সিরাজগঞ্জ(সলঙ্গা) থেকে ফারুক ফারুক আহমেদঃ
সিরাজগঞ্জ জেলা সলঙ্গা থানার সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা পত্রিকার সাংবাদিক ফারুক আহমেদের ফুফু প্রবিণ ব্যক্তি ময়না বেগম না ফেরার দেশে চলে গেছেন। জানা যায় ময়না বেগম আমশড়া গ্রামের তাবলিগ জামাতের আমির মরহুম মোবারক হোসেন আকন্দের প্রথম মেয়ে। তিনি পার্শ্ববর্তী খুর্দ্দশলা গ্রামের মরহুম তুমেজ আকন্দর সাথে ১৯১১ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। প্রবিণ ব্যক্তত্বো ময়না বেগম আমশড়া গ্রামে ১৮৯৬ সালে এক মুসলিম সম্রন্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গত শুক্রবারে বাদ আসর সালাতের পর ৫টা ২০ মিনিটে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ১১৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।গত শুক্রবার বাদ আসর সালাতের পর ক্ষুর্দ্দশিমলা গ্রামে নিজ বাড়িতে সালাতে জানাজা শেষে তার ওছিয়াত অনুযায়ী বাবা মায়ের কবরের পার্শ্বে আমশড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। সাংবাদিক ফারুক আহম্মাদের ফুফুর ইন্তেকালে সলঙ্গা রির্পোর ইউনিটির সকল সদস্য বিন্দু মোরহুমার বিদেহী আত্নার শান্তি কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে। শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুস ছালাম, সলঙ্গা রির্পোটাস ইউনিটির সভাপতি, বিজয় বিডি ৭১ এর সম্পাদক ও সলঙ্গা থানা আওয়ামীলিগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও তাড়াশ রির্পোটাস ইউনিটির সহ সভাপতি দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি শাজাহান আলীসহ অত্র এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ।
তাঁর ৭৫ বছর বয়সের ছোট মেজো ভাই তাবলিগ জামাতের সাবেক আমির ও সলঙ্গা রির্পোটাস ইউনিটির সহ সভাপতি সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার পত্রিকার সলঙ্গা থানা প্রতিনিধি সাংবাদিক ফারুক আহমেদের পিতা আবু বক্কর সিদ্দিক এই প্রতিনিধিকে জানান, আমার শ্রোদ্বিও বড় বোন ময়না বেগম আমাদের তিন ভাইয়ের মা ছিলেন। কারণ আমরা আমাদের মাকে দেখেনি আমার যখন, ১ থেকে দেড় বছর বয়স, আমার ছোট ভাই আমজাদ হোসেনের বয়স যখন ৫ থেকে ৬ মাস আর আমার বড় ভাই বরাত আলী মেম্বরের বয়স তখন ছিল ৭ থেকে ৮ বছর আমরা পিতার স্নেহ ও ভাল বাসা পেলেও আমরা আমাদের মার আদর স্নেহ ও ভালোবাসা পাইনি। আমার এই মমোতা ময়ী মা এই বড় বোন তিনি তার স্বামীর বাড়ি থেকে এসে যদি ম্বামীর বাড়ি থাকতেন ১ মাস আর আমাদের জন্য আমাদের ভালোবাসা ও লালন পালন করার জন্য এসে আমাদের বাড়িতে থাকতেন ৩ মাস। আমার বড় স্নেহ ও মমতামোয়ী বোন আমাদের মার অভাব টুকু বুঝতে দেননি। সবার আগে আমার মমতাময়ী মা, তার পর আমার আদরের ছোট ভাই আমজাদ হোসেন, আমার জন্মোদাতা পিতা ও শ্রোদ্ধীয় বড় ভাই বরাত আলী মেম্বর অনেক আগেই আল্লাহুর ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আজ আমি আমার বটোবৃক্ষ আমাদের মাথার ছাতা মায়ের মত বোনকে হারিয়ে আমি আজ বড় একা হয়ে পরেছি। আমি মহান আল্লাকে বলবো আল্লাপাক তুমি আমার পিতা মাতা ভাই বোনসহ সমস্ত মুসলিম নরো – নারীদেরকে ক্ষুমা কর জান্নাত নছিফ করো।