সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা,সংখ্যা ,০৯ সোমবার ,২৩ অক্টোবর

Spread the love

সংখ্যা ০৯ সোমবার ২৩ অক্টোবর ৭ কার্তিক ১৪৩০ ৮ রবিউস সানি ১৪৪৫ হিঃ

ফিলিস্তিনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশেষ লেখাসমূহ

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পূর্ণ স্বাধীনতাই একমাত্র সমাধান 

আবদুর রাজ্জাক রাজু

ফিলিস্তিন, গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর, আল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস, জেরুজালেম এই শব্দগুলো কিংবা প্রাচীণ স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহের নামের সাথে মিশে আছে মুসলিম বিশ্বের বিশেষ রক্ত¯œাত আবেগ, বিশ্বাস ও ঐতিহাসিক অনুভূতি। এ সবের সাথে জড়িয়ে আছে মুসলিম জাতির শিকড়ের ইতিহাস, ঈমান, আমল, আকিদা এবং ইসলামী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত চেতনা। এই সেই জেরুজালেম যেখানে হাজার হাজার নবী-রাসুলগণের পবিত্র সমাধিস্থল। এটা মুসলিমদের অন্যতম পূণ্যভূমি।
এই সেই বায়তুল মুকাদ্দাস বা আল আকসা মসজিদ যেখানে মহানবী মিরাজ গমনের পথে ইমামতি করেছিলেন সত্তুর হাজার ফেরেশতা ও অগণিত নবী-রাসুলের প্রার্থনার সময়। এই পবিত্র মসজিদই মুসলিমদের প্রথম কিবলা। পরে কাবা শরীফ নির্মিত হলে রাসুল (সাঃ)কে সেদিকেই মুখ করে মুসলিমদের কিবলা পরিবর্তিত হয়। সেটাই প্রায় শত বছর ধরে দখল করে রেখেছে ইসলামের চির শত্রæ ইহুদি শাসক ইসরাইল। ইসলামে যে তিনটি পবিত্র স্থান ইবাদত মানসে পরিদর্শন জায়েজ তার মধ্যে অন্যতম মসজিদুল আকসা। অপর দুটি হল মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী।
১৯১৭ সালে ব্রীটিশ বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ইহুদি রাস্ট্র স্থাপনের স্বপ্ন শুরু হয় ফিলিস্তিনকে ঘিরে। পরে ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন ভাগ প্রস্তাব ও ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাস্ট্র ঘোষণা ও গোড়া পত্তন করে। তৎপরবর্তী ১৯৬৭ ও ১৯৭৩ সালে এক ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরাইল ফিলিস্তিন ভূখন্ডে তার আধিপত্যবাদ সম্প্রসারণ করে। সেটাই হল ফিলিস্তিনিদের কাছে প্রথম নাকবা তথা মহাদুর্যোগ বা মহাবিপর্যয়।ইসরাইল কেবলমাত্র পশ্চিম তীর ও গাজার সামান্য ক্ষুদ্র আয়তনের ভূখন্ড ব্যতীত জেরুজালেমসহ প্যালেস্টাইন রাজ্যের সিংহভাগ দখলে নিয়ে নেয় সে সময়।

ইসরাইলী এই দখলদারত্ব ও বর্বরতার পিছনে মদদ ও নেতৃত্ব দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের মোড়ল দেশসমূহ যেমন: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মান সহ ইউরোপের অনেক দেশ। বিশ্বে ইহুদিরা জনসংখ্যার দিক থেকে সর্বাপেক্ষা কম হলেও জ্ঞানবিজ্ঞান,বুদ্ধিমত্তা এবং শক্তি কৌশলে তারা আদিযুগ থেকেই সর্বাধিক অগ্রসর। কোরআনের ভাষ্যমতে ইহুদি ও নাসরা সম্প্রদায় মুসলিমের চির শত্রæ। এরা কখনো বন্ধু হবার নয়। সেই ইসরাইল এখন মুক্তিকামী হামাসের নজিরবিহীন বিস্ময়কর আক্রমণের প্রতিশোধের অজুহাতে নিরিহ গাজাবাসীকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে অসম ও বর্বর নিষ্ঠুরতায় অবতীর্ণ হয়েছে প্রথমে গাজাকে তাদের ভাষায় জনমানবহীন মরুভূমিতে রূপান্তরিত করতে। তারা বলছে ফিলিস্তিনরা হিউম্যান এনিম্যাল বা মানবপশু। অথচ প্রকারান্তরে পশুর চেয়েও হীন ঘৃন্য জঘন্য কাজটা করে যাচ্ছে তারাই কয়েকটি পরাশক্তির সহায়তায় মানবতার বিরুদ্ধে। তাদের এই জঘন্য অমানবিক নির্মম যুদ্ধে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের বিশাল নৌবহর ও রণতরী পাঠিয়ে। এ যেন মশা মারতে কামনা দাগা।

এই সেই পশ্চিমা বিশ্ব যারা গোটা বিশ্বে কথায় কথায় গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এর গালভরা বুলি আওড়ায় ও মোড়লীপনা করে, নিষেধাজ্ঞা দেয় । মানবতার ভন্ডামীর আড়ালে এদের বর্ণবাদ, আধিপত্যবাদ , জাতিবিদ্বেষী ও কর্তৃত্ববাদী সা¤্রাজ্যবাদী চরিত্র ফুটে ওঠে ফিলিস্তিন, আফগানিস্থান, ইরাক, সিরিয়া, সুদান, লেবানন ও ইয়েমেনে তাদের ধ্বংসযজ্ঞ দেখলে। এরা কৌশলে ফিলিস্তিনের হামাস ও ফাতাহ গ্রুপকে বিভক্ত রেখে পশ্চিম তীর ও গাজাকে বিভাজিত করে তাদের আগ্রাসী সম্প্রসারণবাদী নীতি-বৈশিষ্ট্য কায়েম রেখেছে।

সর্ব সাম্প্রতিক ফিলিস্তিন অস্তিত্ব অস্বীকার এবং এটাকে বিশ্বদৃষ্টি সীমানার বাইরে ছুঁড়ে দিতে একের পর এক মধ্যপ্রাচ্যের আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে বন্ধুত্ব করে যাচ্ছিল আমেরিকার দুতিয়ালী মধ্যস্থতায় ও সুপারপাওয়ারসুলভ নেতৃত্ব নির্ভরতায়। তাদের এই জঘন্য গাঁটছড়া বাঁধা প্রচেষ্টার অতি সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছিল সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক মিতালী স্থাপনের প্রয়াস যা ইসরাইল – ফিলিস্তিন চলমান যুদ্ধের কারণে অবশেষে স্থগিত করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। অথচ মার্কিনীদের এই গভীর কূটচালে পা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাজতন্ত্র শাসিত কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রধানেরা বুঝতে পারেনি, তাদের ইসরাইলের দলে ভিড়িয়ে প্রকারান্তরে ওয়াশিংটন সমগ্র ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব তথা স্বাধীনতাকে দাবায়া রাখতে তথা অস্বীকার করতে চাইছে।
এত মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠির স্বার্থও বিঘিœত হবে।

মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার এই নির্লজ্জ সুদুরপ্রসারী অমানবিক কূটনীতি বাস্তবে মূলত: ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামীদের স্বপ্ন আর স্বার্থের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। মাত্র ক’দিন আগে ঢাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসে বাংলাদেশের তৌহিদী জনতার এক সংহতি সমাবেশে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত যথার্থই বলেছেন, টাকা-পয়সা সাহায্য নয়, বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বকে ফিলিস্তিনের পাশে থাকতে হবে,দৃঢ় সমর্থন ও সংহতি জানাতে হবে। বিশ্বের মুসলিম সমাজকে বুঝতে হবে তাদের নিজেদের মধ্যকার বিভেদ, অন্তর্দ্ব›দ্ব , অনৈক্য, বিভক্তি, বিভাজন ও ব্যবধানের সুযোগ নিচ্ছে আমেরিকা ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্ব। এটা তারা করছে যুগের পর যুগ তথা শত শত বছর যাবৎ। এর ফলে মুসলিম বিশ্ব শুধুই মার খাচ্ছে, তাদের রক্ত ঝরছে ও পরিণামে ক্রমশ:দুর্বল হয়ে পড়ছে। আর তকমা পাচ্ছে জঙ্গী এবং সন্ত্রাসী নামের।

এই বিভ্রান্তির কূটক্রের জাল থেকে মুসলিম উম্মাহর বের হয়ে আসতে হবে। তাদের উপলদ্ধি করতে হবে, ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্ব দুনিয়ার সকল মুসলিম ভ্রাতৃত্বের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য, অনিবার্য। ফিলিস্তিনের পরাজয় ও দুর্দশা গোটা মুসলিম জাতির পরাজয় ও দুর্দশার সামিল, সমার্থক। সেজন্যই গোটা আরব ঐক্য এবং ফিলিস্তিন নিরংকুশ একতা জরুরী। এরপরেও অহিংস শান্তিপূর্ণ বিশ্বের খাতিরে আমরা চাই, ইসরাইল ও ফিলিস্তিন পাশাপাশি দুই রাষ্ট্র ফর্মুলা অনুসারে ফিলিস্তিনের স্বাধিকার,অধিকার,স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করে জাতিসংঘে তাদের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়ে সদস্য পদ দেয়া হোক।

অন্যথায় বিশ্বের ৫৪টি দেশের প্রায় আড়াই শ’ কোটি মুসলিম জনতা ফিলিস্তিনের উপর গণহত্যা, জাতিগত নির্মূল ও বিধ্বংসী নীতি মেনে নেবে না। বরং তা অব্যাহত থাকলে এর বিরুদ্ধে আর একটা ক্রুসেড বা বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যাওয়া অসম্ভব নয়। বিশ্ব বিবেককে তা মনে রাখতে হবে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে ‘আর যে উৎপীড়িত হওয়ার পর সমান প্রতিশোধ গ্রহণ করে, এরূপ লোকদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।’ সূরা শূরা, আয়াত-৪১‘অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে যারা মানুষের উপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। এরূপ লোকদের জন্যই রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক আজাব’। সূরা শূরা, আয়াত-৪২। কোরান কারিমে আল্লাহ তাআলাহ আরো বলেন, তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে সম্মিলিতভাবে ধারণ কর, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না এবং তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত স্মরণ করো।—সূরা:আল-ইমরান, আয়াত-১০৩ । পশ্চিমা বিশ্ব সভ্যতার নামে অব্যাহত সীমালংঘন করলে মুসলিম বিশ্ব সসিম্মিলিতভাবে তার সমুচিত জবাব দিতে কুণ্ঠা করবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায়।

ফিলিস্তিন জ্বলছে 
বিশ্ব বিবেক জ্বলে ওঠে না কেন
আবদুর রাজ্জাক রাজু

আবার ফিলিস্তিন ভয়াবহ আক্রান্ত ফিলিস্তিনীরা এবার সর্বস্বান্ত
গাজায় তাদের বসতি , শরণার্থী শিবির ও হাসপাতাল প্রায় বেমালুম বিধ্বস্ত ধ্বংসপ্রাপ্ত
ইহুদি ইসরাইল গাজাকে জনমানবশূন্য মরুভূমি বানাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
মুসলিমদের চিরশত্রæ ইহুদি চক্র মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া পশু পাষন্ড দানবেরা
মেতেছে ফিলিস্তিনি নিধনে রক্তের হোলি খেলায়,প্রায় শত বছর যাবত এ খেলা চলছে।
মদদ দিচ্ছে আধুনিক বিশ্বের বড় নিষ্ঠুর-নির্লজ্জ শয়তান মার্কিন আধিপত্যবাদ
ইসরাইলকে দিয়ে ফিলিস্তিন জনগণকে নিশ্চিহ্ন করে গোটা প্যালস্টাইন দখলের
সর্বশেষ নীল নকশা বাস্তবায়ন করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের নাম বিশ্বের
মানচিত্র থেকে চিরতরে মুছে ফেলা তাদের কায়েমী উদ্দেশ্য
ইসরাইল কর্তৃক পঁচাত্তুর বছরের বন্দী কারাগার জীবনের অবসান ঘটিয়ে
এবার স্থায়ীভাবে সম্পূর্ণ নিজের দখলে নেবার হীন ঘৃণ্য জঘন্য বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র
ছোবল অভিযান যা সভ্যতার ও মানবতার বিরুদ্ধে তথা মুসলিম উম্মার বিপক্ষে সুস্পষ্ট অপরাধ।
মূলত: তাদের উচ্চাভিলাসী স্বপ্ন জেরুজালেমসহ বায়তুল মুকাদ্দাস তথা
আল আকসা মসজিদ চিরতরের জন্য গ্রাস করা, দখলে নেয়া
এ পরাভব-পরাজয় যা মুসলিমদের জন্য মেনে নেয়া সম্ভব নয়
কেননা এটাই মুসলিম উম্মার প্রথম কিবলা যা তারা
ইহুদি নাসারার দখলে যেতে দিতে পারে না।
এটা তাদের ঈমান আমলের সাথে জড়িত।
তাই ফিলিস্তিন জাতি উচ্ছেদ আর নির্মূল করা মানেই
দুনিয়ার সকল মুসলিমদের অস্তিত্বে আঘাত হানা।
বাইতুল মোকাদ্দাস কব্জা করা মানেই- মুসলিমদের সবকিছু কেড়ে নেয়া
যা তারা কখনই মেনে নিতে পারে না।
তাই পৃথিবীর ৫৪টি দেশের প্রায় আড়াই শ কোটি মুসলিম জনতাকে
অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
কোন অজুহাত, দ্বিমত, কুফরী চলবে না। আমেরিকার যুদ্ধ জাহাজ –
ইউরোপের ঐক্যজোট এসব জাগতিক পাশবিক শক্তির
সমাবেশ মুসলিমদের চেতনার কাছে নস্যি , তারা আল্লাহর শক্তিমত্তায় বিশ্বাসী।
তাছাড়া নিরপরাধ ফিলিস্তিন জ্বলছে-তবু বিশ্ব বিবেক জ্বলে ওঠে না কেন?
পশ্চিমারা এক অর্থে কাফের-কেননা তারা মুসলিম হত্যাযজ্ঞের হুবুমদাতানায়ক
এ ব্যাপারে ওদের সাথে কোন আপস মিমাংসা সম্ভব নয় কোরআনেই বলা আছে।
তাই ফিলিস্তিনে সশরীরে গিয়ে হোক আর ওআইসিতে জোট বেঁধে কূটনীতিতে হোক
সর্বত্র-সর্বাত্মকভাবে সর্বশক্তি নিয়োগ করে ফিলিস্তিনের
এই সর্বশেষ অস্তিত্বের জিহাদী লড়াই সফল ও বিজয়ী
করতে মুসলিম বিশ্বকে অবিলম্বে আত্মনিয়োগ তথা
সর্বোচ্চ বিলিয়ে ত্যাগ দিয়ে ফিলিস্তিনের জন্য উৎসর্গ করতে হবে।
জগতে আর একটি শেষ ক্রুসেড হোক মুসলিম বিশ্ব বনাম
ইসরাইলী ইহুদি চক্র – সেজন্য মুসলিম বিশ্বের যা যা করণীয়
তা অবিলম্বে “নিজের জান ও নিজের মাল বিসর্জন দিয়ে” কোরবান করতে হবে।
ফিলিস্তিনিদের নিকট এটা দ্বিতীয় নাকবা বলে অভিহিত
এ লড়াইয়ে মুসলিমদের বিজয় ছাড়া ব্যর্থতার কোন প্রশ্ন নেই।

বিশ্ব নেতারা – শোনো
আবদুর রাজ্জাক রাজু

বিশ্ব নেতারা সব শোনো
দেরি নয় আর একটু ক্ষণও
দ্বি-রাষ্ট্র তত্বই সঠিক সমাধান জেনো।

ফিলিস্তিনকে অবশ্যই ফিরিয়ে দাও
জেরুজালেম সহ‘আল আকসাটা’ও
ইসরাইলী দখলদারত্ব সরিয়ে নাও।

দুই জাতি -দুই রাষ্ট্রই সঠিক তত্ব
তাই কোন পক্ষপাতেই হয়ো না মত্ত
প্যালেস্টাইনকে দিতে হবে তার সত্ব।

স্বাধীন ফিলিস্তিন -স্বাধীন ইসরাইল
এটাই হলো একমাত্র শান্তি ও সুমিল
এছাড়া কিন্তু সব পথই হবে পিচ্ছিল।

ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ
সাকিব আল হাসান
তুমি কেমনে হলে মুসলমান ঈমান তোমার নাই
তাকিয়ে দেখো ফিলিস্তিনে শহিদ হয় তোমার ভাই।
ইহুদী আর নাস্তিক এরা যুদ্ধে যখন এলো
যুদ্ধে তারা জয়ী হয়ে আল ফিলিস্তিন দখলে নিলো।
মুসলমানদের আল আকসা নিলো তারা কেড়ে
এ কারণেই দম্ভ-দর্প গেল তাদের বেড়ে।
মুসলিম জাতি বীরের জাতি ভীতু তারা নয়
রক্ত দিয়ে হলেও তারা করবে ‘আকসা’ জয়।
ইসরাইল নামে দেশটি হলো ইহুদিবাদী দেশ
ফিলিস্তিন জাতিটাকে করতে চায় নি:শেষ।
বৃদ্ধ যুবক শিশু বাচ্চা অন্তসত্তাও মারে
শত শত মা কি করে তা সহ্য করতে পারে।
ফিলিস্তিনের আকাশগুলো হয়ে গেলো কালো
যুদ্ধের ঐ বিমানগুলো ঢালছে বোমার আলো।
ভয় পেয়ে ঐ ছোট শিশু আল্লাহর কাছে বলে
ইসলামের ঐ বিজয়ী ধ্বনি এনো মোদের কোলে।
ইসরাইলের অপশক্তি ভেঙ্গে দাও মুসলিম
শক্তি মোদের দাওগো প্রভু রহমানুর রহিম।
মুসলিম জাতি এক হয়েছে বুঝবে এবার ঠেলা
শক্ত হাতে লড়বে তারা করবে না আর হেলা।
কালেমার নিশান উড়বে ইসরাইলের দেশে
মুসলিম জাতি পড়বে নামাজ আল আকসায় বসে।

যে সমাধান মানি
আবদুর রাজ্জাক রাজু

শুধু মিটিং এ নয় – মিছিলে নয়
নয় মানব বন্ধনে
শুধু দোয়া ও প্রার্থনা নয়
নয় বিনীত ক্রন্দনে।
শুধু মুখে ঐক্য – সংহতি নয়
শুধু নয় আলাপ টেলিফোনে
শুধু সহানুভূতি মুখে – শ্লোগানে নয়
নয় কেবলই হৃদয়কোণে।

শুধু পশ্চিমাদের সাথে মিতালী নয়
নয় ব্যবসা-বাণিজ্য
কেবল সখ্য – সম্প্রীতির নয় অভিনয়
বুঝাতে হবে তাদের ‘অন্যায্য’।
ইসরাইলকে তাদের সমর্থন দেওয়া
চরম অন্যায় ভুল
গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের কথা
তাদের ভন্ডামী বিলকুল।
ফিলিস্তিনের পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া
কোন আপোষ – মীমাংসা নেই
সেই ইস্যুতে অটল থাকতে হবে
গোটা দুনিয়া তথা মুসলিম বিশ্বকেই।
আর জেরুজালেম হবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের
একমাত্র রাজধানী
মসজিদুল আকসা যাবে ফিলিস্তিনের কাছে
সেই সমাধান মোরা মানি।

এগিয়ে যাও ফিলিস্তিন
মুফতি খোন্দকার আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহ

কোন সে কালের কোন শকুনে খাচ্ছে গিলে ফিলিস্তিন
বিশ্ব দেখছে দেখছে গাজা বীরের হাতে বিজয় বীণ
অভিশপ্ত জাতি ওরা নেই যে তাদের কোথাও ঠাঁই
কৃপা করে একটু ঠাঁইয়ে আজ দেখা যায় করবে সাঁয়।
স্বয়ং নবী এবং উমর সহ ওদের জ্বালায় বেশ উত্তাল
ওরা হলো অস্থির জাতি গরু ঘোড়ার একটি পাল।
হয়তো ওদের আছে অনেক কিন্তু নাই যে মনের জোর
লেজ গুটিয়ে পালায় ওরা অসভ্য সব গাঁজাখোর।
মুসলিম তুমি বীরের জাতি সামনে চলো আসবে দিন
তোমার গলায় বিজয় মালা হাতে তোমার বিজয় বীণ।

২৫টি দেশে চলনবিলের শুঁটকি রপ্তানী ব্যাহত 
মোঃ মুন্না হুসাইন
চলনবিল অঞ্চলে প্রায় ১২০ কিলোমিটার আয়তনের ২২টি জলাশয় ও ১৬টি নদীর সমন্বয়ে এ বিলের প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জলাভূমিতে মাছ আহরণ করা হয়। এখানে আহরণ করা মাছ থেকে উৎপাদিত শুঁটকি দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে প্রায় ২৫টি দেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু এ বছর চলবিলে মাছ কমে যাওয়ায় শুঁটকি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যেখানে প্রতিদিন ১০০ মণ কাঁচা মাছের প্রয়োজন শুঁটকির চাতালে, সেখানে সর্বোচ্চ তিন থেকে চার মণ মাছ সংগ্রহ করতে পারছেন শুঁটকি ব্যবসায়ীরা।
উত্তরাঞ্চলের তিন জেলার (সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও নাটোর) বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে বৃহৎ চলনবিল। বিলের বিশাল জলাভূমি একদিকে যেমন অন্যতম বড় শস্যভান্ডার, অন্যদিকে মাছেরও বড় জোগান আসে এখান থেকেই। বৃহত্তর চলনবিলের উৎপাদিত দেশীয় প্রজাতির মাছের শুঁটকি কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ বছর বিলম্বিত ও অপর্যাপ্ত বর্ষায় চলনবিলে দীর্ঘমেয়াদি পানি না থাকায় ও বাদাই জাল দিয়ে মা মাছ মেরে ফেলায় নদ-নদী ও বিলের মাছের বংশবিস্তার ব্যাহত হয়েছে। এতে প্লাবন ভূমিতে মাছের উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় শুঁটকি মৌসুমে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। এ বছর চলনবিল অঞ্চলে শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, চলনবিল অঞ্চলে প্রায় ১২০ কিলোমিটার আয়তনের ২২টি জলাশয় ও ১৬টি নদীর সমন্বযয়ে এ বিলের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জলাভূমিতে মাছ আহরণ করা হয়। এটি দেশের মিঠা পানির মাছের বড় উৎস। আর এখানকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছকে কেন্দ্র করে চলে ক্রয়-বিক্রয়ের কর্মব্যস্ততা। প্রতি বছরের আগস্ট থেকে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত কর্মতৎপর হয়ে ওঠে এখানকার শুঁটকিপল্লির চাতালগুলো। এই জনপদের নারী-পুরুষ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে চলনবিলের শুঁটকি তৈরিতে নেমে পড়েন। এখানে দেশীয় পদ্ধতিতে শুঁটকি তৈরি করা হয়। তাড়াশের মহিষলুটি মাছের আড়ত, চাটমোহর উপজেলার বোয়াালমারি, সিংড়া বাজারসহ বিভিন্ন আড়ত থেকে মাছ ক্রয় করা হয়। এরপর তা পৌঁছে যায় শুঁটকির চাতালে। এসব চাতালে শোল, বোয়াল, খলসা, টাকি, টেংরা, পুঁটি, কই, শিং, মাগুর, রূপচাঁদা, ডানকোনা, রয়না, বেলে, সরপুঁটি, ছোট চিংড়ি, বাইম, চাপিলা, চেলাপুঁটি ও চাঁদা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রাকৃতিক রোদে শুকিয়ে শুঁটকি করা হয়। আর এখান থেকে তৈরি করা শুঁটকি সৈয়দপুর, নীলফামারী ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যায়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, দুবাই, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ ২৫টি দেশে চলনেিলর শুঁটকি রপ্তানি হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের মহিষলুটি শুঁটকির চাতালে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশে বিশাল এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে শুঁটকি তৈরির চাতাল। কয়েকটি চাতালে সামান্য পুঁটি মাছ রোদে শুকানো হচ্ছে। অন্যগুলোতে সব চাটাই গোছানো। কারণ মাছের অভাবে শুটকি করা যাচ্ছে না।উল্লাপাড়া উপজেলা থেকে আসা শুঁটকি চাতাল মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর আশঙ্কাজনকহারে বিলের মাছ কমেছে। আড়তে মাছ পাওয়া গেলেও মাছের দাম অনেক বেশি।শুঁটকির পুরোনো ব্যবসায়ী ও চাতাল মালিক আলম আলী বলেন, চলনবিলে এ বছর বর্ষা কম হওয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে না। এ ছাড়া মহিষলুটি আড়তেও তেমন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন ১০০ মণ কাঁচা মাছের প্রয়োজন শুঁটকির চাতালে। অথচ সর্বোচ্চ তিন থেকে চার মণ মাছ সংগ্রহ করতে পারছি। তাও আবার বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে। এ বছর ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। শুঁটকি ব্যবসায়ী আলমাছ বলেন, ‘আমরা সাধারণত আড়তের অবিক্রীত মাছ কম দামে কিনে শুঁটকি করে থাকি। কিন্তু এ বছর মহিষলুটি আড়তে তেমন মাছ আসছে না।’
মহিষলুটি মৎস্য আড়তদার রাসেল হোসেন জানান, মাছ সংকটের কারণে এখানকার অনেক চাতালের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরুই হয়নি। শুঁটকির চাতালে কাজ করা কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক বেকার অবস্থায় বসে আছেন।চাতাল শ্রমিক তারা খাতুন বলেন, ‘প্রতিবছরই আমরা শুঁটকিপল্লিতে চার থেকে পাঁচ মাস কাজ করে থাকি। প্রতিদিন একজন নারী শ্রমিকের মজুরি ২০০ টাকা আর পুরুষের ৪০০ টাকা। এ বছর অবস্থা ভালো না।সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহিনূর রহমান বলেন, এ বছর চলনবিলে কয়েক দফায় পানি আসা ও দ্রæত শুকিয়ে যাওয়ার কারণে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই, চাতাল মালিকরা বিভিন্ন জেলা থেকে মাছ সংগ্রহ করে শুঁটকি উৎপাদন করবেন। সম্পূর্ণ নিরাপদ উপায়ে যাতে শুঁটকি উৎপাদন করতে পারেন, এ জন্য স্থানীয় মৎস্য অফিস থেকে তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে এই মাছের মওসুমেও উপজেলার সব বাজারগুলিতেই মাছের সরবরাহ কম থাকায় মূল্য বেশী বলে জানায় স্থানীয় অধিবাসীরা।
লেখক : সাংবাদিক, চলনবিল বার্তা, মান্নাননগর, তাড়াশ সিরাজগঞ্জ।

বিএনপি’র মহাযাত্রা ২৮ অক্টোবর
ডেস্ক রিপোর্টঃ সরকার অত্যন্ত ভয় পেয়েছে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সামনে পূজার ছুটিতে বিদায় নিন, সম্মানের সাথে সেইফ এক্সিট নিবেন, না গণআন্দোলনের মাধ্যমে করুণ পরিণতি ভোগ করে বিদায় নিবেন। সময় কিন্তু এই পূজার ছুটিটুকু, এটা কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বললাম।
গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী কর্মসূচি ঘোষণা কালে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকয় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এই কর্মসূচি যুগপৎ আন্দোলনের আংশিক কর্মসূচি। এই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের মহাযাত্রা শুরু হবে। এবার সরকার পতন না করে আমরা ঘরে ফিরে যাব না। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনেক বাধা বিপত্তি আসবে। এই প্রোগ্রাম হবে শান্তিপূর্ণ, আমাদের সকল কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা অশান্তি সৃষ্টিকারী সরকারের পতন ঘটাবো। সূত্র: সমকাল।
২৮ অক্টোবর বিএনপি’র খাদে
পড়ার সম্ভাবনা- কাদের 
ডেস্ক রিপোর্ট : ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর তারা গোলাপবাগ গরুর হাটের খাদে পড়েছিল, এবার কোথায় যাবে, সেটা দেখার অপেক্ষায়।গত শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে বিরোধী দল বিএনপি। এই কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর (২০২২) বেগম জিয়া দেশ চালাবে বলে দম্ভোক্তি করেছিল। ১০ ডিসেম্বরের মতো ২৮ অক্টোবরও তাদের একই পরিণতি হবে। শুধু চিন্তা করছি কোথায় গিয়ে খাদে পড়ে। ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগের গরুর হাটের খাদে পড়েছিল, এবার কোথায় যায়, সেটা দেখার অপেক্ষায়।’
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা প্রসঙ্গে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি স্ববিরোধী কিছু কথা বলে। সেগুলোর জবাব না দেওয়া ভালো। ঘুম থেকেই উঠেই মিথ্যা কথা বলে, সত্য কথা কখন বলে? তত্বাবধায়ক ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করেছে বিএনপি। এ ব্যবস্থা বাংলাদেশে প্রয়োগ করার বাস্তবতা নেই। আদালত সঠিকভাবে উপলব্ধি করে প্রয়োজনীয় বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নিয়েছেন। তত্ত্াবধায়ক ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে এনে ২০০১ ও ২০০৬ সালের পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশের মানুষ চায় না। সূত্র: প্রথম আলো।
শারদীয় দুর্গোৎসবের নবমী আজ 
ডেস্ক রিপোর্টঃ সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় আয়োজন শারদীয় দুর্গোৎসব গত শুক্রবার মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে মন্দির-মন্ডপগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। সেদিন ঢাকঢোল আর কাঁসর বাদ্যে দেবীর বোধন পূজার মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা করা হবে। ষষ্ঠী তিথিতে মন্ডপে-মন্দিরে সন্ধ্যায় বিল্ব বৃক্ষ বা বেল গাছের পূজার মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আবাহন করা হবে। ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী, ২১ অক্টোবর সপ্তমী, ২২ অক্টোবর অষ্টমী, ২৩ অক্টোবর নবমী এবং ২৪ অক্টোবর দশমী অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। সূত্র: যুগান্তর।

গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
ডেস্ক রিপোর্ট : গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশী নিহত ও ১৪ হাজার ৪৯৩ জন আহত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. আশরাফ আলকোদ্রা বলেন, চারটি হাসপাতাল ও ১৪টি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত হাসপাতালে ১৫০ শতাংশ রোগী ভর্তি রয়েছে এবং “অনেক আহত ব্যক্তি মেঝেতে ন্যূনতম চিকিত্সা পাচ্ছেন। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার শিশু এবং এক হাজার পাঁচ শত নারী। তবে এসংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আলকোদ্রা চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ওষুধের পাশাপাশি চিকিৎসা সুবিধাগুলিতে জেনারেটর চালানোর জন্য ব্যবহৃত ডিজেলের তীব্র ঘাটতির কথাও উল্লেখ করেছেন।সূত্র:মানবকণ্ঠ।
এবার বৈশ্বিক সতর্কতা জারি যুক্তরাষ্ট্রের 
ডেস্ক রিপোর্ট : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার হামাস গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ ঘিরে বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিজ নাগরিকদের জন্য এ সতর্কতা জারি করেছে দেশটি। গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এই সতর্কতা জারি করা হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা, মার্কিন নাগরিক এবং স্বার্থের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা, বিক্ষোভ বা সহিংস কর্মকান্ডের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাওয়ায় নাগরিকদের জন্য এই বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে।সতর্কবার্তায় বিশ্বজুড়ে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষ করে বিদেশে মার্কিন নাগরিকদের ‘অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার’ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ইসরাইলের বিরুদ্ধে চাটমোহরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ 
চাটমোহর প্রতিনিধি: দখলদার ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী মুসলিম জনতার পক্ষে পাবনার চাটমোহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উলামা পরিষদ চাটমোহর উপজেলা শাখা এ কর্মসূচীর আয়োজন করেন। গত মঙ্গলবার বাদ আসর হাফেজ মুফতি নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করেন নেতা কর্মীরা। এসময় বিক্ষোভকারীরা ইসরাইল বিরোধী নানা শ্লোগান দেন। চাটমোহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতা কর্মীরা বিকেলে চাটমোহর বালুচর খেলার মাঠে সমাবেত হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে পৌরসদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষীণ শেষে স্টার মোড়ে সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে সংগঠনের সহ-সভাপতি মুফতি মফিজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ক্বারী আরশাদ,হাফেজ মাওলানা মুফতী মাহমুদ হাসান, হাফেজ সাইদুল ইসলাম, মাওলানা সামসুল হক, হাফেজ রেজুয়ান, মাওলানা ইব্রাহিম, হাফেজ আব্দুর রহমান,মুফতি জাহিদ, হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

তাড়াশে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক দুর্বল 

বিশেষ প্রতিনিধি :সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক দুর্বল হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রামীণ সিম ব্যবহারকারী গ্রাহকদের। এ সমস্যা খোদ পৌর শহরেই দীর্ঘ দিনের। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় ঘরে ঢুকতেই ফোনে নেটওয়ার্ক থাকেনা বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা।
এদিকে গ্রামীণফোন সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক পেতে যে সব এলাকাতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে টাওয়ার স্থাপন করে নেটওয়ার্ক কাভারেজ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তাড়াশ সদরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন সগুনা ইউনিয়নের ধাপতেতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এম মোতালেব হুসাইন মামুন। তিনি বলেন, পৌর শহরেও গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্ক দুর্বল। গ্রামের বাড়িতে পাওয়াই যায়না। বাড়িতে নেটওয়ার্ক পেতে আগের মত এন্টেনা লাগানো ছাড়া কোনো উপায়ন্তর দেখছিনা। যতদিন নেটওয়ার্ক কাভারেজ ঠিক না হয় ভুক্তভোগী গ্রাহকদের কথা বলার জন্য এন্টেনা ও ইন্টারনেটের জন্য রাউটার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তাড়াশ গ্রামীণ ফোন সেন্টারের এজেন্ট সুদেব কুমার শুভ।এ প্রসঙ্গে তাড়াশ-রায়গঞ্জ উপজেলার গ্রামীণফোনের ডিস্টিবিউশন ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, তাড়াশে যে সব এলাকাতে গ্রামীণফোনের আপলোড স্পীড ১৫ এম বি পি এস‘র কম ও ডাউনলোড স্পীড ২০‘র কম তালিকা পাঠানো হচ্ছে টাওয়ার স্থাপন করে ভয়েস ও ডাটা সেবা নিশ্চিত করতে।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি অবিচল সমর্থন 
মালয়েশিয়া প্রধামন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট : ফিলিস্তিনিদের প্রতি অবিচল সমর্থন ঘোষণা মালয়েশিয়া প্রধামন্ত্রীর হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি অবিচল সমর্থন প্রকাশ করেছেন। গাজায় তার দেশ খাদ্য এবং ওষুধ সরবরাহ করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি হামলায় গাজার অবস্থা ভয়াবহ। আমি অবিলম্বে বোমবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে মিশরের রাফা সীমান্তে মানবিক করিডর প্রতিষ্ঠারও আহ্বান জানাই। এর আগের দিন মালরয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি হামাসের নিন্দা করবেন না। যদিও পশ্চিমাদের কাছ থেকে এটি করার জন্য ‘চাপ’ রয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা

ভয় দেখাবেন না, আমরা যুদ্ধে প্রস্তুত: হামাস 

ডেস্ক রিপোর্টঃ গাজায় ইসরাইলের স্থল হামলা প্রস্তুতির জবাবে হামাস বলেছে- আমাদের ভয় দেখাবেন না। আমরা প্রস্তুত। হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু ওবেইদে গত সোমবার এ মন্তব্য করেছেন। টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৭ই অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক হামলার পর ইজ্জেদিন আল কাসেম ব্রিগেডের হাতে এখনও ২০০ ইসরাইলিকে জিম্মি রাখা হয়েছে। অন্য প্রায় ৫০ জনকে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অন্য সংগঠনগুলো অন্য স্থানগুলোতে আটকে রেখেছে। তিনি বলেন, দখলদাররা আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালানোর হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা তাতে ভীত নই। আমরা এর জন্য প্রস্তুত আছি।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়, ইসরাইলি কর্মকর্তাদের দাবি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ১৪০০ ইসরাইলিকে হত্যা করেছে হামাস। সামরিক মুখপাত্র ডানিয়েল হাগারি বলেন, হামাসের হাতে জিম্মি ১৯৯ জন ব্যক্তির আত্মীয়দের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে তারা। ওদিকে হামাস মুখপাত্র আবু ওবেইদে বলেন, আমাদের শর্ত যখন পূরণ হবে, তখনই বিদেশি এসব বন্দিকে মুক্তি দেবো। তিনি আরও বলেন, ইসরাইল থেকে জিম্মি হিসেবে আটক করা কমপক্ষে ২২ জনকে ইসরাইলই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে। সূত্র: মানবজমিন

গাজা দখল করলে ‘বড় ভুল’ হবে ইসরাইলের: বাইডেন 

ডেস্ক রিপোর্টঃ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, গাজায় ইসরাইলের দখলদারিত্ব হবে একটি ‘বড় ভুল’। সিবিএস নিউজের প্রোগ্রাম ৬০ মিনিটসের স্কট পেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন এমন মন্তব্য করেন। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে সর্বাত্মক হামলার আগে উত্তর গাজার ইসরাইলি সীমানার কাছে বিপুলসংখ্যক ইসরাইলি সৈন্য জড়ো হয়েছেন। সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, ‘হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের সবার প্রতিনিধিত্ব করে না’। তবে বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, তিনি হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে চান।
৬০ মিনিটের পোস্ট করা একটি ভিডিও ক্লিপে প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও বলেন, তিনি গাজায় একটি মানবিক করিডর চালু করাকে সমর্থন করেন, যা মানুষকে অবরুদ্ধ এই ভূখন্ডে থেকে বের হওয়ার সুযোগ দেবে, সেই সঙ্গে গাজায় খাদ্য ও পানিসহ মানবিক সহায়তা বিতরণের সুযোগ মিলবে। সূত্রঃ যুগান্তর

গাজায় গণহত্যা নিয়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে ইরান 
ডেস্ক রিপোর্টঃ গাজার আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রাইসি এ হামলার ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। মাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রাইসি বলেন, মার্কিন ও ইসরায়েলি বোমার আগুন শিগগিরি ইহুদিবাদীদের গ্রাস করবে। তিনি বলেন, এই যুদ্ধাপরাধের মুখে কোনো আদর্শবান ব্যক্তি নীরব থাকতে পারে না। এ সময় তিনি দেশটিতে এ হামলার কারণে বুধবারকে (১৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় শোক দিবস বলে ঘোষণা করেন।
অপর এক এক্সবার্তায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, এই জঘন্য অপরাধের পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্ব মানবতার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের চেয়েও ইসরায়েলি রেজিম ঘৃণিত। তিনি হাসপাতালের এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বলে মন্তব্য করেন। গতকালের ওই হামলায় অন্তত ৫০০ ফিলিস্তিন শহীদ হয়েছেন। এছাড়া, বহু মানুষ আহত হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য লোক ধ্বংসস্তুপের নিচে পড়ে রয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। সূত্রঃ কালের কন্ঠ
মধ্যপ্রাচ্যে বাইডেনকে বয়কট 
ডেস্ক রিপোর্টঃ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন ফিলিস্তিন, জর্ডান ও মিসরের শীর্ষ নেতারা। ইসরাইল সফর শেষে বুধবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে বাইডেনের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা তাকে বয়কট করেন। খবর আলজাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স ও এএফপি।
গত মঙ্গলবার রাতে গাজা উপত্যকার আল-আহলি হাসপাতালে বোমা হামলার পর বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বাতিল করে দেন। বৈঠকে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল। একই দিন বাইডেনের সঙ্গে জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিরও বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ফিলিস্তিনির দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, গাজার হাসপাতালে ইসরাইল গণহত্যা চালানোর পর প্রেসিডেন্ট আব্বাস খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। জর্ডান থেকে তিনি তাৎক্ষণিক রামাল্লায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি জানান, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেনের সঙ্গে রাজা আবদুল্লাহের বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া এখন আর আলোচনা করে কোনো লাভ নেই। জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে কেউ চুপ থাকতে পারে না। এভাবে সাধারণ মানুষকে হত্যা ‘মানবতার জন্য লজ্জাজনক’। সূত্র : যুগান্তর

বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে – প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্টঃ ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছ। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) গণভবনে ওআইসিভুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, মরক্কো, কাতার, লিবিয়া, তুরস্ক, ইরান, ব্রæনেই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও মিশরের রাষ্ট্রদূত। এসময় প্রধানমন্ত্রী মানবজাতির কল্যাণে যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে গাজার একটি হাসপাতালে ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষ হত্যার তীব্র নিন্দা জানান। সূত্রঃ ভোরের কাগজ

মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে ইসরায়েল: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় 
ডেস্ক রিপোর্টঃ গাজার আহলি আরাবি হাসপাতালে বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর এ হামলার মাধ্যমে নির্বিচারে নারী ও শিশুসহ শতাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এই নির্মম হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং যা মানবতার বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অপরাধ। গত বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে গাজায় ইসরায়েল যে যুদ্ধ চালাচ্ছে, তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনেকরে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনি নাগরিকের ওপর সম্মিলিত শান্তি এবং আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সকল নীতির পরিপন্থী। সূত্র: সমকাল

সিংড়ায় বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ 
সিংড়া প্রতিনিধি :বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী এডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নাটোরের সিংড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে।
দাউদার মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক এড. মজিবুর রহমান মন্টু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আফছারুজ্জামান, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব তায়েজুল ইসলাম, যুগ্ম আহŸায়ক বোরহান উদ্দিন বাবু, উপজেলা যুবদলের আহŸায়ক হাবিবুর রহমান, সদস্য সচিব আব্দুল মালেক, পৌর যুবদলের আহŸায়ক এড. নাজমুল হক।

আনন্দময়ীর আগমনে
(শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে)
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার
আনন্দময়ীর আগমনে ধরায় খুশীর বন্যা নামে
শহর বন্দর বাজার গঞ্জে আরো পল্লীর গন্ডগ্রামে।
পূত্র কণ্যা সাথে নিয়ে কৈলাশ থেকে ধরার বুকে
মায়ের উৎসব আরম্ভ হয় মহালয়ার ক্ষণ থেকে।
মহাষষ্ঠির বোধন দিয়ে মাতৃপূজা গতি পেলে
সবার মন নেচে ওঠে ঢোল আর ঢাকের তালে
অষ্টমীর কুমারী পূজোয় উৎসব নতুন মাত্রা পায়
মেতে ওঠে নারী শিশু গৌরি কণ্যায় দেবী সাজায়।
প্রণতি জানায় দেবীর পায়ে মহাশক্তির উৎস জেনে
মহিষমর্দিনীর অন্যরূপ হিসেবে তারে মেনে।
শিশুরা পায় জামা জুতো বউ ঝি গণ নতুন শাড়ী
নাড়ু মোয়া খাওয়ার ধুম দেখা যায় সব বাড়ী।
কণ্যা যায় বাপের ঘরে বছর বাদে নাইওর খেতে
জামাই বাবুর এই সুযোগে লুচি পায়েস পড়ে পাতে।
মিঠাই মন্ডা ফলার এসব চারিদিকে ছড়াছড়ি
আরতিতে ভক্তের দল প্যান্ডেলে যায় গড়াগড়ি।
মহামায়া দুর্গা দেবী ভক্তগণের দ্বারে আসে
স্বামী মহাদেবসহ যেন আপন কণ্যার বেশে।
সংবৎসর পার্বতী স্বামীর বাড়ী সংসার করে
প্রণামসহ ফুল দেয় পূজারীগণ উৎসাহ ভরে।
দূর্গতিনাশিনী, জগত্তারিনী, অন্নপূর্না, দশভূজা
হরেক নামে ডেকে তারে পূন্যার্থীগণ দেয় পূজা।
মন্ডপে ঘুরে বেড়ায় বৃদ্ধ, নারী, শিশু, যুবা
নতুন রঙ্গীন পোষাক পরে দেখতে যা মনোলোভা।
নানা স্থানে একারণে ছোট বড় মেলা হয়
চুড়ি, মালা, ফিতা কেনার বেশ ধূম পড়ে যায়।
কয়েক দিনের আনন্দধারা উৎসব শেষ হলে
মাকে বিদায় জানায় সবে বিজয়ার দিন এলে।
সারা বছর সবাই যেন সুখে-শান্তিতে থাকে
সাষ্ঠাঙ্গে প্রণাম দিয়ে মনে মনে বলে মাকে।
আবার এসো মা দূর্গা সামনে বছর শুভ ক্ষণে
ভক্তিভরে প্রণাম জানায় ভক্তগনে কায়মনে

উল্লাপাড়ায় ১শ টি পূজা
মন্ডপে সরকারী অনুদান 

ডাঃ আমজাদ হোসেন, উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে ১শ টি পূজা মন্ডপের অনুকূলে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম এ অনুদান বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ উজ্জ্বল হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পান্না, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজিত ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক রতন সরকার প্রমুখ।

ভাঙ্গুড়ায় আ.লীগ নেতার অর্থদন্ড 

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি:পাবনার ভাঙ্গুড়ায়প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১২ বস্তা সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত রাখার দায়ে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত রেজাউল করিম রেজা উপজেলার কৈডাঙ্গা গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলী খানের ছেলে। তিনি ভাঙ্গড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভার শরৎনগর বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে এ অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতপরিচালনা করেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমীয়া আক্তার রোজী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার শরৎনগর বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে সরকারি চাল মজুত রাখা আছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমীয়া আক্তার রোজী।এসময় সেখান থেকে হতদরিদ্রের জন্য বরাদ্দকৃত ১২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। পরে সরকারি চাল মজুত রাখার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা রেজাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমীয়া আক্তার রোজী জানান, সরকারি চাল মজুতের দায়ে রেজাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। এসময় সেখান থেকে ১২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে সিংড়ায় মুসল্লিদের বিক্ষোভ 
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের সিংড়ায় ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মুসল্লিরা। গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বাদ জুম’আ পৌরসভার বিভিন্ন মসজিদ থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে মুসল্লিরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমবেত হয়। পরে সিংড়া উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত পরিষদের ব্যানারে একটি বিশাল মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার বাসস্ট্যান্ডে ফিরে এসে পেট্রোল পাম্পের সামনে সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সিংড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আলী আকবর, জামিয়া ইসলামিয়া হামিদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাদানি, সিংড়া দমদমা আল জামেয়াতুল কোরআনিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব ও সিংড়া উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত পরিষদের সভাপতি মাওলানা আকরাম হোসেন, মুফতি সুলতান মাহমুদ, মুফতি জাকারিয়া মাসউদ প্রমূখ।

তাড়াশে জাতীয় তামাকমুক্ত দিবসে
সংবাদ সম্মেলন

ইসহাক আলী : সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। অথচ তামাক কোম্পানিগুলো সরকারের জনস্বাস্থ্য রক্ষার এই মহৎ উদ্যোগকে ব্যাহত করতে নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ অপচেষ্টার মূল উদ্দেশ্য দেশের তরুণ সমাজকে ধূমপানের দিকে আকৃষ্ট করা। তারা আইনভঙ্গ করে বিজ্ঞাপন করার পাশাপাশি, প্রণোদনা, রেষ্টুরেন্টে ধূমপানের স্থান তৈরি, বিশ^বিদ্যালয়ে দূত নিয়োগ করছে। তরুণ সমাজকে ধূমপায়ী বানিয়ে বাণিজ্য করাই তাদের উদ্দেশ্য। আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও সরকার প্রধানের প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নে আইন লঙ্ঘনকারী তামাক কোম্পানিগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও পরিবর্তন এর যৌথ উদ্যোগে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা সদরে তাড়াশ উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী হলরুমে “দেশব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন:তামাক কোম্পানী বেপরোয়া” শীষক সংবাদ সম্মেলন ও তৎপরবর্তী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৯ অক্টোবর সোমবার বিকাল ৩টায়। আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠান শুরুতে প্রথমে “সরকারের তামাকমুক্ত বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা:সিগারেট কোম্পানির অপতৎপরতা” শিরোনামের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবর্তন পরিচালক আবদুর রাজ্জাক রাজু।এবারের প্রতিপাদ্য ‘জীবনের জন্য, পরিবারের জন্য তামাক কোম্পানির আগ্রাসন প্রতিহত করুন’।
এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্য হতে প্রস্তাব-সুপারিশমূলক বক্তব্য দেন সাংবাদিক জাকির আকন, আব্দুল বারী খন্দকার, রফিকুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন, শফিউল হক বাবলু, এম এ মাজিদ, মামুন হুসাইন ও মেহেরুল ইসলাম বাদল প্রমুখ। আলোচনা পর্বে অংশ নেন প্রধান অতিথি তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোহেল রানা ও বিশেষ অতিথি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনোয়ার হোসেন, উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ আব্দুস সালাম জাকারিয়াা এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঞ্চালনায় ছিলেন পরিবর্তন পরিচালক আবদুর রাজ্জাক রাজু ও উপপরিচালক রোখসানা খাতুন।

গুরুদাসপুরে মদ্যপানমুক্ত দুর্গাপূজার লক্ষ্যে সভা 
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে নাটোরের গুরুদাসপুরে চাল বিতরণ, মদ্যপান ও অশ্লীলতা রোধে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জরুরী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়ের সভাপতিত্বে গত রবিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, পৌর মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান, উপজেলা পূজা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার পাল। আলোচনা শেষে উপজেলার ৩৪টি পুজা মন্ডপের প্রতিনিধিদের কাছে অনুদানের ৫০০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এসময় প্রতিটি পুজামন্ডপের সভাপতি সেক্রেটারী উপস্থিত ছিলেন।

ভাঙ্গুড়ায় ‘মুজিব’ সিনেমা দেখলেন এমপি মকবুল হোসেন 

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে মৌচাক সিনেমা হলে টিকিট কেটে মুজিব সিনেমাটি দেখলেন স্থানীয় সাংসদ ও ভূমি মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ মো. মকবুল হোসেন। জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার শ্যাম সেনেগাল পরিচালিত চলচ্চিত্র মুজিব ছবিটি একটি জাতির রূপকার । মুক্তি পেয়েছে গত বৃহস্পতিবার যা দেশের ১৫৩ টি সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় মৌচাক সিনেমা হলে গত শুক্রবার বিকালে সাংসদ আলহাজ মো.মকবুল হোসেন মুজিব ছবিটি দেখলেন।
সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে আরিফিন শুভ, শেখ হাসিনার একটি চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া ও বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার বড়বেলার চরিত্রে অভিনয় করছেন নুসরাত ইমরোজ, তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ আহমেদ অভিনয় করেছেন অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ দেশের শতাধিক জনপ্রিয়শিল্পী।

তাড়াশে কবিতা পাঠের আসর 
আব্দুল কুূদ্দুস তালুকদার : গত শনিবার বিকাল ৪টায় তাড়াশ কবিতা ক্লাবের উদ্যোগে তাড়াশ উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীর হলরুমে প্রবীণ শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান সাজুর সভাপতিত্বে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়। এতে কবিতা পাঠ করেন তাড়াশ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপিকা কবি ফিরোজা বিউটি, প্রফেসর আব্দুল মতিন, সৈয়দ সাইদুর রহমান সাইদ, সনজু কাদের, প্রবীন কবি সাইফুল ইসলাম, জহির উদ্দীন ও আব্দুল কুদ্দুছ তালুকদার প্রমূখ। প্রত্যেক কবি একাধিক কবিতা পাঠ করেন এবং পঠিত কবিতার উপরে সমালোচনাও করেন সবাই যার যার মত। কবি জহির উদ্দীন ও সাইফুল ইসলাম তাদের লিখিত প্রবন্ধও উপস্থাপন করেন। শেষে যে যার মত ১০-২০ টাকা দিয়ে তাৎক্ষনিক ফান্ড গঠন করে চা চক্রের আয়োজন হয় পাশের টি ষ্টলে, যেহেতু সংগঠনের কোনো ফান্ড নেই। অবশ্য গত আসরের চা চক্র শেষে যে ৫ টাকা অতিরিক্ত ছিল ফান্ডে, তা হাউজে জমা দেন কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ সাইদুর রহমান। উল্লেখ্য, প্রতি মাসের প্রথম শনিবার নিয়মিত কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয় তাড়াশ কবিতা ক্লাবের উদ্যোগে।

তাড়াশ কৃষি অফিসের মহতী প্রচেষ্টা

আরিফুল ইসলাম, তাড়াশ ঃ উপযুক্ত কলা কৌশল প্রয়োগ করে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের কৃষি কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকদের জন্য। নতুন চিন্তা ধারার মাধ্যমে কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে দিনরাত কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ধানের বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাইয়ের জন্য সচেতনতামূলক তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন। কিভাবে রোগ নির্ণয় করা যায় সেই পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দিকনির্দেশনায় কৃষি উন্নয়নে ব্যাপকভাবে যেন কৃষক সেবা পায় সেই লক্ষ্যে ইতিপূর্ব থেকেই নির্দেশনা দেওয়া আছে। উৎসুক কৃষকদের মাঝে ইতিমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও ইতিমধ্যে কৃষকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন’র সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, মানুষ মানুষের জন্য। কৃষকের সাথে আমরা গভীরভাবে মিশতে চাই ,তাদের মাঝে আধুনিকতার উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পরামর্শ দিয়ে মাঠ পর্যায়ে সহযোগিতা করছি।তিনি আরো জানান, ফসল বৃদ্ধিকল্পে আধুনিক চাষাবাদে কীটনাশক, উদ্ভিদের পরাগায়ণ, সার প্রয়োগ এবং প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর প্রাণপণ প্রয়াস চালানো হচ্ছে। এর ফলে, পরিবেশের ভারসাম্যহীনতাসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংসযজ্ঞ দ্রæত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানব স্বাস্থের উপর নেতিবাচক ও বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এগুলো থেকে উত্তরণের জন্য কৃষকদেরকে আমাদের পক্ষ থেকে দেয়া পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ টেকসই কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে

তাড়াশে খেজুর গাছের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি 

মোঃ মুন্না হুসাইন, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ শীত মৌসুমের শুরুতেই খেজুর রস সংগ্রহে গাছিদের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এখন চলছে গাছ ঝোড়া, পরিস্কার ও নল লাগানোর কাজ। ক’দিন পরেই যখন শীত বাড়তে থাকবে, তখন শুরু হবে খেজুর গাছের বুক চিড়ে সুস্বাধু রস সংগ্রহ। তাই গাছিরা এখন খেজুর গাছগুলো প্রস্তুত ও পরিচর্যা করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আর এ কর্মযজ্ঞ চলছে চলনবিল অধ্যূষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জের ঝোপ-ঝাড়, ভিটে, জমির আইল, রাস্তার ধার ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় বেড়ে ওঠা খেজুর গাছগুলোতে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কার্যালয় জানিয়েছে, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায়, বসতবাড়ি, পুকুর পাড়ে ও পরিত্যক্ত ভিটে-ভাটিতে অযতœ অবহেলায় বেড়ে ওঠা ছোট-বড় প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। এ গাছ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ৫০০ মে.টন রস সংগ্রহ হয়ে থাকে। আর ওই রস থেকে তৈরি হয় প্রায় ১৮ থেকে ২০ মে.টন খেজুর গুড়। সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায়, বসতবাড়ি, পুকুর পাড়ে ও পরিত্যক্ত ভিটে-মাটিতে বেড়ে ওঠা ছোট-বড় খেজুর গাছগুলোর ডালপালা পরিস্কার ও নল (চুঙ্গি) লাগানোর কাজ করছেন গাছিরা। আর এ কাজ স্থানীয় গাছিদের পাশাপাশি রাজশাহী জেলার বাঘা ও চারঘাট, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম ও সিংড়া উপজেলা থেকে আসা প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি গাছির দল। ইতিমধ্যে গাছির দলগুলো উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ভাটি স্থাপন করেছেন। এছাড়াও তারা রস থেকে গুড় তৈরীর জন্য জ্বালানী হিসেবে সংগ্রহ করছেন নাড়া (খড়) ও গার্মেন্টসের বর্জ্য ঝুট। এখন খেজুর গাছগুলো রসের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরীর কাজ শুরু করবেন এমনটাই জানালেন রাজশাহীর চারঘাট থেকে আসা গাছি মোঃ সবুজ হোসেন (৩৪)।
তাড়াশে চুরি করে মাছ ধরার চেষ্টা 
আরিফুল ইসলাম, তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ তাড়াশে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দলিলকৃত পুকুর দখল করে রাঁতের আঁধারে মাছ ধরার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের বিরইল গ্রামের মৃত আয়নালের ছেলে নজরুল ইসলামের (৪৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ন্যায় বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আদালতের অভিযোগকারী একই গ্রামের মোঃ আলহাজ্ব আব্দুল সামাদ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের বিরইল গ্রামে ৩৬১৮/০২ দলিলের প্রায় ৮বিঘা একটি পুকুর পেশীশক্তি প্রয়োগ করে অবৈধ ভাবে দখল করে মাছ চাষ করছিলেন নজরুল ইসলাম। দলিল মূলের মালিক একই গ্রামের আলহাজ্ব আঃ সামাদ বৈধ কাগজপত্র নিয়ে গত ২৪ মার্চ ২০২৩ইং নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত প্রতিপক্ষকে কারণ দর্শানো এবং নালিশি সম্পত্তিতে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয়কে নির্দেশ প্রদান করেন। যেনো ওই পুকুরে দখল না করতে পারেন এবং মাছ চাষের বন্ধের নির্দেশ দেন কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মাছ ধরার বিষয়টি নজরুল ইসলামের কাছ থেকে জানতে চাইলে তাঁর ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানতে পেরেছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহেশরৌহালী মসজিদের টাকা
আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন 
তাড়াশ প্রতিনিধিঃ তাড়াশের মহেশরৌহালী উত্তরপাড়া জামে মসজিদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা। গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) মহেশরৌহালী উত্তরপাড়া জামে মসজিদের মুসল্লিরা মসজিদ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে থেকে লিখিত বক্তব্য রাখেন সামছুল হক। তিনি বলেন, অবৈধ শক্তিধর নওগাঁ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন,জয়েন ফকির,ওয়াব ফকির,ও গঞ্জেরসহ আরও অনেকেই গত ১৫ বছর যাবৎ জোরপূর্বক অবৈধভাবে এই মসজিদের স্বঘোষিত কমিটিতে রয়েছে।
তিনি মসজিদের নতুন কমিটি করার সুযোগ দিচ্ছেন না। কেউ কমিটি করতে গেলে তাদের বাধা দিচ্ছেন ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু জামালসহ আর অনেকেই জোর করে গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে মসজিদের পুকুর ও জমির টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন।তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না, কারণ তার রয়েছে পালিত অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী।অন্যান্য বক্তারা বলেন, আজ আমরা এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লিরা জামাল ও জয়েনের হাত থেকে মসজিদসহ এলাকাবাসীকে রক্ষা করার জন্য জীবন বাজি রেখে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লিরা মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্য কামনা করছি।

সিংড়ায় কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমাবেশ 

সিংড়া প্রতিনিধি:নাটোরের সিংড়া উপজেলার চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোকিত সমাজ’ এর সভাপতি আরিফা জেসমিন কনিকা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পিরিয়ড হচ্ছে কিশোরী বয়সে স্বাভাবিক শরীর বৃত্তিয় প্রক্রিয়া। সচেতনতা সৃষ্টির ফলে এখন আর এটি ট্যাবু নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে মাত্র ৩০ শতাংশ নারী স্বাস্থ্যসম্মত স্যানেটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। স্যানেটারি ন্যাপকিন যথাযথভাবে ব্যবহার করা হলে ৯০ শতাংশ সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। জরায়ু পরিচ্ছন্নতার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হলে জরায়ু ক্যান্সার, রক্তে জীবানুর সংক্রমণ অনায়াসে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

 

 

 

 

 

 

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD