সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা, সংখ্যা ২১. ২০২৪

Spread the love

তাড়াশ উপজেলা পরিষদের প্রবেশ গেটে
“উপজেলা পরিষদের নাম” নেই গোল বক্স করে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের প্রথম এবং দ্বিতীয় দুটি গেটের সামনে উপজেলা পরিষদ নাম লেখা মুছে গেছে দীর্ঘদিন যাবৎ। ফলে এটা যে একটি সরকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক জোন তা প্রথমে বোঝার উপায় নেই। কারণ দুটি গেটেই এর সাইনবোর্ড দেখা যায় না।
উল্লেখ্য, তাড়াশ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে উত্তরের পাশের দুই প্রান্তে দুটি নির্মিত পাকা প্রবেশ গেট রয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিম পাশের গেট মূল প্রবেশ দ্বার হিসেবে সেখান দিয়েই একমাত্র গমনাগমন হয়ে থাকে। কিন্তু এই গেটের উপরে আগে উপজেলা পরিষদের পূর্ণাঙ্গ নাম পরিচিতি লেখা থাকলেও অনেক দিন হল এখন আর কোন কিছুই লেখা নেই। আগের লেখা সম্পূর্ণ মুছে গেছে। অপরদিকে পূর্ব পাশের বন্ধ গেটের উপরেও অনুরূপ কোনো নাম লিখন নেই। এ কারণে উভয় গেট দিয়ে চলাচল করার সময় কারো পক্ষে প্রথমেই বোঝা মুশকিল যে, এটা তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চত্বর। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন অনেক বড় বড় ভাল কাজ করলেও নিজের মূল প্রবেশ ফটকের উপরে তাদের কোন সাইনবোর্ড বা প্রাতিষ্ঠানিক নাম উল্লেখ নেই সেটা খেয়াল করছে না।

দুর্নীতির কারণে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয় না: প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ দুর্নীতি দমনে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। গত বুধবার জাতীয় সংসদে নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে জবাবে তিনি একথা বলেন।
সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, কেবল আইন প্রয়োগ ও শাস্তির মাধ্যমে দুর্নীতি রোধ সম্ভব নয়। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে দুর্নীতি মূলোৎপাটন করা হবে।অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধির সঙ্গে মানুষের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটেছে : নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধির সঙ্গে মানুষের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটেছে। তাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি জ্বালানি, প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদাও ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। ফলে গ্যাস চাহিদার সরবরাহ সামঞ্জস্যপূর্ণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় তিনি জ্বালানি খাতের উন্নয়নে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার ফিরিস্তি তুলে ধরেন। ১৫ বছরে ৯৪৮ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ : আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার রেলপথ বিভাগ থেকে মোট ৯৯টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিতে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ২৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ৩টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প অর্থাৎ মোট ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে।এছাড়া রূপকল্প ২০৪১ অর্জনসহ ৩০ বছর মেয়াদি রেলওয়ে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে রেলওয়ে ডাবল লাইন ট্র্যাক নির্মাণ, গেজ একীভূতকরণ, আধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেমের প্রবর্তন, সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগের উন্নয়ন, আপগ্রেডেড লোকোমোটিভ প্রবর্তন এবং বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশন প্রবর্তনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিহারি ক্যাম্পে আবাসিক ফ্ল্যাট : সিদ্দিকুল আলমের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিহারি ক্যাম্পে বসবাসকারীদের পুনর্বাসনকল্পে ও তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয় চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা, সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় উপযোগী প্রতীয়মান হলে সরকারি অর্থায়নে বা অনুদানে পরিকল্পিত বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা যেতে পারে। সূত্র ঃ যুগান্তর।

পাঁচ বছর পর তাড়াশে বইমেলা 
উদ্বোধন করলেন মাননীয় সাংসদ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তিন দিন ব্যাপী অমর একুশে বইমেলা ও সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২১ (ফেব্রæয়ারি) বুধবার বিকালে চলনবিল সাহিত্য সংস্কৃতি ফোরামের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সবুজ চত্বরে অমর একুশে বইমেলা ও সাহিত্য সম্মেলনে সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার সম্পাদক ও চলনবিল সাহিত্য সাংস্কৃতি ফোরামের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রাজুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ-রায়গঞ্জের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ। উদ্বোধনের পূর্বে প্রধান অতিথি স্টলসমূহ পরিদর্শন করেন।উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে তাড়াশে ক্ষুদ্র পরিসরে বইমেলা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানেবিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি খালিদ হাসান। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হোসনে আরা লাভলী লাভলী, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস ছালাম, বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিক শামসুল আলম সেলিম, তাড়াশ ইসলামীয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, বিশিষ্ট নারী নেত্রী রেবেকা সুলতানা রুবি, নারী কাউন্সিলর রোখসানা রুপা, কবি সাহিত্যিক প্রভাষক ফিরোজা পারভীন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চলনবিল সাহিত্য সাংস্কৃতি ফোরামের যুগ্ন আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।
২৩ ফেব্রæয়ারী সমাপনী দিবসের অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ,আলোচনা,সন্মাননা ও পুরস্কার প্রদান ও বুক স্টল স্থাপনকারীদের স্বীকৃতিমূলক সনদপত্র দেয়া হয়।এদিন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থনীয় এমপি’র সহধর্মিনী ডা. হাফিজা সুলতানা।

 

গর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না : হাইকোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে কঠোরভাবে এ নির্দেশ মানার কথা বলা হয়েছে। গত রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তীর্থ সলিল রায়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় অনাগত শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না মর্মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। এই নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ল্যাবরেটরি কোনো লেখা বা চিহ্ন বা অন্য কোনো উপায়ে শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করতে পারবে না। পরে ১৯ ফেব্রæয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নীতিমালা দাখিল করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বিষয়ে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।
এর আগে ২০২০ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা তৈরি করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা বা নির্দেশনা তৈরি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় নির্ধারণে নীতিমালা তৈরি করতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছিলেন। হাইকোর্টের রুলের পর নীতিমালা তৈরির জন্য কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।রুল জারির পর রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেছিলেন, ভারতে আইন করে গর্ভজাত সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গর্ভের শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা হলে প্রসূতি মায়ের মানসিক চাপ তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক চাপে গর্ভপাত করার ঘটনাও ঘটে। ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি গর্ভের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সূত্র ঃ রাইজিংবিডি.কম।

মানবিক সহায়তার আবেদন , ছবি আগের সংখ্যায় আছে
তাড়াশের মতিন ও সাবিনা দম্পত্তির মানবেতর জীবন

গোলাম মোস্তফা, তাড়াশ,সিরাজগঞ্জ:তীব্র শীতের কষ্ট কিংবা ঝড়-বৃষ্টি যাই হোক সয়ে যেতে হয় নিরবে। কনকনে ঠান্ডা বাতাস ভাঙা বেড়ার চার পাশ দিয়ে ঢুকে পড়ে ঘরে। বৃষ্টির পানি ঘরের মধ্যে যখন পড়ে কম্বল, কাঁথা ও কাপড়-চোপড় এক স্থানে জড়ো করে পলেথিন দিয়ে ঢেকে রাখেন। শিশু সন্তান নিয়ে তারাও ঘরের মধ্যে ভিজতে থাকেন। বিশেষ করে শীতের তীব্রতাসহ ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব সবই তাদের সইতে হয় নিদারুণ দরিদ্রতার নিষ্ঠুর কষাঘাতে!
ছয় বছর ধরে রয়েছেন জরাজীর্ণ একটি ঘরে। কিন্তু টাকার অভাবে মেরামত পর্যন্ত করতে পারেননি। এমন মানবেতর জীবন থেকে মুক্তি চান মতিন ও সাবিনা দম্পত্তি। কেউ সহয়তার হাত বাড়িয়ে দিন। আব্দুল মতিনের বাড়ি বারুহাস ইউনিয়নের পলাশী গ্রামে। পলাশী সড়কের পাশেই তাদের বসতঘর। মতিন ও ছাবিনা চলনবিল বার্তাকে বলেন, ২০ বছরের সংসার জীবন তাদের। ৫ বছর থেকেছেন বিন্যার বেড়ার ১ বান টিনের ছাপড়া ঘরে। ১৫ বছর ধরে রয়েছেন কারিতাস বাংলাদেশের দেওয়া ঘরে। তারা শুধু টিনের দো-চালা ছোট্ট ১টি ঘর করে দিয়েছিলেন। পরে স্বামী-স্ত্রী মিলে বাঁশের বাতার ওপর কাঁদা মাটি লাগিয়ে বেড়া দিয়ে নেয়। ৬ বছর আগেই সেই বাঁশের বেড়া উই পোকায় খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। এখন বেড়া ছাড়া ঘর বলা চলে।
এই দম্পত্তি আরো বলেন, শীতের কষ্ট কোনভাবে সয়ে যান। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম পাড়ি দেওয়া সীমাহীন কষ্টকর হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানিতে কম্বল, কাঁথা ও কাপড়-চোপড় ভিজে যায়। পরে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করেন। আর কত বছর এত কষ্ট সয়ে যাব। আমরাও মানুষ, মানুষের মত বাঁচতে চাই। আমাদের একটি ঘর করে দিন। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে ভাঙা ঘরটি মেরামত করে দিন।
মতিন বলেন, আমি দিনমজুর খেটে খাই। তাও প্রতিদিন কাজ পাইনা। মাসে ১৫ থেকে ২০ দিন মজুর খেটে যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চলেনা। তাছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক ও আশা সমিতি থেকে ৮০ জাহার টাকা ঋণ নিয়েছি। কিস্তি দিতে হয়। আমার সামান্য রোজগারে ঘর দেওয়া বা মেরামত করা সম্ভব নয়। আপনারা মানবতার হাত বাড়িয়ে দিন আমাদের দিকে।
সাবিনা বলেন, তাদের তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে মিতুকে বিয়ে দিয়েছেন। মেঝ ছেলে সাকিবুল্লাহ স্থানীয় একটি মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে থেকে পড়ছে। ছোট ছেলে ইব্রাহীম। ঘর না থাকায় বিয়ের তিন বছরে মেয়েকে তার শশুর বাড়ি থেকে আনতে পারেননি। মেয়েটি সব সময় কান্নাকাটি করে বাবা-মার কাছে একবার আসার জন্য।
মতিন ও সাবিনার নিকটতম প্রতিবেশী ওকিমন খাতুন, মর্জিনা পারভীন, শাহেরা খাতুন, আজিজুল ইসলাম ও নুরুন্নবী বলেন, সাবিনার একটি বোরকা পর্যন্ত নেই। জরুরি কাজে কোথাও গেলে অন্যের বোরকা পড়ে যান। বাড়িতে তার একপাটি স্পঞ্জের স্যান্ডেল রয়েছে। আরেক পায়ে পলেথিন পেচিয়ে ওজু করে নামাজ পড়েন। এই অভাবী পরিবারের কষ্ট দেখে আমাদেরও খুব কষ্ট হয়। এসব কথা বলতে বলতে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য মোছা. রিনা খাতুন বলেন, আমি চেয়ারম্যানকে বলে মাসে ৩০ কেজি চালের ভাতা কার্ড করে দিয়েছি। সরেজমিনে দেখা গেছে, মতিন ও সাবিনা দম্পত্তির ঘরের চার পাশের বাঁশের বাতার বেড়া ভেঙে গেছে। ভাঙা বেড়ার কোন কোন জায়গায় চটের বস্তা ও পলেথিন দিয়ে রেখেছেন। ঘরে জানালা নেই। দরজাও ভাঙা। দো-চালা ঘরের টিন ফুটো-ফুটো হয়ে গেছে। টিনের চালের দুই কোণার বেশটা জায়গা ফাঁকা রয়ে গেছে । শীত নিরাবণের তেমন কোন গরম কাপর নাই এ ঘরে কিংবা এ বাড়ির কারোর। বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন থাকলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খালিদ হাসান বলেন, দরিদ্র পরিবারটির জন্য সহায়তার চেষ্টা করা হবে।

কোচিং গিলে খাচ্ছে ‘শিক্ষা’

ডেস্ক রিপোর্টঃ কোচিং-বাণিজ্য রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে এখন শিক্ষার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য। হাজার হাজার কোটি টাকা এই বাণিজ্যে লেনদেন হয়। রাজধানীর সাধারণ স্কুল-কলেজে শিক্ষা দূরের কথা সুপ্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেখাপড়া মানসম্পন্ন না হওয়ায় অভিভাবকরা কোচিংয়ের দিকে ছোটেন। রাজধানী ঢাকায় পড়ালেখা করেন এমন শিক্ষার্থীর প্রায় শতকরা ৯৯ জনই কোচিংয়ে পড়াশোনা করেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা নিজ প্রতিষ্ঠানের ক্লাসে পড়ানোর বদলে নিজেদের কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে বেশি উৎসাহ দেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্যারালাল হয়ে ওঠা কোচিং সেন্টারগুলোতে অহরহ ঘটছে যৌন হয়রানি, ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটনা, যা নৈতিকতার বদলে সমাজকে কলুষিত করে তুলছে; অভিভাবকদের বিপর্যয়ের মুখে ফেলছে।
মূলত রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই কোচিংয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনার প্রচলন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমান্তরাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে প্রাধান্য বেড়েছে কোচিংয়েরই। শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা ভালো ফলের তাগিদ থেকে কোচিংয়ে অনুভব করলেও শিক্ষকদের কাছে এটি এখন অত্যন্ত লোভনীয় বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। কেউ এই বাণিজ্যে অংশ নিতে না চাইলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নম্বর কম দিয়ে, মানসিক নির্যাতন করে, বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে একশ্রেণির শিক্ষকেরা তাদের কাছে পড়তে বাধ্য করছেন। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। যদিও এক যুগ আগেই ২০১২ সালে কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি কাগজেই সীমাবদ্ধ আছে।
এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা অনুযায়ী নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট কোচিংয়ে পড়ানোর সুযোগ নেই। কিন্তু পড়ানো হচ্ছে বলে আমরা জানছি। কিন্তু শিক্ষা অধিদপ্তরের কম জনবল থাকায় বিষয়টি মনিটরিং করার সুযোগ কম। বিষয়টি অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক মনিটরিং করতে পারে। তবে এই নীতিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শিক্ষা প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে প্রকাশ্যে শিক্ষকরা কোচিং-বাণিজ্য চালিয়ে এলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি মন্ত্রণালয়। আর যাদের দেখভাল করার দায়িত্ব সেই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর নীরব দর্শকের ভূমিকায়। ফলে স্কুলে পড়ানোর পরিবর্তে কাঁচা টাকা কামানোর এই মাধ্যমটিই এখন বেছে নিয়েছেন শিক্ষকেরা। আর এসব কোচিং সেন্টারেই প্রায়ই ঘটছে শিক্ষার্থী নির্যাতন, ছাত্রী ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো নানা ঘটনা। হাতেগোনা কিছু প্রকাশ পেলেও অধিকাংশই থাকছে আড়ালে। এসব ঘটনার প্রায় প্রতিটিতে জড়িত শিক্ষার্থীদের কাছে আদর্শ হওয়ার কথা শিক্ষকরাই। যখনই কোনো ঘটনা প্রকাশ পায় তখন মন্ত্রণালয়, মাউশি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টরা নড়েচড়ে বসেন, কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কিছুদিন পর আবার চলে পুরনো রুটিনে। সাম্প্রতিক সময়ে কোচিং সেন্টারে ছাত্রী শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ঘটনায় ফের জোরেশোরে শুরু হয়েছে সমালোচনা। যার সর্বশেষটি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর দিবা শাখার গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। সূত্রঃ ইনকিলাব।

তাড়াশে হোটেলে ‘বুয়া’র কাজ করা ইউপি
সদস্য এখন এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন 

গোলাম মোস্তফা, বিশেষ প্রতিনিধিঃ পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ ছিল তার। কিন্তু অভাবের তারণায় নিদারুণ কষ্টে শিশুকাল থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে বড় হয়েছেন। সততার কারণে ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী আসনে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন মোছা. খোদেজা খাতুন। আগের মেয়াদেও ইউপি সদস্য ছিলেন তিনি।
দুইবারের ইউপি সদস্য হয়ে হোটেলে থালা-বাসন মাজার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন খোদেজা খাতুন। এবারে তিনি ৬৮ বছর বয়সে জাফর ইকবাল টেকনিক্যাল ঃ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে এসএসসি পরিক্ষা দিচ্ছেন। তার স্বপ্ন এসএসসি পাশ করে আগামী ৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করবেন। ভ‚মিহীন খোদেজা খাতুন বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামের একটি পুকুর পাড়ের ১৪৬৬ দাগের ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত ভিটা শ্রেণির জায়গাতে বসবাস করছেন। তার স্বামীর নাম মো. আবু তাহের (৭৫)।
এদিকে শিক্ষকরা খোদেজা খাতুনের পড়ালেখার বিষয়টিকে “ অদম্য ইচ্ছা শক্তি হিসাবে দেখছেন। ” বিশেষ করে তাড়াশের আপামর জনসাধারণ বলছেন, “ অতি দরিদ্র খোদেজা খাতুন পয়সা-কড়ি না খরচ করে বার বার বিপুল ভোটে উইপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে সততার এক উজ্জল দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন সমাজে।
খোদেজা খাতুন বলেন, আমার বাবা কেতাব আলী মোল্লা ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। দারিদ্রতার কষাঘাতে আমাকে পাশের পেঙ্গুয়ারি গ্রামের নাসির উদ্দীনের বাড়িতে কাজের মেয়ে রেখে আসেন। ঐ বাড়িতেই আমি বড় হয়েছি। তারাই আমাকে বিয়ে দিয়েছেন। পড়ালেখার শখ থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। এখন সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ৯ম শ্রেণির বোর্ড পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। এসএসসি পরিক্ষাও ভালো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভোটারদের কাছে সততার মূল্যই বেশী। তাদের কাছে অর্থ কোন ব্যাপার না। আমি আশাবাদী, “ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করলে জয় লাভ করতে সক্ষম হব।
খোদেজা খাতুনের স্বামী আবু তাহের বলেন, আমার স্ত্রীর নির্বাচনে কোন খরচ হয়না। ভোটাররা প্রচার-প্রচারণা করেন। বরং সাধারণ ভোটাররা তাদের টাকায় লোকজনকে চা-পান খাওয়ান। আমার স্ত্রীর নির্বাচনের কোন কর্মী নাই। ভোটে কেন্দ্রে একজন এজেন্ট থাকেনা। ভোটাররাই তাকে বার বার নির্বাচিত করেন। নির্বাচন শেষ করে যথারীতি দিন মজুরের কাজ শুরু করেন। আগে তাড়াশ বাজারের শাহ হোটেলে থালা-বাসন ধোয়ার কাজ করতেন। কিন্তু মাঝে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। এখন পড়ালেখা নিয়েই বেশী ব্যস্ত।
বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, ইউপি সদস্য খোদেজা খাতুন ২ নং বারুহাস ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী আসনের বিনসাড়া ৭, চৌবাড়িয়া ৮ ও কুসুম্বী ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ১ হাজার ৭৩১ ভোট পেয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারিভাবে তিনি ১০ হাজার ৮০০ টাকা ভাতা পান তিন মাস অন্তর। এত কম টাকায় পরিবারের সার্বিক ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব না। তার স্বামী গুরুতর অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন।
(২৯ ফেব্রæয়ারি) বৃহস্পতিবার সকাল সারে ৯ টার দিকে দেখা যায়, জাফর ইকবাল টেকনিক্যাল ঃ এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্রে বসে আছেন খোদেজা খাতুন। পেছনের বেঞ্চে বসে আছেন তার নাতির বয়সি দুই কিশোর পরিক্ষার্থী। এ প্রসঙ্গে জাফর ইকবাল টেকনিক্যাল ঃ এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার হেদায়েত উল্লাহ বলেন, ইউপি সদস্য খোদেজা খাতুনের ভর্তির কাগজপত্র বোর্ডে প্রেরণ করা হলে বোর্ড তা সাদরে গ্রহণ করে ও তাকে পড়ালেখার জন্য উৎসাহ দেন। এরপর ৯ম শ্রেণির বোর্ড পরিক্ষায় সে কৃতকার্য হন।

বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেল প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু
মুফতি খোন্দকার আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহ ঃ প্রকল্প অনুমোদনের প্রায় সাড়ে ৫ বছর পর বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বগুড়ার জেলা প্রশাসন। প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবসংবলিত ৪ ধারার নোটিস ভূমিমালিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। পাশের জেলা সিরাজগঞ্জেও জমির মালিকদের নামে নোটিশ প্রস্তুতের কাজ চলছে। কর্মকর্তারা বলছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৮৫ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ (ব্রড গেজ ও মিটার গেজ) নতুন রেলপথ নির্মাণের জন্য মোট ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। বগুড়া জেলা সীমানায় অধিগ্রহণ করা হবে ৪৭৯ দশমিক ১৫ একর। বাকি ৪২০ দশমিক ৬৮ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে সিরাজগঞ্জ জেলায়। ভূমি অধিগ্রহণ খাতের ব্যয় মেটানোর জন্য প্রকল্পে ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার হড়িগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা তবিবুর রহমান জানান, তার ২০ শতাংশ জমি বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ প্রকল্পে অধিগ্রহণ করার কথা জানিয়ে ১১ ফেব্রæয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থকে ৪ ধারার নোটিস পাঠানো হয়েছে। ন্যায্যমূল্য পেলে প্রকল্পের জন্য জমি দিতে তার কোনো আপত্তি নেই।
বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি রেলপথ না থাকায় এ অঞ্চলের ট্রেনগুলো বর্তমানে সান্তাহার, নাটোর ও পাবনার ঈশ্বরদী হয়ে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। বাড়তি পথ ঘুরতে একদিকে যেমন সময়ের অপচয় হচ্ছে তেমনি বেশি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে। বগুড়া থেকে যেখানে সড়কপথে ঢাকা পৌঁছাতে লাগে ৭ ঘণ্টা, সেখানে ট্রেনে যেতে লাগে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, দুই জেলার মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৭২ কিলোমিটার। নতুন রেলপথ চালু হলে বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ হয়ে মাত্র ৫ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব।বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলনের ধারণা– বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি রেলপথ নির্মিত হলে রংপুর অঞ্চলের অন্তত আটটি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট এবং নওগাঁরও ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক উন্নতি হবে। তিনি বলেন, ‘বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ প্রকল্প এ অঞ্চলের চেহারাই পাল্টে দেবে।’
দুই জেলার মধ্যে নতুন রেলপথ নির্মাণের জন্য বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। এ নিয়ে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে। জনগণের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেন। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। বাংলাদেশ সরকার ও ভারতীয় ঋণের অর্থে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৪৬ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার টাকা ঋণ দেবে ভারত। শুরুতে প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু পরামর্শক নিয়োগ এবং নকশা চূড়ান্ত করা নিয়ে বিলম্বের কারণে তা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পরামর্শক নিয়োগ দেওয়ার পর তারা ২০২৩ সালের ৩০ জুন চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ডুয়েল গেজের দুটি রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি হলো- বগুড়ার ছোট বেলাইল এলাকা থেকে সিরাজগঞ্জের এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত ৭৩ কিলোমিটার এবং অপরটি বগুড়ার কাহালু স্টেশন থেকে রাণীরহাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার। মূলত সান্তাহারের দিক থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে সান্তাহার হয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুরগামী ট্রেনগুলো যাতে বগুড়া স্টেশনকে এড়িয়ে সরাসরি চলাচল করতে পারে, সেজন্য কাহালু-রাণীরহাট রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে। দুটি রেলপথ মিলিত হওয়ার কারণে বগুড়া শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে রাণীরহাটে একটি জংশনও নির্মাণ করা হবে। আরেকটি জংশন হবে সিরাজগঞ্জে। এছাড়া নতুন রেলপথের জন্য দুই জেলা সীমানায় আরও ছয়টি স্টেশন স্থাপন করা হবে। সেগুলো হলো- শেরপুর, আড়িয়া বাজার, ছোনকা, চান্দাইকোনা, রায়গঞ্জ ও কৃষ্ণদিয়া।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, জমি অধিগ্রহণের জন্য মালিকদের সংশ্লিষ্ট ধারায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদি কারও কোনো আপত্তি থাকে সেগুলো শুনানি করে পরে ৮ ধারায় চূড়ান্ত নোটিশ পাঠানো হবে। আপত্তি না এলে খুব দ্রæত অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হবে।সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি হুকুম দখল শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুইচিং মং মারমা জানান, রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব জানিয়ে তারা খুব শিগগিরই জমিমালিকদের নোটিস ইস্যু করবেন।
বগুড়ায় রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, প্রকল্পটির জন্য এ পর্যন্ত ২৫ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। চলতি বছর আরও ৪৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম ফিরোজী জানান, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার পাশাপাশি নির্মাণকাজের জন্য টেন্ডার আহ্বানের প্রস্তুতি চলছে। এজন্য প্রয়োজনীয় নথি ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে মূল নির্মাণকাজ দৃশ্যমান হবে।

তাড়াশে ব্রয়লারের চেয়ে চাহিদা বেশি বাউ মুরগির, খুশি খামারিরা

মোঃ মুন্ন্া হুসাইন ঃ দেখতে হুবহু দেশি মুরগির মতো, কিন্তু শারীরিক বৃদ্ধি ব্রয়লার বা বিদেশি কোনো জাতের মুরগির মতোই। এমন জাতের মুরগি উদ্ভাবন করেছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষকরা। এই মুরগিই এবার ছড়িয়ে গেছে সারাদেশে। এই মুরগি পালন করে সফল হয়েছেন অনেক খামারি। মাত্র ৪০-৪২ দিনে এই মুরগির ওজন ১ কেজি ছাড়িয়ে যায়।
সারাদেশের মতো সিরাজগঞ্জেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই মুরগি। জেলার তাড়াশ উপজেলার মহেশরৌহালী গ্রামের মানুষের কাছেও এই মুরগি বাউ মুরগি নামেই পরিচিত। ইতোমধ্যে তাদের কাছে নতুন আস্থার জায়গা তৈরি করেছে নতুন জাতের এই মুরগি। শুধু মহেশরৌহালী গ্রামেই ১৫ টির অধিক খামারে পালন করা হচ্ছে বাউ মুরগি। জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ আলী এবং অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্লা দীর্ঘদিন গবেষণা করে ‘বাউ ব্রো মুরগি বা বাউ মুরগি’ নাম দিয়ে নতুন জাতের দুটি স্টেইন বা জাত উদ্ভাবন করেন। উদ্ভাবিত জাত দুটির নাম রাখা হয়েছিল বাউ-ব্রো-হোয়াইট ও বাউ-ব্রো-কালার। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) এসপিজিআর প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত ‘দেশে প্রাপ্ত মুরগির জার্মপ¬াজম ব্যবহার করে ব্রয়লারের প্যারেন্ট স্টক উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৪ সালে গবেষণা শেষে জাত দুটি উদ্ভাবনে সফলতা পেয়েছিলেন গবেষকরা। বাকৃবির মুরগির জাত দুটি এখন টেকসই প্রযুক্তি হিসেবে ছড়িয়েছে সারাদেশে। প্রচলিত ব্রয়লার মুরগির মতো ঘরেও লালন-পালন করা যায় এই জাতের মুরগি।
তাড়াশ উপজেলার মহেশরৌহালী গ্রামের বাউ মুরগির খামারি শাহিদা ও শাহাদৎ হোসেন জানান, পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অর্থায়নে ও মানবমুক্তি সংস্থার সহযোগিতায় প্রথম পর্যায়ে ১৫০টি মুরগি নিয়েছিলাম। এ মুরগি পালন করে মাত্র ৪৫ দিনেই গড় ওজন প্রায় ১ কেজি ৩০০ গ্রাম হয়েছে। যা বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে আমি আরও ৫০০টি বাউ মুরগির বাচ্চা নিয়ে পালন করব। এই মুরগি দেশি মুরগির মতো হওয়ায় বাজারে অনেক চাহিদা। মহেশরৌহালী গ্রামের আরেক খামারী আদুরি বেগম জানান, বাউ মুরগি পালনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। রোগ-বালাই নেই বললেই চলে। এই মুরগি পালনে সুবিধা হলো দেশি মুরগির তুলনায় অল্প দিনে বাজারজাত করা যায় এবং অন্য মুরগির তুলনায় ওজন ভালো আসে।
মানবমুক্তি সংস্থার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মারুফ হাসান জানান, বাকৃবির উদ্ভাবিত বাউ মুরগি একটি উন্নত জাতের মুরগি। খামারের বায়োসিকিউরিটি, নিয়মিত টিকা প্রদানসহ কীভাবে মুরগি পালন করে লাভবান হওয়া যায়- সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। সবচেয়ে কম সময়ে এই মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি বেশি হওয়ায় খামারিরা লাভবান হন।তাড়াশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ব্রাউ ব্রো বা বাউ মুরগি পালন করে আমার উপজেলার অনেকেই লাভের মুখ দেখেছে। ব্রয়লার মুরগি অনেকের কাছেই অপছন্দের, সেখানে বাউ মুরগি তাদের কাছে খুবই পছন্দের মুরগি হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। খেতেও দেশি মুরগির মতো স্বাদ। আমিও নিজেও অনেকগুলো খামার পরিদর্শন করেছি। এ মুরগিতে রোগ-বালাই খুবই কম হয়ে থাকে। উন্নত এই মুরগির জাতকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাব।
বাউ মুরগির উদ্ভাবকদের একজন অধ্যাপক ড. মো.রেজাউল করিম মোল্যা বলেন, বাউ মুরগি এখন সবার কাছেই পরিচিত। খেতে সুস্বাদু, মৃত্যুহার কম, উৎপাদন বেশি হওয়ারর কারণেই খামারি ও ভোক্তা পর্যায়ে এর চাহিদাও অনেক। আমরাও চেয়েছি এই মুরগি যেন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য শুরুর দিকে বিনামূল্যেও বাউ মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করেছিলাম। পরবর্তীতে খামারিদের কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ মুরগি লালন-পালনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণেই দ্রæত এটা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

নিষ্ঠুর প্রতিদান 

আবদুর রাজ্জাক রাজু
সবকিছুর বিনিময় সুন্দর শান্তিপূর্ণ বা সন্মানজনক হয় না হতে পারে বিশাল মহৎ কাজ মানুষের-মানবতার জন্য বিনিময়ে পাথর কিংবা জুতা নিক্ষেপ জুটতে পারে।
কঠিন কষ্টকর যন্ত্রনাদায়ক হয় – অনেক বিনিময় শ্রম-মেধা-রক্ত-সাধনা দিয়ে নিবেদিত হলেও প্রতিদান আসতে পারে দারুন আঘাত দিয়ে প্রচন্ড বেদনাসহ – পাহাড়সম যাতনা,লাঞ্ছনা।
পৃথিবীতে নজির রয়েছে ইতিহাসে মানবিক হিতকর কাজের জন্য অনেক মনীষিরা পেয়েছেন জুলুম আর নিপীড়ণ এমনকি জীবন দিয়েও চরম মূল্য দিতে হয়েছে মানুষের জন্য ভাল কাজ করে, পরার্থে নিজেকে
উৎসর্গ করে, বিলিয়ে দিয়ে।
যেমনঃ মুহম্মদ (স.), যীশু, সক্রেটিস এমনি অসংখ্য মহামানব মানব জাতির সেবা উৎকর্ষ ও কল্যাণে যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন কতই যে অপরিসীম অত্যাচার,নির্যাতন এবং নিষ্ঠুরতা সইতে হয়েছে তাঁদের নির্মমভাবে।
এমনকি আপন পরিবার এবং ঔরষজাত সন্তানের আচরণও প্রায়শঃ বিব্রতকর ও চরম অকৃতজ্ঞতার পর্যায়ে পৌছে। তাই কোরআনে বলা হয়েছেঃ “কোন উত্তম কিছু করে প্রতিদানের প্রত্যাশা না করাই ভাল কেননা, সব ভাল
কাজের পুরস্কার তো রয়েছে মহান আল্লাহর কাছে।

নন্দীগ্রামেও চলনবিল বার্তা 
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার নন্দীগ্রাম সংবাদদাতা মো. আরাফাত হোসেন চলনবিল বার্তাকে নন্দীগ্রাম উপজেলায় প্রচার ও পরিচিত করানো ব্যাপারে অনেক দিন যাবৎ বিশেষ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।ইতোপূর্বেও এই তরুণ ও প্রতিশ্রæতিশীল সংবাদদাতা নন্দীগ্রাম উপজেলার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কলেজ অধ্যক্ষ,ইউপি মেম্বরসহ কয়েকজনকে এই পত্রিকার কপি হাতে তুলে দিয়ে সে ছবিগুলো ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন। সর্বশেষ চলনবিল বার্তার ২১ ফেব্রæয়ারী ২০২৪ সংখ্যাটি অতি সম্প্রতি নন্দীগ্রাম উপজেলার পাঠান আলহাজ শমসের আলী এ এস এ উচ্চ বিদ্যালয় এর সহকারি শিক্ষক ও মো: জহুরুল রহমানের নিকট হস্তান্তর করেন। এই ছবিটাও তিনি ফেসবুকে ব্যাপক প্রচার করেছেন। চলনবিল বার্তা পরিবার এ পত্রিকার প্রতি তার এই নিরন্তর ভালবাসা ও উৎসাহব্যঞ্জক কর্ম প্রয়াসের জন্য তার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংকের এমডি

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণামূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আন্না বিজার্ড। গতরোববার বাংলাদেশে প্রথম সফর শেষে এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে বিজার্ড বলেন, মুদ্রা ও রাজস্ব নীতিতে দ্রæত এবং সাহসী সংস্কার বাংলাদেশকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, আর্থিক খাতের ঝুঁকি কমাতে এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম করবে।
এ ছাড়া বিবৃতিতে বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন বিশ্বব্যাংকের এমডি আন্না বেজার্ড।তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব নিয়ে আমি গর্বিত। দেশটি লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সহায়তা করেছে। আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, একটি শক্তিশালী বেসরকারি খাত গড়ে তুলতে, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং জলবায়ুর অভিঘাত ও ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা অব্যাহত রাখব। একই সঙ্গে কেউ যেন পিছিয়ে পড়ে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করব।সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন বিশ্বব্যাংকের এমডি। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রæতিও দেন। সূত্রঃ বর্তমান।

তাড়াশের কৃতি সন্তান সরদার
আব্দুল জলিলকে সন্মাননা প্রদান 
স্টাফ রিপোর্টার ঃ অতি সম্প্রতি তাড়াশের কৃতি সন্তান, প্রবীণ সমাজসেবী ও রাজনীতিক সরদার এম. এ জলিলকে সন্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
গত ২১-২৩ ফেব্রয়ারী তাড়াশ সদরে তিনদিন ব্যাপী একুশে বইমেলা ও সাহিত্য সম্মেলন-২০২৪ এর সমাপনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাড়াশ-রায়গঞ্জের ১৪ জন ব্যক্তিকে তাদের সাহিত্য ও সমাজসেবায় অবদানের জন্য সন্মাননা সনদ ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরই অংশ হিসেবে বহুমাত্রিক গুণী ব্যক্তিত্ব সরদার এম. এ জলিলকে বইমেলা আয়োজক কমিটিরি পক্ষ হতে তার গ্রামের বাড়ী দোবিলায় গিয়ে বিশিষ্ট ওই সমাজসেবী, রাজনীতিক ও লেখকের হাতে সন্মাননা সনদ তুলে দেন সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিলেজ ভিশন সংগঠনের পরিচালক শরীফ খন্দকার এবং মো. বাবলু। উল্লেখ্য, সরদার আব্দুল জলিলের লেখা কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
পুতিনের পারমাণবিক হামলার হুমকি

ডেস্ক রিপোর্টঃ মার্কিন বলয়ে থাকা পশ্চিমা বিশ্বকে এবার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বললেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠালেই পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকিতে পড়বে পশ্চিমা দেশগুলো।দেশটির নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্টের বার্ষিক ভাষণে ন্যাটো দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে এ হুঁশিয়ারি দেন পুতিন। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রæয়ারি) রাশিয়ার পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, কেউ রাশিয়া আক্রমণ করার চেষ্টা করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতির সন্মুখিন হতে হবে। সূত্রঃ প্রতিদিনের সংবাদ।শাসকগোষ্ঠীকে অচিরেই মাথানত করতে হবে : মির্জা ফখরুল
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার ঘটনায় “দখলদার সরকারের চরম নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ” বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত বুধবার (২৮ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ নেতাকর্মীদের আহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ক্ষুণ্ণ করে জনগণসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর আরো তীব্র মাত্রায় দমনপীড়ন চালাচ্ছে, নির্মম নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে। আজকে আরো একটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ ঘটল গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আহত করা এবং একজন নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে। আমি এহেন পুলিশ হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও আওয়ামী অবৈধ সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে এখন পরাধীন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পেতে সাধারণ মানুষ কোথাও আশ্রয় খুঁজে পাচ্ছে না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের শক্তির কাছে অবৈধ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীকে অচিরেই মাথানত করতে হবে। সূত্র ঃ কালের কণ্ঠ

সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিল, লাঠিচার্জে সাকিসহ আহত ৫
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, ব্যাংক লোপাট এবং বিদেশে টাকা পাচারের প্রতিবাদে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ও সচিবালয় অভিমুখে মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
গত বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশ শেষে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গুলিস্থানের জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে তারা। এ সময় নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।
এ সময় জোনায়েদ সাকি ছাড়াও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য শেখ নাসির উদ্দিন, গণসংহতি আন্দোলনের মিজানুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, ছাত্র ফেডারেশনের আরিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন নেতা আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ প্রথম দফা লাঠিচার্জ করে। মঞ্চের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হলে আবারও লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের এডিসি শাহ্ আলম মোহাম্মদ আক্তারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, উনারা অনুমতি ছাড়াই এখানে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসেছেন। উনারা আমাদের কথা দিয়েছিলেন সচিবালয়ের সামনে এসে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে চলে যাবেন। কিন্তু আমাদের দেওয়া ব্যারিকেড অতিক্রম করে সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছেন তারা। আমরা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও উনারা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢুকতে চেয়েছেন। যারা লাঠি হাতে নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে, আমরা তাদের মধ্য থেকে দু-একজনকে আটক করেছি। সূত্র ঃ সমকাল

রমজানে সরকারি অফিস ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ রমজান মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে “হিজরি ১৪৪৫ (২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) সালের পবিত্র রমজান মাসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য অফিস সময়সূচি নির্ধারণ” সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। রমজানে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি যথারীতি শুক্র ও শনিবার।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ বা ১৩ই মার্চ থেকে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু। বর্তমানে অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাক, রেলওয়ে, হাসপাতাল ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা এবং অন্য জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এ সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে সময়সূচি নির্ধারণ ও অনুসরণ করবে।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট ও এর আওতাধীন সব কোর্টের সময়সূচি সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারণ করবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সূত্র ঃ মানবজমিন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে মন্ত্রীসভার জরুরী বৈঠক

ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশের খোলা বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রæত সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় জরুরি সভায় বসেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা৷
এ সভায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতির সঙ্গে চাহিদা বিশ্লেষণ করে ঘাটতি চিহ্নিত করা এবং রমজানের আগে ঘাটতি মেটাতে পণ্য আমদানি সহজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই বৈঠক বলে জানা গেছে। গত রোববার অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে যোগ দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। জানা গেছে, সভায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতির সঙ্গে চাহিদা বিশ্লেষণ করে ঘাটতি চিহ্নিত করা এবং রমজানের আগে ঘাটতি মেটাতে পণ্য আমদানি সহজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সূত্রঃ অর্থনীতির কাগজ।

৯৯০ জনের জন্য হাসপাতালে শয্যা আছে একটি

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে প্রতি ৯৯০ জন মানুষের জন্য একটি শয্যা আছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। গত বৃহস্পতিবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে লিখিত জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। সরকারি হাসপাতালে পর্যায়ক্রমে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, দেশে প্রতি ৫০ জন মানুষের বিপরীতে সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা শূন্য দশমিক ০২টি। এসময় সামন্ত লাল সেন জানান, তিনি সব হাসপাতাল বন্ধের পক্ষে না। যেখানে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থাকা উচিত এবং আছে সেসব হাসপাতাল থাকবে। স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি অবশ্যই দূর করতে পারবেন বলে সংসদকে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বতন্ত্র সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সামন্ত লাল সেন জানান, সারা দেশে এখন ২৯ হাজার ৫৬১ জন স্নাতক চিকিৎসক সরকারি হাসপাতালগুলোতে কাজ করছেন। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত স্নাতক নার্সের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৫০ জন। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৯০৪ জন বিএসসি ইন নার্সিং (বেসিক), ১ হাজার ৫৯৭ জন বিএসসি জনস্বাস্থ্য নার্সিং (পোস্ট বেসিক) এবং ১ হাজার ১৪৯ জন বিএসসি ইন নার্সিং (বেসিক)। এদিকে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ফার্মাসিস্ট রয়েছেন মাত্র ৫ জন।সূত্রঃ জনকণ্ঠ।

বেইলী রোডের ভবনে ছিল না অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা : পিবিআই

ডেস্ক রিপোর্টঃ বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন পিবিআই এসপি মিজানুর রহমান শেলী। তিনি জানান, বড় কোনো বিস্ফোরণ নয়, ভবনের ভয়াবহ আগুন সিলিন্ডার অথবা গ্যাসলাইন থেকে ঘটতে পারে। গত শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে বেইলি রোডের পুড়ে যাওয়া ভবনের সামনে তদন্ত চলাকালীন গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান পিবিআই এসপি মিজানুর রহমান শেলী। আগুন লাগার কোনো সূত্র পাওয়া গেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন তলা থেকে আগুন লেগেছে আমরা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্বিতীয় তলা কেউবা প্রথম তলার কথা বলেছেন। ওপরে আগুন লেগে থাকলে সেখান থেকে ওপরেই যাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে নিচ তলা থেকেও হতে পারে। এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, আগুন বিস্ফোরণ থেকে হয়নি। অন্যান্য ঘটনায় দেখেছি বিস্ফোরণ হয়ে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু এখানে তেমনটি হয়নি ধারণা করা যায়। এই ভবনের সামনে গøাস ফিটিং, ভেতরে যে ধোঁয়া ছিল বের হওয়ার সুযোগ ছিল না। আমাদের লোকজন কাজ করছে, ভেতরে এখনও প্রচুর ধোঁয়া রয়েছে।তিনি বলেন, ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত পুড়ে মারা গেছে ৪৬ জন। তাদের দেখে মনে হয়েছে বেশির ভাগ মানুষ শ্বাসকষ্টে মারা গেছে। এ থেকে বোঝা যায় ভবনটিতে ভ্যান্টিলেটর ও অগ্নিনিরাপত্তার অভাব ছিল। সূত্রঃ খোলা কাগজ।

গুরুদাসপুরে ইটভাটায় ২৭ লাখ টাকা জরিমানা 

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: গুরুদাসপুর পৌর শহরের আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা দুইটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে পৌর শহরের ৫টি ইটভাটায় ২৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে ইটভাটাগুলোতে অভিযান চালিয়েছে নাটোরের পরিবেশ অধিদপ্তর।পরিবেশ অদিপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার জানান, পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই গুরুদাসপুর পৌর শহরের আবাসিক এলাকায় এসব ইটভাটা ইট প্রস্তুত করে আসছিল। সরকারি কর ফাঁকি দেওয়াসহ নানা ধরণের অভিযোগ রয়েছে এসব ইটভাটটার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, গুরুদাসপুর পৌর শহরের আবাসিক এলাকায় যে ৫টি ইটভাটা রয়েছে তার কোনোটিরই লাইসেন্স নেই। লাইসেন্সবিহীন এসব অবৈধ ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশের ক্ষতি করে ইট প্রস্তুত করছে। সরকারি অনুমোদন না থাকায় ইটভাটাগুলোতে সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় টগর প্রামানিকের একেবি ও আমজাদ-মফিজের এএসবি ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একই অভিযোগে মোশাররফ হাজীর এমবিপিকে ৫ লাখ, জুমির উদ্দিন মন্ডলের এমজেডবির ৬ লাখ ও হাজী জাকির হোসেন সোনারের এসএআর ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।নাটোর পরিবেশ অধিপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের মধ্যে ইটভাটা গড়ে তোলা অবৈধ। কিন্তু সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে এসব ইটভাটা পরিবেশের ক্ষতি করে ইট প্রস্তুত করছে। প্রাথমিক পর্যায়ে দুইটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য ইটভাটার মালিকদের ইট প্রস্তুতের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শপথ নিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপিরা

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ শপথ গ্রহণ করেছেন সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। গত বুধবার (২৮ ফেব্রæয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে প্রথমে আওয়ামী লীগের ৪৮ জন এমপিকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরের ধাপে জাতীয় পার্টির দুজন এমপিকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার।
প্রসঙ্গত, সংরক্ষিত নারী আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুনিরুজ্জামান তালুকদার গত ২৫ ফেব্রæয়ারি নির্বাচনী আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী, বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় ৫০ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। সূত্র ঃ প্রতিদিনের সংবাদ

তাড়াশে খিরাই ক্ষেতের ইঁদুর 
তাড়াতে পলেথিনের ব্যবহার

গোলাম মোস্তফা, বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খিরাই চাষিরা ক্ষেতে পলেথিন উড়িয়ে ইঁদুর থেকে ফসল রক্ষার এক নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। এ উপায়ে ইঁদুরের ক্ষতি থেকে শতভাগ সফলতা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় খিরাই চাষিরা। বিশেষ করে খিরাই গাছ ও ফলন রক্ষা করতে পেরে অধিক লাভের আশায় রয়েছেন চাষিরা।
বারুহাস ইউনিয়নের পেঙ্গুয়ারি গ্রামের খিরাই চাষি কাওছার ও ইসলাম বলেন, রবিশস্য মৌসুমে আমাদের গ্রামের অনেকে খিরাই চাষ করেন। কিন্তু ইঁদুরে খিরাই গাছ কেটে দেয় ও খিরাই খেয়ে ফেলে। এতে আমাদের বেশ ক্ষতি হয়। এবছর কৃষি অফিসের মরামর্শে খিরাই ক্ষেতে পলেথিনের ব্যবহার করে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে ক্ষেতের ফসল রক্ষা করতে পেরেছি। এদিকে উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত সুষ্ক মৌসুমে বাড়ির ইঁদুর বিস্তীর্ণ মাঠের ফসলের ক্ষেতে নেমে যায়। ইঁদুর ফসলের খুব ক্ষতি করে। বিশেষ করে খিরাই ক্ষেতের। পরে চাষিদের খিরাই ক্ষেতে পলেথিন উড়িয়ে ইঁদুর তাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে চাষিরা উপকৃত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
চাষিরা আরো বলেন, হালকা বাতাশেও রাত-দিন পলিথিন উড়ে । পলিথিন উড়রার শব্দ শুনে ও পলেথিন ঝুলতে দেখে ইঁদুর ভয়ে ক্ষেত থেকে পালিয়ে যায়। ক্ষেতের গর্তে ইঁদুর লুকিয়ে থাকলেও পলিথিন দেখে বেড় হতে ভয় পায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পেঙ্গুয়ারি গ্রামের ফুটবল মাঠের পশ্চিম পাশের পাশাপাশি দুইটি খিরাই ক্ষেতে চাষিরা প্লাষ্টিকের দড়ি টাঙিয়ে পলেথিন কিছুটা লম্বা ও চিকন করে কেটে দড়ির সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। পলেথিনগুলো বাতাশে উড়ছে, শব্দ হচ্ছে। খিরাই ক্ষেতে পানি সেচ দেওয়ার জন্য ক্ষেতের মাঝের মাটি খুড়ে লম্বা ড্রেন করে রেখেছেন। জানা গেছে, এবছর ৪শ ৭০ হেক্টর ক্ষেতে খিরাই চাষ করেছেন চাষিরা। সবচেয়ে বেশি খিরাইয়ের চাষ হয়েছে বারুহাস ইউনিয়নের বারুহাস ও দীঘরিয়া গ্রামের বির্স্তীর্ণ মাঠে-মাঠে। অধিকাংশ চাষি ক্ষেতে পলেথিনের ব্যবহার করেছেন ইঁদুর তাড়ানোর জন্য। ইতোমধ্যে আগাম খিরাই তুলতে শুরু করেছেন চাষিরা। ভালে দাম পাচ্ছেন।এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন চলনবিল বার্তাকে বলেন, পলিথিনের ব্যবহারে চাষিরা খিরাই ক্ষেতে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এ পদ্ধতি অন্যান্য ফসলের ক্ষেতেও ইঁদুর তাড়াতে কার্যকরি পদক্ষেপ হিসাবে চাষিরা গ্রহণ করতে পারেন।

 

রায়গঞ্জে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন 
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার ঃ গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে যশোর সরকারী এম এম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিশিষ্ট গবেষক ও বহু গ্রন্থ প্রনেতা এসোসিয়েট প্রফেসর ড. খ ম রেজাউল করিম প্রনীত রায়গঞ্জের লোকভাষা ও সংস্কৃতি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন তথা প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম আলো বন্ধুসভা আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রায়গঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহিদ হাসান খান। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন। অনুষ্ঠানে লেখক তার বইয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে সুন্দর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক প্রথম আলোর রায়গঞ্জ প্রতিনিধি প্রফেসর সাজেদুল আলমের সঞ্চালনায় হল ভর্তি সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নিমগাছি অনার্স কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর সঞ্জীব কুমার মাহাতো, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা কর্মকর্তা ও প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা ডাঃ মাহমুদুল হক, রায়গঞ্জের প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি বিশিষ্ট গবেষক ও আদিবাসী লেখক উজ্জল কুমার মাহাতো, প্রবীণ সাংবাদিক ও কবি নিমগাছি অনার্স কলেজের সাবেক টিচার আলহাজ্ব এম এ হাশিম সরকার মনি, বেক্সিমকো এলপিজি গ্যাস এর এরিয়া ম্যানেজার এনামুল হক প্রমূখ। সভায় লেখকের মাসহ তিনজন মাকে সন্মাননা হিসাবে বই উপহার দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি, প্রধান অতিথি এবং লেখক নিজে। শেষে কবি নির্মলেন্দু গুনের স্বাধীনতা শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো কবিতার মনোজ্ঞ আবৃত্তি করেন ধানঘড়া হাইস্কুলের শিক্ষার্থী নাদিরা তাবাসসুম।

সিংড়ায় সাংবাদিক রানাকে সম্মাননা প্রদান ছবি পূর্বের সংখ্যায়
সিংড়া প্রতিনিধি :সাংবাদিকতায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও চয়েন বার্তা সম্পাদক সমাজকর্মী মোল্লা মো. এমরান আলী রানাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। নাটোরের সিংড়ায় অমর একুশে ফেব্রæয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে দুই দিন ব্যাপী বই মেলা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে এ ক্রেস্ট প্রদান করেন হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন গণগ্রন্থাগার।
গত শনিবার (১৭ ফেব্রæয়ারী) সন্ধায় হাতিয়ান্দহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠ চত্বরে দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত বই মেলার সমাপনী দিনে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রæয়ারী) সকালে দুই দিন ব্যাপী এ বই মেলার শুভ উদ্বোধন করেন অত্র এলাকার কৃতিসন্তান বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) প্রকৌশলী এ জেড এম নাফিউল ইসলাম।মেলায় ১০ থেকে ১২ টি বইয়ের স্টল অংশগ্রহণ করে। সমাপনী দিনে সাংবাদিকতায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমরান আলী রানা ও নাটোর জেলা সমকাল প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীউর রহমান পিপলুকে সম্মাননা প্রদানসহ সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে গুণীজন ব্যক্তিদের সম্মাননা পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এসময় কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকন, নৃত্য ও বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন গণগ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন হাতিয়ান্দহ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান চঞ্চল, লালোর ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক শুভ, দিঘাপতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ, নাটোর ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন, হাতিয়ান্দহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর সাহা, সিংড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সোহরাব, কবি মাহবুব মান্নান, আবুল হোসেন, কবি জয়নাল আবেদিনসহ গণমাধ্যম কর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে লালোর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা হারানো প্রাপ্তি চাকীর হাতে আবু রুশত ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একটি সেলাই মেশিন তুলে দেন অতিথিরা।

তাড়াশে গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ঃ তাড়াশ উপজেলায় আমের গাছগুলোতে ব্যাপক হারে আমের মুকুল ধরেছে। আমের জন্য এ জেলা তেমন বিখ্যাত না হলেও স্থানীয় জাতের নাক ফজলী, আম্রপালি, গোপালভোগ আম বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইতোমধ্যে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে ১ হাজার ৫ শ ৬০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে।
এতে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে পাঁচ শতাধিক ছোট ছোট আমের বাগানও রয়েছে। স্থানীয় জাতের মধ্যে ‘নাকফজলী’ সুবর্ণরেখা, সুরমাফজলী, ক্ষিরশাপাত, আম্রপালি, আশ্বিনা, গোপালভোগ, নেংড়া আম বেশ জনপ্রিয়। নাকফজলী আম কিছুটা লম্বাটে আকৃতির এ আমের মধ্যে বিচি থাকে ছোট।
খেতে বেশ সু স্বাদু এবং গন্ধময় অল্প দিনের মধ্যে আমটি শেষ হয়ে যায়। নাকফজলি ছাড়াও আম্রপালি, গোপালভোগ আমের সঙ্গে নেংড়া আমের চাষ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তাড়াশ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক কৃষিবিদ বলেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করেন তিনি।

চাটমোহরে অটো বোরাক চাপায় শিশুর মৃত্যু 
চাটমোহর প্রতিনিধি ঃ পাবনার চাটমোহরে অটো বোরাক চাপায় মিশু হোসেন নামে পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশু ছাইকোলা ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। গত বুধবার (২৮ ফেব্রæয়ারি) বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে বোয়ালমারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেল পৌনে সাড়ে ৪ টার দিকে শিশু মিশু রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলো। এমন সময় চাটমোহর থেকে ছাইকোলা গামী একটি অটো বোরাক তাকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হয়। পরে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD