সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা, সংখ্যা ১৬, ২০২৪

Spread the love

পাঁচ বছর প্রতীক্ষা ছাড়া বিএনপির করণীয় কিছু নেই : কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট : পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির করণীয় কিছু নেই। গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য কালে এমনটি বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি-জামায়াত এবারো ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এবারো ব্যর্থ হয়েছে। বার বার নির্বাচন বর্জন করে আগামী ৫ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া তাঁদের করণীয় কিছু নেই। আজ তাঁদের সব অভিযোগ বাস্ততাবিবর্জিত, ভিত্তিহীন। সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করে বক্তব্য দিয়েছেন।প্রতিনিয়ত এমন মিথ্যাচার তাঁদের করুণ পরিণতির জন্য দায়ী।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের দেওয়া রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দেশ পরিচালনা করব। আমাদের ইশতেহারে দেওয়া ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করব।আগামী বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট ও সমৃদ্ধ। এই নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় মাইল ফলক হয়ে থাকবে।’তিনি বলেন, টানা চতুর্থ ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারত, রাশিয়া, চীন, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূতরা সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ।

৭২ দিন পর গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট:৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে গত মঙ্গলবার ও আজ বুধবার দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গত সোমবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। ৭২ দিন পর গুলশান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান। একতরফা নির্বাচনের বিষয়ে দলের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মঈন খান বলেন, দেশের জনগণ একচেটিয়া নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ৬৩ টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন করেছে, ডামি প্রার্থী দিয়েছে, ডামি পর্যবেক্ষক দিয়েছে, তবু ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিতে পারেনি। সরকারের প্রতি যদি মানুষের আস্থা থাকত মানুষ নিজেই ভোট দিতে আসতো।
৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, প্রথমে বলা হলো ২৭.৫ পারসেন্ট ভোট পড়েছে, টেকনোলজির কল্যাণে জানা গেছে, পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলছেন ৪০ পারসেন্ট বলতে হবে। তিনি বলেন, জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। সূত্র: মানবজমিন।

তাড়াশ-রায়গঞ্জে আবারো অধ্যাপক ডা. মো: আব্দুল আজিজ বিজয়ী

লুৎফর রহমান, তাড়াশ : সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মো: আব্দুল আজিজ নৌকা প্রতীকে এক লাখ ১৭ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী মো: সাখাওয়াত হোসেন সুইট ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭০৮ ভোট। অর্থাৎ ৭২ হাজার ৯৩৪ ভোট বেশী পেয়ে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্র জানায়, রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৩ টি। এর মধ্যে রায়গঞ্জ ৯৫ ও তাড়াশ ৫৮টি ভোট কেন্দ্র। মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ১৪ হাজার ৮৪৩।
এর মধ্যে প্রদত্ত ভোট সংখ্যা এক লাখ ৬৯ হাজার ১৫৮। সে হিসেবে এ আসনে ভোট পড়েছে ৪০.৭৭% ।
আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মো: আব্দুল আজিজ গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি দ্বিতীয় বারের মতো মনোনয়ন পেয়ে পূণরায় এমপি নির্বাচিত হলেন। অধ্যাপক ডা. মো: আব্দুল আজিজ একজন মানবতাবাদী প্রখ্যাত শিশু সার্জন, সমাজসেবক ও সাচিবের নেতা। তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লাপাড়ায় এমপি নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম
ডাঃ আমজাদ হোসেন, উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম ২ লাখ ২০ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হিল্টন প্রামানিক পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮ ভোট। আর মশাল প্রতিকের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর মোস্তফা কামাল বকুল ২ হাজার ৯ শ ৬৪ ভোট পেয়েছেন। জাতীয় সংসদের এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে মোট ১৩৭টি ভোট কেন্দ্রে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৭ টি ভোট পড়েছে। ভোটের হার ৫২ দশমিক ৭৬ ভাগ।

শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের চয়ণ ইসলাম নির্বাচিত

শাহজাদপুর প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামি লীগ এর মনোনীত প্রার্থী জনাব চয়ন ইসলাম নৌকা প্রতীকে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৮ শত ৯০ ভোট পেয়ে ৬৭-সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা হালিমুল হক মিরু পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৭৬ ভোট।

বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুরে নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর বিজয়ী

আবুল কালাম আজাদ : নাটোর-৪ আসন বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুরে রোববার ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে দুই উপজেলায় পেয়েছেন ১১৩৫৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৯০৭৪৮ ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রাত আটটায় বেসরকারি এই ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার । তাঁর দেওয়া তথ্যমতে কোনোরকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সকাল ৮টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে নাটোর-৪ সংসদীয় আসনের ১৬৭টি কেন্দ্রে। এর মধ্যে গুরুদাসপুরের ৬৮ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪০৯ ভোট এবং বড়াইগ্রামের ৯৯ কেন্দ্রে পেয়েছে ৮০১৭৩ ভোটসহ মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ শোভন ট্রাক প্রতীকে গুরুদাসপুরে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৮৮১ ভোট এবং বড়াইগ্রামে পেয়েছেন ৩৫৮৬৭ ভোট সহ মোট ৯০ হাজার ৭৪৮ ভোট। মোট ২২ হাজার ৮৩৪ ভোট বেশি পেয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।

তাড়াশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
তবে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম

আবদুর রাজ্জাক রাজু ও সনজু কাদের: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনূষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ৫৮টি ভোট কেন্দ্রের কোথাও থেকে কোনো অপ্রীতিকর খবর নেই। অবশ্য নির্বাচন অত্যন্ত নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলেও ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
উপজেলার অর্ধ শতাধিক ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত: ৫টি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে নির্বাচনের এ চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বস্তুল হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনকালে জানা যায, এখানে পুরুষ ও মহিলা ভোটার সর্বমোট ৫০৫৮ জন। তার মধ্যে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪৬১ জনের ভোট দান সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে একই ইউনিয়নের কুসুম্বী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও পুরুষ ও মহিলা মিলিত ভোটার সংখ্যা ৩৫৫৩। এর মধ্যে দুপুর ১২টা নাগাদ মোট ভোট পড়েছে ৯৫০টি। অপরদিকে ঐ ইউনিয়নের বারুহাস দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের পুরুষ-মহিলা সর্বমোট ভোটার ৩০৮১ যার মধ্যে বেলা ১টা পর্যন্ত ১১৬৯জন ভোট দিয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার। এছাড়া তাড়াশ সদর ইউনিয়নের কহিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের মোট ২১৩৯ ভোটারের মধ্যে ১২টা অব্দি ৬৫০ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছেন বলে ওখানকার প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেন। কিন্তু পর্যবেক্ষকের পরিদর্শনের সময় সেখানে ভোটার ছিল দু’একজন মাত্র।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত ভোট কেন্দ্রসমূহ সরাসরি পরিদর্শনকালে কোনো কেন্দ্রেই ভোটারের স্বাভাবিক চিরাচরিত লাইন পরিদৃষ্ট হয়নি কিংবা কোন ভিড়ও ছিল না। সব কেন্দ্রেই দু’চার জন বা কোথাও সামান্য বেশী ভোটারের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যবেক্ষণকালে বারুহাস কেন্দ্রের বাইরের ছবি মোবাইলে ধারণ করতে গেলে কর্তব্যরত একজন পুলিশ বাধা প্রদান করে। তিনি বলেন, এটা আইনসিদ্ধ হলেও আমাদের প্রেসটিজের ব্যাপার বলে তা না তোলাই ভাল। পক্ষান্তরে কহিত প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে স্কুল ভবনের দোতলায় কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ করে ভেতরে তিনি একজন আনসারসহ অবস্থান করে আগত পর্যবেক্ষকদের সাথে ভিতরে থেকে কথা বললেও তালা খুলে বাইরে আসেননি। এর বাইরে তাড়াশ উপজেলার বড় মাঝদক্ষিনা,গুড়পিপুল, দেশীগ্রাম,গোন্তা ও গুল্টা কেন্দ্র পর্যবেক্ষণকারী দলের নিকট থেকে জানা গেছে, ঐসব কেন্দ্রের ভোটার উপস্থিতির হার কম ছিল।

তাড়াশ উপজেলা মার্কাস মসজিদ উদ্বোধন

মোশাররফ হোসেন মল্লিকীঃ সমগ্র বিশে^ শান্তিপ্রিয়ভাবে দ্বীনি দাওয়াতের কাজ করার উদ্দেশ্যে তাবলীগ জামায়াত বাংলাদেশ মূলধারা, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ-এর উদ্যোগে এবং স্থানীয় শান্তিপ্রিয় মুসলিম উম্মার আর্থিক সহায়তায় তাড়াশ সদর গ্রামে তাড়াশ-বিনসাড়া রোডের পশ্চিমপাশের্^ ১৮ শতক জমির উপর টিনের ঘর টিনের বেড়া দিয়ে “তাড়াশ উপজেলা মার্কাস মসজিদ” নামে একটি মসজিদের শুভ উদ্বোধন করা হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বেই প্রায় ৬৫০ মুসুল্লীর উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি সাহেব মসজিদটি উদ্বোধন করেন। আরো উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন মুক্তা, মাধাইনগর ইউপি’র চেয়ারম্যান মোঃ হাবিলুর রহমান হাবিব, সগুনা ইউপি’র চেয়ারম্যান মোঃ জুলফিকার আলী ভুট্টসহ আরো অনেকে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলা তাবলীগ জামায়াতের ফায়সাল এবং সূরা সাথীবৃন্দ অনুষ্ঠানে মেহমান হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনের দিন শ্রীলংকা এবং মরক্কো হতে আগত জামাত (আরব জামাত) উপস্থিত ছিল।
মূল ধারা থেকে কিছু তাবলীগের সাথী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় দু’টি গ্রæপের সৃষ্টি হলে উভয় গ্রæপকে দ্বীনি দাওয়াত শান্তিশৃঙ্খলার সাথে পালন করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা থাকলেও বিচ্ছিন্নকারীদের দ্বারা দ্বীনি দাওয়াতে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্থ হওয়ায় এবং কোনো কোনো সময়ে এই গ্রæপকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ায় এই মসজিদ প্রতিষ্ঠা হয়। এছাড়া স্থানীয়ভাবে জাতীয় সংসদ সদস্য মহোদয় উভয় গ্রæপকে একত্র করে দ্বীনি দাওয়াত কার্যক্রমের একটি সিডিউল করে দিলেও বিচ্ছিন্নকারী গ্রæপ তা প্রত্যাখান করে এই গ্রæপকে মসজিদে উঠতে বাধা দেওয়ার কারণে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং জুমার নামাজের শেষে মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয় এবং পরবর্তীতে উপস্থিত সকল মুসুল্লীকে তাবারক/দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়।

ভুমিকম্প কেন হয়?
মুফতি খোন্দকার আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহ

ভুমিকম্প কেন হয়?
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) কতৃক বর্ণিত, আল্লাহর নবি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে, কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে কিন্তু তার খিয়ানত করা হবে (অর্থাৎ যার সম্পদ সে আর ফেরত পাবে না), জাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসেবে, ধর্মীয় শিক্ষা ব্যতীত বিদ্যা অর্জন করা হবে, একজন পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে কিন্তু তার মায়ের সাথে বিরূপ আচরণ করবে, বন্ধুকে কাছে টেনে নিবে আর পিতাকে দূরে সরিয়ে দিবে, মসজিদে উচ্চস্বরে শোরগোল (কথাবার্ত) হবে, জাতির সবচেয়ে দূর্বল ব্যক্তিটি সমাজের শাসক রুপে আবির্ভূত হবে, সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি জনগণের নেতা হবে, একজন মানুষ যে খারাপ কাজ করে খ্যাতি অর্জন করবে তাকে তার খারাপ কাজের ভয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হবে, বাদ্যযন্ত্র এবং নারী শিল্পীর ব্যাপক প্রচলন হয়ে যাবে, মদ পান করা হবে (বিভিন্ন নামে মদ ছড়িয়ে পড়বে), শেষ বংশের লোকজন তাদের পূর্ববর্তী মানুষগুলোকে অভিশাপ দিবে, এমন সময় আসবে যখন তীব্র বাতাস প্রবাহিত হবে তখন একটি ভূমিকম্প সেই ভূমিকে তলিয়ে দিবে (ধ্বংস স্তুপে পরিণত হবে বা পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাবে)। [তিরমিযি কর্তৃক বর্ণিত, হাদিস নং – ১৪৪৭] এই হাদিসের মাঝে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ মহানের পক্ষ থেকে জমিনে কখন ভুমিকম্পের আজাব প্রদান করা হয় এবং কেন প্রদান করা হয়। আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) বলেন, মহান আল্লাহ মাঝে মাঝে পৃথিবীকে জীবন্ত হয়ে উঠার অনুমতি দেন, যার ফলে তখন বড় ধরণের ভূমিকম্প অনুষ্ঠিত হয়। তখন এই ভূমিকম্প মানুষকে ভীত করে। তারা মহান আল্লাহর নিকট তাওবা করে, পাপ কর্ম ছেড়ে দেয়, আল্লাহর প্রতি ধাবিত হয় এবং তাদের কৃত পাপ কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মুনাজাত করে। আগেকার যুগে যখন ভূমিকম্প হত, তখন সঠিক পথে পরিচালিত সৎকর্মশীল লোকেরা বলত, ‘মহান আল্লাহ আমাদেরকে সতর্ক করেছেন।’
বিজ্ঞান কী বলে ?
ভূতত্ত¡ বিজ্ঞানের আলোকে ভূপৃষ্ঠের নীচে একটি নির্দিষ্ট গভীরতায় রয়েছে কঠিন ভূত্বক। ভূত্বকের নীচে প্রায় ১০০ কি.মি. পুরু একটি শীতল কঠিন পদার্থের স্তর রয়েছে। একে লিথোস্ফেয়ার (খরঃযড়ংঢ়যবৎব) বা কঠিন শিলাত্বক নামে অভিহিত করা হয়। আমাদের পৃথিবী নামের এই গ্রহের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, কঠিন শিলাত্বক (লিথোস্ফেয়ার)সহ এর ভূপৃষ্ঠ বেশ কিছু সংখ্যক শক্ত শিলাত্বকের প্লেট (চষধঃব) এর মধ্যে খন্ড খন্ড অবস্থায় অবস্থান করছে। ভূতত্ত¡ বিজ্ঞানের আলোকে এই প্লেটের চ্যুতি বা নড়া-চড়ার দরুণ ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্প বিষয়ক কোরানতত্ত¡ ভূমিকম্প বিষয়ে পবিত্র কোরানে সূরায়ে ‘যিলযাল’ নামে একটি সূরাই নাযিল করা হয়েছে। মানুষ শুধু কোন ঘটনা ঘটার কার্যকারণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয় এবং ভূতত্ত¡বিজ্ঞানও এই কার্যকারণ সম্পর্কেই আলোচনা করে থাকে। কিন্তু কুরআনুল কারীম একই সাথে কোন ঘটনা ঘটার কার্যকারণ বর্ণনার পাশাপাশি উক্ত ঘটনা থেকে শিক্ষনীয় বিষয় কি এবং এই ঘটনা থেকে অন্য আরো বড় কোন ঘটনা ঘটার সংশয়হীনতার প্রতি ইংগিত করে। ভূমিকম্প বিষয়ে কুরআনুল কারীমে দু’টি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। একটি হল ‘যিলযাল’, যার অর্থ হল একটি বস্তুর নড়াচড়ায় অন্য আরেকটি বস্তু নড়ে ওঠা। দ্বিতীয় শব্দটি হল ‘দাক্কা’, এর অর্থ হল প্রচন্ড কোন শব্দ বা আওয়াজের কারণে কোন কিছু নড়ে ওঠা বা ঝাঁকুনি খাওয়া। পৃথিবীতে বর্তমানে যেসব ভূমিকম্প ঘটছে, তা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে কঠিন শিলাত্বকে চ্যুতি বা স্থানান্তরের কারণে। কিয়ামতের দিন আরেকটি ভূমিকম্পে পৃথিবী টুকরো টুকরো হয়ে ধুলিকনায় পরিণত হবে এবং তা হবে ফেরেশেতা হযরত ইসরাফিলের ( আ.) সিঙ্গায় ফুৎকারের কারণে, যাকে বলা হয় ‘দাক্কা’। যা হবে এক প্রচন্ড আওয়াজ। পৃথিবীতে মাঝে মাঝে কঠিন শিলাত্বকের স্থানান্তরের কারণে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প আমাদেরকে এ কথার প্রতি ইংগিত করে যে, একদিন ওই ‘দাক্কা’ সংঘটিত হবে, যার নাম কেয়ামত।
তখন এই চাকচিক্যময় দুনিয়ার সবকিছুই ধ্বংস্তুপে পরিণত হবে। মানুষ যেন কিয়ামতকে ভুলে না যায়, দুনিয়াকেই তার আসল ঠিকানা মনে না করে, তাই মাঝে মাঝে মহান আল্লাহ ভূমিকম্পসহ আরো অন্যান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগ দিয়ে মানুষকে সতর্ক করে থাকেন। ভুমিকম্প একটি আজাব। আল্লাহ মহান পবিত্র কোরানে ইরশাদ করেছেন, বল, আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর, তোমাদের উপর থেকে (আসমান থেকে) অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম, অথবা তিনি তোমাদের দল-উপদলে বিভক্ত করে একদলকে আরেক দলের শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাতেও সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।” (সূরা আল আনআম : ৬৫) আল-বুখারি তার সহিহ বর্ণনায় জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যখন তোমদের উপর থেকে (আসমান থেকে) আজাব নাজিল হলো তখন রাসূল (স) বললেন, আমি তোমার সম্মূখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, অথবা যখন, অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আজাব নাযিল হলো, তখন তিনি (সা.) বললেন, আমি তোমার সম্মূখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (সহিহ বুখারি, ৫/১৯৩) আবূল-শায়খ আল-ইস্পাহানি এই আয়াতের তাফসিরে বর্ণনা করেন, “বল, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর থেকে (আসমান থেকে)- যার ব্যাখ্যা হলো, তীব্র শব্দ, পাথর অথবা ঝড়ো হাওয়া; অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম- যার ব্যাখ্যা হলো, ভুমিকম্প এবং ভূমি ধ্বসের মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়া।) বান্দার ওপর আজাব কেন আসে ?
হজরত আলী [রা.] হতে বর্ণত রসুল [সা.] ইরশাদ করছেন, যখন আমার উম্মত যখন ১৫ টি কাজে লিপ্ত হতে শুরু করবে তখন তাদের প্রতি বালা মসীবত আপাতিতি হতে আরম্ভ করবে। কাজগুলো হল
১. যখন গণীমতের মাল ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত হবে।
২. যখন আমানতের সম্পদ পরিনত হবে গনীমতের মালে।
৩. জাকাত আদায় করাকে মনে করবে জরিমানা আদায়ের ন্যায়।
৪. স্বামী স্ত্রীর বাধ্য হবে।
৫. সন্তান মায়ের অবাধ্য হবে।
৬. বন্ধু-বান্ধবের সাথে স্বদব্যবহার করা হবে।
৭. পিতার সাথে করা হবে জুলুম।
৮. মসজিদে উচ্চস্বরে হট্টোগোল হবে।
৯. অসাম্মানী ব্যাক্তিকে জাতির নেতা মনে করা হবে।
১০. নীচু ব্যক্তিকে সম্মান করা হবে তার অনিষ্ট থেকে বাচার জন্য।
১১. প্রকাশ্যে মদপান করা হবে।
১২. পুরুষ রেশমী পোষাক পরবে।
১৩. গায়িকা তৈরি করা হবে।
১৪. বাদ্যযন্ত্র তৈরি করা হবে।
১৫.পুর্ববর্তী উম্মতদের (সাহাব, তাবে, তাবেঈন) প্রতি অভিসম্পাৎ করবে পরবর্তীরা।
এই কাজগুলি যখন পৃথিবীতে শুরু হবে তখন অগ্নীবর্ষী প্রবল ঝড়, ভুমিকম্প ও কদাকৃতিতে রূপ নেয়ার অপেক্ষা করবে। এখন একটু চিন্তা করা উচিত যে, আমরা এগুলোর মাঝেই লিপ্ত রয়েছি। আর যখন আমাদের উপর মুসীবত আসে তখন প্রকৃতির বা মানুষের বা অন্যান্য জিনিসের দোষ দেই। আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত যে সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন আমরা হই তা আসলে আমাদের গুনাহের কারণেই আযাব হিসেবে এসে থাকে।
ভুমিকম্প হলে করনীয় কি?
যখন কোথাও ভূমিকম্প সংগঠিত হয় অথবা সূর্যগ্রহণ হয়, ঝড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন মানুষদের উচিত মহান আল্লাহর নিকট অতি দ্রæত তওবা করা, তাঁর নিকট নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা এবং মহান আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণ করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা যেভাবে রাসূল (সা.) সূর্য গ্রহণ দেখলে বলতেন, যদি তুমি এরকম কিছু দেখে থাক, তখন দ্রæততার সাথে মহান আল্লাহকে স্মরণ কর, তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। [বুখারি ২/৩০ এবং মুসলিম ২/৬২৮] বর্ণিত আছে যে, যখন কোন ভূমিকম্প সংগঠিত হতো, উমর ইবনে আব্দুল আযিয (রহ) তার গভর্ণরদের দান করার কথা লিখে চিঠি দিতেন। ভুমিকম্প একটি কেয়ামতের আলামত। আবূল ইয়ামান (রহ.) আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবি [সা.] বলেছেন, কিয়ামত কায়েম হবে না, যে পর্যন্ত না ইল্ম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভুমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং হারজ বৃদ্ধি পাবে। (হারজ অর্থ খুনখারাবী) তোমাদের সম্পদ এত বৃদ্ধি পাবে যে, উপচে পড়বে। [সহিহ বুখারি, অধ্যায় : ১৫/ বৃষ্টির জন্য দুআ, হাদিস নাম্বার : ৯৭৯] পবিত্র কোরানের একাধিক আয়াতে বলা হয়েছে যে, জলে স্থলে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয় তা মানুষেরই কৃতকর্মের ফল। আল্লাহপাক মানুষের অবাধ্যতার অনেক কিছুই মাফ করে দেন। তারপরও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। কোরান নাজিল হওয়ার পূর্বেকার অবাধ্য জাতি সমূহকে আল্লাহপাক গজব দিয়ে ধ্বংস করেছেন। সে সবের অধিকাংশ গজবই ছিল ভুমিকম্প। ভুমিকম্প এমনই একটা দুর্যোগ যা নিবারন করার মতো কোন প্রযুক্তি মানুষ আবিষ্কার করতে পারে নাই। এর পূর্বাভাষ পাওয়ার মতো কোন প্রযুক্তিও মানুষ আজ পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পাওে নাই। হাদিস শরীফেও একাধিকবার বলা হয়েছে যে, মানুষের দুষ্কর্মের জন্যই ভুমিকম্পের মতো মহা দুর্যোগ ডেকে আনে। কুরআন এবং হাদিসে আদ, সামুদ, কওমে লুত এবং আইকার অধিবাসীদের ভুমিকম্পের দ্বারা ধ্বংস করার কাহিনী বিভিন্ন আঙ্গিকে বর্ণনা করা হয়েছে। একটু ভাবুন তো, সামান্য এই ভূমিকম্পেই সম্পদের মায়া ছেড়ে আমরা রাস্তায় নামছি। এটা যখন আরো বাড়বে, তখন সম্পর্কের মায়াও ছেড়ে দেবো আমরা। নিজেকে বাঁচানোর চেষ্ঠায় ব্রতী হবো সবাই। যখন তার চাইতেও আরো বাড়বে তখন যেই মা দুধ খাওয়াচ্ছেন, তিনিও তার বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলে দেবেন, গর্ভের শিশুকেও বের করে দেবেন। ভূমিকম্পের সময় কে কি অবস্থায় ছিলাম, কে টের পেয়েছে, কে টের পায়নি, চেয়ার টেবিল নড়ছিলো কিনা, ফ্যান দুলছিলো কিনা- এই সব গবেষণা পরে করলেও হবে। আগে করা দরকার তওবা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। সবচেয়ে বড় কথা হল, এটি আল্লাহ কর্তৃক একটি নিদর্শন। যাতে করে মানুষ স্বীয় অপরাধ বুঝতে সক্ষম হয়। ফিরে আসে আল্লাহর পথে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আন্তরিকতার সাথে খাঁটি তওবা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক : বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তক, গবেষক, শিক্ষাবিদ, লেখক, কলামিষ্ট ও সাংবাদিক। শেরপুর, বগুড়া।

সলঙ্গায় কোরআনের আলো ছড়াচ্ছে মাওলানা আব্দুল জাব্বার

ফারুক আহমেদ ঃ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা সলঙ্গা থানার ৩নং ধুবিল ইউপি ২নং ওয়ার্ড আমশড়া দক্ষিণ পূর্বপাড়া আমশড়া জামে মসজিদ কুমিটিদের নিজ উদ্যোগে ২০১৫ সালে থেকে শু রু করে মসজিদ ভিত্তিক সমাজের সুবিধাবঞ্চিত কোমলমতি শিশু, কিশোর, তরুণ, তরুণীদের নিয়ে শিক্ষা কারর্যক্র শুরু করেন অত্র জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল জাব্বার আলী (সবুজ) তিনি সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত শিশুদের পাঠদান করে থাকেন। সরেজমিনে আমশড়া জামে মসজিদে গেয়ে দেখা যায়, ৪০/৫০ জন শিশু, কিশোর, তরুণ, তরুণীদের অতি আগ্রহের সঙ্গে পাঠদান গ্রহণ করছেন।
এ সময় শিশু শিক্ষার্থী জুনাইদ, ওকিল মাহফুস ত্বোয়াহা, খাদিজা, হাসান, আল মামুন, নাইম হাসান, জিহাদ হাসান, আবু হাসান, আব্দুল্লাহ, তছলিম উদ্দিন, জান্নাতুল ফেরদৌসি, ফাতেমা খাতুন বলেন, সবুজ হুজর তার স্নেহ ও ভালবাসা দিয়ে পাঠদান করান। তাদের পাঠ্য বইয়ের পড়া একবারে না পারলে বারবার বুঝিয়ে দেন। হুজুরের কাছে পড়তে তাদের খুব ভালো লাগে। তারা আরো বলেন,পবিত্র কোরআন মাজিদের একটা হরফ উচ্চারণ করিলে দশটা নেকি সুতরাং আল্লাহুতালা কোরআনে বলেছেন পড়, তাই পড়ছি। তাছাড়া আল্লাহকে পাওয়ার জন্য কোরআন পড়া শিক্ষা গ্রহণ করছি।
শিক্ষক মাওলানা আবুল জাব্বার সবুজ বলেন, কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জাতীয় দিবস সম্পর্কে ধারনা, তাদের ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধমূলক আলোচনা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমার ছাত্র/ছাত্র সংখ্যা বর্তমানে ৪০ থেকে ৫৯ জন। তার মধ্যে ৫ জনকে আমি এর আগেই পবিত্র কোরবানি শরিফ হাতে দিয়েছি তারা শুনানি দিচ্ছে। আজ আরো দুই জন ছাত্রকে আপানাদের উপস্থিতে পবিত্র কোরআন মাজিদ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারা হলো মাহফুজুর রহমান, পিতা রাসেল আহমেদ, শফি উদ্দিন, পিতা জহুরুল ইসলাম ।
শিক্ষক সবুজ সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা প্রতিনিধিকে আরো বলেন, বিনা টাকায় মসজিদ ভিত্তিক পবিত্র কোরআন মাজিদ শিক্ষা দেওায়র উদ্দেশ্য হলো শিশুরা যেন ছহি পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষা করেতে পাড়ে । গত মঙ্গলবার সকল ৮টার সময় প্রথমে কায়দা পরে সূরা ভালভাবে পড়ানোর শেষে দুই জন ছাত্রের হাতে পবিত্র কোরআন মাজিদ তুলে দিন আমশড়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা মোঃ- জুলহাজুল আহমেদ, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক,সাবেক কাজি ও আমশড়া পশ্চিম মধ্যে পাড়া জামে’মসজিদ পেশ ইমাম আলহাজ্ব সোলাইমান হোসেন, অত্র জামে’মসজিদের সদস্য, সলঙ্গা রিপোর্টেরার্স ইউনিটির সদস্য ও দৈনিক গ্রাম পত্রিকার সাংবাদিক ফারুক আহমেদ, ছাত্র/ছাত্রী সম্মানিত অভিভাবক বৃন্দ, আরো উপস্থিত ছিলেন,অত্র মহল্লার মুরুব্বিাইয়ানকেরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শেষে ছাত্র/ছাত্রীদের অভিভাবক বৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা বলেন সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা প্রতিনিধিকে বলেন, যেবে আমাদের সম্মানিত ইমাম সাহেব আব্দর জাব্বার বিনা পয়সায় কোরআনের আলো ছড়াচ্ছেন তাতে আমরা ওনার কাছে কৃতিজ্ঞ।

চরমপন্থীদের মৎস্য প্রকল্প – র‌্যাব-১২ এর মহতী কর্মসূচী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ র‌্যাব ফোর্সেস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, গণ-মানুষের নিরাপত্তা বিধান ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে এ বাহিনী মাদক, অস্ত্র, জঙ্গিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে ইতোমধ্যে জনমনে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। অপরাধ দমনে র‌্যাব শুধু আভিযানিক প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। ইতোপূর্বে যে সকল জঙ্গি ও জলদস্যুরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অন্ধকার জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চেয়েছে তাদের আত্মসমর্পণ, পুনর্বাসন ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে র‌্যাব।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর “মাদার অফ হিউমিনিটি” খেতাব অর্জন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবধিকার সংরক্ষণই আমাদের প্রেরণা। বৃহত্তর জনস্বার্থে র‌্যাব-১২ এর উদ্যোগ চরমপন্থী সর্বহারাদের আত্মসমর্পণ এরই ধারাবাহিকতার অংশ মাত্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর “মাদার অফ হিউমিনিটি” খেতাবের আলোকিত ধারার অংশ হিসেবেগত ২১ মে ২০২৩ সিরাজগঞ্জে অবস্থিত র‌্যাব-১২ এর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে ০৩ (তিন) শতাধিকচরমপন্থী সর্বহারা সদস্য ০২ (দুই) শতাধিক অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান, এমপি এর নিকট আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থী সদস্য ও তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য র‌্যাব-১২‘উদয়ের পথে’ নামক পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে হস্তশিল্প প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। সম্মানিত র‌্যাব ডিজি মহোদয়ের উপস্থাপন মতে আত্মসমর্পণকৃত চরমপন্থী সদস্যদের পুনর্বাসনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার “প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল” হতে ৩১৪ সদস্যকে ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা করে মোট ৩,১৪,০০,০০০/- (তিন কোটি চৌদ্দ লক্ষ) টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন।
আত্মসমর্পন করা চরমপন্থিরা সরকারিভাবে আইনি সহয়তা পেয়ে তারা সবাই এখন স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছে। এদের মধ্যে কেউ ব্যবসা, কেউ মাছের ঘের, কেউ গবাদি পশু পালন, কেউ ছাগল পালন, কেউ ইজি বাইক, কেউ আবার সবজি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তাদের জীবন-যাত্রার মান আরও উন্নত করতে সরকার আর্থিকভাবে তাদের এ সহয়তা প্রদান করছে। সেই লক্ষে মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর তত্বাবধানেঅদ্য ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে সিরাজগঞ্জ জেলার ১৪ জন চরমপন্থি মিলে ০১ বছরের জন্য নগদ ২,০০,০০০/- মূল্যের ০৫ বিঘা আয়তনের পুকুরে বিভিন্ন ধরণের উন্নত প্রজাতির ৩০ মণ মাছ চাষ করা হবে। আত্মসমর্পণকৃত অন্যান্য চরমপন্থিরাওযেন জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কাজ/খামার করতে পারে সেই উদ্দ্যোগ গ্রহন করছে র‌্যাব-১২।

নৌকার বিজয় সিরাজগঞ্জের ছয়টি আসনে
মো: আনোয়ার হোসেন সাগর, চলনবিল প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনেই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান তার কার্যালয় থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফলে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর- সদরের একাংশ) আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গন প্রতীকের জহুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৯ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-২ (সিরাজগঞ্জ সদর-কামারখন্দ) আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. জান্নাত আরা হেনরী ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গন প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮০ ভোট। সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সুইট ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭০৮ ভোট।সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ২ লাখ ২০ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির হিল্টন প্রামানিক লাঙ্গন প্রতীক পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডল ৭৭ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৭৩ হাজার ১৮৩ ভোট। সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রার্থী চয়ন ইসলাম ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক মিরু ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৭৬ ভোট।

তাড়াশে ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

আরিফুল ইসলাম ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নানা আয়োজনে ছাত্রলীগের ৭৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারী) সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা ছাএলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেলের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আজিজ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সনজিত কর্মকার, সহ সভাপতি হোসনেআরা পারভিন লাভলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বিদ্যুৎ, সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর কবির লিমন, যুব মহিলালীগের সভাপতি শায়লা পারভীন সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

চাটমোহরে মাদকাসক্ত ছেলের কোপে মায়ের মৃত্যু !

চাটমোহর প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে মাদকাসক্ত এক ছেলের কোপে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও বাবা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত দশটার দিকে হান্ডিয়াল স্থল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত।মারা যাওয়া ওই মহিলা হলেন ওই গ্রামের বাসিন্দা আ.সোবাহানের স্ত্রী সারেদা খাতুন (৬০)। অভিযুক্তের নাম ইছার উদ্দিন।এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার আগে ইছার উদ্দিন তার স্ত্রীর কাছে টাকা চেয়েছিল। টাকা না পাওয়ায় তিনি স্ত্রীকে মারপিট করছিলেন। ছেলেকে নিবৃত্ত করতে গেলে বৃদ্ধা মায়ের উপর চড়াও হয় ইছার উদ্দিন। এক পর্যায়ে পাশে থাকা দা দিয়ে তাকে কোপ দেয়। ওদিকে স্ত্রীর এমন ঘটনা দেখে এগিয়ে যায় আ. সোবাহান। এ সময় তিনিও আক্রান্ত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চাটমোহর থানার ওসি মো. সেলিম রেজা।

নন্দকুজা নদীতে ব্রীজ নির্মাণ করা প্রয়োজন
মুহাম্মদ জাকির হোসেন : ঐতিহাসিক চলনবিলের সিংড়া উপজেলার হলাই গাড়ী নামক স্থানে নন্দকুজা নদীতে ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন।স্থানীয় জনগনের বর্ণনায় জানা যায় নন্দকুজা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরী। হলাই গাড়ী হাটের প্রবেশ দ্বারে বিগত দেড় যুগ যাবত বাঁশের সাঁকো দিয়ে সি.এন.জি- অটোরিকশা-মটর চালিত ভ্যান-পথচারী ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে। হলাই গাড়ী অত্র এলাকার প্রসিদ্ধ ব্যবসাকেন্দ্র। এখানে মাদ্রাসা- হাইস্কুল- প্রাইমারী স্কুল ও কলেজের প্রায় সহশ্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারী প্রতিদিন এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে এছাড়া- গুরুদাসপুর উপজেলার শতশত মানুষকে উক্ত সাঁকো পার হয়ে প্রতিদিন সিংড়া হয়ে জেলা শহওে নানা প্রয়োজনে যেতে হয়। গুরুদাসপুর উপজেলার পুরুলিয়া মহারাজপুর-চন্দ্রপুর-ডোবার পাড়া- নাটোর সদর উপ- জেলার – হালাসা- চিড়াদোলা – এলাকার ব্যবসায়ীগণও ব্যবসার তাগিদে যাতায়াত করে থাকেন। হলাইগাড়ী হয়ে সরজমিনে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কালে ডাক্তার সুভাষ চন্দ্র জানান- প্রায় দেড় যুগ যাবত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারী- মানবাহন চলাচল করে। যে কোন মূহুর্তে সাঁকো ভেঙ্গে জীবন হানি, ঘটার আশংকা রয়েছে।হলাই গাড়ী হয়ে- সিংড়া জেলা সদর ও বিলদহর হয়ে গুরুদাসপুর যাতায়াত এলাকাবাসীর জন্য সুবিধাজনক।
এ ব্যাপারে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক আলহাজ¦ আমিন উদ্দীন বলেন- এলাকাবাসীর সার্বিক প্রয়োজনে ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরী – তিনি আরো বলেন- প্রতিদিন মাছ চাষীগণ বিলদহর – চাঁচকোড় ও জেলা সদরে মাছ বিক্রি করতে যান এছাড়া চলনবিলের কলম- বাহাদুরপুর প্রভৃতি গ্রামের- উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করলে প্রয়োজনে অত্র বাঁশের ব্রিজ পাড় হতে হয়- যা অত্যন্ত ঝুঁকি বহুল। হলাইগাড়ী কলেজের শিক্ষক মোঃ ফিরোজ উদ্দীন বলেন- হলাইগাড়ী সিংড়া উপজেলার একটি জন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। হলাইগাড়ী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ৭/৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহ¯্রার্বিক ছাত্র-ছাত্রদের পাড়াপাড় হতে হয়- উক্ত ব্রিজ।গুরুদাসপুর উপজেলার ডাঃ সুভাষ চন্দ্র তলাপানের মোড় হতে হলাইগাড়ী এ সাঁকো পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার- রাস্তা কাঁচা রয়েছে- যা পাকা করণ আবশ্যক। এ রাস্তা পাকা করা ও ব্রিজ নির্মাণ করা হলে অত্রাঞ্চলবাসীর দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি দূর হয়ে অত্র এলাকার সার্বিক উন্নতির দ্বার উন্মোচিত হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দান করা প্রয়োজন বলে এলাকা- বাসী দাবী জানিয়েছেন।

তাড়াশে সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কম্বল বিতরণ

লুৎফর রহমান ঃ তাড়াশে অসহায়,দুঃস্থ, সুবিধা বঞ্চিত ও কুরআনের পাখি মাদ্রাসা ছাত্রের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছে আব্দুল মান্নান চেরিট্যাবল ট্রাস্ট। গত বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে আব্দুল মান্নান চেরিট্যাবল ট্রাস্টের অর্থায়নে, সামাজিক সংগঠন প্রচেষ্টা সবার জন্যের সহযোগিতা ও মানবিক সংগঠন ভিলেজ ভিশনের আয়োজনে ভাদাশ জে আই কলেজ মাঠে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রচেষ্টা সবার জন্যর পরিচালক শাহবাজ খান সানি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী কাউন্সিলর জেসমিন আক্তার, তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজের কম্পিউটার প্রভাষক সুলতান মাহমুদ, জেআই টেকনিক্যাল কলেজের ইংরেজি প্রভাষক , মো আইউব আলী ,তাড়াশ স্বেচ্ছায় রক্ত দান সংগঠেন সভাপতি দেলবার আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভিলেজ ভিশন বাংলাদেশ পরিচালক শরীফ খন্দকার । এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিলেজ ভিশনের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ শাহাদৎ খন্দকার, মেহেদি, রিপন, আজাদ শাকিল, সিয়াম জুবায়ের আহমেদ, সাগর, তাইবুর খন্দকার, মিরাজ ও ফরমান প্রমুখ। এ সময় শতাধিক শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।

উল্লাপাড়ায় বছরের প্রথমদিন বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত

ডাঃ আমজাদ হোসেন ঃ উল্লাপাড়ায় বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নতুন বছরের প্রথমদিন বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বছরের শুরুতেই উপজেলা সদরের উল্লাপাড়া সানফ্লাওয়ার স্কুল মিলনায়তনে বই উৎসব উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. খাদিজা খাতুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামছুল হক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া উপজেলা সদরের উল্লাপাড়া মার্চেন্টস পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, এইচ. টি. ইমাম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল, উল্লাপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ঝিকিড়া বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহিলা মাদ্রাসাসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তাড়াশে বেসরকারী সংস্থার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে তালিকাভূক্ত মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ-বামাসপ এর মনোনীত সদস্য সংস্থা তাড়াশের বেসরকারী সংস্থা পরিবর্তনের মোট ১৯ জন পর্যবেক্ষক ৬৪- সিরাজগঞ্জ ৩ আসনের তাড়াশ উপজেলার মোট ৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করে যেমনটি দেখতে পায় তার একটি সারমর্ম ও সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন সুপারিশসহ পেশ করা হয়েছে বামাসপ অফিসে।
পর্যবেক্ষকগণ বলেছেন,ভোট কেন্দ্র সমূহ খুব সুন্দর ও উপযুক্ত স্থানে স্থাপিত ছিল। ভোট কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনাও ছিল ভালো। আইনশৃংখলা পরিস্থিতির কোন ত্রুটি ছিল না। নির্বাচন কেন্দ্রগুলোর সার্বিক পরিবেশ বেশ সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ছিল। কোথাও কোনো বিশৃংখ লার খবর পাওয়া যায় নাই। তবে সব কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি কম পরিলক্ষিত হয়েছে। কোথাও ভোটারদের কোন লাইন দেখা যায় নি। অবশ্য ভোটার উপস্থিতি প্রত্যাশিত মাত্রায় দেখা না গেলেও অধিকাংশ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সকাল ১০টার মধ্যে ২০-৩০ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলেন। সুপারিশসমূহ ঃ
১। ভোট কেন্দ্রে কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা সদস্যদেরকে পর্যবেক্ষকদের করণীয়,নীতিমালা ও তাদেরকে সহযোগিতা করা বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবেযেন পর্যবেক্ষণকালে তারা তা নিশ্চিত করতে পারেন।২। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তালাবদ্ধ ঘওে অবস্থানকরে দায়িত্ব পালন করবেন না, সে ব্যাপারে তাকে পূর্বাহ্নে অবহিত করতে হবে।৩। ভোটার টার্ন আউট বাড়ানো প্রয়োজন।৪। জনগণের মধ্যে ব্যাপক ভোটার এডুকেশন প্রদান করা প্রয়োজন যাতে এ সংক্রান্ত জনসচেতনতা বৃদ্ধি পায়। ৫। পর্যবেক্ষকদের নির্ধারিত পর্যবেক্ষণ কার্ড জেলা রিটার্নিংঅফিস থেকে সংগ্রহ করা কষ্টদায়ক। পরবর্তীতে উপজেলা পর্যায়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাযালয় থেকে সংগ্রহের ব্যবস্থা থাকলে ভাল হয়।৬। পর্যবেক্ষক কার্ড নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের একজনের নিকট প্রদান করাই শ্রেয়। তাহলে জেলাতে গিয়ে প্রত্যেকের হয়রানি হতে হবে না।

শেষের পাতার ফিচার
হযরত হাজী খাজা শাহ শরীফ জিন্দানী (রা) এর কাহিনী
মোঃ মুন্না হুসাইন, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ হযরত হাজী খাজা শাহ্ শরীফ জিন্দানী (রা) সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নে ঘুমিয়ে আছে চলনবিলের মধ্েয। হযরত খাজা শাহ্ শরীফ জিন্দানী (রা) এর ইতিহাস অত্যন্ত বর্ণাঢ্য ও বৈচিত্র্যময়। হযরত শাহ্ শরীফ জিন্দানী (রা) বোখার আন্তগত জিন্দানী রাজ বংশে জন্ম গ্রহণ করেন। বাল্যকালে অত্যন্ত মেধাবী ও আধ্যাতিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি ইমাম বোখারী (রা) এর কর্তৃক বোখারা নগরীর দরবার হতে এলেম, হাদিস,তাফ্ছির,ফিকাহ্,শাস্তে অসাধারণ ব্যুৎপুত্তি লাভ করেন। জাহেরী এলেম চর্চা লাভ করেন। আধ্যতিক জ্ঞান লাভের প্রবল আকাঙ্খায় কিছুদিন বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন, অবশেষে বিশ্ববিখ্যাত আউলিয়া কুল শিরমনি হযরত কুতুবউদ্দিন মওদুদ চিশতির (রা) এর হাতে বায়াত হন। বর্ণিত আছে হযরত হাজী শাহ শরীফ জিন্দানী (রা) একাধারে ১২ বছর গভীর জঙ্গলে কঠোর সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন। তখন তিনি খুব কম আহার করতেন। কখনো কখনো তিনি ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত জিকির অবস্থায় কাটাতেন। হযরত খাজা কুতুবউদ্দিন শাহ্ মওদুদ (রা) হযরত হাজী শাহ্ শরীফ জিন্দানী (রা) কে ইসমে আযম শিক্ষা দেন। এর ফলে তিনি এলমি লাদুন্নি ও এলমি তাছাউফ জ্ঞানের অধিকার হন। অথ পর তার মুরশিদ তাকে নিজের খেরকা পরিয়ে দেন। আর তখনি অদৃশ্য হতে ভেসে এল হে হাজী এই খেরকা তোমরী শোভা পেয়েছে, আর আমি আমার বন্ধু রুপে তোমাকে গ্রহণ করে নিলাম। খাজা ওছমান হারুন (রা) এর মুরশিদ এবং হযরত খাজা গরিবে নেওয়াজ হযরত খাজা মইনুয়উদ্দিন চিশতি (রা) এর দাদা হুজুর কেবলা হযরত খাজা শাহ শরীফ জিন্দানী (রা) ছিলেন তদীয় জামানার সকল শ্রেণির আউলিয়াদের সুলতান বা বাদশা। অতপর তিনি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্য ভারত বর্ষে তথা বাংলাদেশের চলন বিলের পাশ্বে করতোয়া নদীর বাঁকে নওগাঁতে আসেন। হযরত খাজা শাহ শরীফ জিন্দানী (রা) অলৌকি ক্ষমতার অধিকারী ছিলন।কথিত আছে তিনি বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে নওগাঁতে আস্তানা করেন। তাহার হাতে ছিল ছবি হিসাবে একটি জাত সাপ। তাহার এই অলৌকিক ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হয়ে হিন্দুরা দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে থাকে। হযরত হাজী খাজা শাহ শরীফ জিন্দানী (রা) তৎকালিন রাজা ভাংশিংকে মূর্তি পূজা করতে নিষেধ করায় তাহার সঙ্গে যুদ্ধ সংগঠিত হয়। যুদ্ধ রাজা ভাংশিং পরাজিত হয়ে স্ব-পরিবারে মনগুম্ভিয়া পুকুরের নৌকা ডুবিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ভাঙ্গুড়ায় গণপিটুনিতে ৩ গরু চোর নিহত

চাটমোহর প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গরু চুরি করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে তিন গরু চোর নিহত হয়েছেন। রোববার (৬ জানুয়ারী) ভোররাতে ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যন্ত পাঁচ বেতুয়ান খেয়াঘাটে ঘটনাটি ঘটেছে।
গরুর মালিকগণ জানান, উপজেলার অষ্টমনিষা গ্রামের গোলাপ হোসেনের বাড়ি থেকে দুইটি গরু চুরি করে নৌকা করে পালাচ্ছিলেন একদল চোর। গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে গরুর মালিকসহ আশপাশের লোকজন মাইকিং করে সমবেত হয়ে চোরের দলকে ধাওয়া করে। ধরতে না পেরে বিভিন্ন এলাকার লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনদের খবর পাঠায়। এর মধ্যে পাঁচ বেতুয়ান গ্রামের লোকজন গুমানী নদীতে বালু বোঝাই ট্রলার দিয়ে পথরোধ করে তাদের ধরে ফেলে। পরে এলাকাবাসী তিনজনকে ধরে গণপিটুনি দেয় ও একজন পালিয়ে যায়।
ঋাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের লাশ উদ্ধার করে এবং চোরদের ব্যবহৃত নৌকা ও অস্ত্র পুলিশের হেফাজতে আছে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD