চাটমোহর প্রতিনিধি :
পাবনার চাটমোহর পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক এখন খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ভাঙাচোরা, গর্তে কাদাপানিতে একাকার হয়ে গেছে অধিকাংশ সড়ক। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দূর্ঘটনা। সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারী ও এলাকাবাসী। অধিকাংশ সড়কই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা এখন তলানীতে।
পৌরসভার ব্যস্ততম সড়ক বাসস্ট্যান্ড হতে নার্সারী মোড়। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে অসংখ্য যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দূর্ঘটনা। যানবাহনও গর্তে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙাচোরার মাঝে গর্ত।
এ গর্তে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা এ চিত্র এখন সাধারণ মানুষের কাছে যেন আতংকের ছবি। পৌরসভার অন্যতস প্রধান এ সড়ক যেন অবহেলা আর বঞ্চনার শিকার। ভাঙা সড়বের পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। সড়কটি কবে নাগাদ সংস্কার করা হবে, তা জানেনা কেউই।
একই অবস্থা চাটমোহর উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশের রাস্তার। উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনেই তৈরি হয়েছে গর্তের। সবসময় এখানে পানি জমে থাকে। কাদাপানি মারিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উপজেলা পরিষদে কাজে আসা মানুষজনকে। উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই রাস্তার বেহাল দশার চিত্র তুলে ধরে তা সংস্কারের দাবি জানান কমিটির সদস্যরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সৈকত ইসলাম জানান, সড়কটিতে চরম ভোগান্তি শুরু হয়েছে। এটি সংস্কার করার দায়িত্ব পৌরসভার। যদি পৌরসভা সংস্কার না করে তাহলে উপজেলা পরিষদ থেকে জরুরী ভিত্তিতে গর্ত ভরাট করা যেতে পারে।
এদিকে চাটমোহর নতুন বাজার থেকে পুরাতন বাজার হয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত প্র্রধান সড়টিরও বেহাল দশা। বিগত কয়েক বছর ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ার কারণে সড়কের মাঝখানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। জমে গেছে পানি। এতে যানবাহন ও সাধারণ মানুষকে চলাচলে করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া পৌর ভবনে যেতে ২নং ওয়ার্ডের ছোট শালিখা মহল্লার সড়কটিরও বেহাল দশা। এসকল সড়ক জরুরীভিত্তিতে সংস্কার করা না হলে জনদূর্ভোগ ক্রমেই বাড়বে। বর্তমানে স্থবির হয়ে আছে পৌরসভার সড়কগুলোর সংস্কারকাজ। এলাকাবাসী জানান, পৌরসভার রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো অবহেলিত। তারা সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
পৌর মেয়র এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো বললেন, ইতোপূর্বে সড়কগুলো সংস্কারে বরাদ্দ এলেও তৎকালীন মেয়র কোন কাজ করেননি। তিনি ইতোমধ্যে বরাদ্দ চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। বরাদ্দ আসলে ইনশাল্লাহ রাস্তার কাজ হবেই। করোনার কারণে পিছিয়ে গেছে উন্নয়ন কাজ।