জানতে তাদের নোটিশ দিয়েছেন।
ভারতের প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় তার রায়ে বলেছেন, ‘এলাহাবাদ হাইকোর্ট, ওই আইন স্থগিত করে, শিক্ষার্থীদের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিতের নির্দেশ দেয়। তবে এই রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১৭ লাখ শিক্ষার্থী। আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো এত শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে স্থানান্তর ন্যায্য নয়।’তিনি আরো বলেন, যদি পিআইএলের উদ্দেশ্য থাকে মাদরাসায় ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা যেমন গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস এবং ভাষা শেখানো হবে, তাহলে মাদরাসা আইন ২০০৪ বাতিল করে এই উদ্দেশ্য অর্জন করা যাবে না।মুলায়ম সিং যাদব উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৪ সালে মাদরাসা বোর্ড শিক্ষা আইন চালু করেছিলেন। সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপিঘনিষ্ঠ জনৈক অংশুমান সিং রাঠোর। তার দাবি ছিল, ওই আইন অবৈধ ও অসাংবিধানিক।অংশুমানের সেই আবেদন অনুযায়ী, হাইকোর্ট ওই আইন অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়ে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের অন্যত্র পড়াশোনার বন্দোবস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিক্ষকদেরও চাকরির বিকল্প ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল।

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোটা দেশ গিলে খাবে’

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোটা দেশ গিলে খাবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব গিলে খাবে, গণতন্ত্র গিলে খাবে, মানুষের নিরাপত্তা গিলে খাবে, গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে। গত শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে মতিঝিল টিএন্ডটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে আওয়ামী যুবলীগের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এখন গলার জোর আর মুখের বিষ ছাড়া কিছু নেই, তারা শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। শক্তি যখন কমে যায় তখন মুখের বিষ বেড়ে যায়। শক্তি কমে গেছে, নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা নিরাপদ থাকবে- এই কথা আমি গভীর প্রত্যয়ের সঙ্গে বলতে চাই।তিনি বলেন, প্রতিদিন সকালে উঠে পত্রিকায় তাকালেই দেখি মির্জা ফখরুল বলছেন দেশে এক ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। কোথায়? বাংলাদেশের একটা লোক না খেয়ে মরেছে? সংকট আছে, কষ্ট আছে কিন্তু ভয়াবহ কোনো সংকট এখানে নেই। দুনিয়ার অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভালো আছি। আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের সংকট কেটে যাবে, আমরা আশা করি। শেখ হাসিনাকে মানবিক নেত্রী উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগের মতো বড় দলের বড় বড় পার্টি করার কথা, সেখানে আমরা পার্টি করছি না। শেখ হাসিনা বলেছেন ইফতার গরিবের মাঝে বিতরণ করতে হবে। অথচ আজকে বিএনপি-জামায়াত একসাথে ইফতার পার্টি করে, আওয়ামী লীগের গীবত গায়। সূত্র: প্রতিদিনের সংবাদ।

তাড়াশ উপজেলা গেটে সাইনবোর্ড নেই গোল বক্স করে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের প্রথম এবং দ্বিতীয় দুটি গেটের সামনে উপজেলা পরিষদ নাম লেখা মুছে গেছে দীর্ঘদিন যাবৎ। ফলে এটা যে একটি সরকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক জোন তা প্রথমে বোঝার উপায় নেই। কারণ দুটি গেটেই এর সাইনবোর্ড দেখা যায় না।
উল্লেখ্য, তাড়াশ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে উত্তরের পাশের দুই প্রান্তে দুটি নির্মিত পাকা প্রবেশ গেট রয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিম পাশের গেট মূল প্রবেশ দ্বার হিসেবে সেখান দিয়েই একমাত্র গমনাগমন হয়ে থাকে। কিন্তু এই গেটের উপরে আগে উপজেলা পরিষদের পূর্ণাঙ্গ নাম পরিচিতি লেখা থাকলেও অনেক দিন হল এখন আর কোন কিছুই লেখা নেই। আগের লেখা সম্পূর্ণ মুছে গেছে। অপরদিকে পূর্ব পাশের বন্ধ গেটের উপরেও অনুরূপ কোনো নাম লিখন নেই। এ কারণে উভয় গেট দিয়ে চলাচল করার সময় কারো পক্ষে প্রথমেই বোঝা মুশকিল যে, এটা তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চত্বর। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন অনেক বড় বড় ভাল কাজ করলেও নিজের মূল প্রবেশ ফটকের উপরে তাদের কোন সাইনবোর্ড বা প্রাতিষ্ঠানিক নাম উল্লেখ নেই সেটা খেয়াল করছে না।

বিএনপির কয়েকশ’ নেতাকর্মীর ঈদ কাটবে কারাগারে

ডেস্ক রিপোর্ট: ঈদ আনন্দ নেই বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর পরিবারে। কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে এবারও ঈদ করতে হচ্ছে দলটির কয়েকশ নেতাকর্মীকে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক মামলায় বন্দি তারা। তাদের অনেকে আছেন বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনে নাশকতার অভিযোগে বন্দি। আবার সাজাপ্রাপ্ত মামলায় জামিনের আশায় আত্মসমর্পণ করে কারারুদ্ধ হন অনেকে। কেউ কেউ বিভিন্ন মামলায় আগাম জামিন শেষে হাজিরা দিতে গিয়ে গেছেন কারাগারে। এমনকি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বছরের পর বছর ধরে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে রয়েছেন অনেকেই। কবে তাদের মুক্তি মিলবে তা কেউ জানেন না। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ আবার কবে ভাগাভাগি করতে পারবেন, তাও বলতে পারেন না তারা। এ পরিস্থিতিতে ¤øান হয়ে গেছে তাদের স্বজনের ঈদ আনন্দও।
বিএনপি সূত্র জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পন্ড হয়ে যাওয়ার পর রাজপথে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি শুরু করে দলটি। আর এ কর্মসূচি ঘিরে সারাদেশে চলে গণহারে গ্রেপ্তার অভিযান। বিএনপির দাবি,ওই সময় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ প্রায় ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে বন্দি করা হয়। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বেশির ভাগের জামিনে মুক্তিও মিলেছে। তবে এখনও শতাধিক নেতাকর্মী রয়ে গেছেন কারাগারে। এসব নেতাকর্মী ছাড়াও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একদিকে যেমন সরকারবিরোধী আন্দোলনে সারাদেশ উত্তাল হয়ে পড়ে, তেমনি শুরু হয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুরোনো মামলার সাজার রায়। প্রায় একশ মামলায় দেড় হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে সাজা দেন আদালত। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও রয়েছেন।বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, অন্দোলন ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সাজাপ্রাপ্ত নেতাকর্মীর একটি অংশ আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে গেছেন। আবার আন্দোলনকালীন বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর পুরোনো মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়ায় তারাও গেছেন হাজিরা দিতে। এসব নেতাকর্মীর বেশির ভাগকেই পাঠানো হয়েছে কারাগারে। সূত্র: সমকাল।

আফ্রিকায় মানুষের হাড় দিয়ে বানানো হচ্ছে মাদক

ডেস্ক রিপোর্ট: মানুষের হাড় থেকে তৈরি এক ধরনের মাদক ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে। মাদকটির নাম ‘কুশ’। মাদকটির প্রকোপ এতটাই বেড়ে গেছে যে দেশটির প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কুশ নামের এই মাদকের অন্যতম উপাদান মানুষের হাড়। সাধারণত কবরস্থান থেকে মানুষের হাড় চুরি করে মাদকব্যবসায়ীরা এ মাদক তৈরি করে থাকে। এ জন্য সম্প্রতি কবরস্থানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে সিয়েরা লিওন সরকার।অতিরিক্ত মাত্রায় কুশ সেবনের ফলে মানুষের হাত-পা ফুলে যায়। সিয়েরা লিওনের রাস্তায়-রাস্তায় এসব মাদকসেবীদের ঝিমাতে দেখা যায়। একজন মাদকসেবী বিবিসিকে বলেন, কুশের আসক্তি থেকে বের হওয়া প্রায় অসাধ্য।এ পর্যন্ত কতজন কুশ সেবনকারী মারা গেছেন তার প্রকৃত হিসাব নেই সিয়েরা লিওন সরকারের হাতে। তবে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে শত শত কুশ সেবনকারী ‘অর্গান ফেইলিওর’ হয়ে মারা গেছেন। আর কতজন যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন, তার হিসাব নেই।সিয়েরা লিওনের একমাত্র মানসিক হাসপাতাল জানিয়েছে, সেখানে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কুশে আসক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৫ জন।
গত বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো বলেন, ‘আমাদের দেশ ভয়াবহ মাদক কুশের প্রকোপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশটির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়েছে।’কুশের অপব্যবহার ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘প্রতিটি জেলায় কুশবিরোধী কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। কেন্দ্রগুলোতে কুশ আসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। এ জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে।’

তাড়াশে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

আরিফুল ইসলাম :সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মামলার বিবাদীদের সাথে যোগসাজশ করে মারাত্মকভাবে আহত ব্যক্তিদের নরমাল সনদপত্র দেওয়ার লিখিত অভিযোগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মোঃ রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার ( ৪ এপ্রিল) উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী উপজেলার সেরাজপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোক্তার হোসেন।লিখিত অভিযোগে মোক্তার হোসেন জানান, আমাদের সাথে জমি-জমা নিয়ে পৃর্ব শত্রুতার জের ধরে সেরাজপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম লেবু, তার ছেলে বুলবুল হোসেন ও শাকিল আহমেদ সহ সন্ত্রাসী বাহিনী দলবদ্ধ হয়ে গত ০৩/০১/২০২৪ইং তারিখে আমাদের জমিতে পানি সেচ দেওয়া অবস্থায় আমার ছোট ভাই আশরাফ আলী, আব্দুল মান্নান সহ একই পরিবারের ৫জনকে দেশীয় অস্ত্র কোদাল, শাবল, হাসুয়া, বটি, দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করে। আহতরা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্মরত ডাঃ মোঃ রাকিবুল ইসলাম কোনো রকমে প্রাথমিক চিকিৎসা করে অপারগতা প্রকাশ করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আহতদের সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে আহতদের মাথায় ১০/১২ টা সেলাই দিয়ে চিকিৎসা করে ১৫/১৬ দিন পরে মোটামুটিভাবে সুস্থ হয়। পরবর্তীতে সেখানকার কর্মরত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সাল আহমেদ আহতদের জন্য “মারাত্বক আহত” একটা সনদপত্র প্রদান করেন। সেই সনদপত্র দিয়ে তাড়াশ থানায় শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে সহ ৫ জনের নামে মামলা করা হয়। কিন্তু মারাত্মকভাবে আহত হলেও তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাঃ মোঃ রাকিবুল ইসলাম বিবাদীদের সাথে যোগসাজশ করে আহতদের জন্য মিথ্যা একটা “নরমাল” সনদপত্র প্রদান করেন। যোগসাজশে নরমাল সনদপত্র দেওয়ায় ডা: রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে আইনগত শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। তবে এ বিষয়ে ডা: রাকিবুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: মোনায়েম হোসেন জানান, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সঠিক রিপোর্ট দেওয়ার পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তাড়াশে পুকুর খনন এখন ‘ওপেন সিক্রেট’

গোলাম মোস্তফা, বিশেষ প্রতিনিধি:
ক্স রমজান মাসের শুরু থেকে শতাধিক অবৈধ পুকুর খনন করা হয়ে গেছে
ক্স সচেতন জনেরা মনে করছেন ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারলে পুকুর খনন বন্ধ করা সম্ভব হবেনা
ক্স পুকুরের পাড় ঘেষে আমাদের যেটুকো জমি রয়ে গেল তাতে নিশ্চিত জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। ফসলের আবাদ করে খেতে পারবনা -প্রান্তিক কৃষক
ক্স অবৈধ পুকুর খনন করার অপরাধে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে ২৪ টি মামলা, ১৪১ জনকে আসামি -ওসি
ক্স এ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদলতে কয়েক লাখ টাকা জরিমানা ও বেশ কয়েক জনকে জেল দেওয়া হয়েছে -এসিল্যান্ড
ক্স ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছোট বড় ১৫শ ৮৬ টির মত পুকুর খনন করা হয়েছে। আবাদি জমি কমেছে ৮শ ১৫ হেক্টর -কৃষি কর্মকর্তা
ক্স অভিযান অব্যাহত রেখেছি ভ‚মি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে -ইউএনও

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভ‚মি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন করে উর্বর তিন ফসলি জমি কেটে দিনে-রাতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আইনের তোয়াক্কা না করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। বিশেষ করে রমজান মাসের শুরু থেকে প্রায় শতাধিক অবৈধ পুকুর খনন করা হয়ে গেছে। তারপরও চলছেই অবাধে।
এদিকে সচেতন জনেরা মনে করছেন, স্বার্থান্বেষী মহলের পুকুর খনন বন্ধ করতে হলে সাধারণ লোকজনসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ঐক্যমতে আসতে হবে। নয়ত শেষ অবদি একটি পুকুরও আটকে থাকবেনা। ৩ এপ্রিল বুধবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বির্স্তীর্ণ মাঠে-মাঠে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আগে সাধারণত রাতে খনন করতেন। উপজেলার আট ইউনিয়নেই পুকুর খনন চলছে। সব চেয়ে বড় বড় পুকুর খনন করা হচ্ছে নওগাঁ ইউনিয়নের মাঠে -মাঠে। কোন কোন পুকুরে রাতে পাঁচটি ভেক্যু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হয়। দিনে একটি দিয়ে খনন করেন। রাতের খনন কাজের শেষে একটি মেশিন পুকুরে রেখে বাকিগুলো পুকুরের আশ পাশের বাড়িতে আড়ালে রেখে দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে প্রান্তিক কৃষক মনছুর রহমান, সুলতান মাহমুদ, ছোহরাব আলী, শামসুল হক, ছাবেদ আলী, জুরান আলী, মজিবর মল্লিক, রেজাউল করিম, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মোতালেব, শাহাদত হোসেন বলেন, সাধারণ কৃষকের কথা চিন্তা না করে যাদের জমি বেশী তারা অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র পুকুর খনন করছেন। এসব পুকুরের পাড় ঘেষে আমাদের যেটুকো জমি রয়ে গেল তাতে নিশ্চিত জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। ফসলের আবাদ করে খেতে পারবনা।
তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলছেন, অবৈধ পুকুর খনন করার অপরাধে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে ২৪ টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছেন ১১ টি। ডিবি বাদি হয়েছেন ১ টি মামলার। অন্য ১২ টি মামলার বাদি ইউনিয়ন সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তারা। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৪১ জনকে। এরা অধিকাংশই জমির মালিক। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন। আসামিরা জামিনে রয়েছেন।নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ পুকুর খননে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন নওগাঁ ইউনিয়নের বাবু তালুকদার, আলাউদ্দীন, আলম, শফি, শামিম হোসেন, আলী, আফছার, আকিব্বর, খাজা ও আফজাল হোসেন। এদের খননকৃত কোন কোন পুকুর ২০ থেকে ৬৭ বিঘা আয়তনের। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) খালিদ হাসান বলেন, এ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতে কয়েক লাখ টাকা জরিমানা ও বেশ কয়েক জনকে জেল দেওয়া হয়েছে। তারপরও অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করা যাচ্ছেনা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছোট বড় ১৫শ ৮৬ টির মত পুকুর খনন করা হয়েছে। এতে আবাদি জমি কমেছে ৮শ ১৫ হেক্টর। একই সঙ্গে শস্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত তাড়াশ উপজেলায় খাদ্য উৎপাদন ব্যাপক হারে কমতে শুরু করেছে।জানা গেছে, গত মাসের আইনশৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, তাড়াশে আর একটি পুকুর খনন করতে দেওয়া হবেনা। বরং পুকুর থেকে ভেক্যু মেশিন রয়েছে জব্দ করে আদালতে পাঠানো হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুইচিং মং মারমা চলনবিল বার্তাকে বলেন, অধিকাংশ পুকুর রাতে খনন করা হয়। আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি ভ‚মি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে।

উপজেলা নির্বাচন বাড়াবে ঈদের আমেজ

ডেস্ক রিপোর্ট : আসন্ন ঈদুল ফিতরের পরেই শুরু হচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ফলে ঈদ কেন্দ্র করে এবার দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারের কাছেও ছুটছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ইতোমধ্যেই টানিয়েছেন পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইনেও ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মন জয় করার চেষ্টা করছেন। প্রার্থী ও সমর্থকদের পদচারণায় ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে ভিন্ন আমেজ। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম ঈদ হওয়ায় স্ব স্ব এলাকায় ছুটছেন স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীরাও। নির্বাচনি এলাকায় অবস্থানকালে তারাও গুরুত্ব দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাচনকে। দলের হাইকমান্ডের নিষেধ থাকলেও পছন্দের প্রার্থীদের নানাভাবে সামনে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারাও। সব মিলিয়ে এবারের ঈদের আমেজ বাড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।সূত্র: সংবাদ।

তাপপ্রবাহ চলবে সাড়া এপ্রিল মাসেই

ডেস্ক রিপোর্ট : সারাদেশে এপ্রিল মাস জুড়েই চলবে তাপপ্রবাহ। ঈদের সময় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তাপমাত্রা থাকবে।গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, বর্তমানের আবহাওয়ার অবস্থা আরও এক সপ্তাহ বিরাজ করবে। পুরো এপ্রিল মাস জুড়েই সারাদেশে তাপপ্রবাহ থাকবে।তিনি আরও জানান, তাপপ্রবাহ থাকলেও আগামী রোববার দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। হালকা বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা কমবে না। আর ঈদের সময় তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হবে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ভৌগোলিক অবস্থা আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন। সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন উল্লাপাড়ার সেলিনা মির্জা মুক্তি

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সদ্য সাক্ষাৎ করেন উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সেলিনা মির্জা মুক্তি। এ ব্যাপারে তার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান , ” প্রধানমন্ত্রী আমাকে আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জার মতো করেই উল্লাপাড়া-সলঙ্গার সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে বলেছেন”।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী আগামী ২১ মে উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এবার উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার কিংবদন্তি নেতা, পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের সর্বাধিনায়ক, বারবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য মরহুম জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জার সুযোগ্য কন্যা সেলিনা মির্জা মুক্তি।

তাড়াশে শ্যালো মেশিন চুরির হিড়িক

তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বোরো খেতে সেচের ইঞ্জিলচালিত শ্যালো মেশিনের বিভিন্ন অংশ চোরে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে জমির ধান ফুলে বেড় হওয়ার সময় সেচ কাজ ব্যহত হলে ধানে চিটা দেখা দেবে। এ নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা।
এদিকে তাড়াশ থানা পুলিশ বলছেন, এর আগে শিল্প মিটার চুরি বেড়েছিল। পুলিশি তৎপরতায় চোর চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়। চুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবারেও জোর তৎপরতা চালিয়ে কৃষকের ক্ষতি হওয়া থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে, সেচের যন্ত্রাংশ টানা-হেচড়া করে চুরির সময় বোরিংয়ের উপরিভাগের ৫ ফুট প্লাস্টিকের পাইপ ভেঙে ফেলেছে। নতুন করে বোরিং করতে গেলে সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগবে। এখন আমাদের মত ক্ষুদ্র কৃষকদের এই টাকা জোগাড় করতে খুব কষ্ট হবে। অপরদিকে সময়মত খেতে সেচ না দিলে ধানে চিটা হবে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা আরো বলেন, বোরো খেতের শ্যালো মেশিনে এ ধরনের চুরি নতুর শুরু হল। সাধারণত এলাকার বির্স্তীর্ণ মাঠে-মাঠে কৃষকের অসংখ্য মেশিন পড়ে থাকে। কখনও পাহাড়া দিতে হয়না। কিন্তু এখন রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবে দুশ্চিন্তায়। বার-বার চুরি হয়ে গেলে তো পথে বসে যাব। তাছাড়া দিন মজুর রেখে মেশিন পাহাড়া দেওয়ার মত সামর্থ্য নেই আমাদের মত ক্ষুদ্র কৃষকদের।সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা কপালে দুশ্চিতার ভাজ নিয়ে যে যার শ্যালো মেশিনের কাছে বসে আছেন। এমন ক্ষতি তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেননা। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম চলনবিল বার্তাকে বলেন, এ খবর শোনা মাত্র পুলিশকে এলার্ট করা হয়েছে। রোল কলেও বলে দিয়েছি। রাতে ইউনিয়নগুলোয় যাদের দায়িত্ব রয়েছে তারা মাঠের দিকে টর্চ লাইট জেলে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ভাংড়ি মালের দোকানে চুরি যাওয়া শ্যালো মেশিনের যন্ত্রাংশ খোঁজা হচ্ছে।

ঈদ ও বৈশাখ উপলক্ষে ব্যস্ত উল্লাপাড়ার তাঁতপল্লী

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি ঃ ঈদ ও বৈশাখকে সামনে রেখে উল্লাপাড়ায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁতপল্লীর শ্রমিকেরা। বাড়তি আয়ের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করে লুঙ্গি, গামছা, শাড়ি তৈরি করছেন তারা। তাঁতের খটখট শব্দে এখন মুখরিত উল্লাপাড়া তাঁতপল্লী এলাকা। উল্লাপাড়া উপজেলার ইসলামপুর, বালসাবাড়ি, দাঁদপুর, পাইকপাড়া, নতুন বাবলাপাড়া, মধুপুর, পাঁচিলা, গোপিনাথপুর, কোনাবাড়ি, নতুন চাঁদপুর, নতুন দাঁদপুর ও মরিচা গ্রামে দুই লক্ষাধিক তাঁত রয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অন্তত তিনলাখ পরিবার।
দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে উল্লাপাড়ার তাঁতের শাড়ি। এরই মধ্যে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খরিদদারদের পাশাপাশি খুচরা ক্রেতারাও শাড়ি কিনতে ভিড় করছেন উল্লাপাড়ার তাঁতপল্লীতে।ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাপড় তৈরি করছেন তাঁত কারখানার মালিকরা। কাপড়ের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে চলেছেন তাঁত শ্রমিকরা। মালিক ও শ্রমিকদের কোলাহলে সরব হয়ে উঠেছে তাঁত পল্লী। বসে নেই নারীরা। পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে নলীভরা, সুতাপারি করা, মাড়দেয়া ও রঙ তুলিতে নকশা আঁকাসহ কাপড় বুননের কাজে সহযোগিতা করছে ওই এলাকার নারী শ্রমিকরা। তাঁত শ্রমিক সিরাজ মিয়া, রুনা ও জাবেদ, সিরাজুল ইসলাম ও খলিল মিয়া জানান, বাড়তি আয়ের আশায় আমরা ঈদকে সামনে রেখে দিন-রাত এক করে কাজ করছি যাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু আনন্দে ঈদ করতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা।তাঁত মালিক শহিদুল জানান, দেশে অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিদেশি কাপড়ের প্রবেশ ও আগ্রাসনে তাঁতপণ্যের বাজার মার খাচ্ছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে সুতাসহ তাঁতসামগ্রীর বাজার। এছাড়া ব্যাংক ঋণের সুবিধা পাচ্ছেন না ছোট ব্যবসায়ীরা। ফলে এক শ্রেণির সম্পদশালী ব্যবসায়ীর কাছে প্রায় জিম্মি হয়ে পড়েছে তাঁত ব্যবসা। ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণের সুবিধা দেওয়াসহ শিল্পটি রক্ষায় সরকারিভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।আরেক তাঁত মালিক আব্দুল্লাহ বলেন, ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প টিকিয়ে রাখতে রং, সুতা ও কাঁচামালের দাম কমাতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

তাড়াশে এমপি আজিজের ঈদ উপহার

লুৎফর রহমান ঃ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করছেন এমপি আব্দুল আজিজ। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিল- সেমাই, চিনি, চাল, তেল, দুধ । গত (৩০ মার্চ শনিবার) দুপুরে উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিনা আশ্রয় প্রকল্পে বসবাসরত অসহায়, দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদ সামগ্রী করেন তাড়াশ-রায়গঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ ।
মানুষের মাঝে সেমাই, চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিতরণকালে উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলেন এমপি আজিজ বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমুখী কর্মকান্ডের তথ্য তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার, যুগ্ন সম্পাদক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা রুহুল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ প্রমুখ।

তাড়াশে বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রোগ মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় উপজেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩০ মার্চ (শনিবার) বিকেলে উপজেলার বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সামনে ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরদার মোঃ আফসার আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান তালুকদারের বড় ছেলে রাহিদ মান্নান লেলিন।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব দুলাল হোসেন খান।এ সময় বক্তব্য রাখেন তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুর রহমান টুটুল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ অধ্যাপক দুলাল হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক ওবায়দুল হোসাইন, কৃষক দলের আহ্বায়ক ডা: গোপাল সরকার, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নুরন নবী, যুবদলের আহ্বায়ক এফ এম শাহ আলম, সদস্য সচিব রাজিব আহমেদ মাসুম,যুগ্ন আহ্বায়ক শুকুর মির্জা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম,ছাত্র দলের আহ্বায়ক জাহিদ ফকির, সদস্য সচিব শাহাদাৎ হোসেন খোন্দকার প্রমুখ।এ সময় দুলাল খাঁন বলেন ষড়যন্ত্র,দমন-পীড়ন,মামলা-হামলা আর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা রাখা যাবে না। বাতিল শক্তি কখনোই সফল হয়নি। আজও সফল হবে না।

২৩ বছরেও এমপিও ভূক্ত হয়নি উল্লাপাড়ার প্রতাপ বি এম কলেজ

ডাঃ আমজাদ হোসেন, উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রতিষ্ঠার ২৩ বছরেও এমপিও ভুক্ত হয়নি প্রতাপ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ। তবে শিগগিরই চলমান নীতিমালার (সংশোধিত) আলোকে কলেজটি এমপিও ভুক্ত হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকিদা সুলতানা।
জানা যায়, কলেজটির নামে নিজস্ব জমি সস্পদ ও ভবন আছে। শিক্ষক ও কর্মচারী আছেন ১৪ জন। কলেজটি সরকারি এমপিও ভুক্ত হয়নি। বাঙ্গালা ইউনিয়নের প্রতাপ হাট ও বাজারের কাছাকাছিতে বিগত ২০০১ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কলেজের নামে জমি সস্পদের পরিমাণ এক একর সাড়ে ২৫ শতক। প্রতিষ্ঠার পর পরই কলেজের নিজস্ব জায়গায় পাকা ভবনে অফিস রুমসহ শিক্ষার্থীদের জন্য একাধিক ক্লাস রুম নির্মাণ করা হয়।কলেজের দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে, এখন শিক্ষক সংখা ৭ জন ও বিভিন্ন পদে কর্মচারী ৭ জন আছেন। এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় তারা কেউ সরকারি বেতন ভাতা পান না। আর এইচএসসি (ব্যবসা ব্যবস্থাপনা) চলমান শিক্ষা বর্ষে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৭১ জন। কলেজটিতে ট্রেড দুটি হলো- ডিজিটাল টেকনোলজি ইন বিজনেস ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট। গত তিন বছরের কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল বেশ ভালো বলে জানা গেছে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকিদা সুলতানা জানান, কলেজটি প্রতিষ্ঠার বছর তিনেক পর এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর পরই অজ্ঞাত কারণে তা বাতিল করা হয়। এর পর থেকে এমপিও ভুক্তির জন্য জোরালো চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। তিনি আশা করছেন, চলমান নীতিমালার (সংশোধিত) আলোকে কলেজটি এমপিও ভুক্ত হবে

বেলকুচিতে ব্যাংকের টাকা গায়েব- তিন কর্মকর্তা কারাগারে

জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ভল্ট থেকে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার গায়েবের ঘটনায় মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।এ ঘটনায় জনতা ব্যাংকের সিরাজগঞ্জ তামাই শাখার তিন কর্মকর্তা কারাগারে আছেন। গত সোমবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে ওই শাখার পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিন থেকে চার জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।বুধবার বিকালে দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঘটনাটি অর্থ সংক্রান্ত হওয়ায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণের পর অভিযোগটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল বলে চলনবিল বার্তা কে জানান বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান।

এবারের ঈদ যাত্রা হবে নিরাপদ ও নির্বিঘœ
—হাইওয়ে পুলিশ প্রধান

জি,এম স্বপ্না,সলঙ্গা: বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, এবার ঈদযাত্রা হবে সবচেয়ে স্বস্তির। পুলিশ সড়ক বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে সমন্বয় করে সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। অতীতের অভিজ্ঞতায় যানজটের এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জোরদার। এছাড়া এবার মহাসড়কে অবৈধ গাড়ীগুলো চলাচলেও কঠোর নজরদারি থাকবে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল রোড গোলচত্ত্র এলাকা পরিদর্শন কালে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় হাইওয়ে পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি শ্যামল কুমার মুখার্জী, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আরিফুল রহমান মন্ডল, বগুড়া জোনের হাইওয়ে পুলিশের এসপি হাবিবুর রহমান,হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.এ.ওয়াদুদ, বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

বেদে জীবন বহু কষ্টের ও বেদনার !
গোলাম মোস্তফা, বিশেষ প্রতিনিধি: বেদে সম্প্রদায়ের জীবন ব্যবস্থা খুব কষ্টের ও বেদনার। জন্মগতভাবে অতি দরিদ্র। কারো স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে, আবার অনেকের নেই। পেটের তাগিদে ঘুরে বেড়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। তারা কিছু দিনের জন্য মাটিতে গড়ে তোলে বেদে পল্লী। ঝড়ে তাবু উড়ে যায় কিংবা বৃষ্টির পানিতে গা ভিজে, তবুও মাটিতেই রয়ে যায় বেদে লোকজন। কাছে থেকে না দেখলে কেউ আঁচ করতে পারবে না কী ঘটে চলে তাদের জীবদ্দশায়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত দুঃসহ কষ্টের মধ্যেই কেটে যায় অধিকাংশ বেদে পরিবারের জীবন! কথাগুলো বেদে সরদার মন্টু মিয়ার (৫৫)।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রমজানের ঈদ করবেন ঝিনাইদহের ১০টি মুসলিম বেদে পরিবার। তাড়াশে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চায় স্থানীয়দের সাথে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চুইচিং মং মারমা ১০ কেজি করে চাল দিয়ে এসেছেন। এতে ভীষণ খুশি। কিন্তু ঈদে গোস্ত-ভাত খেতে চায়, টাকা নাই। কেউ তাদের ঈদের দিনের এক বেলা খাওয়ার বাজার করে দিলে শিশু সন্তানসহ সবাই একটু ভালো খেতে পারত।
বেদে শরীফ হোসেন (৫৪) বলেন, বিশেষ করে আমরা গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে ঘুরে বানর খেলা, সাপের খেলা দেখিয়ে লোকজনকে আনন্দ দিয়ে থাকি। তারপর গ্রামের লোকজন চাল দেয়, ৫-১০ টাকা দেয়। এভাবে যৎসামান্য যা রোজগাড় হয় তা দিয়ে জোটে পেটের খাবার ও পড়নের কাপড়। বেদে জীবন বহু কষ্টের আর বিরম্বনার জীবন। লোকজন আমাদের হাসি মাখা মুখগুলো দেখে, হৃদয়ের কান্না হয়ত অনূভব করে না।
জানা গেছে, ১০টি বেদে পরিবারে ৪০ জনের মত সদস্য রয়েছে। রমজান মাসে অনেকে রোজা করছেন। তাবুতে বসে নামাজ আদায় করছেন, কোরআন পড়ছেন। তাদের সবকিছু মুসলিম বিধানে চলে। বেদেরা সারা বছরে একবার নিজ বাড়িতে যান। কেউ রমজানের ঈদে, কেউ বা কোরবানীর ঈদে। গর্ভ ধারণ থেকে শিশুর বেড়ে ওঠা সব বেদে পল্লীতেই হয়ে থাকে বেদে জীবনে। বেদে সম্প্রদায় এখনো আদি প্রথা মেনে চলে। বেদে সরদার যেভাবে বলেন সেভাবে। সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বেদে পল্লী ছাড়ার আগে অনুমতি নিতে হয়। কেউ দুপুরে ফিরে আসে, কারো বিকেল গড়িয়ে যায়। সুফিয়া খাতুন ও মরিয়ম খাতুন নামে দুই বেদে নারী বলেন, রোজা রেখেছিলাম। সেজন্য দুপুর পরই ফিরে এসেছি। গ্রামে-গঞ্জে হেঁটে-হেঁটে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। তাছাড়া প্রায় সবার শিশু সন্তান রয়েছে। পেটের ক্ষুধায় ছটফট করে সারাদিন। তড়িঘড়ি ফিরে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়।
বেদে সরদার মন্টু মিয়া বলেন, ইতোমধ্যে জিনাইদহের কোনো কোনো বেদে পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন। তারপর সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এতে তাদের কষ্টের জীবন থেকে মুক্তি মিলেছে। পর্যায়ক্রমে যাযাবর বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনকে এভাবে সহায়তা জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
(৪ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে দেখা দেখা গেছে, তাড়াশ পৌর শহরের বন বিভাগের পুকুরের এক পাড়ের জায়গাতে তাবু ফেলেছেন বেদেরা। সবার তাবুই জরাজীর্ণ। বেদে শিশুরা ঘুমিয়ে পড়েছে। তাবুতে বসে বেদে নারীরা গল্প করছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চুইচিং মং মারমা চলনবির বার্তাকে বলেন, সোমবারের মধ্যে প্রত্যেক বেদের জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি চাওয়া হয়েছে। ঈদে সহায়তা দানের চেষ্টা করা হবে।

নন্দীগ্রামে ঈদ উপহার দিলেন এমপি তানসেন

নন্দীগ্রাম সংবাদদাতা:বগুড়ার নন্দীগ্রামে অসচ্ছল নারীদের মাঝে ঈদ উপহারের শাড়ি বিতরণ ও জনসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম রেজাউল করিম তানসেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত ও সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নারীদের মাঝে নতুন শাড়ি বিতরণ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পেংহাজারকি এলাকায় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটি ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য রেজাউল করিম তানসেন এমপি ঈদ উপহারের শাড়ি বিতরণকালে তার সঙ্গে ছিলেন নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম দয়া, উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা ফারুক হোসেন, ইয়াকুব আলী প্রমুখ। এরপর ধুন্দার বাজার ও ভদ্রদিঘীসহ বিভিন্ন বাজারে জনসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন সংসদ সদস্য।
ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে টানে নিমগাছির জয়সাগর দিঘী
শাহ আলম ঃ সিরাজগঞ্জের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী উপজেলা রায়গঞ্জ। তাড়াশ থানা থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে নিমগাছি হাটের এক কিলোমিটার পশ্চিমে, বিশাল একটি বিস্তৃত দিঘী অবস্থিত যার নাম ঐতিহাসিক জয়সাগর দিঘী । গৌড়ের অধিপতি তৎকালীন বাংলার সুলতান ফিরোজ শাহের অধীন করদ রাজ্যের রাজা বল্লাল সেনের পুত্র অচ্চুতসেন জয়যুক্ত হয়ে এই দিঘী খনন করেন বলে তার নাম জয়সাগর। দৈর্ঘ্যে আধামাইল।
জানা যায়, রাজা অচ্চুতসেনের কন্যা ভদ্রাবতী ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী। গৌড় অধিপতি ফিরোজ শাহের শাহজাদা বাহাদুর শাহ ভদ্রাবতীর প্রেমে পাগল ছিলেন। বিবাহের প্রস্তাব গেলে রাজা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন। তখন শাহজাদা সৈন্য সামন্ত নিয়ে ভদ্রাবতীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় রাজাও সৈন্য সামন্ত নিয়ে পেছন থেকে আক্রমণ ও পর্যুদস্ত করলেন শাহজাদাকে। আর উদ্ধার করলেন মেয়ে ভদ্রাবতী কে। এই জয়ের স্মৃতি বহনকল্পে বিরাট এক দিঘী খনন করলেন রাজা যার নাম হল জয়সাগর দিঘী।
আবার অনেকের মুখে শোনা যায়, ঐ সময় হঠাৎ একদিন এক সাধুর আবির্ভাব হল । সাধু রাজাকে উপদেশ দিলেন একটি দিঘী খনন করলে নিঃসন্তান রাজার সন্তান লাভ হবে ।
কথামতো রাজা পুকুর খনন করলেন এবং নাম দিলেন জয়সাগর । বছরান্তে রাজার পুত্রসন্তান জন্ম নিল, নাম দিলেন জয় কুমার। কিন্তু দীঘিতে পানি হয় না শুকনা থেকে গেল। আবার সাধু দরবেশের শরণাপন্ন হলে সাধু বললেন, কুমারকে বিয়ে দিয়ে বিবাহ বাসর থেকে ফেরার পথে দিঘির মধ্যে থেকে এক মুঠো মাটি তুললে সঙ্গে সঙ্গে দীঘিতে পানি পরিপূর্ণ হয়ে ভরে যাবে। সাধুর কথামতো রাজকুমার পালকি থেকে নামলেন এবং দিঘির মধ্যে থেকে এক মুঠো মাটি তুলতেই হুহু শব্দে দিঘী পানিতে ভরে গেল। আর সেই পানিতে রাজকুমারের সলিল সমাধি রচিত হলে।এ এক হৃদয়বিদারক করুণ দৃশ্য ।
এই দৃশ্য সইতে না পেরে কুমার পতœী অভিশাপ দিলেন, হে জলরাশি, তুমি যেমন আমার আশা ভরসা বিলীন করে দিলে, আমিও তোমাকে অভিশাপ দিলাম তোমার এই মুক্তা বিন্দুর বারিধারা কোন মানুষ পশুপক্ষী ,কেউ যেন স্পর্শ না করে । কিংবদন্তির অভিশাপের কারণে ভীত হয়ে কোন মানুষ কেউ সেই পানি স্পর্শ করত না বলে জানা যায় । ফলে কালের স্রোতে দিঘিটি দাম দলে ও কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হয়ে পানি দেখা যেত না । সেই থেকে প্রবাদ আছে ওই ঘটনার কিছু দিনের মধ্যে ওই দাম দলের উপর একটি বেলগাছ জন্মে । অজ¯্র বেলও ধরতো গাছে। কিন্তু সেই বেল কেউ হাত দিয়েও ছুতো ,না ভয়ে । ঐ কারণে লোকের মুখে আজও প্রবাদ বাক্য শোনা যায় “ যার গায়ে আছে তেল – সেই খায় জয় সাগরের বেল ”।

তাড়াশে ভিলেজ ভিশনের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

লুৎফর রহমান ঃ অসহায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভিলেজ ভিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ৪০ জন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে “ঈদের পোশাক ও ঈদ সামগ্রী” ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
গত ৩ই (এপ্রিল) বুধবার সকালে তাড়াশ উপজেলা পরিষদ হলরুমে ভিলেজ ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে ৪০ জন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে “ঈদের নতুন পোশাক ও ঈদ সামগ্রী” ও গাছের চারা বিতরণ করা করেন তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা একেএম মনিরুজ্জামান,ভিলেজ ভিশন বাংলাদেশের পরিচালক শরীফ খোন্দকার, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ভিলেজ ভিশনের উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম,তাড়াশ উপজেলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল ওহাব, স্বেচ্ছাসেবী, শাহাদাৎ হোসেন খোন্দকার ও নাজমুল হাসান মেহেদী প্রমুখ।

রায়গঞ্জে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি পাকা করার দাবি

সলঙ্গা প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নিজামগাতী থেকে গ্রামপাঙ্গাসী বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘদিনেও রাস্তাটি পাকা করা হয়নি। ফলে যাতায়াতে চরম বিরম্বনার শিকার হতে হচ্ছে অত্র এলাকার শত শত শিক্ষার্থী ও হাজারো মানুষকে। বিগত দুই যুগ আগে তখনকার সময় উপজেলার ৮ নং পাঙ্গাসী ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলমগীর কবির খান সাহেবের সার্বিক সহযোগিতায় নিচু সড়কটি উঁচু ও ইট ফেলে যাতায়াতের উপযোগী করার পর দীর্ঘ দুই যুগ পার হলেও জনগুরুত্ববহ সড়কটি আজও পাকা করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির মাঝে মাঝে ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখন বৃষ্টি না থাকায় কষ্ট করে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষার সময় একটু বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় পানি আর কাঁদা।
ফলে ইজিবাইক, অটোভ্যান, অটোরিক্সা ও সিএনজিসহ কোনও যানবাহনই এ রাস্তা দিয়ে সহসাই যেতে পারে না।তাছাড়া যাতায়াতের কোন পরিস্থিতিও থাকে না।সড়কটির বেশ কয়েক জায়গা ভেঙ্গে বিভিন্ন পুকুরে চলে গেছে। ফলে চলাচলের চরম বিরম্বনার শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। উপজেলার ডাঙ্গারপাড়া, নিজামগাতী, ব্রাম্যনবাড়িয়া ও গ্রামপাঙ্গাসী সহ বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ বিভিন্ন কাজে প্রতিনিয়ত এই সড়কটি দিয়েই চলাচল করে থাকেন। কিন্তু সড়কটি পাকা না হওয়ায় যাতায়াত করতে চরম অসুবিধা ভোগ করতে হচ্ছে অত্র এলাকার হাজারো মানুষকে। এমতাবস্থায় জনস্বার্থে রায়গঞ্জের নিজামগাতী থেকে গ্রামপাঙ্গাসী বাজার পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সঢ়কটি পাকা করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন অত্র এলাকাবাসী।
তাড়াশ পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ

বিশেষ প্রতিনিধি: তাড়াশে রমজানে ইফতার, তারাবী ও ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা নৈতিক দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১। এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে বিদ্যুৎ ব্যবহারের মরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাড়াশ জোনাল অফিস থেকে। বিশেষ করে চলতি বোরো মৌসুমে বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প রাত ১১ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত চালানোর জন্য গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাড়াশ জোনাল অফিস সূত্র জানিয়েছেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সেচ মাম্প পরিচালনা করে সেচ কাজ সম্পূর্ণ করে নিতে হবে। এই সময়ে একটানা ভাল বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যায়। লো-ভোল্টেজের কোন আশঙ্কা থাকেনা। রাতে ট্রান্সফরমার চুরির ভয় থাকেনা। তাছাড়া বাল্ব, ফ্যান, টিভিসহ অন্যান্য বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রপাতি চালানো শেষ হলে স্ইুচ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ কনজ্যুমার গ্রæপের মাধ্যমে মুঠোফোনে সব তথ্য পেয়ে যাচ্ছেন বিদ্যুতের গ্রাহকরা।(৩ এপ্রিল) মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকার মাঠে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা দিনের বেলায় বোরো খেতে সেচ দেওয়া বন্ধ রেখেছেন। জানা গেছে, তাড়াশ জোনাল অফিসের হোয়াটসঅ্যাপ কনজ্যুমার গ্রæপের মাধ্যমে বিদ্যুতের সকল তথ্য আগেই পেয়ে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। এ গ্রæপের মাধ্যমে ৭০ ভাগ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। গ্রæপ খুলে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার জন্য তাড়াশ জোনাল অফিসকে বিভাগীয় শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নিরাপদ কুমার দাশ চলনবিল বার্তাকে বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতে কৃষক মূখ্য ভ‚মিকা পালন করছেন। তারা দিনের বেলায় বোরো খেতের সেচ কাজ বন্ধ রাখেন। এজন্য গ্রাহকরা বিদ্যুৎ সরবরাহ ভাল পাচ্ছেন।

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন শ্রেষ্ঠ

লুৎফর রহমান ঃ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধিন্যস্ত তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ রাশিদুল ইসলামের সুযোগ্য নেতৃত্বের ফলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইউনিয়নের স্বীকৃতি পেয়েছে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন।
কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক কার্যক্রম জোরদার করন সহ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে এগিয়ে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন। এছাড়াও মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ক অগ্রগতি ,গর্ভবতী মায়েদের সেবাদান ও প্রতি মাসে প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রতি মাসে চারটি স্যাটেলাইট ক্লিনিক পরিচালনা করা হয় এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে ওঠান বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা ও সেবা প্রদান করা হয়। এসব কার্যক্রম দক্ষতার সাথে সম্পাদন করার জন্য শ্রেষ্ঠ ইউনিয়নের স্বীকৃতি পেয়েছেন তাড়াশ সদর ইউনিয়নের পরিদর্শক মোঃ রাশিদুল ইসলাম।
ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ রাশিদুল ইসলাম বলেন,তাড়াশ সদর ইউনিয়ন কে একটি স্মার্ট ও ডিজিটাল তথ্যসমৃদ্ধ ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, এই সাফল্য তারই একটি অংশ। এছাড়া কোনো কাজই সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবাই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এলে কোনো কাজই কঠিন থাকে না। কাজের স্বীকৃতি পেয়ে আমি সত্যি আনন্দিত।তাড়াশ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মা ও শিশু জন্ম মৃত্যুর নিবন্ধন কার্যক্রম তুরান্বিত হচ্ছে।স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, মা ও শিশু জন্ম মৃত্যুর নিবন্ধন কার্যক্রম সফলতার সাথে পরিচালনা করার জন্য তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ও এর গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

ঈদের একাল-সেকাল
সাঈদ সিদ্দিক

ঈদের দিনে একসময় আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই, নানান রকম উপহার দিত, যাতে করে পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে পকেট পর্যন্ত ভারী হয়ে যেত। এখন আপনজন থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশি সবাইকেই কমবেশি সাধ্যানুযায়ী দিতে হয় । আগে যেমন পাওয়ার পাল্লাটাই ভারী ছিল, এখন অনেকটাই তার বিপরীত । তারপরেও আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে কেউ না কেউ বাদ পড়লে সে চিন্তা সবসময় মাথায় ঘুরপাক খায় । চাহিদা মেটাতে অনেক সময় পকেটটা শূণ্যের কোটায় গিয়ে পৌঁছে । তবুও চাহিদার সমাপ্তি ঘটে না ।

আগের দিনে নেওয়াতে যেমন অপরিমেয় আনন্দ উপভোগ করতাম । এখন তেমনি দেওয়াতে অঢেল সুখবোধ করি । ঈদে বাড়ি ভর্তি আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব না এলে ঈদ আনন্দ মনে হয় অপূর্ণই রয়ে যেত । শৈশবে বন্ধুদের নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়ানোটা ছিল সর্বত্রই স্বাধীন । কিন্তু আজ তা অনেকটাই শিকলে বাঁধা । রুঢ় যান্ত্রিকতার কবলে পিষে আজ তা রূপকথার অতীত । সবসময় রেড সিগনাল মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয় । ঈদের দিন সবাই মিলে ঘুরে ঘুরে পেট পুরে খেতামও । কিন্তু সন্ধ্যা অবধি বাড়ী ফিরলে দেখতে হতো বাবা-মায়ের গালমন্দ। শুনতে হতো অনেক সময় বড়দের কড়া ভাষায় বকুনিও । বাড়িতে সারাটা দিন ধরে অন্যেরা আনন্দ হই-হুল্লোড় করে গেল, আর আমি বাড়ির ছোট্ট ছেলে আড়ালে কেন থাকলাম, বড় অপরাধ হতো ওটাই । আজ সে অপরাধের কাঠগড়ায় নিজেই দাঁড় করাই অনুজদের । সে সব দিনগুলোতে যেমন আমরা ছিলাম বেখেয়াল, আজ তেমনি এরাও অনুরুফ ৷ গতকালটাই আজ যেন স্মৃতিবহ ৷ সেই স্মৃতির কোল ঘেঁষেই দাঁড়িয়ে থাকে সোনালী অতীত।

অসংক্রামক রোগে মৃত্যু রোধে বাজেট বৃদ্ধির দাবি

বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু আশঙ্কাজনকহারে বাড়লেও তা মোকাবেলায় বাজেট বরাদ্দ খুবই কম। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে গত (৬ই এপ্রিল) গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত “অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় বাজেট বরাদ্দ: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত” শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে গেøাবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য “আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার”।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, সাধারণভাবে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত সোডিয়াম বা লবণ গ্রহণ, তামাকের ব্যবহার, কায়িক শ্রমের অভাব, বায়ুদূষণ প্রভৃতি কারণে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে, যা বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশ। তবে এসব রোগ মোকাবেলায় বাজেট বরাদ্দ খুবই সামান্য, মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪.২ শতাংশ। ওয়েবিনারে আরো জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতীয় বাজেটের অন্তত ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখার পরামর্শ দিলেও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে এ খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বাজেট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিøউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে কম।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, “কেবল উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমানোর মাধ্যমেই অসংক্রামক রোগের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আসন্ন বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে লবণ গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে।”
জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, “গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ রক্তচাপের পরীক্ষা ও ওষুধের পিছনে ১ টাকা ব্যয় করলে সামগ্রিকভাবে ১৮ টাকার সুফল পাওয়া সম্ভব। কাজেই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।”ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. লায়লা আখতার। ওয়েবিনারে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র সমন্বয়ক সাদিয়া গালিবা প্রভা এবং সভাপতিত্ব করেন প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এই ওয়েবিনারে অংশ নেন। সূত্র: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

উল্লাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পাচ্ছেন বহু দু:স্থ মানুষ

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি ঃ উল্লাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পাচ্ছেন ৩৮ হাজার ৪৭৬ জন। উল্লাপাড়া পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন মিলে অতি দরিদ্র, অসহায়, দুঃস্থ পরিবারের ৩৮ হাজার ৪৭৬ জন প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফের চাল পাবেন। প্রতিজনকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এর জন্য বরাদ্দ চালের পরিমাণ ৩৮৪ দশমিক ৭৬০ টন (৩৮৪ টন ৭৬০ কেজি) বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাুস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের ৪ হাজার ৬২১ জন উপহারের এ চাল পাবেন। পৌরসভায় চাল বরাদ্দের পরিমাণ ৪৬ দশমিক ২১০ টন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার এ চাল সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে বিতরণে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় তদারকিতে একজন করে কর্মকতা দায়িত্বে থাকবেন।

সিংড়ায় পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ে লিফলেট বিতরণ

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়ায় পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় জনসচেতনতার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করেছেন পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গত মঙ্গলবার (২এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলার কলম ইউনিয়নের বলিয়াবাড়ি, বলিয়াবাড়া বটতলা ও কৃষ্ণপুর বাঁধ এলাকায় পরিবেশ কর্মীরা এসব বিতরণ করেন।
সিংড়ায় পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় লিফলেট বিতরণকালে পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সভাপতি ও সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমরান আলী রানা বলেন, পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে। একটি গাছ কাটার আগে অন্তত ৫ থেকে ১০টি সমকক্ষ গাছ লাগাতে হবে। একটা সময়ে হয়তো কৃষি জমির পরিমাণ কমে গেলে দেশে ধানের উৎপাদন কমে যাবে তখন বিদেশ থেকে ধান চাল আমদানি করতে হবে। ধুলাবালি থেকে নিজেকে সুরক্ষায় মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস করতে হবে। নিজের জন্য এবং আপনার আমার সন্তানদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্যই পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় কাজ করে যেতে হবে।সিংড়ায় পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় এসময় পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি ও সিংড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সোহরাব, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সুইট, কাবিল উদ্দিন কাফি, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জহুরুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

কিডনি চিকিৎসায় দরিদ্র আব্দুল কুদ্দুসকে সহায়তার আহবান

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ার দরিদ্র ভ্যানচালক আব্দুল কুদ্দুসের(৩৫) দুটি কিডনিই বিকল হয়ে পড়েছে। চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন,বাঁচতে হলে কিডনি প্রতিস্থাপন করা জরুরি। আর এ জন্য দরকার অনন্ত একটি কিডনি ও অপারেশন খরচ তিন লাখ টাকা। যার যোগান দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব না। তাই সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। আব্দুল কুদ্দুস উপজেলার ভাঙ্গুড়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকার সিকেডি এন্ড ইউরোলজী হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা: দিলীপ কুমার রায়ের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।এদিকে সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম এই মানুষটি অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকায় কোন কাজ করতে পারছেন না। চিকিৎসা ব্যয় মেটানো ও সংসারে চালাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,ভ্যান চালিয়ে কোনোমতো চলছিল দরিদ্র আব্দুল কুদ্দুসের সংসার। প্রায় দুই বছর আগে হঠাৎ তিনি অসুস্থতাবোধ করলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান,তাঁর দুটি কিডনিতেই সমস্যা।সেই থেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন করছিলেন তিনি। কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। ওই চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রæত ঢাকায় যেতে পরামর্শ দেন। এরপর গত ২৩ মার্চ ঢাকার সিকেডি এন্ড ইউরোলজী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আব্দুল কুদ্দুসকে। সেখানকার চিকিৎসক জানান,তাঁর দুটি কিডনিই বিকল হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অনন্ত একটি কিডনি প্রতিপ্রস্থাপন করা প্রয়োজন। অসুস্থ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন বাঁচতে হলে অনন্ত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা জরুরি। এর জন্য কিডনি ও প্রায় তিন লাখ টাকার প্রয়োজন । কিন্তু এসব যোগান দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে প্রতিসপ্তাহে ৪ হাজার টাকার ওষুধ লাগছে তাঁর। চিকিৎসাবাবদ এ পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। তিনি সমাজের বিত্তশালী ও দানশীল মানুষের নিকট সহযোগিতা চেয়েছেন। তাঁকে সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করুন-মোবাইল নম্বর: ০১৭২৯৮২০৩৫৬(নগদ ও বিকাশ)।

সলঙ্গা ঈদ মার্কেটে নারী ক্রেতাদের বেশী ভীড়

জি,এম স্বপ্না,সলঙ্গা : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতাদের ভীড়ে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা।ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে,ততই সলঙ্গায় বাড়ছে ক্রেতাদের ভীড়। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে অনেক রাত পর্যন্ত থাকছে এই কেনাবেচার ভীড়।
ফ্যাশন হাউজ ও তৈরী পোশাকের দোকানের সাথে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় পিছিয়ে নেই পাদুকা ও কসমেটিকসহ বিভিন্ন বস্ত্র বিতানগুলো। ঈদকে সামনে রেখে সলঙ্গায় ফ্যাশন হাউজগুলোতে কেনাবেচা বেশি হচ্ছে।গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি বলে অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করেন।তবে পোশাকে এসেছে বেশ বৈচিত্র্য।বেশীর ভাগ দোকানে ইতিমধ্যেই শিশুসহ তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সলঙ্গার বাজার।
এর মধ্যে সলঙ্গা বাজারের হাজী মার্কেট,মহির উদ্দিন সুপার মার্কেট,মোহম্মাদ আলী সুপার মার্কেট,অগ্রণী ব্যাংক মার্কেটসহ অন্যান্য মার্কেটগুলোতে চলছে জমজমাট কেনাবেচা।এ ছাড়াও শাড়ি কাপড় হাটা ও তৈরি পোষাকের ঢোপ দোকানগুলোতে সারা দিনই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে।ছিট কাপড়ের দোকানে পছন্দের পোশাক তৈরীর জন্য দোকানীদের কাছে ভীড় করছে সাধারন নারীরা।অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম একটু বেশি হওয়ায় নিম্ন,মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে।অবশ্য নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা সলঙ্গার নামীদামী শপিং মল বা দোকানে যেতে না পারলেও ফুটপাত বা গ্রামের হাটবাজার থেকে সাধ্যমত পরিবার পরিজনের জন্য কেনাকাটা করছে।তবে বাজারের বড় বড় দোকানের চেয়ে সলঙ্গার ঢোপ ঘর ও বাইরের অস্থায়ী দোকানগুলোতে সমানতালে চলছে ঈদের কেনাকাটা। মনে হচ্ছে দোকানীদের দম ফেলার ফুসরত নেই।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সলঙ্গায় মার্কেট করতে আসা ক্রেতা ববিতা,সালমা,রিয়া জানান,বাচ্চাদের জন্য যে বাজেট নিয়ে এসেছিলাম কিন্তু জিনিসের অনেক দাম। তাতে সবকিছু কেনা সম্ভব হচ্ছে না।শাড়ি কাপড়ের দোকান্দার চাঁদ আলী বলেন,শাড়ি,থ্রি পিচ বিক্রি চলছে। তবে এবার প্রচুর বিক্রির আশা করছি।তিনি আরো বলেন,শাড়ি কাপড়ের মুল্য ক্রেতা সাধারনের সামর্থের মধ্যেই আছে।নাসির পাঞ্জাবী হাউস,জাকারিয়া কালেকশন এর দোকানীরা জানান,পুরুষরা পাঞ্জাবি ও বিভিন্ন ব্যান্ডের গেঞ্জি, টিশার্ট কিনছেন তারা।কাপড়,কসমেটিক,পাদুকার দোকান ছাড়াও চিনি,সেমাই-লাচ্ছাসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রীর দোকানগুলোতেও কেনাবেচা চলছে পুরোদমে।এ ছাড়াও সলঙ্গা থানার ৬ টি ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য হাটিকুমরুল সিদ্দিকিয়া মার্কেট,সাহেবগঞ্জ বাজার,ঘুড়কা বেলতলা,পাঁচলিয়া, ভুইয়াগাতী,মালতি নগর আমতলা,হরিনচড়া,দবিরগঞ্জ,জোড়দিঘি,নলকা,এরান্দহ বাজার সহ বিভিন্ন ছোটবড় অনেক দোকানেও পুরোদমে চলছে ঈদের কেনাকাটা।

তাড়াশের নওগাঁ ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ

মোঃ মুন্না হুসাইন : তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে অতি দরিদ্র, অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ ইউপি চত্বরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মিজানুর রহমান মজনু।নওগাঁ ইউনিয়নের ২৩৭০ দুই হাজার তিনশত সত্তুর জন দু:স্থ মানুষের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
চাল বিতরন সময় উপস্থিত ছিলেন- নওগাঁ ইউনিয়নের সচিব মোঃ সেলিম রেজা, ৩ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শাহিন,ইউনিয়ন কর্মকর্তা মোঃ রাশেদ রানা,৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আফজাল হোসেন ও ইউপি সদস্য লতা পারভীন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মনিরুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট খাদ্য অফিসার ও সাংবাদিকগন।জানা গেছে, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের আওতায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে তাড়াশ উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ১৮ হাজার ২শ’ ৩৪জন দরিদ্র মানুষের মাঝে ১০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে।

গুরুদাসপুরে কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির বার্ষিক সভা

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন গুরুদাসপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা বিআরডিবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ। পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রওশন আলী, সাংবাদিক আলী আক্কাছ ও মো. মসলেম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে কৃষক সমবায় সমিতির রাজস্ব (আয়) বাজেট ঘোষনা করা হয় ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৭০০ টাকা ও মহিলা সমিতির রাজস্ব বাজেট (আয়) ২০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এতে ব্যায় ধরা হয়- কেসিসি ২১ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা ও মহিলা সমিতির (ঋণসহ) ৩৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা।অনুষ্ঠানে কেসিসি ও মহিলা সমিতির সভাপতি সম্পাদক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

চলনবিল বার্তার সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি দুর্ঘটনায় আহত

স্টাফ রিপোর্টার : সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মুফতি খোন্দকার আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহ্ গুরুতর সড়ক দুর্ঘনার শিকার হয়ে বর্তমানে মধুপুর টাঙ্গাইল উপজেলা কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি আছেন। জানা যায় , ময়মনসিংহ এলেংগা হাইওয়ে রোড এর মধুপুর টাঙ্গাইল মধুপুর থানার সামনে সড়ক পার হতে গেলে পেছন থেকে একটি মোটর সাইকেল হেড লাইট নিভিয়ে হর্ন না বাজিয়ে হঠাৎ কাছে চলে আসে তা দেখতে সাংবাদিক দেখতে পাননি। হঠাৎ পিছনে এসে বলে হুজুর সরেন, মোটরসাইকেল। তখন থেমে গেলে লোকটি সাংবাদিক আমিনুলকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে হাতে থাকা ব্যাগ হ্যাচকা টান দিলে তিনি রাস্তার উপর পরে যান।
পরে আশেপাশে পথচারী পার্শবর্তী কাজী ডিজিটাল হাসপাতাল এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উপজেলা কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করতে বলে। আমিনুলের মাথায় তিনটা সেলাই করা হয়েছে । হাত ও পায়ের কিছু অংশ কেটে গেছে। তিনি বলেন, আমি বর্তমানে খুব অসুস্থ অবস্থায় আছি ।তাই সকলের নিকট দোয়া চাই ।

ঈদের পাঁচালী বক্স
আবদুর রাজ্জাক রাজু

মূল্যস্ফীতির এই দুর্দিনে কেমন হবে ঈদটা
সেটা ভাল বলতে পারে অর্থনীতিবিদটা
আমজনতা ও সবাই জানি
লাভ নাই করে কানাকানি
মানুষ ভালই সুখেই আছে অর্থমন্ত্রীর জিদটা।
* * *
সদ্যই বিশ্বে প্রকাশ পেল সুখী দেশের তালিকা
সেই জরিপে পিছিয়েছে বাংলাদেশ যে তা লিখা
নানান সূচক নি¯œমুখি
কী করে আর হবে সুখী
রাজনীতি আর গণতন্ত্র যে অর্থনীতির চালিকা।
* * *
ঠেলাঠেলি পেলাপেলি দ্ব›দ্ব-বিরোধ যেথা রয়
সেখানে আর শান্তিপূর্ণ-স্বস্তির ঈদ ক্যামনে হয়
রাজনীতিটায় বেশী গন্ডগোল
কেউ বা খাচ্ছে মজার ঝোল
বহু বিরোধী নেতা-কর্মীর আজ জীবনটাই যে বিষাদময়।

গুরুদাসপুরে তিন প্রাইমারী স্কুলের নাম পরিবর্তন

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে শ্রæতিকটু ও নেতিবাচক শব্দ যুক্ত থাকায় তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত বুধবার ৩ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় শাখা-২ এর প্রজ্ঞাপনে ওই নাম পরিবর্তনের বিষয়টি জানাযায়।
গুরুদাসপুর উপজেলার ‘পোয়ালশুড়া পাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করণ করা হয়েছে ধানসিঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘দড়িঁহাঁসমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে তিতাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ‘পোয়ালশুড়া দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘দড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। এর মধ্যে হাঁসমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০৫ বছর আগে ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

তাড়াশে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর

আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার : গত মঙ্গলবার তাড়াশ কবিতা ক্লাবের আয়োজনে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয় তাড়াশ উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী হলরুমে বিকাল ৩ টায়। বিশিষ্ট কবি ও সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক রাজুর সভাপতিত্ব করেন। এতে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন কবি সৈয়দ সাইদুর রহমান সাইদ, প্রবীন লেখক ও কবি সাইফুল ইসলাম, কবি সনজু কাদের, কবি জহির উদ্দীন মাস্টার, তাড়াশ মহিলা কলেজের অধ্যাপিকা কবি ফিরোজা বিউটি, কবি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, কবি ও সংস্কৃতিসেবী সাইফুল ইসলাম, কবি শহিদুল ইসলাম শাকিল. আবদুর রাজ্জাক রাজু প্রমূখ। সবশেষে ইফতার পূর্ব দোয়ায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মুনাজাত পরিচালনাকরেন কবি আব্দুল মতিন।

তাড়াশে বেড়েছে কুমড়ো বড়ির কদর
স্টাফ রিপোর্টার:সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রমজানের শুরু থেকে কুমড়ো বড়ির কদর বেড়েছে। রোজার আগে অন্যান্য উপজেলার পাইকাররা বড়ি কিনে নিতেন। এখন স্থানীয় হাট-বাজারের দোকানের চাহিদা মেটাতে অতিরিক্তি শ্রম দিতে হচ্ছে বড়ি তৈরিতে। বিশেষ করে কুমড়ো বড়ি শীতকাল ও রমজানেই বেশী বেচাকেনা হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা। নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের কুমড়ো বড়ির ব্যবসায়ি আলামিন হোসেন, সিদ্দিক, আব্দুল হামিদ, মোন্নাফ ও মান্নান বলেন, ২০ বছরের অধিক সময় ধরে তারা কুমড়ো বড়ি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এ ব্যবসা করে অনেকে সাবলম্বী হয়েছেন।
তারা আরো বলেন, আগের দিনে পরিবারের মেয়েরা রাতভর শিল পাটায় ডাল গুরো করে নিতেন। তারপর সারাদিন রোদে শুকিয়ে কুমড়ো বড়ি তৈরি করা হত। এখন মেশিনের সাহায্যে অল্প সময়ের মধ্যেই ডাল গুরো করা যায়। কিন্তু বড়িগুলো রোদে শুকানোর জন্য হাতেই পাটিতে দিতে হয়।আলামিনের স্ত্রী তাছলিমা ও সিদ্দিকের স্ত্রী মায়া খাতুন বলেন, সংসারে খুব অভাব ছিল তাদের। তারপর কুমড়ো বড়ি তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন। এখন অভাব কেটে সাবলম্বী হয়েছেন। এ কাজ বেশ আড়ামের সাথে বাড়িতে বসেই করা যায়। বেকার নারীদের অল্প পূঁজিতে কুমড়ো বড়ির ব্যবসা করার মরামর্শ দেন এই দুই জন নারী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁ গ্রামের প্রসিদ্ধ নওগাঁ হাটের পাশের একটি জায়গাতে কুমড়ো বড়ি রোদে শুকাতে দিয়েছেন দুই জন ব্যবসায়ি। জানা গেছে, প্রতিদিন এক জনের চাতালে ১২০ থেকে ১৩০ কেজি কুমড়ো বড়ি তৈরি হচ্ছে। কুমড়ো বড়ি সারা বছর তৈরি করা যায়। তবে শীতকাল ও রমজান মাসে চাহিদা বেশী থাকে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনোয়ার হোসেন চলনবিল বার্তাকে বলেন, কুমড়ো বড়ি খেলে হজম ভাল হয়। এতে ডায়েটরি ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।

সলঙ্গা ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাল প্রদান
জি,এম স্বপ্না : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অসহায়,দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ভিজিএফ এর চাল সুষ্ঠ ভাবে বিতরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ৮ নং সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে চাল বিতরণের উদ্বোধন করেন,ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান তালুকদার। ইউনিয়নের ৩ টি ওয়ার্ডের মোট ২ হাজার ৮৩০ জন সুবিধাবঞ্চিত পরিবারকে ১০ কেজি করে মোট ২৮,৩০০ মে: টন চাল সুষ্ঠ ভাবে বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,সহকারি কমিশনার (ভুমি) কর্মকর্তা, উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসার সোহেল আরমান,ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বর)গণ সহ নেত্রীস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য,শেষে কিছু কার্ড বহির্ভুতদের ব্যক্তিগত তহবিল হতে অর্থ দিয়ে অসহায়দের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রায়গঞ্জের আবারও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ !

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি ঃ রায়গঞ্জে ধানগড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জে.কে. আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ টা পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় কিছু দিন পুর্বে। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় ১৫ দিনের ভিতরে সভাপতি বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদনের তারিখ শেষ হতেই শুরু হয় নিয়োগ বানিজ্যের গুঞ্জন।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা কর্মী এবং আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে প্রধান শিক্ষক পদে-৬ জন, অফিস সহায়ক পদে-৮ জন, নিরাপত্তা কর্মী পদে-৬ জন, আয়া পদে-৪ জন প্রার্থী আবেদন করছেন। তাদের মাঝে প্রাথমিক পর্যায়ে বাছাই করে অফিস সহায়ক পদে ২ জন এর আবেদন স্বয়ংসম্পূর্ণ না থাকায় বাতিল করে অফিস সহায়ক পদে ৬ জন কে মনোনীত করেছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রার্থী জানান, নিয়োগ কমিটি টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। যাদের থেকে টাকা নিয়েছেন তারা প্রকাশ্যে দিবালোকে বলে বেড়ায় আমাদের চাকরি হয়ে গেছে। জ্যের তথ্য প্রকাশ পেলে আবেদন বাতিল করেন জেলা প্রসাশক যার জন্য নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।এবারও নতুন করে ডিজি প্রতিনিধি ও ডিসি প্রতিনিধি নির্ধারণ করার চেষ্টা করছেন ম্যানেজিং কমিটি বলে জানা যায়। এলাকাবাসী, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকগন এবং প্রার্থীদের দাবি নিয়োগ পরীক্ষা যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় এবং যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হয়।

ভারত থেকে আনা পেঁয়াজ সিরাজগঞ্জে খালাস

মোঃ আনোয়ার হোসেন সাগর ঃ ভারত থেকে আমদানি করা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের প্রথম চালান এসে পৌঁছেছে সিরাজগঞ্জে। আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজ ঢাকা, গাজিপুর ও চট্টগ্রামের নির্দিষ্ট জায়গায় ৪০ টাকা কেজি দরে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)। গত সোমবার (০১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মালবাহী ট্রেনযোগে আমদানি করা ১৬৫০ টন পেঁয়াজ সিরাজগঞ্জ বাজার রেল ইয়ার্ডে এসে পৌঁছে। পরে সকাল ৯টা থেকে পেঁয়াজ খালাস শুরু হয়। এর আগে রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে ভারত থেকে ৪২টি ওয়াগনে এ পেঁয়াজ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এসে পৌঁছায়। এরপর কাগজ পত্র যাচাই বাছাই শেষে রাতে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্য রওনা হয়।টিসিবির অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম খোর্শেদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারের সঙ্গে টিসিবির কর্তৃক ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি হয়। সেই চুক্তি মোতাবেক প্রথম চালানের ১৬৫০ টন পেঁয়াজ সিরাজগঞ্জে পৌঁছে। এরমধ্যে ১০০০ টন পেঁয়াজ ঢাকা জেলার ১০০ জন ডিলারদের কাছে হস্তাস্তর করা হচ্ছে। এবং বাকি ৬৫০ টন পেঁয়াজ গাজীপুর ও চট্টগ্রামে পর্যায়ক্রমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

সিংড়ায় ডিজিটাল পল্লী উদ্যোক্তাদের সংযোগ সভা

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি ঃ নাটোরের সিংড়ায় সক্ষমতা উন্নয়নে গ্রাম পর্যায়ে ডিজিটাল পল্লী সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের দক্ষতা আনয়নে সংযোগ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১লা এপ্রিল) দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিজিটাল পল্লী ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহিদুজ্জামান সাঈদ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এ এস এম আলমাস, উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ রফিক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুর রহমান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ সুমি আক্তার, সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. এমরান আলী রানা প্রমুখ।

সিরাজগঞ্জে সম্মিলিত প্রয়াসের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

শাহ আলম : মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য ,এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সিরাজগঞ্জে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্মিলিত প্রয়াস (তাড়াশ-রায়গঞ্জ ও সলঙ্গা)র উদ্যোগে শত শত হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদের বাজার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে । স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি মোহিবুল্লাহ মহিব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন সহ সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে গত শুক্রবার এই ঈদের বাজার সামগ্রী বিতরণ করা হয় । সমাজের দানবীর ব্যক্তিদের সহাতায় এবং সম্মিলিত প্রয়াস এর সদস্যবৃন্দের সহযোগিতায় এই ঈদের বাজার সামগ্রী হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে তুলে দেওয়া হয় । সমাজের অবহেলিত মানুষের ধর্মীয় উৎসবের সময়, রক্তদান কর্মসূচি, অবহেলিত মানুষের জটিল রোগের চিকিৎসা সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে সম্মিলিত প্রয়াস টিম স্বেচ্ছায় পাশে থেকে কাজ করে চলেছে । আগামীতে যেন এই সংগঠনটি ব্যাপকভাবে পুরো জেলায় কাজ করতে পারে এমনটাই প্রত্যাশা করেন দলটির সভাপতি জনাব মহিবুল্লাহ মহিব।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD