চাটমোহরে ইটভাটার মাটি পড়ে সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ  

Spread the love
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
পাবনার চাটমোহরে অবৈধ ইটভাটা গুলোতে প্রতিনিয়ত যাচ্ছে ফসিল জমির মাটি। ফিটনেস বিহীন ট্রলি ও ডাম ট্রাক গুলো মাটি পরিবহন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। চলাচলের  সড়কে মাটি পড়ছে, বৃষ্টি কাঁদে মাটিতে একাকার হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত মানুষের প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে।
মোটরসাইকেল আরোহী কয়েকজন জানালেন, সড়কপথে পাল্লা দিয়ে চলছে ইটভাটার মাটি পরিবহন ফিটনেসবিহীন গাড়ি গুলো। একটু বৃষ্টি হলে কাঁদে মাটিতে একাকার হয়ে পড়ে। এসময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে।
মাটি ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো ফসলি জমির মাটি কেটে, উর্বর জমি পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করছে অবৈধ ইটভাটায়। কিন্তু প্রশাসনিক কোন প্রকার পদক্ষেপ নেই। উপজেলার ধরমগাছা ব্রিজের পাশে গুমানী নদী দখল করে স্থাপন করা হয়েছে ‘মির্জাপুর ব্রিকস ফিল্ড’ নামের একটি ইটভাটা। যার কোন প্রকার অনুমোদন নেই। এ ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট। সরকারি রাস্তা দখল করে যেমন মাটি রাখা হচ্ছে, তেমনি মাটি পরিবহণের কারণে বিনষ্ট হচ্ছে রাস্তা। কিন্তু এ নিয়ে কারো কোন মাথাব্যাথা নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু মির্জাপুর ব্রিকস ফিল্ডই নয় চাটমোহরের অধিকাংশ ইটভাটার নেই পরিবেশ অদিদপ্তরের ছাড়পত্র। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নেই। এ উপজেলার বিভিন্ন বিল আর সমতল জমির উর্বর মাটি খাচ্ছে অবৈধ এসব ইটভাঁটা। প্রতিদিন উর্বর জমির মাটি কেটে একটি চক্র পাঠাচ্ছে ইটভাটায়। মাটি পরিবহণের কারণে নষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তা। এ উপজেলার অবৈধ ইটভাঁটায় জমির মাটির পাশাপাশি পুড়ছে কাঠ। কিন্তু কোন প্রতিকার মিলছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ। অবৈধ ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো যেমন বন্ধ হচ্ছে না, তেমনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খননের উৎসব চলছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ইট পোড়ানোর লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের সার্টিফিকেট এমনকি ভ্যাট-আয়কর প্রদানের কাগজপত্র ছাড়াই ভাটার মালিকরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আর সকলকে ম্যানেজ করে ২৪ ঘণ্টা ইট পোড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে প্রশাসন ও  পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। কৃষিজমি বিনষ্ট করে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে কিভাবে চালু রয়েছে, এবিষয়ে বিশিষ্টজন ও পরিবেশবাদীরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ইটভাটার ইট পরিবহনের কারণে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে পড়ায়  চরম ভেগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। উপজেলার গুমানী নদী তীর দখল করে গড়ে ওঠা মির্জাপুর ব্রিকস ফিল্ড নামের  ইটভাটা চলছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী বলেন, লিখে কি করবেন। সকলকে ম্যানেজ করেই চলছে অবৈধ ইটভাটা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়েছে। মাটি কাটার বিষয়ে জানামাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাকে তথ্য দেন, আমি ব্যবস্থা নেবো।
One attachment • Scanned by Gmail

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD