সলঙ্গা(সিরাজগঞ্জ) থেকে ফারুক আহমেদঃ
সিরাজগঞ্জ সলঙ্গায় ভাল নেই ব্যবসায়ীসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। সলঙ্গা আমশড়া জোরপুকুর বাজারে, ঠিক উত্তর দিকেই ছোট ছোট চায়ের দোকান তার। বাজারে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনী ছোট বড় দোকান আছে। মোঃ ইয়াকুব আলীর ছোট একটি চায়ের দোকান আছে তা থেকে সে বিভিন্ন রকমের চা বানিয়ে মানুষদের খাওয়ায়ে সেবামূলক কাজ করেন। বিনিময়ে ক্রেতারা টাকা দেন। তবে দোকানে মানে কয়েকটা কাঠের চেয়ার, দুইটি টেবিল, কয়েকটি কাঠের ব্রঞ্চসহ কিছু বিভিন্ন ধরণের বিস্কুট নিয়ে সন্ধার অপেক্ষায় কিছু বেচা – কেনা করার আশায় বসে আছেন চাতোক পাখির মতো। গতকাল সকল ১০ টার সময় তার চায়ের দোকানে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, দোকান ঘরের সকল দাফার বন্ধ করে শুধু একটা খোলা রাখা হয়েছে।
তার নতুন দোকান চালু হওয়ার পর থেকে এমনিতেই কাস্টমার কম তার পর মরার উপর খাঁরার ঘা করোনাভাইরাস আসার পর তা এখন একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। ১৪ এপ্রিল দেশব্যাপী সর্বাত্নক লকডাউন শুরুর পর থেকে ক্রেতারা প্রায় সবাই ঘরবন্ধী। কথা বলার একজন লোকও পাওয়া যায়নি গত কাল। সিরাজগঞ্জ সলঙ্গার চা বিক্রায়াতা, বিভিন্ন ব্যবসায়ীসহ কর্মহীন মানুষদের কাজ না থাকায় লোকগুলো খুবই কষ্টে আছেন ।
ইয়াকুব আলী জানান,চা বন্ধ, গ্রাহক নেই। তবু চা বিক্রির আশায় প্রতিদিন সন্ধার পর দোকানে আশি। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি। কিছুক্ষণ বসে থেকে আবার হেঁটে চলে যান তিনি। তবে সন্ধার পর কিছু লোকজন আমার দোকানে চা খেতে আসেন। সন্ধার পর তারবি সালাতের পর পর্যন্ত কাস্টমারদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ৮০ টাকা। কোনো কোনো দিন কিছুই কেনা -বেচা হয় না। শূন্য হাতে ফিরে যেতে হয়। এই আয় থেকে ১৫০০ টাকা ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিলসহ লাকড়ির বিল দিতে হয় ঘর থেকে এনে।
কিন্তু এখন তো সবই বন্ধ। ফলে দোকান ভাড়াই কী দেবেন – তা নিয়ে চিন্তিত ইকুব আলী। তিন বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা কীভাবে করবেন -সেই চিন্তায় দিশেহারা তিনি। তিনি আরো বলেন, জীবনে আর কিছু শিখিনি। বয়স হয়েছে, শেখার সুযোগও নেই আর। কিন্তু পেটটা তো আছে। পেট তো বন্ধ নেই, কামড় দেয় ক্ষুধা। ইয়াকুব আলীর পাঁচ মেয়ে তার কোনো ছেলে নেই। মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে।