মুফতি খোন্দকার আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহ :
চার রাকাত নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, যে কোন সূরা পড়তে পারেন। তবে এই নামাযে বিশেষত্ব এই যে, প্রতি রাকাতে ৭৫ বার করে, চার রাকাতে মোট ৩০০ বার তাসবীহ পড়তে হবে।
তাসবীহঃ
سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ
উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
@ ১ম রাকাত এ সানা পড়ার পরে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে
@ তারপর স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা অথবা অন্তত তিন আয়াত পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
@ এরপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পরার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে
@ এরপর রুকু হতে দাড়িয়ে গিয়ে “রাব্বানা লাকাল হামদ” পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
@ এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
@ প্রথম সিজদা থেকে বসে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
@ এরপর আবার সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
@ তারপর একই ভাবে ২য় রাকাত পড়তে হবে, ( সুরা ফাতিহা পড়ার আগে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে ।)
@ অতপর ২য় রাকাত এর ২য় সিজদার পর “আত্তহিয়্যাতু…” পড়ার পরে সালাম না ফিরিয়ে , ২য় রাকাত এর মতো ৩য় এবং ৪থ রাকাত একই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে (তাসবীহ টি ১৫ বার পড়ে স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা পড়তে হবে) ।
কোন এক স্থানে উক্ত তাসবীহ পড়তে সম্পূর্ণ ভুলে গেলে বা ভুলে নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে কম পড়লে পরবর্তী যে রুকনেই স্মরণ আসুক সেখানে তথাকার সংখ্যার সাথে এই ভুলে যাওয়া সংখ্যাগুলোও আদায় করে নিবে।
আর এই নামাযে কোন কারণে সাজদায়ে সাহু ওয়াজিব হলে সেই সাজদা এবং তার মধ্যকার বৈঠকে উক্ত তাসবীহ পাঠ করতে হবে না।
তাসবীহের সংখ্যা স্মরণ রাখার জন্য আঙ্গুলের কর গণনা করা যাবে না, তবে আঙ্গুল চেপে স্মরণ রাখা যেতে পারে।
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত): ১২৯৭
মহান আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক জীবন যাপন করার জন্য তোফিক দান করুন । আমীন
লেখক তরুণ আলোচক ও গবেষক
খোন্দকার ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহ ।
প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক : মারকাযুদ্ দাওয়াহ উচ্চতর গবেষণা ও সেবা কেন্দ্র ।
সচিব দাওয়াহ :
কোরআন মজলিস ।
সদস্য : জাতীয় মুফাসসির পরিষদ বগুড়া জেলা শাখা ।