মরিঙ্গা বা সজিনা ৩০০ রোগের সমাধানে একাই একশো !

Spread the love
মোঃ মুন্না হুসাইন :
সজিনা গাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। গবেষকরা সজিনা পাতাকে বলে থাকেন, নিউট্রিশন্স সুপার ফুড এবং সজিনা গাছকে বলা হয় মিরাক্কেল ট্রি। করোনা মহামারির আতঙ্কে কাঁপছে সারাবিশ্ব।  শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি প্রয়োজন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা। খাবার তালিকা পরিবর্তন করে পুষ্টিকর খাবারকে প্রাধান্য দেওয়া। এক্ষেত্রে সজিনা পাতা বা মরিঙ্গা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সজিনা গাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। গবেষকরা সজিনা পাতাকে বলে থাকেন, নিউট্রিশন্স সুপার ফুড এবং সজিনা গাছকে বলা হয় মিরাক্কেল ট্রি। এটি শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে শরীরে করে কার্যক্ষম।

এই পাতার নানা গুণাগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। লেবু থেকে সাত গুন বেশি ভিটামিন সি আছে। যা আমাদের দেহের ভিটামিন সি-র চাহিদা পূরণে সক্ষম। আর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত৷  সজিনা পাতায় ডিম থেকে প্রায় দুই গুন বেশি প্রোটিন রয়েছে এবং দুধের চেয়ে চার গুন বেশি ক্যালসিয়াম আছে। যা মানবদেহের জন্য খুব উপকারী। অন্ধত্ব দূরীকরণেও সজিনা ডাটা ব্যাপক কার্যকারী, কারণ এতে আছে গাজর থেকেও চার গুন বেশি ভিটামিন ”এ”। তাই যারা অন্ধত্ব সমস্যায় ভুগে তারা সজনে পাতা খেলে উপকার পাবেন।
সজিনা পাতা এনিমিয়াকেও ধ্বংস করে কেননা শাকের তুলনায় পঁচিশ গুন বেশি আয়রন রয়েছে এতে। কলা থেকে তিন গুন বেশি পটাশিয়াম রয়েছে। শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সজিনা পাতা দারুণ উপযোগী।  এছাড়া এই পাতা আমাদের শরীরে এন্টি জিংক হিসেবে কাজ করে, হার্ট ভালো রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে ।যৌবন ধরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে সজিনা পাতা। এটি রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।কোলেস্টেরলের লেভেল কমিয়ে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এজমা রোগীদের জন্য এটা বিশেষ উপকারী কারণ একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে তিন গ্রাম পাতা দুইবেলা করে তিন সপ্তাহ খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

ডায়ারিয়া, কলেরা, আমাশয়, কোলাইটিস এবং জন্ডিসের সময় ব্যাপক শুশ্রূষাকারী সজনে পাতার ঝোল। কাঁচা পাতার রস খেতে পারলে তো কথাই নেই। এছাড়াও শত বছর ধরে প্রায় তিনশরও বেশি রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়াও সজিনার বিচির মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল প্রপার্টিস। এটা পানি বিশুদ্ধকরনে অত্যন্ত কার্যকারী। সজিনা ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। গর্ভধারণের পরবর্তীতে সব মায়েদের জন্য সজিনা পাতা খুবই উপকারী। সজিনা পাতায় আরো রয়েছে বিরানব্বই ধরনের পুষ্টি উপাদান, ছেচল্লিশ ধরনের এন্টি অক্সিডেন্ট, আঠারো ধরনের এমিনো এসিড ও আট ধরনের এসেনশিয়াল এমিনো এসিড। তাই সজিনা পাতাকে বলা হয় নিউট্রেশন্স সুপার ফুড, ন্যাচারাল মাল্টিভিটামিন এবং মিরাক্কেল ভেজিটেবল। 
সজিনা পাতা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যেতে পারে, যেমন ভাজা,রান্না, বড়া,ভর্তা ও শুকিয়ে গুড়ো করে।নিয়মিত সজিনা পাতা বা মরিঙ্গা খাওয়ার ফলে আমরা আমাদের দেহকে করতে পারি সুস্থ, সবল ও সতেজ। কারণ এটি মানবদেহের জন্য দারুণ উপকারী,পরি শেষে আমি গর্ভের সাথে জানাই এই উপকারী সজিনা গাছ আমাদের সিরাজগঞ্জ তাড়াশে প্রচুর পরিমান জম্মে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD