গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ্যাম্বুলেন্স বন্ধ আটমাস ধরে

Spread the love

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: সরকারি দুই এ্যাম্বুলেন্স তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। জ্বালানি সংকটের কারণ দেখিয়ে এ্যাম্বুলেন্স দুটিতে রোগী বহন করা হচ্ছেনা। ফলে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সে রোগী বহনে অর্থের সাথে বেড়েছে ভোগান্তিও। প্রায় ৮ মাস ধরে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে এমন দুরাবস্থা। দীর্ঘ সময় ধরে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকলেও সংকট নিরসনে কোনো পদক্ষেপ নেই। চালক জহুরুল ইসলাম জানান, সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে রোগী বহনে রোগী পর্যায়ে সীমিত ব্যয় হয়। কিন্তু বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে সেই ব্যয় তিনগুন বাড়ে।

তিনি বলেন, প্রতি বছর ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার জ্বালানি তেল ব্যয় হয় সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাজেট শাখা থেকে বরাদ্দ আসে ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা। মূলত ফিলিং স্টেশন থেকে বাৎসরিক চুক্তিতে জ্বালানি তেল কিনে এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু গত অর্থ বছরে তেল বাবদ ১৫ লাখ টাকা বকেয়া পড়ায় সরকারিভাবে এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রায় ৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই সেবা।

কয়েকজন রোগীর স্বজন জানান, রোগীর মূমুর্ষ সময়ে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স পাননি তারা। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সে রোগীকে নাটোর এবং রাজশাহী নিয়েছেন। এতে অর্থের সাথে নষ্ট হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সময়।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, প্রতি ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে অন্তত ৫০ জন রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হয়। আঃন্ত এবং জরুরী বিভাগ মিলিয়ে প্রায় প্রতিদিন দুইজন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা অথবা বিভাগীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অনেক সময় রোগীর স্বজনেরা বিদ্রুত ব্যবহারও করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে তেলের বরাদ্দ না থাকায় বাধ্য হয়েই এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সংকট নিরসনে তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD