গুরুদাসপুরের হাজেরা ক্লিনিকে সুস্থ হওয়ার আশায় গিয়ে আরও একজন লাশ হয়ে বের হলেন
আবুল কালাম আজাদ।।
হাজেরা ক্লিনিকে অপারেশন করাতে গিয়ে মৃত্যু
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের হাজেরা ক্লিনিকে বুধবার (১৬ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বিলকাঠোর গ্রামের মকবুল হোসেন (৫০) ভূল চিকিৎসায় মারা গেছেন হার্নিয়া অপারেশনের জন্য বুধবার বিকালে ওই ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন মকবুল হোসেন।
নিহতের স্ত্রী ও মেয়ে জানান, রাত আটটার দিকে অপারেশান থিয়েটারে নিয়ে স্যালাইন ও কোমড়ে ইনজেকশান করা হয় । ইনজেকশন দেয়ার পর রুগী চিৎকার করতে করতে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। দ্রুত বেডে নিয়ে ক্লিনিকের লোকজন বুকের ওপর উপর্যপুরি চাপ দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে ক্লিনিকের ছাড়পত্র ছাড়াই কর্তৃপক্ষ রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন ।পথের মধ্য চালক শফিউল বিষয়টি গোপন রাখতে হুমকি ধামকি দিয়ে জানান তিনি মারা গেছেন।হাজেরা ক্লিনিকের চিকিৎসক মো. আমিনুল ইসলাম সোহেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হলেও এ্যনেসথেসিয়া পুষ করা হয়নি। তাড়াছা এ্যনেসথেসিয়ার ওপর বিশেষ প্রশক্ষণ থাকায় বিভিন্ন রোগীকে তিনিই এ্যনেসথেসিয়াপুষ করে থাকেন।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, অপচিকিৎসায় মৃত্যুর বিষয় নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, হাজেরা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে একাধিক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হয়ে হাজেরা ক্লিনিকে নিয়মিত চিকিৎসা দিতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জনের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আমিনুল ইসলাম সোহেল তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হলেও তিনি নিয়মিত বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজেরা ক্লিনিকে রোগী দেখেন ও অপারেশন করেন। ক্লিনিক টি চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম সোহেল ও তার ছোট ভাই আমিরুল ইসলাম সাগর পরিচালনা করেন।সপ্তাহখানেক আগেও ওই ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারেই এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া একাধিক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে।