রায়গঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে স্কুলের পাশের সড়কে ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তুপ। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কাপড়ে নাক ঢেকে চলছে পথচারীরা। উপজেলার চান্দাইকোনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সড়কের চিত্র এটি। চান্দাইকোনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলার মধ্যে অন্যতম একটি স্কুল। স্কুলটি সড়কের মুখেই। পাশেই রয়েছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মরদেহ দাহ করার মহাশশ্মান।
চান্দাইকোনা হাটের কাঁচামালের ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে তালের খোসা, পঁচা সবজি, মুরগীর বিষ্ঠা ফেলে রেখে চলে যায়। ব্যবসায়ীদের দেখাদেখি স্থানীয় লোকজন বাসাবাড়ির ময়লা ফেলে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়ত করে থাকে। রায়গঞ্জ উপজেলায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই। ময়লার ভাগাড়ের তীব্র দুর্গন্ধে পথচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে।
চান্দাইকোনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, এখানে চান্দাইকোনা হাটের ব্যবসায়ীরা রাতের অন্ধকারে ময়লা ফেলে চলে যায়। বেশ কয়েকবার বলার পরও তারা কথা শোনে না। রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনার স্তুপ থেকে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে ওই স্থান দিয়ে যাওয়া কষ্টকর।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা স্কুলের পাশে কোনো ময়লা-আবর্জনা রাখে না। সড়কের মুখে স্কুলের পাশে মুরগীর অপ্রয়োজনীয় অংশ ও পঁচা সবজি দেখা যাচ্ছে। এগুলো ভ্যান গাড়িতে করে চান্দাইকোনা হাটের ব্যবসায়ীরা এই ময়লা ফেলেছে। আবাসিক এলাকায় এভাবে ময়লা ফেলায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পথচারী সোহাগ হোসেন সরকার বলেন, একটি আবাসিক এলাকায় এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা কাম্য নয়। ময়লা-আবর্জনা থেকে এলাকায় বিষাক্ত জীবাণু ছড়াচ্ছে।
চান্দাইকোনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুকিত বলেন, ময়লার ভাগাড়টি সরিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, স্কুলের পাশের সড়কের ময়লা সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ময়লা ভাগাড়টি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।