নাটোর-৪ আসনে এলাকাভিত্তিক ভোট বিপ্লব ঘটার সম্ভাবণা

Spread the love
বড়াইগ্রাম( নাটোর) প্রতিনিধিঃ
আগামী ৭ই জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে ভোটের মাঠে এলাকাভিত্তিক প্রার্থীদের নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা টানা পড়েন। পছন্দের প্রার্থীদের বিষয়ে টান টান  উত্তেজনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে বিভিন্ন বাজার- ঘাট ও চায়ের স্টলগুলোতে। । সেক্ষেত্রে ভোটযুদ্ধে মেরুকরণের প্রভাব পড়ার সম্ভাবণা রয়েছে।  ভোটারদের নিশ্চিত ভোট গ্রহনের ফলে এমন ভোট বিপ্লব ঘটতে পারে বলে  শতভাগ ধারণা করছেন অভিজ্ঞমহলরা।
সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলা নিয়ে নাটোর-৪ আসন।
পুরুষ-মহিলা মিলে মোট  চার লাখ ২০ হাজার ৪ শত ৭০ জন ভোটার রয়েছে এ আসনে। তার মধ্যে বড়াইগ্রাম উপজেলায় ২ লাখ ৫০হাজার ও গুরুদাসপুর উপজেলায রয়েছে ২ লাখ ভোট।
 ৪৮বছরের পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুই উপজেলায় এযাবৎ ভোটে নির্বাচিত এমপিদের মধ্যে বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে ১৯৭২ সালে নির্বাচিত হন রফিকউদ্দিন সরকার, ১৯৭৯ সালে গুরুদাসপুর উপজেলা হতে দিল মোহাম্মদ,জাতীয় পাটি থেকে ১৯৮৬  সালে আবুল কাসেম সরকার, ১৯৮৮ সালে ও তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন।  ১৯৯৬ সালে গুরুদাসপুর উপজেলা হতে আবারো এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন আব্দুল কুদ্দুস, পরপর পাঁচবার  তিনি এআসনের এমপি হয়ে জাতীয় সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  এর মধ্যে বড়াইগ্রাম থেকে ১৯৯৬ সালে
বিএনপির  একরামুল আলম কিছুদিনের জন্য এমপি হয়েছিলেন।
সার্বিক দিক দিয়ে দেখা যায় দুই উপজেলার মধ্যে এযাবৎকাল  গুরুদাসপুর উপজেলা হতেই এমপি হয়েছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এবারে ভোটারদের মাঝে আঞ্চলিক  একটা টান পরিলক্ষিত হচ্ছে। যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় পুরো চিত্রটা ভিন্ন। এখন পর্যন্ত দুই উপজেলা মিলে ৮ জন এমপি প্রার্থী থাকলেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ও আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ শোভনের ট্রাক প্রতীক নিয়েই চলছে যত কানাঘোষা।
উভয় প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীরা মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে গভীর রাত অবদি ভোট প্রার্থনা করছেন।
সেক্ষেত্রে সাধারন মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়ারও কমতি নেই এতটুকু।
তবে এলাকাভিত্তিক প্রার্থীদের নিয়েই বেশি দুর্বলতা লক্ষণীয় হয়ে উঠছে ভোটারদের মাঝে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ী নগর,,মাঝগাঁও,গোপালপুর,বনপাড়া পৌরসভা, চান্দাই ও জোনাইল ইউনিয়নের অসংখ্য ভোটারদের মন্তব্য জানতে গিয়ে দেখা গেছে, নিজ এলাকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর নৌকা প্রতীকের প্রতি বিশেষ একটি দুর্বলতা রয়েছে তাদের। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন সাধনের জন্য শেষ পর্যন্ত নিজেদের প্রার্থীকেই বেছে নিবেন বলে ধারনা করছেন তারা।
অপরদিকে একই আসনের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌরসভা, চাপিলা ইউনিয়ন, নাজিরপুর,বিয়াঘাট, খুবজীপুর ও ধারাবরিষা ইউনিয়নের সাধারন ভোটাররাও চাচ্ছেন তাদের নিজেদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এলাকার প্রার্থী এমপি পুত্র আসিফ আব্দুল্লাহ শোভনকে ট্রাক মার্কা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন।
এলাকাভিত্তিক ভোটারদের এমন সিদ্ধান্তে কে সাধুবাদ জানিয়েছেন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি  সিরাজুল ইসলাম খান জানান,  মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে যার যার মত ভোট দিবে এটাই স্বাভাবিক।  তবে দলীয় প্রতীক নৌকার প্রতি দলের একনিষ্ট ব্যক্তিদের একটা বিশেষ টান থাকে। তারা ভুল করেও নৌকার বাহিরে ভোট দিবেন না।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আবুল্লাহ শোভন বলেন, আমার বাবার হাত ধরেই রাজনীতি শিখেছি। আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দস এমপি বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলার সার্বিক যে উন্নয়ন করেছেন, সে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মানুষ আবারো আওয়ামীলীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনবেন, দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কা প্রতীকে ভোট দিয়ে
আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন। শুধু নিজ উপজেলা নয় সংসদীয় আসনের দুই উপজেলা হতেই সমপরিমাণ ভোট পাবো, বলে আমার বিশ্বাস রয়েছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, দলীয় প্রতীক নৌকা, মানুষ দলের বাহিরে ভোট দিবেনা। আমি ১ লাখ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হবো। দুই উপজেলায় আমি জিতে থাকবো।
আবারো আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসবে। আমি এ সংসদীয় আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আওয়ামীলীগ সরকারকে একটি স্মাট ও ডিজিটাল আসন হিসেবে উপহার দিতে চাই।
2 Attachments • Scanned by Gmail

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD