মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
তরমুজ কেনা হয় পিস হিসাবে বিক্রি হয় কেজিতেপ্রথম রোজা শুরু হবার আগে এই সময়ের অন্যতম।পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, খুচরা ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে নিয়ে কেজি দরে বিক্রি করায় ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে।রমজান সংযমের মাস হলেও ব্যবসায়ীদের কাছে যেন অন্যায্য মুনাফার বিশাল এক সুযোগ। এই সময়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা করা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
যথারীতি এবারও রোজার আগে অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার। সবচে বেশি অরাজকতা যেনো ফলের বাজারে। পাগলা ঘোড়ায় পরিণত হয় ফলের বাজার।
গেলো ২৪ ঘন্টায় লাফিয়ে লাফিয় বেড়েছে সব রকম ফলের দাম। একেকটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে চারশত থেকে পাঁচশত টাকায়।গরমে এমনিতেই ঠান্ডা পানীয় তৈরির উপাদান হিসেবে কদর বাড়ে তরমুজের। এর মধ্যে রমজান এলে চাহিদা বেড়ে যায় আরও। ব্যবসায়ীরা যেনো সেই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন।মঙ্গলবার সকালে মান্নান নগর ও মহিষলুটি বাজারে তরমুজ দোকান ঘুরে এই দৃশ্য দেখা গেছে। এ সময় ক্রেতারা অভিযোগ করে দোকান থেকে দাম বাড়ানো হচ্ছে।তবে, পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি পরিবহন খরচ বাড়ায় তরমুজের দাম বেড়েছে। তারা জানান, ১৩ টন পণ্যের ভাড়া দিতে হয় ৪০ হাজার টাকা।তারা আরও অভিযোগ করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে সেটি কেজি দরে বিক্রি করছে, এ কারণে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছে।তবে, ক্রেতাদের কাছ থেকে বড় বড় অভিযোগের প্রমাণ পেলেও জরিমানা আর বড় হুঁশিয়ারি দিয়ে রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা।সবচেয়ে মজার বিষয় মাত্র ৩০ মিনিটে ৩০ হাজার টাকার তরমুজের দাম কমে নেমে এলো ১২-১৫ হাজার টাকায়। আবার এক নিমেষে লেবুর দাম হালিতে কমেছে ২০ টাকা।কারণ, তরমুজের পাইকারি বাজারের পাশপাশি কাঁচা বাজারেও অভিযান চলানো দরকার। একদিনের মধ্যে পল্ট্রি ও মাছের দাম দ্বিগুনের কাছাকাছি বেড়েছে।
এ ব্যাপারেও ব্যাবসায়ীদের বড় ধরনে হুশিয়ারী দেয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। ব্যবসায়ী সমিতি ভোক্তা অধিকারকে আশ্বাস দেন,মান্নান নগর বাজারে ও মহিষলুটি বাজারের নিত্যপণ্যের দাম তারা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।রমজানকে ঘিরে বাজার যাতে অস্থিতিশীল না হয় সেজন্য সোমবার ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বৈঠক করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর