সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা, ২৪ রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৭ চৈত্র ১৪৩০ ২০ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

Spread the love

পরিবেশ দূষণে
বাংলাদেশে বছরে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু : বিশ্ব ব্যাংক

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ বাংলাদেশে ২০১৯ সালে বায়ু দূষণসহ চার ধরনের পরিবেশ দূষণে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দূষণের কারণে ওই বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার একটি হোটেলে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ)’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের ক্ষয়ক্ষতির এ চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের পয়োনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি এবং সিসা দূষণ বছরে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ। এর ফলে বছরে ৫২২ কোটি দিন অসুস্থতায় অতিবাহিত হয়। ঘরের ও বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এই ক্ষতির পরিমাণ ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩ শতাংশের সমান। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ উদ্বেগজনক মাত্রার দূষণ ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এটা তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক ও নারীদের। সূত্রঃ নয়া দিগন্ত।

দেশে ২০ মাস ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ গত অর্থবছরের পুরো সময়ে ৯ শতাংশের ওপরে ছিল বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসেও এ ঊর্ধ্বমুখিতা বজায় থাকতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে টানা ২০ মাস ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের জীবনযাপনও কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশের অর্থনীতিতে তিন দশকে আর কখনই এত দীর্ঘসময় উচ্চ মূল্যস্ফীতি স্থায়ী হতে দেখা যায়নি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণে বিলম্বের কারণেই এটি জেঁকে বসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ মান্নান বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের এখানে মূল্যস্ফীতির যে প্রবণতা দেখেছি সেটি হচ্ছে এটি বেশ ধীরে ওঠা-নামা করে।সরকারের কৃতিত্ব হলো মূল্যস্ফীতি বল্গাহীন নয়। এর বল্গাটাকে ধরে রাখা গেছে। বর্তমানে আমাদের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি। আশা করছি এটি ধীরে ধীরে কমে আসবে।’ সূত্র ঃ বণিক বার্তা।
১০ লাখ শিক্ষার্থী কমেছে মাধ্যমিকে
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ চার বছরে মাধ্যমিক স্তরে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিলো ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩ সালে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জনে। অর্থাৎ এই চার বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১০ লাখের বেশি। শিক্ষার্থী কমার এই সংখ্যা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। তবে সংস্থাটি শিক্ষার্থী কমার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি। ব্যানবেইস বলছে, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে ব্যানবেইসের নিজস্ব কোনো পর্যালোচনা নেই। এই তথ্য নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কাজ করতে পারে। সূত্রঃ ভোরের কাগজ।

তাড়াশে শূন্য থেকে কোটিপতি কথিত দলিল লেখক বাচ্চু
দুদকের হস্তক্ষেপ চান এলাকাবাসী

গোলাম মোস্তফা, বিশেষ প্রতিনিধিঃ কথিত দলিল লেখক ফেরদৌস হোসেন ওরফে বাচ্চু। সে এসএসসি পাশ না করে নিজেকে দলিল লেখক হিসেবে পরিচয় দেন সরকারি নীতিমালা বহিভর্‚তভাবে সবখানে। তার এ পরিচয় নিছক প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। কিন্তু সে তাড়াশ দলিল লেখক সমিতির নেতৃত্বের ভ‚মিকায় রয়েছেন ২০০০ সালে তাড়াশ দলিল লেখক সমিতি গঠিত হওয়ার পর থেকে। বাচ্চু দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কামারুজ্জামানের খুব প্রিয়ভাজন একজন ব্যক্তি। তাড়াশে দলিল লেখক সমিতির গঠন হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সভাপতির পদে আসীন রয়েছেন কামরুজ্জামান। এই সুবাদে বাচ্চু দলিল লেখক সমিতি থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। বাচ্চুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাড়াশের দলিল লেখকরাও।
এদিকে তাড়াশ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান বলেন, ফেরদৌস হোসেন ওরফে বাচ্চু জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পাশ করেছেন। বাচ্চু প্রতি বছর ১৫০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেন। এ বছর সে ৭৫ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছিল। বাড়িতে গিয়ে দেখে আসেন, বাচ্চু এ বছর কত টাকার সরিষা বেচবেন। কেউ পরিশ্রম করে এগিয়ে গেলে তাকে বাধা দেওয়া ঠিক না।
অপরদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ফেরদৌস হোসেন ওরফে বাচ্চু অষ্টম শ্রেণি পাশ। বাচ্চু নিজেও সে কথা স্বীকার করেছেন। স্থানীয়রা বলেন, বাচ্চুর ১৬ বিঘা জমিতে তার ভাই বাবলু চাষ আবাদ করে দেন। তাছাড়া প্রতিবিঘা জমির ইজারা মূল্য ১২ হাজার টাকা। সে হিসাবে ১৫০ বিঘা জমির ইজারা মূল্য আসে ১৮ লাখ টাকা। এরপর বোরো আবাদে খরচ হয় বিঘা প্রতি আরো ১৪ হাজার টাকা। এ হিসাবে খরচ হয় ২১ লাখ টাকা। বাচ্চুর এত টাকার উৎস কী ? বাচ্চু বোরো ও সরিষার আবাদ করেন না। তার বাড়িতে সরিষা মজুত নেই। মূলত দলিল লেখক সমিতির দুর্নীতির টাকা ও গ্রামের মসজিদ-মাদ্রাসার টাকা আত্মসাৎ করে সে কোটিপতি বনে গেছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাচ্চুর গ্রামে মাগুড়া মুকুন্দ পাড়াতে টিনের চাল ও টিনের বেড়ার ১টি বাড়ি। সেখানে বাচ্চুর ভাই বাবলুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বসবাস করেন।
জানা গেছে, বাচ্চুর দাদী আমিনা বেওয়া তার ৩ ভাই কিসমত আলী, আজাহার উদ্দীন ও বরাত আলীর কাছ থেকে ওয়ারিশ হিসেবে ১৪ বিঘা জমি পান। কিন্তু বাচ্চুর বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা সাকোয়াত হোসেন বেঁচে থাকতেই অভাবে পড়ে সেই জমি বেচে দেন। এরপর তাদের কোন সম্পত্তি ছিল না। বাচ্চুর ভাই বাবলু গ্রামের লোকজনের ডিজেল চালিত শ্যালো মেশন মেরামত জীবিকা নির্বাহ করেন।
অপরদিকে বাচ্চু তার নিজ গ্রাম মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের মাগুড়া মুকুন্দ পাড়া জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার টাকার ক্যাশিয়ার পদ জোরপূর্বক ধরে রেখেছেন দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর যাবৎ। আগে এ ক্যাশিয়ারের পদ প্রতি দুই বছর অন্তর পরিবর্তন হয়ে আসছিল গ্রামের রীতি অনুযায়ি। কিন্তু বাচ্চু প্রভাব খাটিয়ে এ পদে রয়েছেন দীর্ঘদিন। এ গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসা পুকুর ইজারা দিয়ে কোটি টাকার উপরে পাওয়া যায় প্রতিবছর। সেসব টাকার কোন হিসাব দেন না ক্যাশিয়ার ফেরদৌস হোসেন ওরফে বাচ্চু। বরং গ্রামের সাধারণ লোকজন মসজিদ-মাদ্রাসার টাকার হিসাব চাইতে গেলে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখা হয়। বিশেষ করে হিসাব চাওয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মুকুন্দ পাড়ার জলিলের পরিবারে হত্যার উদ্দেশ্যে তান্ডব চালায়। জলিল ও তার সহোদর ভাই ছাইদুরের হাত-পা ভেঙে দেয়, মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তাদের বাড়িতেই অবরুদ্ধ করে রাখেন বাচ্চু ও তার লোকজন।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামানের দলিল লেখার কম্পিউটার অপারেটর ও তালম ইউনিয়নের চৌড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে টুকু বলেন, আমি মাস্টার্স পাশ। কিন্তু দলিল লেখার লাইসেন্স পাইনি এখনো। ২০১০ সাল থেকে লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রয়েছে। আমি একটি দলিল লিখে ২০০ টাকা পাই। কথিত দলিল লেখক বাচ্চুর সম্পর্কে বলেন, বাচ্চু এসএসসি পাশ নন। দলিল লেখক অফিসে তার কোন পদ পদবি নেই। নাম প্রকাশে না করার শর্তে বেশ কয়েকজন দলিল লেখক বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ি ফেরদৌস হোসেন ওরফে বাচ্চুর দলিল লেখক পরিচয় দেওয়া ডাহা মিথ্যে কথার সামিল। তার বাবা গাজি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাকোয়াত হোসেন একজন দলিল লেখক ছিলেন। মূলত তিনি মারা যাওয়ার পর বাচ্চু দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কামারুজ্জামানকে ম্যানেজ করে তার হয়ে নেতৃত্ব দিতে থাকেন দলিল লেখক অফিসে। কথিত দলিল লেখক ফেরদৌস হোসেন ওরফে বাচ্চুর বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের মাগুড়া মুকুন্দ পাড়াতে। তার পিতা গাজি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাকোয়াত হোসেন।
জানা গেছে, মাগুড়া মুকুন্দ পাড়ার জামে মসজিদ ও মাগুড়া মুকুন্দ পাড়া মাদ্রাসার নামে রায় পুকুর, বড় পুকুর, ধোয়া পুকুর, চৈত্র্যা, বালা গাছা, দিঘা গাড়ি, হেচা গাড়ি, মুচার পুকুর, কোদাল ধাও, চৌকি ও ২টি গরমহলসহ ১২ টি পুকুর রয়েছে। এসব পুকুর থেকে বাৎসিক ১ কোটির বেশী ইজারার টাকা আসে।অপরদিকে ফেরদৌস হোসেন ওরফে বাচ্চুর স্থাবর সম্পত্তির অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল। সে তাড়াশ পৌর শহরের খাঁন পাড়াতে খাঁনপাড়া জামে মসজিদের পাশে সেমি পাকা একটি বাড়ি কিনেছেন ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে। শহরের দক্ষিণ পাড়ায় জায়গা কিনেছেন ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার। শহরের কোনাই পাড়াতে জায়গা কিনে রেখেছেন আরো ১০ লাখ টাকার। তার নিজ গ্রামে জমি কিনেছেন ১০ বিঘার মত। বগুড়া শহরে প্লট কিনেছেন। তাছাড়া বগুড়া মালতিনগর তার শশুর বাড়ির এলাকাতে বাচ্চুর জায়গা কেনা রয়েছে। এসব জায়গা-জমি কিনতে তার নগদ গুণতে হয়েছে কোটি টাকার বেশী।
তাড়াশ পৌর শহরের ফলের দোকানদার আব্দুল মমিন বলেন, সারে ৩ শতক জায়গাতে গড়ে তোলা ৪টা বেড রুম ও ১টি ডাইনিং রুমসহ বাচ্চুর কাছে বাড়িটি বেচে দেই ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। বাচ্চু পরিবার নিয়ে সে বাড়িতেই থাকে। পৌর শহরের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা নবীর উদ্দীন বলেন, আমার কাছ থেকে শহরের দক্ষিণ পাড়ার ৬ শতক জায়গা কিনেছেন বাচ্চু ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ২০২৩ সালে। শহরের কোনাই পাড়ার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক মাসুদ বলেন, আমার কাছ থেকে কোনাই পাড়াতে ৪ শতক জায়গা কিনে রেখেছেন ১০ লাখ টাকায় ২০২৯ সালে। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাগুড়া গ্রামের মুকুন্দ পাড়ার অনেকে বলেন, বিগত তিন থেকে চার বছরে বাচ্চু গ্রামে জমি কিনেছেন ১০ বিঘার মত।
মাগুড়া মুকুন্দ পাড়ার জলিল নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, আগে দুই বছর পর পর মুকুন্দ পাড়া জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার ক্যাশিয়ার পরিবর্তন করা হত গ্রামের সাধারণ লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে। কিন্তু বাচ্চু প্রায় ১৭ বছর ধরে মসজিদ ও মাদ্রাসার টাকার লোভে ক্যাশিয়েরর দায়িত্ব ধরে রেখেছেন জোরপূর্বকভাবে। নির্যাতিত এ পরিবারটি আরো বলেন, মুকুন্দ পাড়া মসজিদ ও মাদ্রাসার কোটি কোটি টাকার হিসাব নিয়ে কেউ কথা বলেন না গ্রামের বাচ্চু বাহিনীর ভয়ে। আমাদের পরিবার থেকে হিসাব চাওয়ার কারণে আমাকে (জলিল) ও আমার ভাই ছাইদুরকে বাঁশের লাঠি সোঠা দিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন। হাঁসুয়া দিয়ে মাথায় কোপায়ে গুরুতর জখম করেন। পরে আমাদের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সঠিক সময়ে জরুরি চিকিৎসা সেবাও নিতে পারি নি আমরা। ২০২২ সালের ফেব্রæয়ারি মাসের সেই বর্বরোচিত নির্যাতনের আতংক আমাদের এখনো কাটেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাগুড়া গ্রামের মুকুন্দ পাড়ার একাধিক ব্যক্তি বলেন, মুকুন্দ পাড়াতে প্রায় ১২শ পরিবারের বসবাস। কিন্তু এ পাড়ায় কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। বাচ্চু গ্রামে বিদ্যালয় করার প্রতিশ্রæতি দিয়ে মসজিদ ও মাদ্রাসার ক্যাশ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ঘুষ দেওয়ার কথা বলে। পরে তিনি সেই টাকায় ওমরা হজ¦ করে আসেন গত বছরে।
তারা আরো বলেন, বাচ্চু তার দুর্নীতি আড়াল করতে ইতোমধ্যে গ্রামের এতিম তিন কন্যার বিয়ে দিয়েছেন। এদের সবার বাল্য বিয়ে হয়েছে। বিয়েতে সামান্য টাকা খরচ করেন। কিন্তু এ কাজের প্রচার-প্রচারণায় নিজেকে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে জাহির করে সরব রাখেন বাচ্চু। ঈদে সে ১২০ থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গরু কোরবানী করেন। গ্রামের লোকজনের কাছে বলে বেড়ান “ আমি বড় গরু কোরবানী না করলে মুকুন্দ পাড়ার অসহায় ও গরীব-দুখী মানুষ গোস্ত খেতে পাবে কোথা থেকে।” কথিত দলিল লেখক ফেরদৌস হোসেন ওরফে বাচ্চু তার বিরুদ্ধে লেখালেখি না করার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি নিজ মুখে তার স্বল্প পড়ালেখার কথা স্বীকার করেন। অন্যদিকে তাড়াশের সচেতন মহল মনে করছেন, কথিত দলিল লেখক ফেরদৌর হোসেন বাচ্চু ও তার প্রশ্রয় দাতাদের দুর্নীতির সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিশেষ উল্লেখ্য, এর আগে অতি সম্প্রতি স্থানীয় সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা পত্রিকায় “তাড়াশে দলিল লেখকদের দৌরাত্ম্য” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রথমে বাচ্চুর দুর্নীতি প্রসঙ্গ বেরিয়ে আসে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা সাব-রেজিষ্টারের কার্যালয়ের সাব রেজ্রিষ্টার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ফেরদৌস হোসেন ওরফে বাচ্চুর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। কিন্তু একজন সাব রেজিষ্ট্রার হিসেবে আমি শুধু দলিল লেখক অফিসের অনিয়মের বিষয়গুলো দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।

বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার: মির্জা ফখরুল
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী দমন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দমন নির্যাতন আওয়ামী লীগের হাতিয়ার। এটা না করলে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নিহত, গুম, পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মীর পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশে একটা ভীতিকর, ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকতে বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচন ব্যবস্থাকে হাতিয়ার বানিয়েছে। সূত্রঃ যুগান্তর।

তাড়াশে অনেক মামলা-প্রচুর আসামী
তবুও পুকুর খনন হচ্ছে কীভাবে!

গোলাম মোস্তফা, বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভ‚মি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন করে উর্বর জমিতে বেপরোয়াভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এ উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়ন ও নওগাঁ ইউনিয়নে পুকুর খনন অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। এই দুই ইউনিয়নে ৫০ টির বেশী পুকুর খনন চলছে অবাধে। আরো ৬ ইউনিয়নের পরিসংখ্যানে পুকুর খননের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যাবে।
এদিকে স্থানীয় ভুক্তভোগী লোকজন বলছেন, অবৈধ পুকুর খনন করার অপরাধে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে অনেককে। তারপরও পুকুর খনন থেমে নেই। বরং আগের তুলনায় বেড়েছে। তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলছেন, অবৈধ পুকুর খনন করার অপরাধে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে ২৪ টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছেন ১১ টি। ডিবি বাদি হয়েছেন ১ টি মামলার। অন্য ১২ টি মামলার বাদি ইউনিয়ন সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তারা। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৪১ জনকে। এরা অধিকাংশই জমির মালিক। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন। আসামিরা জামিনে রয়েছেন।
অপরদিকে সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও সলঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, গত মাসের আইনশৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, “ তাড়াশে আর একটি পুকুর খনন করতে দেওয়া হবেনা। বরং পুকুর থেকে ভেক্যু মেশিন রয়েছে জব্দ করে আদালতে পাঠানো হবে। তাড়াশে পুকুর খনন চলছেই জেনে তিনি তাৎক্ষণিক কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দেন।তাড়াশ সদর ইউনিয়নের সোলাপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক রেজাউল করিম ও শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন বোরো মৌসুম। ক্ষেতের ধান গাছ সবুজ হয়ে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু আমাদের ক্ষেতের পাশে হামিদুল ইসলাম ও আমজাদ তালুকদার নামে দুই ব্যক্তি পুকুর খনন করছেন। তাদের পুকুড় পাড়ের মাটি ধসে পড়ছে আমাদের ক্ষেতের মধ্যে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নওগাঁ ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকরা বলনে, এই ইউনিয়নে পুকুর খনন করছেন টাকাওয়ালা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এখানকার ছোট পুকুরগুলো ১৫ থেকে ২০ বিঘা আয়তনের। আর বড়গুলো ৬০ থেকে ৬৫ বিঘা। আমরা তাদের অবৈধ পুকুর খননে বাঁধা দেওয়ার স্বাধ্য রাখিনা। কিন্তু এসব পুকুর হয়ে গেলে আমাদের অল্প জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে থাকবে। কোন ফসলের আবাদ হবেনা। গত শনিবার বিকেলে দেখা গেছে, তাড়াশ সদর ইউনিয়নের সোলাপাড়া ও জাহাঙ্গীর গাঁতী গ্রাম এলাকার বির্স্তীর্ণ মাঠে-মাঠে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আর সব চেয়ে বড় বড় পুকুর খনন করা হচ্ছে নওগাঁ ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে। বেশীরভাগ পুকুরে ৩ থেকে চারটি ভেক্যু মেশিন দিয়ে খনন কাজ করা হচ্ছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ থেকে খালকুলা সড়কের গাঁ ঘেষে ভায়াট গ্রামে পুকুর খনন করছেন আলম ও আরিফ। বাঁশবাড়িয়া ও কালিদাসনিলি গ্রামের মাঝের বিলের জমিতে পুকুর খনন করছেন মাটিয়া মালিপাড়া গ্রামের শামিম হোসেন ও বাবু তালুকদার। মালিপাড়া গ্রামে পুকুর খনন করছেন আলাউদ্দীন, আলী ও আফছার। সাকুয়া দিঘী গ্রামে পুকুর খনন করছেন আকিব্বর ও খাজা। মাটিয়া গ্রামের দক্ষিণ ও পশ্চিম মাঠে আফজাল হোসেন নামে আরেকজন ২টি পুকুর খনন করছেন। ১টির আয়তন ৬৭ বিঘা, আরেকটি ১৫ বিঘার। এছাড়াও উপজেলার আট ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে অবৈধ পুকুর খনন চলছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুকুর খননের ফলে তিন ফসলি জমি আশংখ্যা জনক হারে কমে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, ভ‚মি ব্যবস্থা নীতিমালা লঙ্ঘন করে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, অবৈধ পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি বন্ধের।

চলনবিলে পানির স্তর
আশংকাজনক হারে নিচে নেমে যাচ্ছে
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ চলনবিলের ভ‚-গর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন কৃষকরা। এতে বিলের পানির স্তর আশঙ্কাজনকভাবে নিচে নেমে যাচ্ছে । এক সময় কৃষকরা জমির ওপরে ইঞ্জিনচালিত শ্যালো মেশিন রেখে কৃষি জমিতে সেচ দিতেন। এখন বোরো মৌসুমে আট থেকে ১০ ফুট মাটির গভীরে পাম্প বসিয়ে পানি তুলে জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
এদিকে উপজেলা চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির আহŸায়ক আবদুর রাজ্জাক রাজু বলেন, কৃষকদের সেচ সুবিধার জন্য বিলের মধ্যেকার নদী ও গাঙগুলো খনন করা হচ্ছে। কিন্তু পানি থাকছেনা। বিশেষ করে চলনবিলের সবচেয়ে বড় কাটা গাঙের পানি বন্যার পানির সাথেই নেমে গাঙ শুকিয়ে যায়। পানি ধরে রাখার জন্য সুইচ গেট অথবা রাবার ড্যাম স্থাপন করতে হবে পরিকল্পিতভাবে। নয়ত কৃষক বিলের পানির সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিতই রয়ে যাবেন। অপরদিকে ভ‚-গর্ভস্থ পানির উপর চাপ বাড়তে থাকবে। প্রান্তিক কৃষকরা টাকার অভাবে মাটির নিচে পাম্প স্থাপন করতে না পেরে ৮ থেকে ১০ হর্সের শ্যালো মেশিন ৫ ফুট মাটি খুড়ে গর্তে রেখে জমিতে দিচ্ছেন। কোন কোন কৃষক গর্ত খুড়ে রিংয়ের মধ্যে শ্যালো মেশিন বসিয়ে পানি তোলার প্রস্ততি নিচ্ছেন।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলনবিলের নদী, গাঙ ও খালগুলো পরিকল্পিতভাবে খনন করে সেখান থেকে সেচ সুবিধা নিতে পারলে ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর অতিরিক্ত চাপ কমে যেত।এ প্রসঙ্গে বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব ও বাপা’র কেন্দ্রেীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এস এম মিজানুর রহমান বলেন, চলনবিলের মধ্যেকার গুমানী নদী, করতোয়া, বড়াল, নন্দকুঁজা, তুলসী, তেলকুপি, ভাদাই, আত্রাই, হুরাসাগর, বাঙ্গালী ও চিকনাই নদী পূণ খনন করার সময় এসে গেছে। নয়ত বৃহত্তর এ বিল শুধু পানি শূণ্যই নয়, কালের পরিক্রমায় জীববৈচিত্র্যও হারিয়ে যাবে।

তাড়াশ প্রাণিসম্পদ দপ্তরে চিকিৎসা সেবা বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে চিকিৎসক না থাকায় ভেটেরিনারি ফার্মেসীর দোকানে-দোকানে ঘুরে রোগে আক্রান্ত গরু-ছাগলের চিকিৎসা নিচ্ছেন ভুক্তভোগী লোকজনেরা। চিকিৎসক ছাড়া ভাল চিকিৎসাসেবা মিলছেনা তারপরও। অথচ গুণতে হচ্ছে বেশী টাকা। গত (২৬ মার্চ) মঙ্গলবার তাড়াশ পৌর এলাকার ভাদাস গ্রামের শাহালম নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমার একটি ছাগলের তিনটি বাচ্চা হওয়ার পর ওলান প্রদাহ দেখা দেয়। আমি পর পর তিন দিন মা ছাগলটিকে পশু হাসপাতালে নিয়ে আসি। একদিনও ডাক্তার, ওষুধ পাইনি।
কাউরাইল গ্রামের রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী রিনা খাতুন বলেন, গরুর অসুস্থ বাছুর অটোভ্যানে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। ডাক্তার নেই। ভেটেরিনারি ফার্মের্সী থেকে চিকিৎসা ও ওষুধ নিতে হল বাধ্য হয়ে। সোনাপাতিল গ্রামের আনছের আলী বলেন, আমার গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত। সকালে হাসপাতালে এসেছি। বেলা ১১ টার মত বাজে। ডাক্তার নেই।উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের এফএআই ওরাফেল আহাম্মেদ বলেন, প্রাণিসম্পদ দপ্তরে চিকিৎসক নেই দুই বছরের অধিক সময় ধরে। বিশেষ করে করোনা মহামারির পর গবাদিপশুর জরুরি ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে সরকারিভাবে ভেটেরিনারি চিকিৎসা ব্যবস্থা একেবারে বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে তাড়াশে।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসক হিসাবে বিবেচনা করলে এখন একজনও নেই। এমন পরিস্থিতির মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. অলিউল ইসলামকে তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি কোন কোন সপ্তাহে অফিস করেননা। রায়গঞ্জেই থেকে যান। বিশেষ করে, করোনা মহামারির পর থেকে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির রোগব্যাধির চিকিৎসায় অত্যাবশ্যকীয় বেশ কয়েক ধরনের ওষুধ দেওয়া হচ্ছেনা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে। ভুক্তভোগী লোকজনকে শান্তনা দেওয়ার মত যৎসামান্য কৃমিনাশক ওষুধ রয়েছে। কিন্তু গবাদিপশুর আঠালী পোকা মারা ওষুধ, এছাড়া বিভিন্ন প্রকার রোগবালাইয়ের সিরাপসহ কোন ওষুধ নেই । এত কম ওষুধে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব না।প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন, ইউএলএ, ভিএফএ, এফ.এ.(এ.আই), অফিস সহকারী, পিয়ন, ড্রেসার ও অফিস সহায়কের পদের আরও নয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারির পদ শূন্য রয়ে গেছে।রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. অলিউল ইসলাম বলেন, সপ্তাহে একদিন অল্প সময়ের জন্য হলেও তিনি তাড়াশে অফিস করার চেষ্টা করেন। এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক বলেন, কয়েক মাস আগে সচিব স্যার এসেছিলেন সিরাজগঞ্জে। আমি তার কাছে তাড়াশ প্রাণিসম্পদ দপ্তরের নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। তিনি সমাধানের আশ^াস দিয়ে গেছেন।

সলঙ্গা গণহত্যা দিবস
স্বীকৃতির দাবিতে আইনি নোটিশ

সলঙ্গা প্রতিনিধি ঃ সলঙ্গা গণহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবসের স্বীকৃতি দিতে এবং স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসককে এ নোটিশ পাঠানো হয়। গত বুধবার (২৭ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে আরও বলা হয়, সমগ্র ভারতবাসীর জন্য রক্তাক্ত বিদ্রোহের ঐতিহাসিক এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয় সেখানে। ৩৯ জন ব্রিটিশ পুলিশের রাইফেলের মূহুর্মুহু গুলিতে রক্তের বন্যা বয়ে যায় সলঙ্গার মাটিতে। সংখ্যা দেখানো হয় সাড়ে চার হাজার। কিন্তু বেসরকারি তথ্যমতে এ সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি বলে জানা যায়। সলঙ্গা অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দাবি জানিয়ে আসছে। জাতীয় ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও বই-পুস্তকে অনেক লেখালেখিও হয়েছে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলও এ বিষয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কিন্তু জাতীয় দিবস ঘোষণা বা স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন কোনটাই আলোর মুখ দেখেনি।
সলঙ্গা বিদ্রোহের বয়স একশ’ বছর পার হয়েছে। এত বছর পরও দিবসটি জাতীয় দিবস হিসাবে ঘোষণা এবং একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। জাতি হিসাবে এটি আমাদের জন্য ব্যর্থতা ও লজ্জার। তাই একজন সলঙ্গাবাসী এবং সচেতন নাগরিক হিসাবে বিষয়টি অত্যন্ত যৌক্তিক এবং গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এ আইনি নোটিশ পাঠানো হলো।আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে উচ্চা আদালতের নির্দেশনার জন্য আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
তাড়াশে যৌতুকের বলি গৃহবধু

লুৎফর রহমান, তাড়াশ ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে যৌতুকের দাবিকৃত মোটরসাইকেল দিতে না পারায় অকালে প্রাণ দিতে হলো সাদিয়া খাতুন পাখি (২৮) নামের এক গৃহবধুর । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিনা গ্রামে। আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মাধাইনগর ইউনিয়নের মালসিন গ্রামের রইছ উদ্দিনের মেয়ে সাদিয়া খাতুন পাখির সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিণা গ্রামের আরশাফ আলীর ছেলে হোসাইনের। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। এর জের ধরে গত ২৭ মার্চ বুধবার রাত সাড়ে আটটার টার দিকে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে স্বামী হোসাইন তারাবির নামাজ পড়তে গেলে অভিমানে সাদিয়া খাতুন গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। গৃহবধু সাদিয়ার বাবা রইছ উদ্দিনের দাবি, তার মেয়েকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুক লোভী হোসাইন মাঝে মধ্যে আমার মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতো এবং মোটরসাইকেল দাবি করতো । আমি গরীব মানুষ হওয়ায় এ দাবি পূরণ করতে পারি নাই। তাই আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছে। । আমি এর বিচার চাই। গৃহবধুর স্বামী হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, লাশ গতরাতেই উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পাদকীয়
তাড়াশে বেশুমার পুকুর খনন-মহা দুর্যোগের আলামত

বর্তমানে শুধু তাড়াশ উপজেলায় নয়, সমগ্র চলনবিলের প্রায় সবকটি উপজেলায় সর্বকালের সর্বাধিক সংখ্যক পুকুর খনন চলছে তিন ফসলী জমি কেটে। হিড়িক পড়া, মহা উৎসব বা ধুম পড়ে গেছে পুকুর খনন , তা বললে কম বলা হয়। বস্তুত এটা প্রথমে হুজুগের আমেজে কিংবা প্রথা-প্রচলননে চললেও এখন তা ভয়াবহ রোগে পরিণত হয়েছে। সমাজের অন্যান্য অবক্ষয়ের মত এটাও তাই দ্রæতই ক্যানসারের ন্যায় ছড়িয়ে পড়ছে সকল জনপদে। একে এক ধরণের নেশা বললেও ভুল হবে না। এ নেশা অর্থ-স্বার্থ কামাইয়ের নেশা, বিত্ত-ভিব বানাবার আসক্তি। এই নেশার মাদকতা ইয়াবার চেয়ে কম কিসে। এর সুদুর পরিণাম অতীব দূর্যোগপূর্ণ, ধ্বংসাত্মক। এর চূড়ান্ত ফলাফল হবে আজাব, গজব ও মছিবত। যার প্রধান প্রতিক্রিয়া ঘটবে চাষাবাদ ও মানুষের জীবন জীবিকার ওপর। এটাকে রম্য কথায় বললে, যে ডালে সে বসে সে ডালই সে কেটে ফেলছে। এর পতন ঘটলে মরণ অনিবার্য। কিন্তু ডাল কাটার ক্ষণিকের মোহে অন্ধ হয়ে বিনাশের দিকটায় তাদের নজর নেই।
পত্রিকার খবরে জানা যাচ্ছে, তাড়াশ উপজেলায় এ যাবৎ শত শত পুকুর খনন হয়েছে যদিও এর সঠিক পরিসংখ্যাণ নেই। কেউ বলছে তা সহ¯্রাধিক হবে । তবে চলনবিলের মধ্যে তাড়াশে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশী। চলতি শুকনো মৌসুমে এ তৎপড়তা যেরকম জোরদারভারে চলছে তাতে এটা ক্রমশ: আওে ভয়ংকর রূপ নি”্ছ।ে যখন এই প্রতিবেদন লিখছি তখনো উপজেলার বহু স্থানে ফসলী জমিতে দেদারছে পুকুর কাটা চলছে। আর তা চলছে একেবারে প্রশাসন ও আইন শৃংখলা কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই, প্রকাশ্যেই। এতে হাজার হাজার হেক্টর আবাদি জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। কোন কোন জায়গায় পুকুর খনন হচ্ছে বা হয়েছে সরকারি খাল দখল করে। অপরদিকে অনেক গ্রামের মাঠের জল নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা করছে সবাই। কিন্তু সব জায়গাতেই প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ কিছু বলার কিংব্য বাধা দেয়ার সাহস পায় না। আর এমনিভাবে অবাধে নির্বিচারে নৈরাজ্য করা দেখে একে অপরে মেতে উঠেছে এই সর্বনাশা দু:সাহসী খেলায়।
এখন প্রশ্ন হল, এই ভয়ানক দুর্মতি দুর্দমনীয় অপরাধমূলক বেআইনী প্রবণতা থামাবে কে? তাড়াশ উপজেলা প্রশাসন সবগুলো ইউনিয়নে গতবছর মাইকিং করেছে। এর প্রতিফলন হল চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি। কারণ সতর্কতা প্রচারনার বিপরীতে পুকুর খনন আরো দ্বিগুন বেগে অব্যাহত আছে এ মৌসুমে। এ দিকে কর্তৃপক্ষ ভ্রাম্যমান আদালত করছেন মাঝে মাঝে। তাতে দেখা যায় সামান্য জরিমানা সাথে সরু নালার মতো পানি গড়ানোর ব্যবস্থা রেখে বিষয়টি ওখানেই ইতি চানেন বা সুরাহা করেন। এতে পরিস্থিতির কোন উন্নতি না হয়ে আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে। এছাড়া অতি সম্প্রতি তাড়াশ-রায়গঞ্জের এমপি মহোদয় উপজেলার আইনশৃংখলা সভায় এব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তাতেও কোন ফল দেখা যাচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে, সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। কিন্তু চোর পালালে যেমন বুদ্ধি বাড়ে তেমনি শত-সহ¯্র পুকুর খননের পর হেদায়েতী বাণী কখন কতটুকু কাজে আসবে তা বিবেচ্য বটে। আর সেটা সঞ্চারিত হয়ে কার্যকরি ভূমিকা নিতে যত দিন গড়াবে, ইতোমধ্যে পরিবেশ ও পরিস্থিতির বারোটা বেজেই গেছে ও আরো যাবে।
এ ব্যাপারে পাশ্ববর্তী দু একটি এলাকার দৃষ্টান্ত দেখা যেতে পারে। গুরুদাসপুরের মাননীয় সাংসদ নিজে উপজেলার আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, হুশিয়ারী জারি বরেছেন। আর পাবনার আটঘরিয়ায় প্রশাসন একবারে স্পটে খনন যন্ত্র ধরে পুড়িয়ে দিয়েছেন। তবে অনেক এলাকায় প্রশাসন, পুলিশ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর, দল এবং স্থানীয় পরিষদের নেতাদেও সাথে খননকারিদের পারস্পারিক যোগসাজশে বেপরোয়া পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। তানাহলে এটা বন্ধ হয় না কেন? বিষয়টি তেমন হলে – শর্ষের মধ্যে ভূতের অস্তিত্বের গন্ধ মেলে। আমাদের দেশে এই খেলা নানান কিছুতেই চলে। তাই যদি সত্য হয় তাহলে এ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে শেষতক। সবশেষে বলব, আইনের যথাযথ প্রয়োগ, নিরপেক্ষ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ, সকলের সম্মিলিত অভিযান, প্রতিবাদে-প্রতিরোধে জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণ,পুকুরের পাড় গুরিয়ে দেয়া ও পুনরায় ভরাটে বাধ্য করা এবং পুকুর খননের সব উপকরণ তথা যন্ত্রের এই অবৈধ কাজে ব্যবহারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ইত্যাকার প্রয়াসের কথা চিন্তা করা যেতে পারে। সবশেষে উদ্বেগজনক বিষয়টি হল , তাড়াশ উপজেলায় এ যাবৎ ২৪ টি মামালা ও ১৪১ জন আসামী হয়েছে এ ধরনের ঘটনায়। এই আসামীদের সবাই বর্তমানে জামিনে আছে। তথাপি এখানে কিছুতেই থামানো বা কমানো যাচ্ছে না এই দুর্দান্ত নেশা। তাই আর দেরি না করে এই অমঙ্গলের উগ্র ক্ষুধা থামাতে হবে এখনই। মনে রাখতে হবে, এটা সাময়িক কোন প্রতিহত বা প্রতিরোধের বিষয় নয়। দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে এর টেকসই প্রতিকার করা তথা স্থায়ীভাবে বন্ধ আশু জরুরী আবশ্যক। অন্যদিকে প্রতীয়মান হচ্ছে, এ সংক্রান্ত আইনটি আরো কঠোর ও সময়পোযোগী করা দরকার। অন্যথায় আমাদের এই অপকর্ম সমাজে অবলীলাক্রমে চলতেই থাকবে। আর তা পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য, অর্থনীতি, কৃষি, ফসল, খাদ্য উৎপাদন ইত্যাদি সবকিছুকে সুদূরপ্রসারী বিপর্যস্ত তথা দুর্যোগের মুখে ফেলে দেবে।

গুরুদাসপুরে সরকারী কলেজে ঘুষ কেলেংকারী

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি ঃ বেতন ভাতার চাহিদা দ্রুত ছাড় করাতে গুরুদাসপুরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. একরামুল হককে উৎকোচের প্রস্তাব দিয়েছিলেন একই প্রতিষ্ঠানের কর্মরত চার শিক্ষক। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে উচকোচ দাবীর মানহানিকর তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ প্রচার করিয়েছেন ওই চার শিক্ষক। এমন অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ একরামুল হক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে কলেজ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ । তিনি বলেন- ২০১৬ সালে কলেজে যোগদানের পর প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতের উদ্যোগ নেই। তখন থেকেই কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন চার শিক্ষক মো. শাহীন আলম, আব্দুল্লাহ আল মাওদুদ, মো. শামসুল আলম ও মো. আনোয়ার হোসেন। একারণে দীর্ঘদিন ধরে এসব শিক্ষকরা তার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিলেন। উৎকোচ দাবির ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে হয়রানি করেছেন ওই শিক্ষকরা। অভিযোগকারী চার শিক্ষক বলেন- গেজেটের পর বেতন ভাতার চাহিদার জন্য তারা অধ্যক্ষককে বার বার অনুরোধ করেন। কিন্তু উৎকোচ না পাওয়ায় তিনি তাদের পাত্তা দেননি।

তাড়াশে ফেয়ার প্রাইসের চাল জব্দ

লুৎফর রহমান ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অবৈধভাবে বিক্রিকৃত ৪২ বস্তা ফেয়ার প্রাইসের (১৫ টাকা কেজি) চাল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় তাড়াশ থানা পুলিশ চালের বস্তাগুলো আটক করে থানায় নিয়ে আসে। চাল আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুল আলম। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দত্তবাড়ী এলাকায়।
উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের ন্যায় তাড়াশে ফেয়ার প্রাইসের চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সেই মোতাবেক দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দত্তবাড়ীতে ডিলার বাবু লাল রজক ব্যবসায়ীদের নিকট ৪২ বস্তা বিক্রি করে দেয়। সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা চাল অনত্র নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ৪২ বস্তা চাল আটক করে। পরে বিষয়টি তাড়াশ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর আলমকে জানালে তিনি ঘটনা স্থলে গিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ৪২ বস্তা জব্দ করে।এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা জানান, ৪২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা হবে। উল্লেখ্য, প্রতিটি ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্রে তদারকি কর্মকর্তা থাকার কথা । কিন্তু কোথাও কোন তদারকি কর্মকর্তা না থাকার সুযোগে কালোবাজারিদের হাতে চলে যাচ্ছে ফেয়ার প্রাইসের চাল।

উল্লাপাড়ার সাবেক এমপির পিএসসহ স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লাপাড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল (৪৬) ও তার স্ত্রী মোরশেদা মরিয়মের (৪৪) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ আয়ের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনার সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খাইরুল হক বাদী হয়ে এ মামলা দুটি করেন।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ২০২৩ সালের (১৭ এপ্রিল) তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর এবং এক কোটি ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৭৬ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য দাখিল করেন। তিনি তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে দুই লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মোরশেদা মরিয়ম এক কোটি ৩৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখেছেন।অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। দুদকের এ মামলা তারই অংশ। আমি আইনগতভাবেই এটার মোকাবেলা করবো।
গুরুদাসপুরে তিনবন্ধুর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন

আলী আক্কাছ, গুরুদাসপুর ঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। এ হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন নাটোরের গুরুদাসপুরের জেল, জুলুম-নির্যাতনের শিকার তৎকালীন ছাত্রলীগের তিনবন্ধু প্রবীর কুমার বর্মণ, অশোক কুমার পাল ও নির্মল কর্মকার। শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করায় তাঁদের দুই বছর ডিটেনশন ও ছয়মাস সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় তাঁদের পক্ষে কথা বলার কেউ ছিল না। তাঁদের পরিবারকেও সইতে হয়েছে নানা অত্যাচার। নাটোরে অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে এমপি, মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু মুজিব হত্যার ৪৭ বছরেও তাঁদের মূল্যায়ন করেননি কেউ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃসময়ের ত্যাগি নেতা ও বিশেষ করে যাঁরা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জেল, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাঁদের মূল্যায়নের জন্য খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন। জানা যায়, তৎকালীন ছাত্রলীগের এ তিনবন্ধুকে “রক্তের বদলে রক্ত চাই, মুজিব হত্যার বিচার চাই” ¯েøাগানে পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণ করার অপরাধে আটক করে নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল। টানা ২৯ মাস কারাভোগের পর ১৯৭৭ সালে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। তিনবন্ধু বলেন, সে সময় অন্যায়ভাবে আটক করে তাঁদের জীবনকে বিপন্ন করে তোলা হয়। জীবনের সোনালী সময়ে গড়তে দেওয়া হয়নি তাঁদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত। জেল থেকে মুক্তির পরেও তাঁরা ভয়ে থাঁকতেন, কখন জানি তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় বাজারপাড়া মহল্লায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ওই তিনবন্ধুর বসবাস। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাঁদের অসহায় জীবনের কষ্টের কথা। তাঁদের স্বাচ্ছন্দে চলার পথতো পচাত্তরেই রুদ্ধ হয়ে গেছে। তিনবন্ধু বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য তাঁরা বিশেষ বিশেষ দিনে উপোস থাকেন এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় ভগবানের দরবারে প্রার্থনা করে থাকেন। তাঁদের স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বাস্তবায়ন হওয়া। নিরবে নিভৃতে কোনোমতে বেঁচে আছেন তাঁরা। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। তারপরও তাঁদের মূল্যায়ন করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন, এ খবরে তাঁদের মনে স্পন্দন জেগেছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাত পাওয়াই এখন তাঁদের প্রবল ইচ্ছা।
শাহজাদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে। চেয়ারম্যানের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত-আয়ের সঙ্গে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূল্যের অসঙ্গতির কারণে দুদক এই মামলা করে।
এছাড়া ৩৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত-আয়ের সঙ্গে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণ থাকায় চেয়ারম্যানের স্ত্রী মোছা. জোমেলা খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। গত বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। পাবনা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খায়রুল হক মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটির তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো লিখিত কোনো চিঠি পাইনি।

শাহজাদপুরে বৌ ফিরে পেতে অবশেষে আদালতের শরনাপন্ন

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ বৌ ফিরে পেতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী স্বামী ইউসুফ আলী। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ইউসুফ আলীর সাথে কথা বলে জানাগেছে, পুর্বপরিচয় ও প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ২০ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে পাবনার বেড়া উপজেলার খানপুর গ্রামের বর্তমান ঠিকানা এসএস রোড সিরাজগঞ্জের শ্রী পলাশ সরকারের মেয়ে প্রিয়াংকা সরকার হিন্দু ধর্ম থেকে হলফনামার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং নাম পরিবর্তন করে নাম হয় হালিমা খাতুন এবং ২১ মার্চ কাজী অফিসে গিয়ে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক শাহজাদপুর পৌর এলাকার ইসলামপুর (রামবাড়ী) গ্রামের মোঃ বাবলু মিয়ার ছেলে ইউসুফ আলীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং ঘরসংসার শুরু করে।কিন্তু মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় তা মেনে নিতে পারেননি হালিমা খাতুন (পুর্বের নাম প্রিয়াঙ্কা) এর পরিবার।তার বাবা মা আত্বীয় স্বজনের মিলে তাকে জোড় করে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে আটক রেখেছে। হালিমার স্বামীর সাথে কোন যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।হালিমা ও ইউসুফের বিচ্ছেদে দুজনই কাতর।এদিকে স্ত্রীকে ফেরত পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মো: ইউসুফ আলি। স্ত্রী হালিমা খাতুনকে ফিরে পেতে ২৫ মার্চ সোমবার সকালে শাহজাদপুর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ইউসুফ।শাহজাদপুর আমলী আদালতের বিচারক গোলাম রব্বানী হালিমার মা বাবাকে ৩ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে কারন দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন।বাদি ইউসুফ আলীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ জেলহক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রায়গঞ্জে হাইস্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

রায়গঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগের আগেই সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে একজন অফিস সহায়ক এবং একজন নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং আগামী ৬ এপ্রিল নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু দুজন প্রার্থীর নিকট থেকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাজেদ আলী সেখ অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় না করেই গোপনে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করার বিষয় এখন ওপেন সিক্রেট। এ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জানা যায়, রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাজেদ আলী সেখ একমাত্র শিক্ষক, কর্মচারী, নিয়োগ দেওয়ার জন্য পর পর তিন বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত কয়েক বছরে তার হাত দিয়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ আরও ৪জন কর্মচারী প্রায় কোটি টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। এবারও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ২জন কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সভাপতি একাই নিজ সিদ্ধান্তে। এ ব্যাপারে সভাপতি মোঃ মাজেদ আলী সেখ বলেন, এবার স্বচ্ছতার সাথে কর্মচারী নিয়োগ দেব কোনো অনিয়ম হতে দেব না। রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলে করিম বলেন, ৬ এপ্রিল অফিস সহকারী ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ হবে বলে জানি। কিন্তু কোনো অর্থ লেনদেন হয়েছে কিনা আমি কিছু জানি না।সবকিছু জানেন সভাপতি মাজেদ আলী সেখ।

তাড়াশে কলেজ ছাত্রীর বিষপানে রহস্যজনক মৃত্যু !

লুৎফর রহমান ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সাদিয়া পারভীন (১৬) নামের এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের মাদারজানী গ্রামে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের মাদারজানী গ্রামের আব্দুস সবুরের কন্যা তাড়াশ ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর প্রথমর্ষের ছাত্রী সাদিয়া পারভীন।
গত ৬ মার্চ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে তাড়াশ গিয়ে বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বান্ধবীরা উদ্ধার করে নিমগাছীতে ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে পরিবারের লোকজন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরবরর্তীতে শরীর খারাপ হতে থাকলে গত ১০ মার্চ উন্নত চিকিৎসার জন্য সাদিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় গত ২৫ শে মার্চ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, কি কারণে বিষপান করেছে তা এখনো জানা যায় নি। পরিবারের কোন অভিযোগ নেই। উল্লেখ্য, কলেজ ছাত্রী সাদিয়ার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কিন্তু এখনো মৃত্যুর কোনো রহস্য উদঘাটন হয় নি।

গুরুদাসপুরে পুকুর খনন বন্ধে সাংসদের হুশিয়ারী
গুরুদাসপুর প্রতিনিধি ঃ ফসলী জমি রক্ষায় গুরুদাসপুরে কোন পুকুর খনন করতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। গত সোমবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে ইউএনও সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে ‘কৃষি জমিতে পুকুর খনন রোধে’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ওই হুশিয়ারী দেন।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর এলাকা পলি মিশ্রিত উর্বর মাটি। এ মাটিতে ফলানো ফসল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উবৃত্ত¡ থাকে। সেই মাটিতে পকুর খনন হলে কিছু লোক উপকৃত হলেও লক্ষ লক্ষ কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তিনি বলেন, বৃহত্তর জনস্বার্থে পুকুর খনন বন্ধ হলে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে চলনবিল। যারা এ অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির আহবান জানান। অনুষ্ঠানে পুকুর খনন বন্ধে বক্তব্য রাখেন,অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জল হোসেন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ, ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী,আব্দুল বারী ও মিজানুর রহমান সুজা,সাংবাদিক আলী আক্কাছ,সাজেদুর রহমান,মাজেম আলী,মিজানুর রহমান প্রমুখ। ইউএনও সালমা আক্তার পুকুর খনন রোধে আইনের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে বলেন,পুকুর খনন বন্ধে অভিযান চলমান থাকবে।

তাড়াশের রোকনপুর দাখিল মাদ্রাসায় দুর্নীতি
শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে

বিশেষ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রোকনপুর দালিখ মাদ্রাসার নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একটি পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে তা গোপন রাখা হয়েছে। বিশেষ করে এবার পুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়টিও চাকরির বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় নাই। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগের আগেই পছন্দ মত নির্দিষ্ট তিন জন চাকরির প্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ হিসাবে নিয়েছেন বেশ কয়েক লাখ টাকা নিয়োগ কমিটি। একই সাথে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি মনোনয়নের আবেদন করে তাড়াহুড়ো করেছন ডিজির প্রতিনিধি পাওয়ার জন্য ও নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য এ নিয়োগ কমিটি।
তালম ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার আবুল কালাম নামের এক জন ভ্যানচালক বাবা তার ছেলে রাব্বির নিরাপত্তা পদে চাকরির জন্য রোকনপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আলামিন হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট কে বি এম আব্দুল মান্নানকে ৫টি গরু বেচে টাকা দিয়েছেন চার লাখ। আমাদের বাড়ির পাশের আনার নামে এক ব্যক্তি ১টি কিনেছেন ৭৪ হাজার টাকা দিয়ে। বাকি গরুগুলো হাটে বেচা হয়েছে। আবুল কালামের স্ত্রী ও রাব্বির মা সাজেদা খাতুনের কথায় বেড়িয়ে আসে চাকরি দেওয়ার আগেই টাকা নেওয়ার সব তথ্য। রাব্বির মা আরো বলেন, ১০ লাখের বেশি টাকা চেয়েছেন আমার ছেলের চাকরির। একটু জমি আছে, বেচে দেব। অপরদিকে রোকনপুর দালিখ মাদ্রাসার সভাপতি ও তালম ইউনিয়ন যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক আলামিন কাওছার বলেন, জীবনে কিছু করতে পারি নাই। নিয়োগের টাকা থেকে একটা অংশ আপনাকেও পৌঁছে দেওয়া হবে! এ নিয়ে লেখালিখ হলে নিয়োগ পার করা সম্ভব না।
স্থানীয় ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা বলেন, ১৯৭২ সালে রোকনপুর মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সভাপতি আলামিন কাওছার ও ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট কে বি এম আব্দুল মান্নানের নানা অনিয়োম ও দুর্নীতির কারণে এ মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, রোকনপুর মাদ্রাসার সভাপতি আলামিন কাওছার এক জন পঞ্চম শ্রেণি পাশ। মূলত সে সভাপতি হওয়ার পর থেকে শিক্ষার বেহাল দশা। আজকে ৬ষ্ট, ৯ম ও ১০ শ্রেণি মিলে ৯ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত আছেন মাদ্রাসাতে। রোকনপুর মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট কে বি এম আব্দুল মান্নান বলেন, নিয়োগ বিষয়ে আমি কথা বলতে পারব না। মাদ্রাসার সভাপতি আলামিন কাওছারের কাছ থেকে সব জেনে নিন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে পুন নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচংি মং মারমা বলেন, আগে অভিযোগগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তারপর নিয়োগ।সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আফছার আলী বলেন, চাকরির জন্য যিনি টাকা দিয়েছেন ও যারা টাকা নিয়েছেন প্রমাণসহ আমাকে দেন। আমি এদের বিরুদ্ধে মামলা করে নিয়োগ বানিজ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করব। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রসাশন ও অর্থ) মোহাম্মদ আবু নঈম বলেন, বাংলাদেশের কোথাও সিরাজগঞ্জের মত নিয়োগ বানিজ্যে হয়না। অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমান পাঠিয়ে দিন। আমি যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

সলঙ্গায় কমছে না নিত্য পণ্যের দাম
বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

জি,এম, স্বপ্না ঃ পবিত্র রমজান মাসে সরকার ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারন করে দিলেও সলঙ্গার হাট-বাজারে তার প্রভাব নেই।লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম। আমদানী প্রচুর পরিমাণে থাকলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্যের বাজার।যার প্রভাব পড়ছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতাদের উপর। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নজরদারী বা ভ্রাম্যমান অভিযানের বালাই নেই বলেও অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, রমজানকে ঘিরে সলঙ্গায় চাল, ডাল, মাছ,মাংশ,ডিম-দুধ,কলা,পেঁয়াজ,রশুন,আদা, আলু,পোটল,মরিচ, তরমুজ,টমেটো,খিরা,শসা,করলা,খেজুর,কলা,ছোলা,তেল,চাল সবকিছুতেই যেন আগুন। ২৯ টি পণ্যের মুল্য নির্ধারন করে দিলেও সলঙ্গার ৬ টি ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য হাটবাজার,স্থানীয় দোকানপাটে সরকারি নিয়ম মানতে দেখা যায়নি। প্রতিটি পণ্যে অধিক দাম নেয়া হলেও দেখার কেউ নেই। বিক্রেতারা বলছেন,কম দামে কিনতে পারি নাই বলেই বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।পাইকাররা বলছেন, দাম নির্ভর করে মালের আমদানীর উপর।সলঙ্গার কোথাও কোন দোকানে নির্ধারিত মুল্য তালিকা ঝুলানোর বালাই নেই। সরকার নির্ধারিত মুল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সলঙ্গা বাজারের এক কাঁচামাল বিক্রেতা জানান,কাঁচামাল নির্ধারিত মুল্যে চলে না। আমদানী বেশি হলে একাই দাম কমে যাবে। রুহুল আমিন নামের এক ক্রেতা বলেন,রমজান মাসে সরকার দ্রব্য মুল্য স্বাভাবিক রাখতে ঢাকঢোল বাজালেও বাজারে তার কিছুই প্রমান নেই। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মুল্য না মানায় রমজানে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের উপর এর প্রভাব পড়ছে। রমজানে ক্রেতা সাধারণ যেন সুলভ মুল্যে নিত্যপণ্য কেনাকাটা করতে পারে, সিন্ডিকেটের কবলে যেন না পড়তে হয় সেজন্য রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সলঙ্গার সচেতন মহল।

শেষের পাতার ফিচার
জীবনে প্রথম একটি নিজস্ব ঘর পেল
তাড়াশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মনোয়ারা

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ “ দক্ষিণা জানালা-উত্তরে দুয়ার, স্বপ্নের এ ছোট্ট কুটির মনোয়ারার ”। মানবিক সহায়তার নিজ ঘরেই এখন থাকবেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মনোয়ারা। অথচ কদিন আগেও ছিল ঠিকানাহীন। তাড়াশ বাসস্ট্যান্ডের একটি বন্ধ দোকানের সামনে দিনে ভিক্ষা করতেন, রাতে শুয়ে থাকতেন। বিশেষ করে নির্দিষ্ট কোন থাকার জায়গা না পেয়ে বসে বসে কাঁদতেন। (২৯ মার্চ) শুক্রবার বিকেলে ঘর হস্তান্তর করেন স্থানীয় সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মী গোলাম মোস্তফা।
মনোয়ারা (৫১) জন্মেছিলেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের সিলনদহ গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ। মায়ের নাম জামেলা খাতুন। বিয়ে হয়েছিল শাহজাদপুর উপজেলার তালগাছি গ্রামের জসিমদ্দীর সাথে। এখন তার বাবা-মা ও স্বামী কেউ বেঁচে নেই।এদিকে ঘর পেয়ে মহা খুশি মনোয়ারা। প্রায় তিন দিন লেগে গেছে ঘরের কাজ সম্পূর্ণ হতে। এই তিন দিন সে ঘরের পাশে বসে থেকেছেন। চোখে না দেখলেও টিনের ঘর তৈরির শব্দ যেন তাকে এক সুখের অনুভ‚তির ছোঁয়া দিচ্ছিল। কেউ জিজ্ঞেস করলে হেসে বলে উঠতেন ‘ আমার ঘর হচ্ছে’। খুব বেশী নয়, একটু মানবিক সহায়তা এক জন অসহায় মানুষকে যে কী সুখ বয়ে এনে দিতে পারে মনোয়ার মুখের হাসি তা বলে দেয়।
অপরদিকে স্থানীয় সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মী গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরাই পারি মনোয়ারাদের জীবন বদলে দিতে। আমি চেষ্টা করেছি, আপনারা মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা সবাই পেড়েছি এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সহায় সম্বলহীন নারীর স্বপ্নের নীড় তৈরি করে দিতে। এ মহতী কাজে মূলত নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন তাড়াশ ইসলামিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বিএসসি। তিনি বলেছিলেন, ‘ আপনি শুরু করেন, শেষটা দেখা যাবে’। তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটু খালি জায়গাতে তার ঘর তোলা হয়েছে। সেখানে তার মত অসহায় আরো অনেকে বসবাস করেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এ কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, মানুষের মানবিক সহায়তা এক মনোয়ারা নয়, বরং মনোয়ারাদের দুঃসহ জীবন খুব অল্প সময়ে বদলে দিতে পারে।

তাড়াশে সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

মোহসিন আলী ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খাঁন পাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। গত ২৩ মার্চ (শনিবার) বিকালে তাড়াশ সদর খাঁন পাড়ার মরহুম আবুল হোসেন খান এর বাড়ীতে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিচুর রহমানের সঞ্চালনায় ও সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক খাঁন এর সভাপতিত্বে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা আওয়ামীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উক্ত সংগঠনের উপদেষ্টা মো. শাহিনুর আলম খাঁন (লাবু), তাড়াশ ইসলামিয়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বিএসসি ও উপদেষ্টা অধ্যাপক মীর হোসনেয়ারা (ডেইজী মিলন) সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সংগঠনের সকল সদস্য। উক্ত মিলাদ মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হাফেজ মোঃ লুৎফর রহমান।

তাড়াশের ক্ষীরপোতায় লীলাকীর্তন অনুষ্ঠিত

আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার ঃ গত শনি, রবি, সোম, মঙ্গলবার ৪ দিনব্যাপী নাম ও লীলা কীর্তন অনুষ্ঠিত হলো তাড়াশ উপজেলার ক্ষীরপোতা-ভাটারপাড়া মহাশ্মশান ঘাটে। কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র নাথ উরাওঁ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আসরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের জিএস সঞ্জিত কর্মকার, দেশীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্র নাথ বসাক, বিষমডাংগা গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো প্রমূখ। অনুষ্ঠানে নামকীর্তন পরিবেশন করেন রাধাগোবিন্দ সম্প্রদায় – বগুড়া, বীনা পানি সম্প্রদায় – সিরাজগঞ্জ, মা আনন্দময়ী সম্প্রদায় – বগুড়া, আদিরাম সম্প্রদায় – গোপালগঞ্জ ও স্বাগতিক দল – ভাটারপাড়া। এছাড়া লীলা কীর্তন পরিবেশন করেন গাজীপুরের স্বপন কৃষ্ণ দাস, বগুড়ার সুশান্ত কুমার সরকার ও শিবগঞ্জের তনুশ্রী সরকার। অনুষ্ঠানে আগত ভক্তদের জন্য অনেকগুলো ট্যাপের মাধ্যমে নিজস্ব পাইপ লাইনে সার্বক্ষনিক সুপেয় পানীয় জলের ব্যাবস্থা রাখা হয় যা এলাকায় প্রথম নজির। ফলে ভক্ত সমাগম হয় রেকর্ড পরিমান। এর আগে এমন চোখে পড়ে নি।

তাড়াশে আদিবাসীদের মাঝে ছাগল বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রান্তিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের অনুদানে ছাগল বিতরণ করা হয়েছে। গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ছাগল প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পরিবর্তন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এ কে এম মনিরুজ্জামান, পরিবর্তন সংস্থার পরিচালক আবদুর রাজ্জাক রাজু, কর্মসূচি পরিচালক গোলাম মোস্তফা ও পৌর কাউন্সিলর প্রভাষক রোখসানা খাতুন প্রমূখ। উল্লেখ্য, ৫ জন আদিবাসী নারী-পুরুষের প্রত্যেককে ১টি করে ছাগল প্রদান করা হয়
বেলকুচিতে পরিবর্তনের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস পালন

শরদিন্দু মজুমদার ঃ সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো ও পরিবর্তন সংস্থার আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের চালা উত্তর শিখন কেন্দ্রে, চিত্রাঙ্কন, ছড়া-কবিতা প্রতিযোগীতা, নাচ- গানের এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংগালীর জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব অনেক বেশী। কেননা অনেক ত্যাগের বিনিময়ে এই দেশটি আমাদের পাওয়া। ২৬ শে মার্চ তাই বাংগালীর আত্ম গৌরবে উজ্জল, ত্যাগেও বেদনায় মহিয়ান। তাই স্বাধীনবাংলাদেেেশর স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও আদর্শকে ধারন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের প্রত্যেক মানুষকে দেশপ্রেম উদ্ভুদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে। এই অঙ্গীকারে আমরা এগিয়ে চলবো সামনের দিনগুলিতে। এ প্রত্যয় আমাদের সকলের।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত প্রোগ্রামের উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার শরদিন্দু মজুমদার, প্রোগ্রাম সুপারভাইজার মো: মনিরুল ইসলাম, মোছা: খাদিজা খাতুন, মো: কবির েেহাসেন সহ শিক্ষণ বিভিন্ন কেন্দ্রের শিক্ষকবৃন্দ।

তাড়াশে প্রতারণা ও প্রাণনাশের
অভিযোগে যুবক আটক

তাড়াশ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে গোলাম রসুল (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। (২৫ মার্চ) সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করেন তাড়াশ থানা পুলিশ। আটককৃত যুবক ঐ গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। গত মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোলাম রসুল বেশ কয়েক বছর ধরে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। বিশেষ করে সাধারণ লোকজনের সরলতার সুযোগ নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। পরে প্রতারিতরা তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে তাদের দমিয়ে রাখতেন ও প্রতারিত লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিতেন। তাড়াশ থানার মামলা নং ৩১। ধারা ৪২০, ৪০৬ ও ৫০৬ (২)।
অপরদিকে থানা থেকে আসামি গোলাম রসুলের প্রেস ব্রিফিংয়ের ছবি দেওয়ার সময় হাত কড়া পড়া অবস্থায় গোলাম রসুল ও তার বোন শারমিন খাতুন স্থানীয় সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন, “ যারা সংবাদ প্রকাশ করবেন তাদেরকে দেখে নেওয়া হবে। ” এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় গোলাম রসুলকে আটক করা হয়। পরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সিংড়ায় কৃষকের সংবাদ সম্মেলন
সিংড়া প্রতিনিধি ঃ নাটোরের সিংড়ায় পূর্ব শত্রæতাার জেরে আবাদী জমিতে ক্ষতিকারক কীটনাশক প্রয়োগ করে ফসল বিনষ্ট করায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রুকনুজ্জামান ভুট্টু নামের এক ভুক্তভোগী কৃষক। গত সোমবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১টায় উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের মানিকচাপড় গ্রামে কৃষকের নিজ বাড়িতে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কৃষক রুকনুজ্জামান ভুট্টু বলেন, আমার প্রতিপক্ষ মানিকচাপড় গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে রুবেল ও জুয়েল এর সাথে বড় পাঁচপাকিয়া মৌজার একটি জমির কাগজপত্র নিয়ে বিরোধ বাঁধলে বিষয়টি গ্রাম্য সালিস বৈঠকের মাধ্যমে তা মিমাংসা হয় এবং কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে আমার পক্ষে রায় দিলে আমি চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ওই জমিতে ধান চাষ করি। এমতাবস্থায় গত ২১ মার্চ রাতের অন্ধকারে প্রতিপক্ষ আমার আবাদী জমিতে ক্ষতিকারক কীটনাশক প্রয়োগ করে ২ বিঘা জমির ধান বিনষ্ট করে। এতে আমার প্রায় ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার ও ফসলের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোঃ জুয়েল হোসেন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। রেকর্ড সংশোধনীর ওই জমির মামলা এখনও চলমান আছে।

নন্দীগ্রামে নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
নন্দীগ্রাম সংবাদদাতাঃ :বগুড়ার নন্দীগ্রামে মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষসহ তিন পদে অর্ধকোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে ঘোষিত কর্মসূচির প্রথমদিনে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামরুল হাসান সবুজ ও বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রশিদ তোতা মিয়ার অপসারণসহ শাস্তির দাবিতে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কলেজ সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মিজানুর রহমান মিজান, দুলাল হোসেন, রাশেদুল ইসলাম লিটন, নজরুল ইসলাম, বায়জিদ হোসেন, শারফুল ইসলাম, মিলন হোসেন, সুজন মিয়া, তুষার আহমেদ প্রমুখ। এ ব্যাপারে মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি কামরুল হাসান সবুজ বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিয়ম মেনেই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।

রায়গঞ্জে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
স.ম আব্দুস সাত্তার,রায়গঞ্জ ঃ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মাইকেল, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইলিয়াস হোসাইন ও আল-আমিন সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত সোমবার দুপুরে রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে প্রেসকøাব সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রায়গঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মাইকেল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগের দিবাগত রাতে একটি প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর পক্ষের সমর্থক সজীব আহম্মেদ মনিরসহ তাদের লোকজন রায়গঞ্জের অভি হাইওয়ে ভিলা রেষ্টুরেন্টে খেতে আসে। সেখানে সজীব আহম্মেদ মনিরসহ তাদের সঙ্গীদের আচারণ সন্দেহজনক হলে আমরা তার প্রতিবাদ জানাই। এতে তাদের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। পরদিন নির্বাচনে তাদের প্রার্থী হেরে যায়। আমাদের প্রার্থী জয়ী হন। সেই আক্রোশে আমাদের রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ঘটনার ৫দিন পর আমাদের বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ রায়গঞ্জ থানায় করা হয়। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে জাতীয় ও স্থানীয় কয়েকটি সংবাদপত্রে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তার বক্তব্যে মিথ্যা অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাদি আলমাজি জিন্নাহ্, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ঝন্টু, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন, রায়গঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আকন্দসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

নন্দীগ্রামে হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
আরাফাত হোসেন :বগুড়া নন্দীগ্রামে হাফিজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৩ মার্চ (শনিবার) বিকেলে উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রিধইল রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে মাদ্রাসা ময়দানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অত্র মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবি। উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ কামাল ফারুক, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মহিদুল ইসলাম বাবু, অত্র মাদ্রাসার সেক্রেটারী ও সাবেক মেম্বার মনসুর রহমান, জামাল হোসেন, মাসিম হোসেন, আবু জাফর ,সাইদুর রহমান সেন্টু,আলামিন হোসেনসহ তিন শতাধিক মুসল্লি ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। ইফতারের আগ মুহূর্তে অত্র গ্রামের সকল কবর বাসির রুহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করেন মাদ্রাসা মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশিদ।

তাড়াশে দোকানে দুর্র্ধর্ষ চুরি
তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সার ও কীটনাশক দোকানে দুর্র্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা দোকানের পিছনের গেট ভেঙ্গে কীটনাশক, মাছের খাদ্য, মোবাইলের লোড, বিকাশের নগদ টাকা নিয়ে যায়। এতে ওই দোকানদারের প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। গত সোমবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার তালম ইউনিয়নের রানীরহাট বাজার এলাকায় মেসার্স হাফিজ কৃষি ট্রেডার্সে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকালে তাড়াশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তোভোগী মো. হাফিজুর রহমান।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আশা করছি অচিরেই এ ঘটনার জড়িত সবাই আটক করা সম্ভব হবে।

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে নন্দীগ্রামে আলোচনা সভা
আরাফাত হোসেন ঃ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে নন্দীগ্রামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৫ শে মার্চ সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তার, নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসেন আজম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজিউল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফজলুল করিম, উপজেলা প্রকৌশলী নুরুন্নবী, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম সরোয়ার জাহান, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতানা আক্তার বানু, বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী, শফিউল আলম ছবি, মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।

তাড়াশের দেশিগ্রামে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ
শাহ আলম ঃ সিরাজগঞ্জ তাড়াশের ৮ নং দেশিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী ক্ষুধা মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে পবিত্র রমজান মাসের গত ২৫ মার্চ সোমবার অত্র ইউনিয়নের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করলেন । প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিম্ন আয়ের নারী পুর ুষ এই চাল পেয়ে খুশি । অত্র ইউপির চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক এবং সকল ওয়ার্ড মেম্বার মিলে সুষ্ঠুভাবে এই চাল প্রত্যেক ওয়ার্ডের নারী-পুরুষদের মাঝে বিতরণ করেন । চাল বিতরণ করার সময় উপজেলার ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন ।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD