চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পৌরসদরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)র জায়গা অবৈধভাবে দখল করে অবাধে সেমিপাকা-থেকে শুরু করে বহুতল ভবন বিশিষ্ট কয়েক শত অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত পাউবোর ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এ সব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে চলেছেন অবৈধ দখলকারীরা। মাঝে মধ্যে পাউবোর পাবনা অফিস থেকে দু’একজন অবৈধ দখলকারী উচ্ছেদের নামে নোটিশ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
পাউবোর ভাঙ্গুড়া অঞ্চলের কোটি কোটি টাকার মুল্যবান ভূ-সম্পত্তি দিন দিন এ ভাবে স্থায়ীভাবে বেদখলে চলে যাচ্ছে। পৌরসদরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দক্ষিণ-পুর্বস্থান থেকে পার-ভাঙ্গুড়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার বাঁধের উভয় পার্শ্বে (পাকাসড়কের গা ঘেঁষে) পাউবোর জায়গা দখল করে যে যার মতো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছেন। সম্পতি উপজেলার পাটুলিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ আশিক আহম্মেদ (মটরসাইকেল মেকার) পাউবোর ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পার্শ্বে প্রায় অর্ধবিঘা জায়গা অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ী পাকা ভবন নির্মানের কাজ প্রায় শেষের পথে। অথচ দখলকারীর কাছে পাউবোর কোনো বৈধ কাগজপত্রই নেই। দখলের বিষয়ে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ নাহিদ হাসান খানকে জানালে, গত সোমবার (১০জুলাই) বিকালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে (নির্বাহী কর্মকর্তা) এ অবৈধ নির্মাণ কাজ তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেন। এ সময় অবৈধ দখল কারী আশিক আহম্মেদ গং প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার পাউবোর) ভাঙ্গুড়া পওর শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মোঃ আল-আমিন হোসাইন জানান, উপর উল্লেখিত নামীয় কাউকে অফিস থেকে লিজ দেওয়া হয় নাই। তিনি আরও জানান, দপ্তরিক নীতিমালা অনুযায়ী বিধিমোতাবেক কাগজ পত্র থাকলে সেই সুবিধাভোগী অস্থায়ী ভিত্তিতে (স্থায়ী ও বহুতল বিশিষ্ট পাকাভবন নির্মাণ নিষেধ) ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করতে পারবেন। তিনি জানান, দখলকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।