ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়া অঞ্চলের দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ জুড়ে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। সেই ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ক্ষেতের পাশেই বাসানো হচ্ছে মধু সংগ্রহের বাক্স। এতে মধু সংগ্রহের পাশাপাশি বাড়ছে সরিষার ফলনও। লাভজনক সরিষা ক্ষেতের পাশে এমন মৌচাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা আবাদ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠে সরিষা ক্ষেতের পাশে শতাধিক মৌচাষের বাক্স (মৌ খামার) বসানো হয়েছে। এসব মৌবাক্স খামার থেকে এবছরে ৫ টনেরও অধিক মধু সংগ্রহ হবে।
উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের নতুনপাড়া বাঁশবাড়িয়া সড়কের বাঁশবাড়িয়া মাঠে গিয়ে দেখা গেলো হলুদ সরিষা ক্ষেতের পাশে সারি বেঁধে বসানো হয়েছে মৌচাষের বাক্স। মৌচাষের বাক্স বসিয়েছেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার বাউশা ইউনিয়ন থেকে আসা মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মাসুদ রানা। তিনি বলেন, প্রায় ১ যুগ ধরে চলনবিলের অভ্যন্তরে পাবনার ভাঙ্গুড়া এলাকায় এসে মধু সংগ্রহ করছি। আমি প্রায় ২শ’ বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছি। এখানে অনেক সরিষা ক্ষেতে ফুল ফোটেনি। তাই মধু উৎপাদন কিছুটা কম হচ্ছে। দুই সপ্তাহ পর মধু সংগ্রহ পুরোপুরি শুরু হবে। এখন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মধু ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাবনার চাটমোহর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র মধু চাষি জাহিদুল ইসলাম ভাঙ্গুড়া-নওগা (তাড়াশ) সড়কের পাশে উপজেলার শ্রীপুর উত্তরপাড়া সরিষা মাঠে ১৪০টি বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন। তিরি বলেন, প্রায় ২ সপ্তাহ আগে এখানে এসেছি। এ পর্যন্ত ৫ মণ মধু সংগ্রহ করেছি, আবহাওয়া ভালো হলে উৎপাদন বাড়বে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষিঅফিস সূত্রে জানা যায়
ভাঙ্গুড়া অঞ্চলের মধু সংগ্রহের বাক্স
মমম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে আসা মধু চাষিরাও মধু চাষ করছেন। মধু চাষ করে একদিকে যেমন মৌ চাষিরা লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে মৌমাছি সরিষার পরাগায়নে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে। ফলে সরিষার ফলনও প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যাবে।
মো: আকছেদ আলী