চলনবিলাঞ্চলে শীতে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ

Spread the love

জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহর (পাবনা) :
শৈত্যপ্রবাহ ও তীব্র শীতে পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলাঞ্চলে অসহায় গরীব ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে অর্থনৈতিক জীবনে। দুপুরের দিকে এটকু সূর্যের মুখ দেখা গেলেও দিনরাত থাকছে গোটা চলনবিলাঞ্চলের গ্রামগুলো প্রায়শই কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে। হিমেল বাতাস বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা দূড়ে না যাওয়ায় গাড়ি চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে চালকদের।

সরজমিনে চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফরম ও ফুটপাতে অবস্থান নেওয়া ছিন্নমূল মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়। ফুটপাত আর পুরাতন কাপড়ের দোকানে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শীত বাড়তে থাকায় দিন মজুররা কাজ করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ বের হচ্ছে না। শৈত্যপ্রবাহে এ অঞ্চলের শিশুসহ সকল বয়সী মানুষদের শীত জনিত রোগ বালাই দেখা দিয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ছিন্নমূল মানুষেরা গরম কাপড় কিনছেন। ২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত একটি কাপড়ের দাম হাঁকছেন দোকানীরা। মানুষের পাশাপাশি প্রাণীকূলও কাতর হয়ে পড়েছে শীতের তীব্রতায়। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে ছিন্নমূল মানুষদের। শ্রমিকরা মাঠে কাজ করতে পারছে না। সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত শীতের কাপড় বিতরণ করা হয়নি। কিছু কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনজিও সীমিত মাত্রায় বিতরণ করছে শীতবস্ত্র।

অপরদিকে কৃষকরা জানায়, শীত ও কুয়াশার প্রভাব পরছে রবি শস্যের উপর। পানের বরজের পান পাতা পেকে হলুদ হয়ে যাচ্ছে। যে সমস্ত জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে সেসব জমির কিছু চারা মরে যাচ্ছে। বোরো বীজতলা আক্রান্ত হচ্ছে কোল্ড ইনজুরীতে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ। এহেন অবস্থায় সরকার এবং দেশের উচ্চ বিত্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন অসহায়, দুস্থ মানুষেরা।

 

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD