র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
গত ০৩ নভেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখ র্যাব-১২, সদর কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার মামলা নং-০২, তাং-০২/১১/২০২৩ খ্রি., ধারায়-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) সংক্রান্তে রাষ্ট্র বিরোধী নাশকতামূলক সন্ত্রাসী মামলার সন্দেহভাজন আসামি সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানাধীন ক্ষীরতলা বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ০৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত্রি আনুমানিক ২২.২০ ঘটিকায় উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাষ্ট্র বিরোধী নাশকতামূলক সন্ত্রাসী মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি মোঃ কাজিম উদ্দিন (৫৫), পিতা-মৃত জিল্লার রহমান, সাং-ক্ষীরতলা, থানা-রায়গঞ্জ, জেলা-সিরাজগঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কর্তৃক সারা দেশে গত ২৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর হতে ০২ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ৭২ ঘন্টার অবরোধ চলাকালে ধৃত আসামি সহ আরও অন্যান্য আসামিগণ সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানাধীন তবারীপাড়া হাইওয়ে রোডে অবস্থান করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অন্তর্ঘাতী কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে হরতালের সমর্থনে মিছিল, পিকেটিংসহ হাতে লাঠি-সোটা, লোহার রড ও বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের কর্মক্ষমতা দুর্বল করার নিমিত্তে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ট্রাকে পেট্রোল ছিটিয়ে ১টি গম বোঝাই ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে। উক্ত আসামি বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে একই উদ্দেশ্যে অন্তর্ঘাতমূলক কার্য সম্পাদনসহ সরকারী কাজে বাধা প্রদান করে মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। এই ঘটনা সংক্রান্তে অগ্নিদ্বগ্ধ ট্রাকের মালিক মোঃ সাইদুল ইসলাম (৩০), পিতা- মোঃ আবুল হোসেন, সাং-শালগ্রাম, থানা-আদমদীঘি, জেলা-বগুড়া সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানায় উপরোল্লেখিত মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। র্যাবের সাহসী অভিযানের মাধ্যমে এই গ্রেফতারের ফলে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।