মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় নওগাঁ ইউনিয়নে প্রায় ৫০০ শত কৃষি জমিতে কচুরি পানার বসবাস। এতে সমস্ত কৃষকের মন খারাপ হয়েছে বলে কৃষক মোঃ তোফায়েল ইসলাম জানান,তিনি আরও বলেন এতে কৃষকের অনেক খরচ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে অধ্যষ্যতু চলন বিলের সমস্ত কৃষি জমিতে কচুরি দিয়ে ভরে আছে এতে কৃষকদের মাথায় হাত।এই কচুরি পানা সম্পর্কে কৃষক মোঃ আছমত আলীকে জিঙ্গাসা করলে তিনি বলেন, প্রত্যেক বছর বর্ষা আসার সাথে,সাথে এই কচুরি পানা আমাদের জমিগুলোকে অক্রমণ করে কৃষি জমির কানায় কানায় বংশ বিস্তার করে ভরে ওঠে। আমরা প্রত্যেক বার নৌকা দিয়ে ঠেলে ঠেলে কচুরি পানা গুলো বের করে দেই কিন্তু সকাল বেলায় এসে দেখি ভরে গেছে, এই কচু আমাদের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে আমাদের কৃষি জমি গুলোর উর্বরতাও এই কচুরি পানা কমিয়ে দিচ্ছ বলেও তিনি ধারণা করেন।
আবার কৃষক মোঃ আরশাফ মোল্লা বলেন প্রথম বর্ষাতে পানি কম ছিলো তখন সামান্য কচুরি ছিল পানি শুকিয়ে যাবার পর প্রায় ২০০০ টাকা খরচ দিয়ে কামলা কিনে কচুরি সাফ করেছিলাম আবারও পরেছে এবার পানি চলে যাবার পর মনে হয় ৩ হাজার থেক ৪ হাজার টাকা লাগবে বলে তিনি বলেন। তিনি আরও বলেন যত টাকা কচুরি সাফ করতে লাগে,হাল চাষ করতে লাগে, ধান গারতে লাগে,কাঁটতে লাগে,আবার তৈলের দাম দিতে হয় তাহলে এরকম অবস্থা হলে আমার কৃষকরা কিভাবে বাঁচবো। আমাদের যদি সরকার সাহয্যো সহ যোগিতা না করে তাহলে আমরা কৃষক বাঁচবো কেমন করে।এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোছা লুৎফুন্নাহার বলেন,অবশ্যই এ বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি কৃষকদের জন্য যাতে কৃষকরা জমি চাষে সফলতা আর্জন করতে পারে সে বিষয় আমাদের নজরদারি থাকবে।